জোর করেই তিশাকে বিয়ে করি।মেয়েটা দেখতে তেমন সুন্দরনা,কিন্তু কি জানি ভালো লাগতো।।।আমি যখন খালার বাসায় থাকতামতখন অামার জানালা
দিয়ে ওর রুমদেখা যেতো।কতো ইশারা করেছিমেয়েটা কোনো দিনও ফিরেতাকাইনি,হয়ত না তাকানোই আমারভালোবাসাটা বাড়িয়ে দিয়েছে,,সারাদিন রুমে
থাকতো।। কি জানি কেমনটাইপের মেয়ে,উদাসিনও বটে,,,আমারফ্যামিলি থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেই,ওর ফ্যামিলির সবাই রাজি ছিল,রাজি হবেই না কেনো
আমি সুন্দর ওভালো জব করতাম।কিন্ত আমারনায়িকা সে তো রাজি না।তার নাকিবিয়ের করার ইচ্ছে নেই, তখনভাবলাম হয়তো প্রেম করে। নাহ
সেরেজাল্ট ও শূন্য,,এবার ও কেনোবিয়ে করবে না তাই জানার চেষ্টাকরলাম। কিছুই পাইলাম না,চিন্তাকরলাম ওর সাথে দেখা করি,,, সেনাকি কারো সাথে
দেখা করতে পারবেনা, এগুলো তার পছন্দ না, কি আরকরার, এতো দিনে ওর ফ্যামিলিরসাথে ভালো সম্পর্কও গড়ে উঠেছে,ওদের বাসায় যাতায়াতও করি
কিন্তুওকে কখনো দেখিনি রুম থেকে বেরহতে, কি আজব মেয়ে।
ইতিমধ্যেআমি বাসা বদলি করি, জব এর জন্যবাসা বদলি,কিন্ত ওকে মাঝে মাঝেদেখে আসতাম রাস্তায় দাড়িঁয়ে,তিশার ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্কভালো
ছিল, ওর সাহায্য নিয়েইতিশাকে তুলে নিয়েআসি,সিনেমারমতো!!!!!
এখন বাসর ঘরে যাচ্ছি আর ভাবছিকাজটা টিক হলো কিনা এর আগেদুইটা প্রেম করে বিফল হইছি, তাই
এবার,,,,,,,,,
ভেবেছিলাম ঘরের ভিতরে গেলেকতো কি শুনবো।কিন্ত সে আশায়বালি, বউ তো দেখি চুপচাপ ড্রেস পরিবর্তন করে, সুন্দর মতো ঘুম।।।।।কি আর করার,
হাতে আন্টিটা পড়িয়েদিয়ে আমিও ঘুম!সকালে দেখি পাশে নাই, হঠাত আমারমনে হলো তিশা বোবা না তো?????তিশা বারান্দায় দাড়িঁয়ে ছিল, কফিরমগ
হাতে দিয়ে জিগাসা করলামকেমন আছো, ভালো না খারাপ কিছুইবললো না। আমার দিকে তাকিয়েথাকলো। কিছুসময় পর আমাকেজিগাসা করলো
এ বাসায় রুম কয়টা?
প্রশ্ন শুনে এবার আমি ওর দিকেতাকিয়ে আছি,আর ভাবছি বউ কিবাসা ভাড়া দিবে নাকি????দুটো বেড বলতেই
তিশা বললোআমি কোন রুমে থাকবো?
মেজাজটাএবার খুবি খারাপ হচ্ছে বউ তোস্বামীর রুমে থাকবে নাকি?
তিশা:- সরি, সেটা আমার পক্ষেসম্ভব না
আমি:- কেনো?
তিশা:- উত্তর না দিয়ে চলে গেল।
একটি বাসায় দুজন থাকি অথচ কারোসাথে কারো দেখা হয় না, এখন মনেহচ্ছে বিয়েটা করা টিক হয়নি, তিশাহয়ত অন্য কাউকে ভালােবাসে।আজ ওর
জন্মদিন ভেবেছিলাম আজওর সাথে দেখা হবে না। কিন্তু
সকালেই দেখি ওর রুম খোলা, তাইদেরি না করে টপ থেকে গোলাপ ফুলছিড়েঁ ওকে শুভেচ্ছা জানাতে ওর রুমযাই।আজ ওকে অন্য রকম লাগছে, খুবকাছে
যেতে ইচ্ছে করছে,
শুভজন্মদিন তিশা।
তিশা আমার দিকে তাকিয়ে একটাহাসি দিল। মনটা জুরিয়ে গেল,এতোমিষ্টি হাসি,
একটা কথা বলি,
জী বলেন।
আমরা কি
আজ ঘুরতে যেতে পারি?
ভেবেছিলামবলবে না, কিন্ত বললো হ্যা।
আজ ও শাড়ি পড়েছে ওকে অসাধারণদেখতে লাগছে, তিশাকে নিয়ে এইপ্রথম বের হলাম। তিশা আমার পাশেবসতে কেমন জানি সংকোচবোধকরছে। তা
দেখে আমার খুবি হাসিপেল। সারাদিন আমরা বাইরে ঘুরলাম।তিশা অনেকটা স্বাভাবিকভাবে কথাবললো।আস্তে আস্তে আমাদের মেলামেশাস্বাভাবিক হয়ে
গেল। একদিন ওকেজিগাসা করলাম তুমি কি কাউকেভালোবেসে ছিলে? তিশা কথাটা শুনারপর দৌড়ে গিয়ে রুমের দরজা লাগিয়ে
দিল।আমি তো অবাক। যা বোঝার বুঝেনিলাম।পরদিন সকালে ওকে সরি বলার জন্যওর রুমে যাই, ওকে দেখে বুঝলাম ওসারারাত ঘুমাইনি। ওকে দেখে
কিবলবো বুঝতে পারছিলাম না ,
ওনিজে থেকেই বললো :-ক্লাশ নাইনে থাকতে ওকে পড়াতেএক ছেলে শিক্ষক আসতো, প্রায়ইআমাদের বাসায় কেউ থাকতো না,স্যারের সাথে একটা প্রণয়
গড়েওঠে, কিন্ত স্যারের কাছে আমি শুধুভোগ বস্তু ছিলাম, এটা যখন বুঝতেপারলাম ততোদিনে যা হবার তাই হয়েগেছে। এরপর ছেলেদের শুধু ঘৃণা করতাম।
আপনাকে কথা গুলো বলতেচেয়েছি কিন্ত আমার মনে ভয় জন্মনেয় যদি আপনি আমায় ছেড়ে চলেযান।
তাহলে আজ বললে কেনো?
আমিএই কষ্টটা আর নিতে পারছিলাম না,জানেন আজ অনেক হালকা লাগছে।
তিশা আমার উত্তরের আশায় আছে,তাই দেরি না করে ওকে জড়িয়ে ধরেবললাম, ভালোবাসি তিশা, যা হোকতোমার জীবনে আমি তোমায় ভালোবাসি আর
বাসবো।তিশা আমায় জড়িয়ে ধরে হাউমাউকরে কান্না শুরু করলো। না করলামহালকা হোক।এরপর ও আর কোনদিন কাদঁবে না।
( ভালো থাকুক ভালোবাসা)