দেখ নিলা তুমি যেটা চাচ্ছো সেটা কখনই সম্ভব না।এটা কখনই হবার নই।আর আমি এটা চাই না।তুমি এমন করতে থাকলে কিন্তু আমি আর জব করবো না তোমার সাথে ঐই কম্পানি তে।মেয়েটা নিশ্চুপ ভাবে কথা গুলো শুনে যাচ্ছে। কোন কথা বলছে না।
-আমার পাশে যে মেয়েটা বসে আছে তার নাম নিলা। নিলা আর আমি একই কম্পানিতে জব করি। কম্পানিটা অবশ্য নিলাদেরই।কি অবাক হলেন নিজেরর বাবার কম্পানিতে নিজে জব কেন করে? অবশ্য এটা অবাক করার বিষয়।
–
আমি নিজেই অবাক হয়েছিলাম যখন শুনেছিলাম বাবার অফিসে মেয়ে কাজ করে। মেয়েটা খুব সাধারনের ভিতর অসাধারন।নিজে কিছু করতে চাই।যার জন্য নিজের বাবার কম্পানিতে জব করে।এটা অবশ্য ওর বাবা চান না তবুও মেয়ের জেদের কাছে হেরে যান।নিলা খুব জেদি মেয়ে যা বলবে তাই না করা পর্যন্ত যুদ্ধো চালিয়ে যাবে যত কষ্টই হোক হার মানবে না। খুব সাধারন ড্রেস পরে আসে অফিসে। কোন অহংকার নেই। সারা অফিস মাতিয়ে রাখে।সবাই নিলাকে খুব ভালোবাসে।নিলাও খুব সহজে সবাই কে আপন করে নেই।যেমন টি আমি হয়েছি তবে আমার আপন হওয়াটা ব্যাতিক্রম।
–
নিলা কিছু বলছো না যে।আমি জানি তুমি আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসো। কিন্তু একটা জিনিস ভুল করেছো আর সেই ভুলটা হল তুমি ভুল মানুষ কে ভালোবেসেছো।আর তোমাকে আগেও বলেছি আমার একটা অতিত আছে সেটাই ভুলতে পারছি না।আবার তোমাকে না না আমি পারবো না। নিলা চুপ করে শুনেই যাচ্ছে কিছু বলছে না।অবশ্য আজ আমি এখানে ডেকেছি তাকে কিছু কথা বলার জন্য।তাই আমি একাই বকবক করে যাচ্ছি।
–
নিলা এবার উঠে দাড়ালো।কিছু হয়তো বলবে। কিন্তু ওর কথাটা শুনে খানিক টা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। উঠেই বলল চলেন বাসাই যাবো।আমি অন্য কিছু আশা করেছিলাম নিলার কাছ থেকে কিন্তু না।তেমন কিছুই বললো না। কি অদ্ভুত টাইপের মেয়ে।পাশা পাশি হাটছি নিলার দিকে কেমন যেন তাকাতে লজ্জা লাগছে। তাই মাথাটা নিচু করেই হেঁটে চলেছি।
–
এই খালি যাবে? হুম যাবো কই জাবেন সার? কথাটা বললো রিক্সাওয়ালা।আমরা অনেকে এদের মর্যাদা দেই না। ১৫ টাকার ভাড়া অনেকে ১০ টাকা দিয়ে দুর দুর করে তাড়িয়ে দিয়ে থাকি। লোকটা অনেকটা বৃদ্ধ। আমরা একবার ভাবি না সেই মানুষটির জায়গায় যদি নিজের বাবা হত তাহলে কেমন লাগতো।কথাটা বললাম এই জন্য একটা ছেলে তার সাথে ভাড়া নিয়ে তর্ক করছে।তারাও তো এ কাজ করে সংসার চালাই।আসলে গরিব দের মুল্য কেই দিতে চাই না।
–
দুজনে পাশা পাশি বসে আছি।দুজনেই চুপ চাপ।কেউ কোন কথা বলছে না। বাসাই চলে আসলাম এসে একটা ঘুম দিলাম।ঘুম ভাংলো ৬:৩০ ।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হলাম।বাহিরে খুব বেশি যে অন্ধকার তা না তবে অনেক রাত হয়েছে এখন ৭ টা মানে অনেক রাত।ল্যামপোষ্টের বাতির আলোতে রাস্তা দেখে হাটছি আর ভাবছি আগের কথা গুলো।
–
তখন ইন্টার পেরিয়ে নতুন এক কলেজে ভর্তি হলাম।নবিন বরন অনুষ্ঠানে একটা মেয়ে কে দেখে খুব ভালো লেগে যায়। আমাদের ডিপার্টমেন্টে পড়ত।একদম চুপ চাপ সভাবের মেয়ে।ওতটা চন্চলতা ছিলো না।মেয়েটার ঠোটের নিছে ছোট্ট একটা তিল ছিলো যার কারোনে বার বার ওই তিলটার প্রেমে পড়ে যেতাম।
–
এভাবে চলছিল আমাদের মাঝে।কিছুদিন যাওয়ার পড় প্রপোজ করলাম রাজি হলো না।কিছু দিন যাওয়ার পড়ে তার ভাব সাব দেখে বুঝলাম মেয়েটা সম্মতি জানাচ্ছে।বেশ ভালোই চলছিলো আমাদের সম্পর্ক।ওর একটা সুন্দর নাম আছে নাম টা হলো নিশি।
–
হঠাৎ করে একদিন বলে উঠলো আচ্ছা আমি যদি কোন দিন হারিয়ে যাই তখনো কি তুমি মিস করবে? দুজন পাশা পাশি বসে ছিলাম। তখন তাকে জরিয়ে ধরে বলেছিলাম আমার বাবু টারে সব সময় মিস করি আর করবো কোন দিন হারিয়ে যেতে দিবোনা।
–
তখন নিশি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো।হঠাৎ করে একটা লিপ কিস করলো। আমি মুহুর্তেই হত ভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম আমি ভাবিনি এমনটা হয়ে যাবে।ধমকের সুরে বললাম কেউ যদি দেখে ফেলতো। তখন শুধু বললো দেখলে কার কি আসে যাই।আমি তখন তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম বলে কি।জানিনা সে দিন নিশি আমার দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে ছিলো যার কারনে কিস টা করেছিল।
–
মাঝে মাঝে এখনো ভাবি নিশি সেদিন আমার দিকে কি এমন দেখেছিলো যার কারনে কিস করেছিল।আমি এখনো কারোন টা খুজে পাই নি। আর হয়ত কোন দিন পাবোও না কারনটা জানার।
–
নিশি মাঝে মাঝে খুব ভয়ে ফেলাই দিতে। দিন নাই রাত নাই করে আমার বাসাই চলে আসতো। কেন আসছে জিঙ্গাসা করলে বলতো দেখতে ইচ্ছা করছিলো তাই। আবার আমাকে ওর বাসাই দিয়ে আসতে হতো। কত রাত কেটেছে ল্যামপোষ্টের নিচে গল্পে।কত রাত কেটেছিলো ল্যামপোষ্টের পাশ দিয়ে হাতে হাত রেখে হেঁটে হেঁটে।আমামাদের মাঝে খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিলো।দুজন দুজনকে খুব বিশ্বাস করতাম।
–
একদিন রাতে হুট করে আমার বাসাতে হাজির।আজ নিশির দিকে তাকিয়ে বুঝতে বাকি রইলো না ওর কিছু হয়েছে। আমি জিঙ্গেস করাতে বললো ওকে না জানিয়ে ওর বাবা মা বিয়ে ঠিক করেছে।একে বারে চলে এসেছে বাসা থেকে।এখন দুজন কে পালাতে হবে নিশির কথা।আমি কা পুরুষ না জে পালিয়ে যাবো। নিশি কে নিয়ে ওর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ওর বাসাটা বেশি দুড়ে ছিলো না।
–
নিশি খুব কাঁদছিলো।আর বলছিলো প্লিজ চলো পালিয়ে যাই। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। আমারো খুব কষ্ট হচ্ছিলো।তবুও ওর বাসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।ওদের বাসাই আসতেই ওর আম্মা বের হয়ে আসলো ততক্ষনে হয়ত বুঝতে পেরেছিলো তাদের মেয়ে ঘরে নেই। সেদিন রাতে কোন রকম বুঝিয়ে চলে আসি পরের দিন ওর বাবা মা আমাকে যেতে বলে ওদের বাসাই।
–
এখন আমার সামনে নিশির আম্মা এবং বাবা বসে আছে নিশি হয়ত তার রুমে আছে।বাবা বলে উঠলো। দেখ বাবা নিশি আমার এক মাত্ত মেয়ে।আমরা নিশির বিয়ে ঠিক করেছি। যদিও পড়ে জেনেছি তোমরা দুজন দুজনকে ভালোবাস।কিন্তু আমি তাদের কে কথা দিয়েছি আর ছেলের বাবা আমার ছোট বেলার বন্ধু। বলেই থেমে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম ওনারা কি বলবেন। আমি তোমার বাবার মত বাবা হিসেবে ছেলের কাছে আবদার করছি তুমি নিশিকে ভুলে যাও। কথা খুব করুন সুড়ে বলল।আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না । নিশির আম্মা হঠাৎ করে কান্না করে বলতে শুরু করলো তোমাদের মাঝে যা হয়েছে তুমি ভুলে যাও বাবা।মা হিসেবে তোমার কাছে আমার মেয়েটাকে ভিক্ষা চাইছি। ছি ছি কি করছেন আপনি আমার মায়ের মতন। আমার পাপ হবে এমন কথা বললে।আপনারা চিন্তা করবেন না আমি আপনাদের মেয়ের বিয়েতে বাধা হয়ে দাড়াবো না।কথা টা বলেই চলে আসলাম।
–
রাস্তাই হাটছে আর ভাবছি আমি এ করলাম।কেমন করে তাকে ভুলে থাকবো।ওপর দিকে একজন মায়ের কান্নার কাছে আমার এ ভালোবাসা মুল্যহিন পরক্ষনেই ভাবলাম।হা আমি ভুলে যাবো তাকে ভুলে যাবো। যদিও তখনো আমি বেকার।খুব কান্না পাচ্ছে এই ভেবে নিশি কে ভুলে যেতে হবে। ভুলে যেতে হবে তার সৃতি গুলো, ভুলে যেতে হবে তার পাগলামি গুলো।যদিও সেদিন পেরেছিলাম ভুলে যেতে। ভুলে যেতে না। ভুলে থাকার অভিনয় টুকৃ করতে খুব পেরেছিলাম।
–
বিয়ের ৫ দিন আগে নিশির সাথে দেখা করেছিলাম।সে নিজ থেকেই এসেছিল।সে এসে বলেছিল সে যদি বিয়েতে রাজি না হয় তার বাবার মুত্যু দেখবে। মেয়েরা বাবা মার কাছে খুব অসহায়। কোন সন্তান পারেনা তার বাবার মূত্যু দেখতে।সে রাজি হয়েছিল তার জন্য।
–
নিশি নিজের জিবন নষ্ট করে দিতে চেয়েছিল আত্বহত্তা করে।আমার ভালোবাসার কসম দিয়েছিলাম হয়ত সেই জন্যই হাসি মুখে বরন করে নিয়েছে অচেনা অজানা ছেলে কে।যদিও আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো তবুও তাকে হাসি মুখটা দেখাতে পেরেছিলাম।নিশি আমাকে জরিয়ে ধরে খুব কেঁদে ছিলো।শুধু বলেছিল এটাই হয়ত আমাদের শেষ দেখা আর হবে না ভালো থেকো।আর জদি নিজের ক্ষতি করো তাহলে ধরে নিবো তোমার ভালোবাসা মিথ্যে ছিলো।
–
পারিনি সেদিন নিজের কোন ক্ষতি করতে যদিও চেয়েছিলাম নিজেকে শেষ করে দিতে।নিশির জন্য শুধু ৩ দিন ৩ টা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে নিশির বিয়ের দিন গুলো পার করেছিলাম।নিজের ক্ষতি করতে পারিনি নিশির জন্য। তবে খুব কেঁদেছিলাম।আকাশ টা হযত আমার সংঙ্গে সঙ্গ দেওয়ার জন্য অনেক কেঁদেছিল। সেই সাথে আমিও কেঁদেছিলাম কেউ দেখেনি কেউ বোঝেনি সেই কাঁন্নাটা।
–
হঠাৎ করে মনে পড়ে গেলো নিশির কথা অজান্তেই ২ ফোটা চোখের জল গুলো গড়িয়ে পড়লো।পানিটা মুছে বাসাই চলে আসলাম।রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম খুব ঘুম পাচ্ছিল তাই।
–
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।অফিসে বসে আছি আজ নিলা আসেনি। সবাই কেমন যেন চুপ। বার বার তাকাচ্ছি পাশের ডেক্সে যেখানে নিলা বসে কাজ করতো। সেখানটা ফাকা হয়ে আছে।কাজ শেষ করে বাসাই চলে আসলাম।
–
আজ ৩ দিন ধরে নিলা অফিসে আসছে না সবাই এটার গুরুত্ব না দিলেও আমি সব সময় ভাবছি কিছু হলো না তো।আর আমি এত ভাবছি কেন? হা ভাবারই কথা কারন নিলার সাথে এক বছর যাবত এক সাথে পাশা পাশি কাজ করছি।
–
খুব মিস করছি ওর আর চোখে তাকানো। কোন কিছু বুঝেও না বুঝার ভান করে আমার কাছে বুঝে নিত। যদিও তখন অনেকটা বিরক্ত ভাব নিয়ে কাজ টা করে দিতাম।কিন্তু এখন খুব মিস করছি সেই গুলো।খুব ইচ্ছে করছিল বস কে জিঙ্গেস করি সে আসে না কেন? বস নাকি আজ ৩ দিন ধরে অফিসে আসেনা।
–
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখি বাবা কল দিয়েছে। যদিও বাবা এসময় কল দেই না রিসিভ করতেই বলল এখনি যেন বাসাই চলে আসি। বস তো অফিসে নাই কি করে জাবো ভাবছি। বাবার এই সময় কল দেওয়াতে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম এই ভেবে বাসাতে কিছু হলো নাতো। ম্যানেজার কে বলে বাসাই চলে আসলাম।বাসাই এসে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম বস আমাদের বাসাতে দেখি।বাবা মা আর বস বসে গল্প করছিলো।আমি ডুকেই বস কে সালাম দিলাম।বস আমাকে বসতে বলল।
–
বাবা বলে উঠলো আমি জানি তুমি কখনো আমাদের অবাধ্য হওনি আর তোমার কাছ থেকে আশা করবো আজো হবেনা।আমি ভাবছি কি বলতে চাইছে বাবা। অবশ্য বাবার কোন দিন অবাধ্য হয়নি। বাবা যা বলে তাই মেনে নেই বাবা এজন্য আমাকে খুব ভালো বাসে। আমিও বাবাকে অনেক ভালো বাসি।আমি মাথা নাড়িয়ে হা সূচক জবাব দিলাম।
–
তোমার মতা মত না নিয়ে তোমার বিয়ে ঠিক করেছি।তোমার বসের মেয়ে নিলার সাথে।আর ওনাকে কথা দিয়েছি।আগামি ৭ দিন পর বিয়ে।আমি কিছু বলতে জাবো ওমনি মা থামিয়ে দিয়ে বলল আমার ছেলেটা খুব ভালো আমাদের কথা সে কখনই ফেলে দিবে না।আমিও তো জানিই প্রত্যেক সন্তানই বাবা মার কাছে হাজার খারাপ হলেও ভালো। বস বলে উঠলো বিয়াই তাহলে আজ উঠি অনেক কাজ পড়ে আছে। বাবা বলল সেকি আজ প্রথম এলেন কিছুতো খেয়ে জাবেন। বস এক রাশ হাসি দিয়ে বললো বিয়াই খাবার অনেক সময় আছে আগে বিয়েটা হোক।
–
বাবা বলল বস কে এগিয়ে দিয়ে আসতে।আমিও বাধ্য ছেলের মত বসকে এগিয়ে দিতে যাচ্ছি।আজ বসের পাশা পাশি যেতে কেমন জানি নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে।অবশ্য বসের সাথে আগেও এমন করে চলেছি তখন এমন মনে হয়নি।আর বস টা খুব খুব বেশি ভালো।বস শুধু বলল যেতে যেতে আমার মেয়েটাকে এভাবে কাঁদানোে জন্য তোমার শাস্তিটা দিয়ে গেলাম পারলে একবার দেখে এসো ৪ দিন ধরে ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে আসতে হয়েছে।
–
রাতে খাবার পর নিলাকে কল দিলাম কিন্তু সুইচ অফ বুঝেছি রাগ করেছে।পরের দিন রওনা দিলার নিলার বাসার দিকে।চলে আসলাম নিলার বাসাই এর আগেও এসেছিলাম বসের সাথে তাই চেনা।কলিং বেল বাজাতেই নিলার মা দরজা খুলে দিলো।আমি ওনাকে সালাম দিলাম।ওনি বসতে বলল।আমি বললাম নিলা কোথাই।? ওনি নিলার রুমটা দেখিয়ে দিলেন আমি নিলার রুমে গিয়ে দেখি নিলা শুয়ে আছে
–
আমাকে দেখেই ঝাড়ি দেওয়া শুরু হয়ে গেল আপনি এখানে কেন বাড়িতে কে ডুকতে দিলো ইত্যাদি। ভেবেছিলাম ফোন বন্ধ করে রাখার জন্য আমিই ঝাড়ি দিবো কিন্তু না ওনিই আগে দিয়ে দিয়েছেন
আমি বললাম ফোন বন্ধ কেন? নিলা বলল এমনিতেই।আমি বললাম ওহ ফোন বন্ধ করে রাখার জন্য শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে বলেই এগিয়ে যাচ্ছি নিলার দিকে। নিলা বলছে কাছে আসবেন না।
–
তবুও এগিয়ে যাচ্ছি প্রায় কাছা কাছি তখনি বলে আম্মু কে ডাক দিবো কিন্তু। তবুও থামলাম না নিলাকে ধরলাম যেই আম্মু বলে ডাক দিল তখনি আমার ঠোট নিলার ঠোট একাকার হয়ে গেল নিলা বুঝতেই পারলো না কি হলো।নিলাকে ছেড়ে দিতেই নিলার আম্মু এসে হাজির।জিঙ্গেস করলো নিলা ডাকলো কেন আমি বলল আজ আসি আংটি। নিলার মা মানে শাশুরি আম্মা বলল এখনি চলে জাবে পড়ে যেও আমি বললাম না আমার কিছু কাজ আছে বলেই নিলার বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।আসার সময় বলে আসলাম ফোনটা অন করতে।রাস্তাই এসে নিলা যে রুমটাতে থাকতো জানালার দিকে তাকাতেই দেখি নিলা মুচকি মুচকি হাসছে।
–
হঠাৎ ফোনে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। ম্যাসেজ টা চেক করতেই দেখি নিলার ম্যাসেজ আই লাভ উই। আমি রিপ্লেই দিলাম লাভ উই টু। দেখি নিলা মুচকি হাসছে আমিও একটু মুচকি হাসলাম।আর ভাবলাম ভালবাসার নিল আকাশটাই নিলার ঘুরির সুটোটা শেষ পর্যন্ত আমিই হলাম,,