জান তুমি কি ব্যস্ত? -হুম। আম্মু আশেপাশেই আছে এখন চ্যাট করতে পারব না। যাই পরে কথা হবে। Love you. babu তিশাঁ বিদায় নিয়ে অফলাইনে গেল।রাহাত ভাবছে কি আর করবে সে এখন ফেসবুকে! ১ ঘন্টা ধরে ফেসবুকে বসে আছে নিউজ ফিড পাল্টাপাল্টি করছে শুধু। হুট করেই রাহাত তিশার পারিবারিক আইডিতে গেল যেখানে তিশা তাকেএড করেনি সমস্যা হবে বলে। সেই আইডিতেই ঢুকে দেখল তিশার
আগের প্রোফাইল পিক নেই। নতুন পিক দিয়েছে নিজের। হুট করেই মনে হল সে তার আরেকটা আইডি থেকে তিশার সাথে এড হবে। দুদিনের মধ্যেই এড হয়ে যায় তিশার ঐ আইডিতে। ঐ আইডিতে এড হয়ে রাহাতের চোখ কপালে।তিশা বলেছিল ওর সব পিক অনলি মি প্রাইভেসি দেয়া কিন্তু সব পিক ফ্রেন্ডস করা। সব লুল মার্কা ছেলে গুলা কি সুন্দর কমেন্ট করছে! তিশা মিথ্যা বলার পর ও রাহাত নিরব থাকে। কিচ্ছু বলে না। তিশা ইদানিং প্রচুর ব্যস্ত। রাহাতের জন্য তিশার যে আইডি খুলেছে সেখানে আসতেই পারেনা। রাহাত শিওর হয় সে সারাক্ষন তার ঐ আইডিতে থাকে আর তাকে মিথ্যা বলে।তিশার সাথে
আগে রাহাতের প্রতিদিন কথা হতো। এখন তিশা কথা বলতে পারেনা কারন তিশা নাকি তার মায়ের সাথে ঘুমায়। কিন্তু তিশার দুইটা বাংলালিংক নাম্বারের একটা গভীর রাত পর্যন্ত ওয়েটি থাকে। রাহাত জিজ্ঞেস করেই ফেলে উত্তর আসে ঐ নাম্বার তিশা তার কাজিনকে দিছে। রাহাত প্রমাণ চায় যে ঐ নাম্বার তার কাজিনেরই কাছে। শুরু হয় ঝগড়া। তিশার কথা হল রাহাত তাকে বিশ্বাস করে না। নানান কথা বলে
রাহাতকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে রিলেশন না রাখার কিন্তু প্রমাণ দেয় না সেই নাম্বার
তার কাছে নেই। রাহাত তাকে প্রচুর ভালোবাসে। তাই কষ্ট এর দিনে সিগারেট কে সঙ্গী বানায়। আর কষ্টের
কথা রাহাত বলতেই তিশা বলে এইগুলা রাহাতের আবেগ আর কিছুই না।রাহাত প্রচুর রাত জাগে আগে থেকেই। এখনো জাগে তবে “Black ” নামের একটা কালো সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে। নিকোটিনের সাথে তার প্রেম। রাহাত এতটুকু জানে নিকোটিন তাকে ঠকাবে না। কিন্তু সেদিন রাহাত দেখে তিশার সেই
পারিবারিক আইডিতে In a relationship with কেউ দিয়ে স্ট্যাটাস। রাহাতের চোখ দিয়ে দু ফোঁটা পানি
আসে শুধু। বাহ! এই নাহলে ভালোবাসা। তিশার পারিবারিক আইডির নামের পাশে গভীর রাত পর্যন্ত
সবুজ আলো জ্বলে আর ফোন ও ওয়েটিং থাকে সারাবিকেল!সারারাত রাহাত সব দেখে। তাদের মাঝে ব্রেক আp হয়নি কিন্তু তিশা অন্য কাউকে ভালোবাসে। রাহাতের নতুন প্রেম রাত জেগে চলে
তিশার মত। নিকোটিনের প্রেম। :-
বর্তমানে ফেসবুকে হাজারটা রাহাত আছে। তারা প্রতারিত হয় কিন্তু চেপে যায়। সবার কাছে তারা
সুখী। জীবন চলছে।রাহাতরাও চলছে তাদের আবেগ নিয়ে। তিশারাও ব্যস্ত তাদের ভালোবাসা নিয়ে!
সুখে থাকুক তিশারা আর আরো বেশি করে কষ্ট পাক রাহাতরা! রাহাতদের জন্মই ঠকার জন্য কারন এরা যে অন্ধ ভালোবাসতে পারে না। তিশাদের কাছে প্রমাণ চাইলেই রাহাতরা ভালোবাসতে জানে না।
আর রাহাতদের সন্দেহ যদি কোনক্রমে ভুল হয় (যদিও কখনো হয় না) তবুও তাদের ক্ষমা করা হয়না।
রাহাতদের মত তাদের তিশারা ভালোবাসতে পারেনা। প্রকৃতি আসলেই ভালোবাসাময় কিন্তু খামতিও যেন কই আছে!!