তুমি আমারই

তুমি আমারই

অভিমান!!
অভিমান তো তার সাথেই করা যায় যাকে ছাড়া এক মূহুর্তও অন্যকিছু কল্পনা করা যায় না। যাকে প্রতিটা মূহুর্তে মিস করা হয়, তার সাথেই তো অভিমান করা হয়।
.
আজ অনন্যা’র সাথে দেখা করতে হবে। টানা ১৫ দিন হয়ে গেলো, কোন দেখা নেই কথাও হয়নি। আজ ও ফোন দিয়ে অনেক বকেছে কেঁদে কেঁদে। ফোন দিয়েই বকাবকি শুরু….

–এত অভিমান কিসের তোমার? এত রাগ কেন তোমার? একটা বারও ফোন দেওনি, একটা বারও আমার সাথে কথা বলার কোন প্রয়োজনবোধ মনে করো নি। তোমার ইচ্ছে না থাকতে পারে, আমার বার বার তোমার কথা মনে পড়েছে। এত অভিমান কেন তোমার? তুমি জানো, এই কদিন আমার কত কষ্ট হয়েছে? তুমি কি করে বুঝবে, তুমি তো ভালোই আছো। আর এদিকে একটা মেয়ে কেঁদে কেঁদে মরে যাচ্ছে, একটা বারও খোঁজ নিলে না। কেমন ভালোবাস আমাকে? তুমি পারলেও আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। থ্রী-কোয়াটার কেন হাফ-প্যান্ট পড়ে ঘুরে বেড়াবে। কোন সমস্যা নেই। এই মূহুর্তে তুমি আমার সাথে দেখা করবে। তোমাকে দেখব, তোমার যা ইচ্ছে তাই পড়ে আসবে। প্লিজ না করো না!!

আমি একটা কথাও বলিনি, শুধু মনযোগ দিয়ে ওর কথাগুলো শুনলাম। অনেকদিন ধরে ওর কন্ঠ শুনতে পাইনি, হঠাৎ খুব ইচ্ছে ছিল তাই শুনেই গেলাম। ওর কান্না বিজড়িত কন্ঠ শুনে আমি কি আর অভিমান করে থাকতে পারি? এমন করে বলে না ও! শেষে বললাম, -আমি আসছি। জাস্ট এতটুকুই….
আমিও অনেকদিন ধরে ওর মলিন মুখখানা দেখিনা। ইসসসসসস সেইদিন ওর গালে স্পর্শ করতেই শিউরে ওঠেছিলাম। তারপর থেকে আর ওর স্পর্শ পাইনি, মনটা একেবারে বেকুল হয়ে আছে ওর জন্য। ও নিজে থেকেই যেহেতু বলছে, ভালোবাসি তো ওকে তাই না? অভিমান তো থাকবেই, তাই বলে ভালোবাসবো না??
.
এমনিতে প্রায়ই একটা টি-শার্ট আর থ্রী কোয়াটার পড়ে ওর সাথে দেখা করি। কিন্তু আজ একটু অন্যকিছু করতে হবে, পাগলীটাকে রাগানো যাবে না। তাই ওর গিফট দেওয়া নীল পাঞ্জাবীটা পড়লাম। নীল রং আমার একদম অপছন্দ, অনিচ্ছাসত্ত্বেও পড়লাম ওকে খুশি করানোর জন্য। দু’মাস হলো এই পাঞ্জাবী দিয়েছিল আমাকে, কিন্তু একবারের জন্য এটা পড়ে ওর সামনে যাইনি কত বকেছে এর জন্য। আমি নাকি বাচ্চা, এসব থ্রী-কোয়াটার পড়ে ঘুরে বেড়াই। এ নিয়ে প্রায়ই ওর সাথে ঝগড়া হতো, অভিমানের মূল কারন এটাই।
.
যথাসময়েই আমি বেরিয়ে পড়লাম, আমার পছন্দের জায়গা সেই নদীর ধারেই দেখা হবে। আমাদের প্রথম দেখাটা ওখানেই হয়েছিল।
.
ও ঠিক ওখানেই দাড়িয়ে আছে….
আমার সবথেকে পছন্দের জায়গায়, নদীর ধারে…..
আমার আসতে দেরি হচ্ছে, ভীষণ রেগে যাচ্ছো ও! সবসময় এমন করলে তো ও রেগে যাবেই স্বাভাবিক। কিন্তু আজ তো আমি ইচ্ছে করে দেরি করছি না, কৃষ্ণচূড়া ফুল আনতে এসেছি। কি বিশাল বড় গাছ, বাপরে বাপ! ওখানে কি ওঠতে পারবো আমি?
.
অনেক কষ্টে একটা ছেলেকে ম্যানেজ করেছি ওর পছন্দের ফুলগুলো নিয়ে আসার জন্য।
লম্বা বড় অনেকগুলো দেখে একটা ছড়ি নিয়েছি হাতে, ওটা ওকে দিব বলে। আমি জানি ও যতই আমার উপর রাগ করুক না কেন ওই ফুল পেলে ওর আর কিচ্ছু মনে থাকবে না।
একা একা দাড়িয়ে থাকতে ওর খুব বিরক্ত লাগছে! এই তো আমি চলে এসেছি দেখো…….
হাতে লাল টকটকে কৃষ্ণচূড়া ফুল, মুখে অনিন্দ্য হাসি।

দূর থেকেই ওকে দেখা যাচ্ছে হলুদ রঙের শাড়ি পড়েছে! ওটা তো আমার ভালো লাগার রঙ। এ রঙ তোমার সাথেই মানায়, হলুদ শাড়ি পড়লে তোমার উপর বারবার ক্রাশ খাই। ও কি পড়ে আসবে কিচ্ছু বলিনি ওকে, ও শুধু আমায় বলেছিল যা ইচ্ছে তাই পড়ে আসতে। তবুও ও পড়ে এসেছে আমার প্রিয় রঙের শাড়ি আর আমি পড়ে এসেছি ওর সবথেকে প্রিয় রঙের পাঞ্জাবী। কি অদ্ভুদ মিল!
ধীরে ধীরে ওর কাছে যাচ্ছি…..

প্রচন্ড রাগ-অভিমান থাকা স্বত্বেও আমার হাতে ওই কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখে খানিকটা খুশির ছোঁয়া পেয়েছে। ওর মুখে এখন আনন্দের ছাপ। অভিমানটা যেন কোথায় চলে গেলো, আমি জানি তো কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখলে ও সব ভূলে যায়।
.
আমি ঠিক ওর কাছে চলে এসেছি….
স্রেফ হাটু গেরে বসে পড়লাম, আর কতবার ওর সামনে এভাবে বসতে হবে জানিনা?? তবুও ওর মুখে একটু হাসি দেখি!
মুচকি হাসিতে ফুলগুলো হাতে নিল। ঢং করে বললো, -আমার মাথায় গেঁথে দিবে না?
–ও হ্যাঁ, মনেই তো ছিল না। ওগুলো তোমার মাথায় শোভা পায়……
অল্প কয়েকটা ফুল নিয়ে ওর মাথার খোঁপায় গেঁথে দিলাম, ও ঠিক লজ্জায় মুখ ঘুরালো। – ইসসসস্ এত লজ্জা কোথা থেকে আসে তোমার?
ধরবে না ধরবে না বলে আমার হাতটা ধরেই ফেললে। লজ্জায় মুখ এমন লাল হয়েছে আমার চোখের দিকে পর্যন্ত তাকাচ্ছে না। মুখখানা লুকোবার জায়গা পাচ্ছে না বলে, আমার বুকেই মাথাটা গুঁজে দিলে…….
কই না তো, আমাদের তো কোন অভিমান ছিলনা!
আমার হার্টবিটটা চরমে বেড়ে গেলো, ঘন ঘন নিঃশ্বাস। তোমায় ভালোবাসি আর কতবার বলতে হবে শুনি??
ইসসসসসসস আজও ওর ঠোঁটের স্পর্শ পেতে ইচ্ছে করছে, ভীষণ ইচ্ছে। চুপটি করে বসে পড়লাম নদীর ধারে, ভালোবাসায় ভরে গেলো মন।
.
তারপর একদিন……..
–হ্যালো, শুনোও…..(অনন্যা)
—হুমমম, বলো!! (বিপ্লব)
–বিকেলে আমার সাথে দেখা করবে, জরুরী কথা আছে।
—কি হয়েছে বলো! এমন ভাঙা ভাঙা কন্ঠ কেন তোমার??
–এখন কিছু বলতে পারবো না, তুমি ঠিক ৪ টায় ওখানে থাকবে।
—হ্যালো শুনোওও…হ্যালো…দ্যাত….
“এই শুনোও, জরুরী কথা আছে বিকেলে দেখা করতে হবে।” মগের মুল্লুক পেয়েছে, যখন তখন ফোন করে বলবে দেখা করতে হবে। কি পেয়েছে ও? দ্যাত, ভাল্লাগে…
যতই গুন গুন করছি না কেন, হাটতে হাটতে ওর কাছেই চলে আসলাম….
—কি হয়েছে বলো? এমনভাবে ডাকার কি প্রয়োজন? আমার একটা ইমপোর্ট্যান্ট কাজ ছিল, চলে আসতে হলো তোমার জন্য। (বিপ্লব)
–আমার কথাটাও অনেক ইমপোর্ট্যান্ট।(অনন্যা)
—আচ্ছা ঠিক আছে বলো! ঢং করতে হবে না।
–আমার কথাগুলো তোমার কাছে ঢং মনে হয়?
—আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বলো!
–বাবা আমার বিয়ের জন্য পাত্র দেখেছে, শুনেছি নাকি ওই ছেলের সাথে কথাবার্তাও দেওয়া। এখন তোমার কি করার তুমি করো!
—ভালো কথা, সবার বাবা-মা ই তো তার মেয়ের জন্য পাত্র দেখে তাই না? মেয়ের জন্য তো আর পাত্রী দেখবে না।

ঠাস ঠাস করে আমার বুকে দুইটা চড় মারলো, ক্রোধে একটা জোরে ধাক্কাও দিলো। আমি ভীষণ স্তম্ভিত হলাম। ও রাগে একেবারে সাপের মত ফোস ফোস করছে, চোখগুলো বড় বড় হয়ে গেলো। বাপরে বাপ, সেদিনের লজ্জাবতী আজ ভয়ংকর রূপ ধারন করেছে। একি সত্যিই অনন্যা?
–আমি সিরিয়াস একটা কথা বলছি আর তুমি আমার সাথে মজা করছো??
না, আর হাসা যাবেনা, মজাও করা যাবেনা। পাগলীটা সিরিয়াস কিছু বলছে। আমি ওর কথার সাথে তাল মিলালাম….
—হ্যাঁ, তাই তো। তোমার জন্য পাত্র দেখছে, এখন কি করা যায় বলতো?
–তোমার চাকরি কি খবর?
—চাকরি, চাকরি কি মুখের কথা, চাইলেই পাওয়া যায়? এতে সময় লাগে, ধৈর্য ধরতে হয়।
–তোমার সময় আর ধৈর্য ধরতে ধরতে কোন একদিন দেখবে আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করছি। তখন না থাকবে তুমি না থাকবে তোমার চাকরি! আর সারাটা জীবন আমি কষ্টের আগুনে জ্বলেপুড়ে মরবো। বিয়ে করতে পারবে না তাহলে প্রেম করেছো কেন??
—বিয়ে করবো না কেন? আমি তো তোমাকে বিয়ে করতে রাজিই, শুধু চাকরিটা হয়ে গেলেই…..
–হ্যাঁ, এটাই হবে কবে??
—জানিনা।
–ধুরররররর, ভাল্লাগে না….আমি যাই!
—এই, শুনোও শুনোও….
কাঁদতে কাঁদতে চলেই গেলো, বিষয়টা কি অতি সিরিয়াস। না মাথায় কিছু ঢুকছেনা। আমি ঠিক ওখানেই বসে আছি, আর ভাবছি ও ঠিক কেঁদেই দিল।
.
ঠিক ৫ বছর পর…..
রাত ১:৩০ মিনিট; ছাদে দাড়িয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার আকাশটা উপভোগ করছি, খানিকটা স্মৃতির ভিড়ে। আজ আকাশে একটা তারাও নেই, চাঁদটাও যেন কোথায় লুকিয়ে গেল। মেঘ জমেছে, মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি হবে। কি অদ্ভুদ দুনিয়া! এখন সবাই ঘুমাচ্ছে, আর এসময় আমি অন্ধকার পরিবেশটা উপভোগ করছি। কি অসাধারন..!!
খানিকটা ভয়ে স্তম্ভিত হলাম, পিছনে কে যেন দাড়িয়ে আছে। পিছনে ফিরতেই আঁতকে উঠলাম….
—তুতুতুমি?? (বিপ্লব)
–হুমমমম, আমি! (আরোহী)

আশ্চর্য তো!! এখন তো ওর ঘুমানোর কথা, ছাদে আসলো কেন? কিছুক্ষণ আগেই তো ওকে ঘুমাতে দেখলাম, আর ঘুমিয়েছে বলেই তো একা একা ছাদে আসলাম। ভূত-পেত্নী নয় তো? আমি ভালো করে ওর সবকিছু খেয়াল করলাম, কই নাতো সবকিছু ঠিক আছে।
—তুমি ঘুমাও নি?
–তোমাকে কাছে না পেয়ে ঘুমটা ভেঙে গেলো।
—কখন এসেছো এখানে?
— অনেকক্ষণ যাবত তোমাকে দেখছিলাম, কি যেন ভাবছো??
—কিছুনা, ভাল লাগছিল না তাই আসলাম….
–মোটেও না, প্রায়ই লক্ষ্য করি আমি ঘুমিয়ে পড়লেই তুমি একা একা ছাদে চলে আসো। কতদিন এভাবে তোমাকে না দেখে ভয় পেয়েছি জানো?
এই রে, ধরা খেয়ে গেলাম মনে হয়!
—আরে না, ওসব কিছু না। ভালো লাগে না তাই একটু রিফ্রেশ হতে আসি।
–একদম মিথ্যে কথা বলবে না।
—মিথ্যে বলবো কেন তোমাকে? সত্যিই তো…..
–বিপ্লব, তুমি আমার দিকে তাকাও! সত্যি করে বলতো কি হয়েছে তোমার? বিয়ের পর থেকেই দেখছি তোমার একই অবস্থা। ভেবেছিলাম কিছুদিন পরেই ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু হয়নি। সত্যি করে বলো কি হয়েছে তোমার?
আমি চুপ হয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম। ও আমার মাথাটা ঘুরিয়ে ওর দিকে তাক করালো…..
–প্লিজ আমাকে বলো, আমি তো তোমার স্ত্রী!
—হুমমমম, আমি তোমাকে বলতে চাই। অনেককিছু বলার আছে, তোমাকে বলবো আমি, বলতে হবে।
.
—আচ্ছা আরোহী এখন আমি চাকরি করি তাই না?
–হুমম করো।
—তোমার কোন প্রবলেম হচ্ছে? মানে কোন কিছুর অভাব হচ্ছে??
–হুহু….তেমন কিছুর অভাব তো হচ্ছে না। কেন বলতো!
—আমি এখন চাকরি করি, ঘরে তোমার মত সুন্দরী একটা বউ আছে। তাহলে আমার দুঃখটা কোথায় তাই তো!!
–আচ্ছা, কি হয়েছে তোমার?
—একসময় ছিলো, আমার চাকরি ছিল না। আমি নিজের ভরন-পোষণটা ঠিকমত দেখতে পারতাম না আবার অন্যজনের, কল্পনার বাইরে ছিলো। কিন্তু একজনকে নিয়ে স্বপ্ন ছিলো, অনেক স্বপ্ন। সুখের রাজ্যে থাকবো আমরা দুজন। কিন্তু সেটা তো স্বপ্ন ছিলো। বাস্তবতার কাছে আমাদের সেই স্বপ্ন কলুষিত হয়েছে। হার মেনেছি আমরা, পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে অনন্যা চলে গিয়েছিলো অন্যজনের বিলাসিতার ঘরে। হয়ত পুরোটাই তার অনিচ্ছা ছিল, বাস্তবতার কাছে মাথা পেতে নিলো সে। তবুও আমার কাছে থাকতে চেয়েছিল ওই পাগলীটা। বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়েটা করে ফেলল। কিন্তু আমি জানি ও প্রতিনিয়তই আমাকে স্মরণ করে।

কথাগুলো বলতে বলতে কখন যে চোখের পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো বুঝতে পারলাম না। আরোহী আঁচল দিয়ে মুছে দিয়েছে বলেই কান্না করছি মনে পড়ে গেলো।
–বিয়ের আগে তোমার রিলেশন ছিলো??
—হুমমমমম। বড্ড ভালোবাসতাম ওকে, এখনো অনেকবেশি ভালোবাসি। আমি যখনি তোমার খুব কাছাকাছি যাই ঠিক তখনি ওর কথা মনে পড়ে যায়। তাই নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে একা একা ছাদে চলে আসি। আরোহী তুমি আমাকে অনেক ভালোবাস তাই না?
–আমি আর বলতে চাই না। অনেক বেশি, তুমি অনেক ভালো।
—হুমমমম জানি। অনেকসময় তোমার ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে পারিনা, ক্ষমা করে দিও!! ঠিক যেমন আজ যা হয়েছে। আমার উচিত ছিলো এখন তোমার পাশে থাকা, কিন্তু আমি পাষানের মত একা একা চলে আসলাম ছাদে। নিজেকে যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দিতে। কিন্তু তাতে কি হয় জানো, যন্ত্রণা আরো বেড়ে যায়।

আরোহী আমার হাতটা শক্ত করে ধরে ধরলো…
–সবসময় আমি তোমার পাশে আছি, হয়তবা কষ্ট লাগতো। কিন্তু এখন তো জেনেছি তোমার কষ্টটা, না হয় ভাগাভাগিই করে নিব।
হু, ও অনেক হাসিমুখেই সব মেনে নিলো। বাঙালি মেয়ে তো। ওর কথাগুলো শুনে জড়িয়ে না ধরে পারলাম না।
—আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিই, না??
–ওসবে আমার কষ্ট লাগেনা। কষ্ট লাগে যখন তুমি আমার সাথে কিছু শেয়ার করো না। তুমি কি এখনো আমাকে আপন ভাবতে পারো না!!
—ছিঃ এমন কথা আর বলবে না। তোমাকে আপন ভাববো না তো কাকে আপন ভাববো??
–চলো এখন ঘুমাবে, আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে।
—তোমার ঘুম পেয়েছে, আগে বলবা না!
দু’হাত দিয়া কোনমতে চোখের পানিটা মুছে…

আমি এক ঝটকাতেই ওকে কোলে তোলে নিলাম, ও অবাক হয়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে, চোখে লজ্জারও ছাপ। আস্তে আস্তে ওকে রুমে নিয়ে আসলাম, একেবারে বিছানায় এনে তারপর ছাড়লাম। ওমা ভীষণ কষ্ট হয়েছে, তোমার ওজন কত হে??
—এখন কি তুমি ঘুমাবে? (বিপ্লব)
–কি করবো? (আরোহী)
—কিছুনা……..!!
আমি তো তোমারই, তাই না?? ও মুখটা বাকিয়ে হেসে দিল।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত