এই শীতের সকালে কে যেন রিহান এর গায়ে এক জগ পানি ঢেলে দিল।সে ঘুম থেকে উঠে গেল।
-আমার গায়ে পানি দিল কে রে?
-আমি দিয়েছি। এই বলে মেঘ রিহানের দিকে চোখ বড় করে তাকালো। রিহান বুঝতে পারলো আজ কিছু একটা হয়েছে।মহারানী রেগে আছে।আল্লাহ ই জানেন কি আছে কপালে।
-পানি দিলি কেন?
-আবার জিগায় পানি দিলি কেন?আমার ইচ্ছা হইছে দিছি।
-ইচ্ছা হলেই দিবি?
-আজ যে আমার বার্থ ডে মনে আছে তর?আমাকে উইস করিস নি কেন? রিহান এর মনে ছিল না আজ যে মেঘের বার্থ ডে।উইস ত করে নি।বাট কিছু একটা বলে ত কাটাতে হবে।তাই সে বললো
-আমি ত জানি ই আজ আপনার জন্মদিন।
-তাহলে উইস করিস নি কেন? জানিস না তুই সবার আগে উইস না করলে আমার খারাপ লাগে? বলতে বলতেই চোখে জল এসে গেল মেঘ এর। -হুম জানি ত।কিন্তু ভাবছিলাম এবার অন্য কিছু করবো।
-কি করবি?
-সবার শেষে উইস করবো। প্রতিবার ত সবার আগে করি।।তাই ভাবছিলাম এবার সবার পরে উইস করবো।
-হইছে হইছে এত মিথ্যা আর বলতে হবে না।রেডি হয়ে আসেন,বাইরে ঘুরতে যাব। রিহান আর মেঘ ছোট কালের বন্ধু। তারা একসাথে সেই স্কুল কলেজ থেকে পড়তেছে। তাদের মাঝে রয়েছে গভীর বন্ধুত্ব ও। তবে কেউ জানে না এর বেশি কিছু আছে নাকি। রিহান রেডি হয়ে এলে তারা বের হয়ে ঘুরতে। একটা পার্কে বসে আছে দুজনে।
-আমাকে গিফট দিলি না রিহান?
-হুম।দিব।কি চাস বল?
-তুই যা দেবার দে।
-না তুই যা চাইবি তাই দিব।বল কি চাস?
-সত্যিই যা চাইবো দিবি?
-হ্যা রে পাগলি।
-আমি তকে চাই,
-আমাকে দিয়ে কি করবি তুই?
-বেধে রাখবো মনের মাঝে
-না হবে না তাহলে,,,
-কেন দিবি না তকে?
-বেধে রাখলে দিব না
-তাহলে
-আমাকে তর কোলে মাথা রেখে থাকতে দিলে সারা জীবন তাহলে দিব।
-তাহলে নিব না আমি
-কেন নিবেন না?
-আমি আরো ভাবলাম আমি তর বুকে মাথা রাখবো তা না তুই তুই আমার কোলে মাথা থাকবি।তাহলে আমার কি হবে।
-তর কিছুই হবে না। এই কথা শুনে মেঘ কান্না শুরু করলো। রিহান তাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো।এখন ত হ্যাপি পাগলী।
-হ্যা সারা জীবন রাখবি ত?
-হুম।রাখবো। রিহান এর বুকে মাথা রেখে মেঘ ভাবতে লাগলো সে তার সেরা গিফট পেয়ে গেছে।আর কিচ্ছু চায় না সে।