লোকানো প্রেম

লোকানো প্রেম

ফাহাদ এর সাথে নিলার প্রথম পরিচয় হয় বিয়ে বাড়িতে এসে। দুজন একে অন্যকে আগে কখনো দেখে নাই..!!

ফাহাদের বেস্ট ফ্রেন্ড তানবির, ফাহাদ আর তানবিরের মত এমন বন্ধুত হয়তো খুব একটা হয়না। দুইজনের জান হয়তো ছিলো এক জনের কাছে..!!

সেই দিন বিয়েটি ছিলো তানবিরের একমাত্র বড় বোনের, তানবিরের দুলাভাইয়ের ছোট বোন ছিলো নিলা..!!
নিলার কথায় আসি, যেমন তার রুপ তেমন সে মজার মানুষ, সব কিছুতেই ঠিক ছিলো..!!
কেন যেনো সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো..?

ফাহাদের সাথে প্রথম দেখায় সে বুঝতে পারলো ” ফাহাদ কিছু একটা তাকে বলতে চায়..?
তাদের কে পরিচয় করিয়ে দেয় তানবির।

কিভাবে হয়েছে এবার লাইনে আসি..।।
ফাহাদ :- দোস্ত ওই মেয়েটা কেডা রে..??
তানবির:-ওই টা তোর ভাবী হয়..
ফাহাদ:- দূর! ফাইজলামি করবি না.. ওই মেয়ের সাথে আমার পরিচয় করাই দিতে পারবি কী না বল…??
তানবির:- চল তবে।

নিলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তানবির কোথায় যেনো গেলো..?

ফাহাদ আর নিলা একে অপরের সাথে বেশ কিছুহ্মন কথা হলো।
একটু পরে ফাহাদ তানবিরকে খুঁজতে লাগল..!

অনেক খুঁজাখুঁজির পর তানবিরকে পেলো,,

ফাহাদঃ কোথায় ছিলে এতক্ষন…??
তানবিরঃ নিলার ব্যাপারে কি বুঝলি..? ওহ কী তোরে কিছু বলছে?(ও কোথায় ছিল এ ব্যাপারে কিছুই বললো না..!)

ফাহাদঃ অনেক বলচে আর ওর ব্যাপারে অনেক কিছুই বুঝছি, এখন আমার টা শোন..দোস্ত ওর সাথে আমার প্রেম করাই দিতে হবে..!

((ফাহাদ সে কী যে বাহানা শুরু করল, তানবিরকে রাজি করতে বাধ্য করলো। তানবির ফাহাদ কে বলতে চেয়েছিল যে নিলাকে ও প্রথম দেখাতেই প্রপোজ করে ফেলচে, আর নিলাও হ্যা…না কিছুই বলেনি। তবে নিলার সাথে তানবিরের ভালো ভাবেই দিন যাচ্ছে, ফোনে কথা বলা আর চ্যাট করে। নিলার সথে তানবিরের রিলেশন হয়নী আবার হয়েছেও। কারণ প্রথম প্রপোজেরর পর আর কখনো ভালবাসার কথা কেউ কাউকে বলেনী। ওরা অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলত আর চ্যাট করত))

তানবির এই দিনের অপেহ্মায় ছিলো যখন নিলার সাথে সম্পূর্ণ ভাবে রিলেশন হবে তখন ফাহাদকে বলবে আর ফাহাদ চমকে যাবে ভেবেছিল, তা আর হলো না।

তানবির নিলার মতামত চাইলো,,নিলাকে ফাহাদের সম্পর্কে সব বলে দিলো। তানবির নিলাকে হুম বলতে বাধ্য করলো।

ফাহাদ খুশিতে কী করবে ভাবতে পারছে না!!
শুরু হলো নিলা আর ফাহাদের ভালোবাসার নতুন কাহিনী।

ফাহাদের ভালোবাসাটা দিনে দিনে বেরেই চলছে..!!
আবার ওদিকে নিলা চাচ্ছে না কোন ভাবে এই রিলেশন টিকে থাকুক!!

নিলা ফাহাদ কে বিনা করণেই বলে দিলো আমি তোমাকে না তানবিরকে খুব ভালোবাসি!!

ফাহাদের’ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো ”
তানবিরকে ফোন দিলো
ফাহাদ:-দোস্ত তুই কই..?? দেখা করবো?
তানবির:ওকে, কোথায় আসব..???
ফাহাদ:গুরুদয়ালের লেকে আস..।
তানবির:ওকে..আসতেচি, ১০মিনিট লাগবে..

তানবির কলেজের লেকে এসে ফাহাদকে ফোন দিল কিন্তু ফাহাদের ফোন অফ, আর ফাহাদকে দেখাও যাচ্ছে না। তানবির লেকের একমাথা থেকে অন্য মাথায় খুঁজে যাচ্ছে, এবার দেখতে পেল ওয়াচ টাওয়ারের নিচে কালো পেন্ট আর কালো টি-সার্ট পড়ে একটা ছেলে দুহাত দিয়ে মাথা চেপে নিচ দিখে তাখিয়ে দৃঢ়তার সাথে বসে আছে। তানবির বুজতে পাড়ল এটা ফাহাদ হয়তো বিষণ জামেলা হয়ছে নয়তো ফাহাদকে এভাবে দেখার কথা না।

তানবির:ফাহাদ কি হয়ছে তর..??এভাবে বসে আছিস যে..???
তানবিরের ডাকে মাথা উপর করল। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।
এ অবস্তা দেখে তানবির ঘাবড়ে যায় আর বলতে লগল তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন…?? চল ডাক্তারের কাছে…??
ফাহাদঃ না, আমার হাতে সময় কম..তকে কিছু বলছি তুই শোন….তানবিরকে সব গুছিয়ে খুলে বলতে শুরু করলো..!

ফাহাদ:- নিলা তোকে ভালোবাসে, আমাকে না..আমার সাথে প্রতারনা করল… কি দরকার ছিল এতদিন অভিনয় করার…??আমাকে প্রথম দিন না বলে দিত…??আরে আমি তো ওকে মন থেকে ভালবেসে ছিলাম..।
আচ্ছা ও বলচে তকে ভালবাসে… আর আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ তো তুই আর ওই ছিল…. এখন তোদের দুজনের প্রতি আস্তে আস্তে ঘৃনা সৃষ্টি হবে আমার মনে… দুস্ত আমি তা চাই না… তাই চলে যাচ্ছি তোদের কাছ থেকে…

তানবির:- নিলা আমাকে ভালবাসে সেটা বলতে চেয়েছিল কিন্তু সেই সুযোগ আমি ওকে দেয়নি, যখন তুই বললি ওকে ভালবাসিস তখন আমার খারাপ লাগলেও তোর হাসি দেখতে চেয়েছি। কিন্তু নিলা এখন তোকে ভালবাসে, আমাকে না…? আমি নিলার ডাইরি পড়েছি আর বুজতে পারলাম নিলা তকে মন থেকে ভালবাসে…..

সাথে সাথে তানবিরের ফোনটা বেঁজে উঠলো, কল দিয়েছে তার বোন,, হ্যালো বলতেই বলে উঠলো নিলা হসপিটালে আছে,,একটা খারাপ খবর আছে ওর ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে.!! তুই মাকে নিয়ে চলে আয়।
তানবির নিলাকে এখনো অনেক ভালোবাসে..তবুও বন্ধুর জন্যে তার প্রিয় জিনিস টাকে দিতে হলো।
,
ফাহাদ কিছু টা শুনে বুঝে গেছে কি হয়েছে..।
আর ফাহাদের সাথে নিলা কেন এমন করল এটা পরিষ্কার।

ফাহাদের হাতেও সময় ছিলো কম..?
একটু পরে তানবির লহ্ম্য করলো..!
ফাহাদের নাক বেয়ে রক্ত পরছে,বলতে না বলতেই সে মাটিতে পরে গেল।
তানবির জানে নাই সে কিছু খেয়ে এসেছিল কিনা..!

তানবিরকে শুধু বলেই চলে গেলো,ভালো থাকিস ভাই….তখনই চলে গেছে না ফিরার দেশে।

নিলা ফাহাদকে মিথ্যে বলেছিল যাতে তানবিরের কথা শুনলে যেন, নিলার প্রতি ভালোবাসা কমে যায়। আর তাদের ব্রেকাপ যেন হয়। নিলা জানতো সে আর বাঁচবে না। তাই এমন টা করেছিল। যাতে ও কষ্ট না পেয়ে নিলার চলে যাওয়া টা মেনে নিতে পারে।

এদিকে তানবির পাগলের মত হয়ে গেছে তার বন্ধু চলে যাওয়াতে !!
নিলা ফাহাদের খবর জানতো ফাহাদ নিলাকে ভুলে বেশ ভালোই আছে।

৩ মাস পরে নিলার সময়। তাকেও যেতে হবে..!
যাবার আগে ফাহাদকে একবার দেখতে চা।
কিন্তু ফাহাদ তো আর দেখা করতে আসল না। নিলা বুকে কষ্ট আর অভিমান করে চলেই গেলো না ফেরার দেশে। আর জানলো না ফাহাদের চলে যাওয়া টা..!

………………………………………………….(সমাপ্ত)……………………………………………..

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত