বৃষ্টি দিয়েই দিনটা শুরু হলো ভাবছিলাম আজ কলেজে যাবো। কিন্তু বৃষ্টি থামার নামই নিচ্ছে না তাই এক কাপ কফি বানিয়ে বেলকনীতে এসে দাড়ালাম। এসেই দেখি পাশের বাসার বজ্জাত মেয়ে ফারিয়া ওদের বেলকনীতে এসে দাড়িয়েছে। আসলে আমার রুমের বেলকনীতে দাড়ালেই ওই বজ্জাত ফারিয়ার রুমটা দেখা যায়। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার সাথে শত্রুতা করার জন্য এই রুমটা বেছে নিয়েছে ফারিয়া। বজ্জাত কেন বলছি তাই ভাবছেন তো, একদিন রাত ৩ টার দিকে ঘুম আসছিলো না তাই ভাবছিলাম একটা সিগারেট টেনে আসি।
যদিও বাসায় এসব খাই না তবুও এতো চিন্তা না করে ধরালাম। ভাবলাম এতো রাতে কে দেখবে তাই আপন মনে সুখটান দিচ্ছিলাম। এর মাঝে কিছু একটা শব্দ পেলাম ভাবলাম কোন বিড়াল হবে তাই চলে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। কিন্তু রাতটা ভাল গেলেও সকালটা ভাল দিয়ে শুরু হলো না। কে যেন কান ধরে টানছে আর কি যেন বলছে চোখ খুলতেই দেখি আব্বু কান ধরে টেনে বকা শুরু করছে।
আব্বু:হারামজাদা বাসাটা দোকান পাইছো দিনে দুপুরে সিগারেট খাও, কয় টাকা কামাই করো?
আমি:আমি ওগুলো খাই না কে বলছে তোমাকে?
আব্বু:বেয়াদব দোষ করে আবার মুখের উপর কথা বলিস [ঠাস করে থাপ্পর] দিয়ে চলে গেলো আমি ভাবছি আজ যে ঝড় বয়ে গেলো বিপদ সংকেত না দিয়ে এটা হলো কিভাবে। এতো কিছু না ভেবে কলেজে চলে গেলাম যেয়ে দিখি ফারিয়া আমাকে দেখে সে কি হাসি শুরু করছে। কাহিনীটা কিছুই বুঝতেছি না এমনি সাত সকালে টনেডো বয়ে গেছে সংকেত ছাড়া, তার উপর এ আবার দাত কেলিয়ে হাঁসছে। মনটা চাচ্ছে ঘুসি দিয়ে দাঁতটা ফেলে দেই। না এই হাঁসি আর সহ্য হচ্ছে না তাই রাগী ভাব নিয়ে ফারিয়ার দিকে গেলাম যেতেই।
ফারিয়া:কেমন দিলাম চান্দু?
ইমরান:কি দিলি শুনি।
ফারিয়া:সকালের ধোলাইটা এতো তাড়াতাড়ি ভূলে গেলি[ বলেই দৌড় দিলো]
ইমরান:ওই খাবিশ, দাড়া আজ তোর এক দিন নয় আমার সাত দিন। হাতের কাছে পাইলে ড্রেনের পচা পানিতে চুবাবো তোরে বজ্জাত ফারি। ছোট থেকেই আমাকে জ্বালানো অভ্যাস বজ্জাতটার। কলেজে যদি কোন মেয়ের সাথেও কথা বলি রকেট স্পিডে বাসায় জেনে যায় । সেদিন রিমির সাথে দেখা, হাইস্কুল লাইফের ভাল বন্ধু ছিলাম আমরা। অনেক দিন পর দেখা তাই বললো চল কোন রেস্টুরেন্টে বসি। আমিও রাজি হয়ে গেলাম বসে কিছুক্ষন গল্প করে বাসায় ফিরলাম। এসেই বুঝতে পারলাম বাসার অবস্থা গরম আম্মু মুখের উপর বলেই দিলো আজ খাওয়া বন্ধো।
ইমরান: কি হইছে সেটা বলবা তো।
আম্মু:তুই নাকি মেয়েদের ডিস্টাব করিস, বংশের সন্মান আর রাখলি না।[ঠাস করে থাপ্পর দিয়ে] এতোটা নিচে নেমে গেছিস তুই ভাবতেই কষ্ট হয়। কিছু না বলে রুমে চলে আসলাম নিজেকে ভীন গ্রহের প্রানী মনে হচ্ছে এখন। নয়তো জমজ কেউ অকাম করছে আর ধোলাই ফ্রিতে আমার কপালেই জুটছে। অনেক চিন্তা করলাম কে লাগাইতে পারে এই বিষয়, অনেক ভেবে সন্দেহটা বজ্জাতটার উপরই যাচ্ছে। কিন্তু আর না ফারিহাকে এবার শাস্তি দিতেই হবে। কিন্তু দিবোটা কিভাবে, সব ভেবে আবিরকে ফোন দিলাম। বুদ্ধি স্পেশালিষ্ট বলেই ডাকি সবাই কলেজে ওকে। ইমরান:হ্যালো দোস্ত কোথায় তুই?
আবির:এতো মধুর ভাবে ডাকছিস কাহিনী কি?
ইমরান:তুই আমার জিগরি দোস্ত না এমন করিস ক্যারে। দোস্ত একটা বিপদে পড়ছি।
আবির:আগেই বুঝছিলাম কাকের গলায় কোকিলের ডাক কেন।
ইমরান:ওই হারামী রাখ তোর ফাজলামি এদিকে সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে উনি আছেন প্রবাদ নিয়ে। একটা মেয়েকে শায়েস্তা করা লাগবে বুদ্ধি বল। আবির:কি রকম শায়েস্তা করতে চাস?
ইমরান:ফাজিল মাইয়াটা আমার পিছে আর না লাগে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
আবির:কাল কলেজে আয় দেখা যাবে। কোন রকমে রাতটা কেটে গেলো, সকালে নাস্তা না করেই কলেজে ছুটলাম। তাড়াতাড়ি কলেজের সিড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে কার সাথে যেন ধাক্কা খেলাম উঠে দাড়াতেই দেখি ফারিহা।
ফারিহা:চোখটা কি আকাশে থাকে নাকি যে দেখে চলতে পারিস না।
ইমরান:তাহলে তোরটা কোথাই থাকে, চাঁন্দে। ফারিহা:তবেরে ঘুসি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেবো বেয়াদব ছেলে কোথাকার, একে তো ভূল করছিস আবার গলা বাজাচ্ছিস।
ইমরান: ওহ আমি তো হাত ব্যাংকে জমা রেখে আসছি তোকে ছেড়ে দেয়ার জন্য।
ফারিহা:হাত ব্যাংকে রাখ আর পকেটে, হাত ভেঙ্গে গলায় ঝুলে দিবে।
ইমরান:আমি তো বসে, বসে তোর রুপ দেখবো যতো সব ফাজিল মাইয়া।
ফারিহা:ওই তুই ফাজিল কারে বললি, তুই নিজেই ফাজিলের হাড্ডি।
ইমরান:তুই কি তাহলে গন্ডারের হাড্ডি। এর মাঝেই স্যার চলে আসলো তাই চলে আসলাম ওখান থেকে। একটু বেশী বেড়েছে ফারিহা কিছু তো একটা করতেই হবে। কিন্তু আবিরটা গেলো কোথায়, সব জায়গায় খুজে ক্যান্টিনে ধরা পেলাম আবিরকে।
ইমরান:সারা দিন খাওয়া ছাড়া কিছু বুঝিস না, এমন চলতে থাকলে তো ছোট খাটো একটা হাতি হয়ে যাবি। আবির:এসেই আমার খাওয়া নিয়ে রাগিস ক্যারে, কি হইছে। ইমরান:আরে ওই বজ্জাতটার সাথে ধাক্কা খেইছি, নিজে চোখে দেখেনা এমন ভাব যেন কোন রাজ্যের মহারানী, ওই বজ্জাতটার একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। আবির:কে সেই বজ্জাত বলবি তো?
ইমরান:আরে ফারিহা। আবির: কি বললি আর মেয়ে পেলি না ওই গুন্ডির পিছনে লাগতে যাচ্ছিস। তোরে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই পাচার করে দিবে জানতে পারলে ওই গুন্ডি।
ইমরান:তাইলে কি তোরে টাইম পাস এর জন্য ডাকছি নাকি শালা, বুদ্ধিদে একটা।
আবির:তাইলে একটা কাজ কর ফারিহার সাথে প্রেম কর।
ইমরান:ওই শালা দেশে কি মেয়ে কম পরছে যে ওর মতো প্রেত্নির সাথে প্রেম করবো।
আবির:আরে দোস্ত বোঝার চেষ্টা কর, প্রেমে করলে তোর সাথে ঝামেলাও করতে আসবে না আগের মতো, আর কিছুদিন পর না হয় ব্রেকাপ করে নিলি।
ইমরান:কাজ যদি না হয় তাইলে তোরেই লাথি দিয়ে পানিতে চুবাবো মনে থাকে যেন। ভাবছি ওই দজ্জাল মেয়ের সাথে প্রেম করলে জীবনটা তামা, তামা হয়ে যাবে। কিন্তু বাসায় আর বিচার যাবে না এদিকে সুবিধা আছে। কিন্তু একে পটাবো কিভাবে, সারা রাত রোমান্টিক মুভি দেখলাম, গুগোলে সার্চ দিলাম কোথাও কোন বুদ্ধি পেলাম না। সকালে কলেজ যাওয়ার সময় ফারিহার পিছু নিলাম কিন্তু সেটা আর বেশী দূর যাওয়া হলো না। তার আগেই ধরা খেয়ে গেলাম।
ফারিহা:ওই হুনুমান আমার পিছ নিছিস কেন।
ইমরান: আচ্ছা তোর আম্মু কি জন্মের সময় মুখে মধু দিইনি যখনি মুখ খুলিস রেগে যাস কেন।
ফারিহা: তোর মতো বান্দরের সাথে ভাল কথা বলতে চাইলেও আসতে চায় না, তাই কি জন্য পিছু নিছিস বলে চলে যা।
ইমরান: ফারিহা রাগ করবি না কিন্তু এই কার্ডটা তোর জন্য।[দিয়েই দ্রুত দৌড় দিলাম] কার্ডে ভালবাসার কিছু কথা লিখছিলাম আবিরের কথা মতো। জানি না কপালে কি আছে, আর বাসায় বলে দিলে তো উঠতেই দিবে না বাসায়, গাছ তলায় থাকতে হবে। কয়েক দিন আর ভূলেও ফারিহার সামনে গেলাম না, কেন জানি দেখাও হয় নি। শুনলাম কয়েক দিনের জন্য ওদের গ্রামের বাড়ি গেছে ওদিকে দিয়ে বেচে গেছি। কলেজে বসে আবির আর একটা মেয়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম কে যেন পিছন থেকে হাতটা টানতে, টানতে বটতলার ওই দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরে এতো ফারিহা, কপালে যে বাংলালিংক দামে ধোলাই লেখা আছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে।
ফারিহা: প্রেম করতে চাইবা এক জনের সাথে লুচ্চামী করবা আরেক জনের সাথে তা তো হবে না চান্দু।
ইমরান:কি বলছিস এসব, ওটা তো আবিরের কাজিন মেঘলা।
ফারিহা: ধরা পড়লে অনেকেই বোন হয়ে যায় এটা বুঝাইতে হবে না।
ইমরান:এমন ভাব করছিস যেন তুই প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস, তুই তো আমাকে দেখতেই পাস না।
ফারিহা:ভাল চোখে দেখার কোন কাজটা করছিস, বান্দারামী ছাড়া আর কিছু শিখেছিস জীবনে।
ইমরান:তুই না হয় শিখিয়ে দিবি। কি পারবি না?
ফারিহা:এখন সব দায়িত্ব আমার হয়ে গেলো বুঝি আমি তোকে ভাল, টালো বাসি না রাস্তা মাপতে পারিস।
ইমরান:ভাল না বাসলে রেগে গেলি কেন ওই মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখে। ফারিহা:সেটা তোকে বলতে যাবো কেন, আর কখনো কথা বলতে দেখলে বাসায় বলে দিবো মনে রাখিস।
ইমরান:আমিও বলে দিবো তোকে ভালবাসি।
ফারিহা:মেরে ভূত বানিয়ে দিবো। এভাবেই চলছিলো টম এন্ড জেরীর মতো খুনশুটি যুদ্ধ আর ভালবাসা। একটা সময় এসে বুঝতে পারলাম অভিনয় করতে গিয়ে কখন যে গুন্ডিটার প্রেমে পড়ে গেছি সেটা নিজেও জানিনা। কিন্তু মাঝে, মাঝে ভয় হতো ভালবাসা গুলো হারিয়ে যাবে না তো। বার, বার চেষ্টা করতাম ফারিহাকে সত্যিটা বলার কিন্তু ওকে হারানোর ভয়টা প্রতিবারের মতো আমাকে আটকে দিতো। কেন জানি ভয়ে থাকতাম এই বুঝি ফারিহাকে হারিয়ে ফেলি ।
কিন্তু ভয়টা এভাবে সামনে এসে দাড়াবে জানা ছিলো না। একদিন হটাৎ করেই আবিরের কাজিন মেঘলা আমাকে প্রোপজ করে বসে, কারন মেঘলা জানতে পরেছিলো ফারিহার সাথে ভালবাসাটা অভিনয় ছিলো। সেদিন মেঘলাকে না করে দেই । কিন্তু মেঘলা না করাটাই যে এভাবে বিপদের কারন হয়ে দাড়াবে জানা ছিলো না। মেঘলা সব কিছু ফারিহাকে যেয়ে বলে দেয়।
ফারিহাও আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলে কিছুক্ষনের মধ্যে। ফারিহা রিক্সা থেকে নেমে রাস্তার এপারে আসতে ধরে হটাৎ একটা প্রাইভেট কার এর সাথে ধাক্কা লেগে ছিটকে পরে যায়। পাগলের মতো ছুটে যাই ফারিহার দিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমার শার্ট ফারিহাকে এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সবটাই স্বপ্নের মতো লাগছে এটা সত্যি হতে পারেনা এটাই মনে হচ্ছে বার, বার। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফারিয়ার আর আমার বাসার সবাই চলে আসে। ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাস করলে বললো ৪৮ ঘন্টার আগে কিছুই বলা যাবে না মাথাই আঘাত লাগার কারনে এখনি কিছুই বলা যাচ্ছে না। অনেক টেস্ট করার পর যা জানালো তা শোনার জন্য আমি পস্তুত ছিলাম না।
ফারিহা নাকি স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে এটা ১ সপ্তাহেও ভালো হতে পারে, নয়তো ১ মাস, নয়তো বছর আবার নাও ফিরে পেতে পারে। কেন জানি আজকে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধী লাগছে। আমার জন্য এমনটা হলো, কি প্রয়োজন ছিলো ফারিহার জীবনটা এভাবে নষ্ট করার। ফারিহাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলো কয়েক দিন পর। কিন্তু সেই রাগী ফারিহা আর আজকের ফারিহার মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান।
যেন সেই রাগী মুখটাতে কালো মেঘ জমাট বেধেছে। কিছুদিনের মাঝেই অনার্স কম্পিলিট করে বাবার ব্যবসায় যোগ দিলাম। এদিকে ফারিহার বাসায় বিয়ের পস্তাব পাঠালাম। প্রথমে আব্বু, আম্মু মানা করলেও সবটা খুলে বলার পর বাধা দিলেন না। পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়ে গেলো। এখন আগের মতো রাগী ভাবটা কিছু, কিছু খুজে পাই ফারিহার মাঝে। বড্ড জেদী হয়ে উঠছে দিন, দিন।
ফারিহার সব আবদার পূরন করার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে আম্মু অবাক হয়ে যায় তার আগোছালো ছেলেটা বউয়ের কতোটা যত্ন রাখে দেখে। কিন্তু ফারিহার চোখে চোখ রাখলে আজও অপরাধী মনে হয়। ফারিহার স্মৃতি এতো চেষ্টাতেও ফেরেনি, অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে তাও ফলাফল শূন্য। আজ সকালে জেদ ধরছে আমার হাতে খাবে নয়তো খাবে না।
ইমরান: এই নিন মহারানী মুখটা খুলুন।
ফারিহা: না খাবো না।
ইমরান: এই যে বললা খাবে, কি হলো আবার।
ফারিহা: আমার ইচ্ছা তাই।
ইমরান: তা হবে না, ঔষুধ খেতে হবে মুখ খোলো।
ফারিহা: আচ্ছা।
ইমরান: আউচ, ওই কামোড় দিলা কেন।
ফারিহা: কেন ব্যাথা লাগে?
ইমরান: ব্যাথা দিলে লাগবে না।
ফারিহা: আমারও লেগে ছিলো যেদিন তোমার অভিনয়ের কথা জেনে ছিলাম।
ইমরান: তাহলে তুমি সুস্থ হয়ে গেছো, বলোনি কেন আমাকে।
ফারিহা: এইতো ১০ দিন আগেই ভাল হইছি, শুধু তুমি জানতে না বাসার সবাই জানতো।
ইমরান: এমনটা করার কারন।
ফারিহা: বাহরে, দেখে নিবো না কতোটা ভালবাসতে পারো।
ইমরান: কি বুঝলে।
ফারিহা: অনেকটা ভালবাসতে শিখে গেছো, তবে আমার চেয়ে একটু কম।
ইমরান: তবেরে, দাড়াও দেখাচ্ছি তোমার ভালবাসা। বলেই দৌড়াতে থাকলাম ফারিহার পিছনে।