হ্যালো
– হ্যাঁ বলো।
– কোথায় তুমি??
– বাসার সামনে টংয়ের দোকানে বারাক ওবামা এসেছে তার সাথে চা খাচ্ছি।
– এভাবে বলছো কেনো??
– তো কীভাবে বোলবো?? বলো কী জন্য ফোন করছো??
– অাজ থ্রাটিফাস্ট নাইট না??
– হুমম তো?
– সবাই ঘুরছে, অানন্দ করছে।
– তোমার জ্বলছে??
– অামার ইচ্ছা করছে তোমার সাথে যেতে।
– অামি পারবো না। কাজের চাপ এখন রাখছি।
– শুনো শুনো।
– কি?
– প্লিজজ।
– রাখ তো।
এতক্ষন শুধু শুধুই অামার গিন্নির সাথে ঝগড়া করলাম। অামার বৌ ঈশা, অামি রাহুল, বিয়ে করছি প্রেম করে, পরিবার রাজি ছিলো। কিন্তু প্রেমর সময় ও যতটা অামার উপর অত্যাচার করছে উফফ ভাবতেও পারি না। যখন ইচ্ছা হয় দেখা করো। কোনো রকম পার্টি দেয়ার মত কিছু হলে তো কথাই নেই অামাকে ঝাড়া ছাড়া। বিয়ে করেছি দুই বছর এর মাঝে ঈশার মাঝে বেশ পরিবর্তন দেখছি। কেমন জানি অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে। অাগে না বললে সেটা অারো দুই বার করতো। এখন না বললে সেটার অার কথাও বলে না।
অামি মজা করতে গিয়ে তার মনে কষ্ট সৃষ্টি হয় নাতো?? অাসলে তার জ্বলানিএখন খুব মিস করি। অামি একটু রাগাতে চাই কিন্তু এখন অার রাগে না। হেসে উড়িয়ে দেয়। অাগে কিছু বললে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতো। ঈশার কথা মনে পড়ে গেলো কল দিয়ে দেখি কি করে। অাবার অামার কথায় মন খারাপ করলো নাতো??
– ঈশু
– হুম
– কি কর??
– কিছু না।
– একটা কাজ করবে??
– কি?
– একটা হলুদ শাড়ি পড়ো
– কেনো?
– কেন জানতে হবে না। পড়ো বলছি পড়ো।
– কেনো বলো।
– রিক্সাওয়ালার সাথে হানিমুনে পাঠাবো।
– রাগো কেনো??
– তুমি এত প্রশ্ন কর কেন??
– অাচ্ছা অাচ্ছা।
মেয়েটা এত্ত নরম হয়ে গেলো কেনো সেটাই বুঝতে পারছি না। যে মেয়ের জ্বলায় অামি দূরে থাকতাম সে
এত… অামার এখনো মনে পড়ে কলেজের শেষ দিন অামার যা অবস্থা করেছিলো। প্রথম ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেয়, সেই থেকে কানে ফোন লাগিয়েই রাখছি। কথা বলেই যাচ্ছে বলেই যাচ্ছে.. গোসল করার জন্য জোর করে ফোন টা রাখলাম। গোসল সেরে এসে দেখি এবার ভিড়িও কল। কোন শালায় যে ভিড়িও কলের চালু করেছিলো তার ঘুষ্টি উদ্ধার করছি। একটার পর একটা শার্ট পাল্টাচ্ছে। এটা না ওটা কল কাটতেও পারছিনা কলেজে গেলে অামার অবস্থা খারাপ করে দিবে তাই। শেষ পর্যন্ত লেট করে কলের
বিদায় অনুষ্ঠান এ অাসি। এসব ভাবতে ভাবতে বসার সামনে চলে এসেছি। কলিংবেল বাজাতেই অামার মহারানী দরজা খুলে দিলো। ঘরের দরজার সাথে অামার মনের দরজায় অাঘাত লাগলো। অাহহ হলুদ পরীরর মত লাগছে।
– ওই কি দেখো??
– পরী।
– কোথায়??
– অামার সামনেই।
– লজ্জা লাগছে
– একটু লাগতে দাও না
– যাহহ…
– চলো অাজ ইচ্ছে মনো ঘুরবো।
– সত্যি??
– হুমম
ঈশার দিকে তাকিয়ে অাছি। কি সুন্দর লাগছে তাকে। নতুন বছরের সাথে নতুন করে প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।
কিন্তু তার নিরবতা অামার একটুও ভালো লাগছে না।
– ঈশা
– হুমম
– এরকম হয়ে অাছো কেন?? তুমি অাগের মত নেই
– কেন অামি তো ঠিকই অাছি।
– না নেই। তুমি অাগের ঈশা নেই। যে অনেক হাসতো। যে অামাকে জ্বলাতো। যে বেশি দুষ্টামি করতো।
– এখন অার সে বয়স অাছে??
– ভালোবাসো তো??
– অনেককক।
– তো অাগের মত হয়ে যাও।
– তাই??
– হ্যাঁ মেরি ঈশু।
শুরু নতুন বছরের সাথে নতুন তুমি। তুমিতেই তুমিময় হোক অামার জীবন। ভালোবাসি ঈশা। ঈশা হাসছে দুজন দুজন কে জড়িয়ে দরে অাছি। শুরুহলো অাগের মত মজার পথ চলা।
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা