– স্যার বলেনতো ১৪৩ মানে কি?
– আচ্ছা রুপা তুমি এমন কেনো?
– কেমন স্যার?
– এই যে পড়া বাদ দিয়ে শুধু সব সময় উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করো।
– আচ্ছা স্যার আর করবো না। শুধু এই প্রশ্নটার উওর দিন?
– জানিনা।
– কেন?
– এমনি?
– এমনি কেন?
– উহ্ এমনি মানে এমনি।
– স্যার আপনি এমন কেন? কিছুই বোঝেননা।
– কিছু কিছু সময় বুঝেও না বোঝার ভান করতে হয়।
– কিন্তু কেন?
– এমনি।
– ধুর আপনাকে প্রশ্ন করলেই শুধু বলেন এমনি।
– আজকে আর তোমাকে পড়াবো না।
– কেন স্যার?
– এমনি ভালো লাগছে না।
– ওকে স্যার
এতক্ষন কথা হলো হিমেল এবং তার ছাত্রী রুপার মাঝে। রুপা হিমেলকে ভালবাসে। কিন্তু সরাসরি বলতে পারেনা। তাই বিভিন্নভাবে হিমেলকে তার মনের কথা বলে। কিন্তু হিমেল সেটা বুঝেও না বোঝার ভান
করে। কেনই বা হিমেল না বোঝার ভান করবেনা, এই টিউশনি করেই হিমেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে হয়। আর সে যদি এখন রুপার সাথে প্রেম করে আর সেটা যদি তার পরিবার জেনে যায়! এগুলো ভেবেই
হিমেল রুপার ভালবাসার কথা জেনেও না জানার ভান করে।
বিকেল বেলায় হিমেল সিরাজগঞ্জ ক্লোজার হার্ড পয়েন্টে বসে আছে। সে প্রতিদিনই বিকেলে এখানে
আসে। এটাই তারএকমাএ প্রিয় জায়গা। হঠাৎ রুপার ফোন।
– স্যার আজকে পড়াতে আসলেননা যে?
– একটু অসুস্থ তাই আসিনি।
অসুখের কথা শুনেই রুপার মনটাখারাপ হয়ে গেলো।
– আপনি এখন কোথায়?
– ক্লোজারে বসে আছি।
– আপনি এখনি বাসায় যাবেন। গিয়েই আগে ঔষধ খাবেন।
– একটু পরে খাবো।
– যেতে বলছি যান?
-আচ্ছা।আচ্ছা বলেই হিমেল বাসায় চলে যায়।
পরের দিন হিমেল রুপাকে পড়াতেযায়।
– স্যার এখন আপনার শরীর কেমন?
– আলহামদুলিল্লাহ্ এখন একটু ভাল। স্যার আপনাকে একটা কথা বলতে চাই?
– হ্যা বলো।
– আপনি আর অন্য কোনো মেয়েকে পড়াতে যাবেন না।
– কেনো!
– কারন….
– কী?
– কারন আমি আপনাকে ভালবাসি। তাই আপনি আর কাউকে পড়াবেননা। আপনি অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে আমার গা জ্বলে। ইচ্ছা করে ওদের খুন করে ফেলি।
– সবই বুঝলাম কিন্তু আমি যদি ওদের না পড়াই তাহলে আমি আমার পড়াশোনা চালাবো কীভাবে? ম্যাচ খরচ চালাব কীভাবে?
– যতো টাকা লাগে আমি দেবো। তবুও আপনি ওদের কে পড়াবেন না
-কিন্ত!
– কোনো কিন্ত নয়। হিমেল আর কিছু না ভেবে, ছোট্ট করে শুধু বললো আচ্ছা ঠিক আছে পরে যা হয় হবে
হিমেল যখনি বলেছে ঠিক আছে রুপা কোনো কিছু না ভেবে চেয়ার থেকে উঠে হিমেলের গালে একটা চুমো একে দিল।
হিমেল ও কম যায়না। সে ও কোনো কিছু না ভাবে রুপার গালে একটা চুমো একে দিলো। হিমেল রুপার দিকে চেয়ে দেখে রুপার মুখ লজ্জাতে লাল হয়ে গেছে । হিমেল আর কোনো কথা না সেখান থেকে মেসে চলে আসে। এদিকে রুপা একটু আগের দৃশ্য গুলোর কথা ভেবে মিটিমিটি হাসছে. ……
হিমেল আর রুপা নদীর তীরে হাতে হাত রেখে বসে আছে। আকাশে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে যাচ্ছে। আনন্দ মনে হিমেল গান গাইছে।এই পথ যদি না শেষ হয়………..