– টিস্যু দেও, টিস্যু দেও।
– কেন?
– চোখের পানি মুছবো। নাহলে কাজল নষ্ট হয়ে যাবে।
– নষ্ট হলে কি হবে?
– কাজল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সুন্দর দেখাবেনা।
– সুন্দর না দেখালে কি হয়?
– তখন তুমি আর ভালবাসবে না আমাকে।
– ভাল না বাসলে কি হবে?
– ভাল না বাসলে আমার মরন হবে!
– মরন হলে কি হবে?
– তখন আর কেউ তোমার এত খেয়াল রাখবেনা। তোমার পছন্দের খাবার রান্না করে দিবেনা!
– খেয়াল না রাখলে কি হবে? রান্না না করে দিলে কি হবে?
– খেয়াল না রাখলে তুমি চলতে পারবেনা ঠিকভাবে! আর রান্না না করে দিলে খাবে কি? প্রতি সপ্তাহে আর কেউ তখন খিচুরি রান্না করে দিবেনা!
– চলতে না পারলে কি হবে? প্রতি সপ্তাহ খিচুরি না খেলে কি হবে?
– চলতে না পারলে তুমি মারা যাবে গর্ধভ! খিচুরি তোমার খুব পছন্দের আর তা যদি প্রতি সপ্তাহে না পাও তাহলে তোমার খারাপ লাগবে!
– মারা গেলে কি হবে? খারাপ লাগলে কি হবে?
– তুমি মারা গেলে আমাকে ভালবাসবে কে? আর খারাপ লাগলে তুমি বাসার জিনিষপত্র ভেঙ্গে ফেলো!
– ভাল না বাসলে কি হবে? জিনিষপত্র ভাঙ্গলে কি হবে?
– তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে ভালবাসার, আদর করার? জিনিষপত্র ভাঙ্গলে আমাদের সংসার ভেঙ্গে যাবে!
– আদর না করলে কি হবে? সংসার ভাঙ্গলে কি হবে?
– আমার মাথা হবে আমার মাথা! রাগ উঠছে কিন্তু!
– আরে আমি সত্যিই জানিনা। বলোনা সংসার ভাঙ্গলে কি হবে?
– ঐযে তখন আর আমাদের বাবু হবেনা!
– বাবু না হলে কি হবে?
– আপনি কোনদিন আব্বু ডাক শুনতে পারবেন না!
– না শুনলে কি হবে?
– দেখো আমার মেজাজ কিন্তু খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে আর রাগিও না!
– রাগলে কি হবে?
– আমি আপনাকে খুন করবো!
– খুন করলে কি হবে?
– আমি বেচে যাবো!
– তাহলে চলো সেটাই করো। কি দিয়ে আমাকে মারবে?
– ছুরি।
– গুলি দিয়ে নয় কেন?
– কারণ গুলি বাসায় নেই!
– দা দিয়ে নয় কেন?
– মাফও চাই দোআও চাই আপনার টিস্যু দিতে হবেনা!
– কেন দিতে হবেনা?
– কারন আমার চোখে এখন পানি নেই। পানি মুছতে হবেনা!
– সত্যি তো?
– হ্যাঁ হাজার সত্যি!
– দেখলে তুমি রেগে গেলে আর তোমার চোখ দিয়ে পানি পরছেনা।
– হ্যাঁ সেটা তো আপনার জন্যই। আর রাগিও না দয়া করে।
– হ্যাঁ আমার জন্যই তো। তোমার চোখ দিয়ে পানি ঝড়বে আর তোমার কাজল নষ্ট হয়ে যাবে। সেটা আমি বেচে থাকতে হতে দিতে পারি নাকি কখনো ?
– তাই না……………….?
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা