ভাগ্যবতী

ভাগ্যবতী

দরজায় ধাক্কা দিয়ে রকি রিয়ার রুমে ঢুকে পড়ল। রিয়া তড়িঘড়ি করে কাপড় ঠিক করল।
> আপনাকে কতবার বলেছি রুমে আসার আগে অনুমতি নিবেন।
~ নিজ বাসায় অনুমতি কিসের?
> কেন এসেছেন?
~ একটু আলাপ আলোচনা করতে।
.
বাধ্য হয়ে কিছুক্ষণ কথা বলল। রকি হল রিয়ার চাচাতো ভাই। ছোটবেলায় এক সাথে ছিল। এসএসসি পাশের পর পড়ালেখায় মনোযোগ না দেয়ায় বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিছুদিন হল এসেছে। এসেই রিয়ার উপর কুনজর দিয়েছে। রিয়ার বাবা মা মারা যাওয়ার পর থেকে চাচা চাচিই মানুষ করেছে। তাই সে কিছু বলতেও পারতেছে না।
.
দিনদিন রকির সাহস বেড়েই চলছে। যখন তখন গায়ে হাত দিয়ে দুষ্টামির নাম দেয়। রিয়া প্রচুর মানসিক অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে। রিয়া তার সকল দুঃখ – কষ্ট আনন্দ তুহিন ও ফারজানার সাথে শেয়ার করে। রকির ব্যাপারটাও তাদেরকে বলল। তারা বলল চাচা চাচিকে বলে দিতে। অতঃপর রিয়া সিদ্ধান্ত নিল চাচা চাচিকে বলবে।
.
সেদিন সন্ধ্যায় রকি রিয়ার উপর আকস্মিকভাবে ঝাপিয়ে পড়ল। নিজেকে বাচাতে রিয়া রকিকে আঘাত করল। ঘটনাটির জন্য চাচি রিয়াকে দোষারোপ করল। বলল, “সব রিয়ার দোষ। রূপ দেখিয়ে রকির মাথা নষ্ট করেছে।” তবে চাচা বুঝিয়ে শুনিয়ে সব সামলে নিল। চাচা স্বান্তনা দিয়ে বলল, “তুই রকিকে বিয়ে করে ফেল। ভেবে দেখ। রাজি না হলেও কোনো আপত্তি নেই। তুইও তো আমার মেয়ের মত।”
.
রাতে ঘুমানোর সময় রিয়া বিষয়টা নিতে ভাবতে লাগল। চাচা তাকে ছোট থেকে মানুষ করেছে। বিনিময়ে রকিকে বিয়ে করা তো সামান্য হবে। বুকে কষ্ট চাপা দিয়ে রকির মত একটা কুলাঙ্গারকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল রিয়া। পানির পিপাসা পেল। বোতলে পানি নেই। তাই চুপিচুপি সামনের রুমে গেল। যদি রকি টের পায় তাহলে আবার কোনো কেলেংকারী হতে পারে। হঠাৎ রিয়া তার চাচা চাচির কথা শুনতে পেল। যার সারমর্ম এটাই যে রিয়ার বাবার বেশ সম্পত্তি আছে। সেই সম্পত্তির লোভেই রিয়াকে রকির সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। শুধু এটাই নয় বিয়ের পর দুর্ঘটনার নাম দিয়ে রিয়াকে সরিয়ে দিবে।
.
রিয়া কোনো মত নিজেকে সামলে নিল। সারারাত ঘুন হয়নি। ভাবতেও পারেনি চাচা চাচির চেহারার পিছনে এমন একটা ভয়ানক চেহারা আছে। সকালে চাচা বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করায় পরে জানাবে বলে ভার্সিটির নাম দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। ব্যাপারটা সে তুহিন ও ফারজানাকে জানাল। তারা এক পরিচিত পুলিশের সাথে দেখা করে চাচা, চাচি ও রকির বিরুদ্ধে জিডি করল।
.
রিয়া ঘরে যেতে চাচ্ছে না। কারণ সে বাচতে চায়। জিডি দিয়ে কি হবে যদি সে মরে যায়? আর ওই বাসায় যাওয়া মানে সাপের গর্তে যাওয়া।
— দেখ কোনোমত এই বছরটা ম্যানেজ কর। ফাইনাল পরীক্ষাটা ভাল হলে একটা চাকরি করতে পারবি। তীরে এসে তরী ডুবাইস না। (তুহিন)
> আমি ওই বাড়ি গেলে তারা কোনো না কোনো ভাবে আমার সিগনেচার নিয়ে নিবে। আর রকিকে তো আমার এক বিন্দু বিশ্বাস হয় না। যদি কোনো রাতে ঝাপিয়ে পড়ে তখন?
= ঠিক বলেছিস। এমন ছেলেদের কোনো ভরসা নেই। এক কাজ কর তুই আমার সাথে হোস্টেলে চল।
তুহিন ফারজানাকে বলল
— হোস্টেল ভাড়া কি তুই দিবি? দেখ রিয়া বর্তমান যুগে টাকা ছাড়া চলা খুব কঠিন। আমি নিজেই বাবার টাকায় চলি। নয়তো কিছুটা হেল্প করার চেষ্টা করতাম।
.
রিয়ার কাছে সবকিছু ঘোলাটে লাগছে। চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসতেছে। হঠাৎ তুহিন বলে উঠল
— তবে একটা উপায় আছে।
> কি?
— আমার এক পরিচিত বড় ভাই আছে। সে তোকে হেল্প করতে পারবে। ওর পরিবার বলতে কেউ নেই।
> সে একজন অপরিচিতকে কেন হেল্প করবে?
— ছেলেই এমন। একবার এক বন্ধুর জন্য নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল।
ফারজানা বলে উঠল
= শুভ ভাইয়ের কথা বলছিস?
— হ্যা।
= আরে হ্যা। সত্যিই ছেলেটা জোস। আমার বয়ফ্রেন্ড না থাকলে একবার পটানোর ট্রাই করতাম।
— চুপ। ফটকাবাজ। (ফারজানাকে)
> কিন্তু আমি কোন মুখে তার থেকে সাহায্য খুজব? তিনি তো আমার কিছুই হন না।
— তুই জব পেলে ধীরে ধীরে শোধ করে দিস।
.
কোনো পথ না পেয়ে তুহিনের সাথে শুভর কাছে গেল। তুহিন শুভকে সব খুলে বলল
– দেখ তুহিন আমার বর্তমান জবটা তেমন ভাল না। উনার হোস্টেলের খরচটা আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তবে পড়ালেখার খরচটা দিতে পারব।
তুহিন কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বলল
— ভাই এত বড় ঘরে একা থাকতে ভয় লাগে না?
– তুই তো জানিসই আমার বহুদিনের সখ বড় ঘরে থাকব।
— ভাই, রিয়া যদি হোস্টেলে না থেকে এখানে থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে?
কথাটা শুনে রিয়া ও ফারজানা অবাক হল। কি বলে এসব? একটা ছেলের সাথে এক ঘরে থাকবে মানে? লোকে কি বলবে?
.
– তুই কি বলছিস তুই জানিস?
— ভাই আমার বুদ্ধিটা শুনেন। রিয়া পড়তে চায়। ও নিজের পায়ে দাড়াতে চায়। আর এই মুহূর্তে আপনি ছাড়া আমার কাছে অন্য কোনো পথ নেই। নিঃস্বার্থ ভাবে আপনিই মানুষের হেল্প করেন।
– কথা না বলে তোর আইডিয়াটা বল। আগে শুনি।
— এক ঘরে থাকলে সমাজ নানান কথা বলবে। তাই সমাজের মুখ বন্ধ করার জন্য আপনারা বিয়ে করবে।
.
সবাই তুহিনের দিকে অবাক হয়ে তাকালো।
— আরে ভাই যাস্ট লোকের মুখ বন্ধ করার জন্য।
.
শুভ কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে বলল
– আমার আপত্তি নেই। যদি উনার কোনো অসুবিধা না থাকে।
.
রিয়া কি আর বলবে! আপন চাচ চাচিই শত্রু। শেষ পথ বন্ধুরাই। তাই বাধ্য হয়ে রিয়া রাজি হল। অতঃপর বিয়ে হল। প্রথমে রিয়া একটু ভয়ে থাকলেও আস্তে আস্তে ভয়টা কেটে গেল। অন্যদিকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে রিয়ার চাচা চাচিকে দমিয়ে দিল।
.
শুভ রিয়ার পড়ালেখা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সবকিছুরই খরচ চালাতে লাগল। রিয়ার ভাবতেই অবাক লাগে বর্তমানে এমন কেউ করে নাকি? তাও আবার একটা অপরিচিত মানুষের জন্য?
.
এক সকালে শুভ কাপড় ধুচ্ছে।
> কি করছেন আপনি?
– কাপড় ধুচ্ছি।
> বের হন বলছি।
– কেন? (বের হয়ে)
> আজ থেকে এসব আমি করব। আপনি যান।
.
জোর করে শুভকে বের করে দিল। কাপড় ধুয়ে রিয়া পাকঘরে এসে দেখল শুভ রান্না করছে।
> উফফফ! আপনাকে নিয়ে আর পারলাম না। মেয়েদের কাজ করার এত ইচ্ছে কেন?
– আপনি যেয়ে পড়ুন।
> সারাদিনই কি পড়ব নাকি? আর শুনুন আমাকে আপনি করে বলবেন না। তুমি করে বলতে পারেন। আমি আপনার ছোট।
– আপনিও যদি বলেন তাহলে বলতে পারব। একপাক্ষিক কোনো কিছু ভাল লাগে না।
> আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি যাও। রান্না আমি করব।
.
অতঃপর পাকঘর থেকেও বের করে দিল শুভকে। দিনদিন দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল।
.
সামনে রিয়ার সেমিস্টার ফাইনাল। রিয়ার ফরম ফিলাপের জন্য বেশ কিছু টাকা লাগবে কিন্তু শুভকে বলতে পারতেছে। ছেলেটা কত কিছুই তো করে। আর কত জ্বালাবে?
রাতে ঘরে এসে শুভ রিয়াকে ডাকল।
> হুম বল।
– এই নাও। (টাকা)
> ইয়ে মানে…… আপনি কিভাবে জানলেন?
– তুহিন বলেছে। দেখ কিছু লাগলে সংকোচ করবা না।
রিয়া মাথা নাড়াল।
.
এভাবে চলতে লাগল। কিছু মহিলা আছে যাদের কাজ হল অন্যের সংসারে অশান্তি লাগালো। ঠিক তেমনই এপার্টমেন্টের এক মহিলা একদিন রিয়াকে বলল শুভ ইদানিং একটা মেয়ের সাথে অফিসে আসা যাওয়া করে। কেন যেন কথাটা শুনে রিয়ার মনে ঈর্ষা জাগল। পরেরদিন রিয়া শরীর খারাপের নাম দিয়ে ভার্সিটি না যেয়ে শুয়ে রইল। শুভ যখন অফিসের জন্য বের হল রিয়া জানালা দিয়ে দেখল একটা মেয়ের সাথে শুভ যাচ্ছে।
.
এর পরেরদিন শুভ যখন গোসল করতে ঢুকলো। রিয়া শুভর সব অফিস ড্রেস নষ্ট করে নিচে চলে গেল। যখন মেয়েটা আসল রিয়া ধরল। নানান প্রশ্ন করতে লাগল। যখন মেয়েটা জিজ্ঞেস করল আপনি এত প্রশ্ন করতেছেন কেন? তখন রিয়া একবাক্যে বলে দিল,
> আমি শুভর ওয়াইফ। আপনাকে যেন আর এখানে না দেখি।
মেয়েটা চলে গেল।
.
রাতে শুভ অফিস থেকে এসে
– তুমি সাইমাকে অপমান করেছ কেন?
> কে সাইমা?
– সকালে গেটের সামনে যাকে কথা শুনিয়েছ।
.
রিয়া কিছু না বলে উঠে গেল। চোখের মধ্যে রাগের ভাব। শুভ আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি। পরেরদিন রিয়া দেখল মেয়েটা আর আসেনি। রিয়া হাসিমুখে ভার্সিটি চলে গেল।
> দোস্ত আমি প্রেমে পড়েছি।
= শুভ ভাইয়ের?
> হুম। কিন্তু এখন কি করব বুঝতেছি না।
= বলে দেখ।
> তুহিনকে বলিস না। ও আবার বলে দিতে পারে।
.
আজ রিয়া অনেক সেজেছে। যেভাবেই হোক আজ রিয়া শুভকে মনের কথা বলবেই। শুভ চলে এলো। এসেই বলল
– গুড নিউজ। আমার প্রমোশন হয়েছে। এখন তুমি চাইলে হোস্টেলে যেতে পার।
কথাটা শুনে রিয়ার মনটা দুমড়ে মুচড়ে গেল। তার জন্য শুভর মনে কোনো ফিলিংস নেই? হোস্টেলে পাঠিয়ে দিতে চাচ্ছে? এতদিনে কি একটুও মায়া জন্মায়নি?
.
– কি হল কিছু বলছ না কেন?
রিয়া কিছু না বলে ঝড়ের গতিতে অন্য রুমে চলে গেল। চোখমুখে আগুনের ভাব ছিল। রিয়া শুভর ডিনার দিয়ে চলে গেল। খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
.
সকালে, শুভ ব্রেকফাস্ট করছে। রিয়া পাকঘরে তান্ডব চালাচ্ছে। এতদিন রিয়া পাকঘরে কাজ করলে আলাপ পাওয়া যেত না। কিন্তু আজ পুরো ঘর টং টং করছে।
– কোন ব্যাপারে রাগ করেছ বলা যাবে?
> কিসের রাগ? (কর্কশ গলায়)
– বাপরে এত রাগ কেন?
> আমি তো রাগ করিনি।
– তা তো তোমার কাজ দেখেই বুঝতে পারতেছি।
.
রিয়া কাজ বন্ধ শুভকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে সোফায় বসল। শুভ মনে মনে বলল বাব্বাহ এ তো রেগেমেগে আগুন।
– বাহ তোমাকে তো দারুণ সুন্দর লাগতেছে। ভার্সিটিতে কোনো অনুষ্ঠান আছে?
> তুমি কি গন্ডার?
– নাতো। কেন?
> আমি গতকাল রাতে সেজেছিলাম। আর তুমি লক্ষ্য করলে এখন?
– ইয়ে মানে ………
> আমাকে হোস্টেলে পাঠাতে চাচ্ছ কেন? এত বড় ঘরে কে থাকবে? কাউকে আনবা নাকি?
– ইয়ে মানে ……
> খালি ইয়ে মানে ইয়ে মানে কর কেন? যাও অফিসে যাও।
.
শুভ তাড়াতাড়ি কেটে পড়ল। রাতে অফিসের কাজ শেষে বাসায় এলো। রিয়া শুভর প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে খাম বের করল। এর আগে কখনো রিয়া এমন করেনি।
– ওটা এই মাসের বেতন।
> জানি। আজ থেকে ঘরে বাজার আমি করব। আর শুন বাকি টাকার সম্পূর্ণ হিসাব আমাকে দিবে। আর আগামীকালই ব্যাংকে যেয়ে সেভিং একাউন্ট খুলবে। সব খেয়েদেয়ে উড়িয়ে দাও। ভবিষ্যতের চিন্তা নেই?
শুভ মাথা ঝুলালো।
.
রিয়া ভেতর রুমে চলে গেল। ভবিষ্যৎ নিয়ে শুভ কখনো ভাবেনি। একা মানুষের আবার কিসের ভবিষ্যৎ? তাই ওটা চিন্তায় আনেনি শুভ।
.
সকালে তুহিন ও ফারজানা এলো।
> তোরা হঠাৎ?
— শুভ ভাই ডেকেছে। (তুহিন)
– আয় ভেতরে বস।
— ভাইয়া হঠাৎ ডাকলেন কোনো সমস্যা
– রিয়াকে হোস্টেলে নিয়ে যা। আমার প্রমোশন হয়েছে। সো আর্থিক প্রব্লেম হবে না।
.
কথাটা শুনে রিয়া আকাশ থেকে পড়ল। ফারজানাও অবাক হল। কিন্তু তুহিন স্বাভাবিক।
— রিয়া সব কিছু রেডি?
রিয়া চুপ করে আছে।
— রিয়া! ওইইই!
> ইয়ে মানে ওয়েট আমি গুছাচ্ছি।
.
রিয়া ভেতরে চলে গেল। রাগে ফেটে উঠতেছে। শুভকে ভীষণ ভালবাসে ফেলেছে। তাকে ছাড়া এক কদমও চলা সম্ভব না। অনেক ভেবেচিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিল।
.
রিয়া ভেতর রুম থেকে এসে তুহিন ও ফারজানাকে বলল
> তোরা এখন যা।
— তুই যাবি না?
ফারজানা বুঝল ব্যাপারটা। তাই তুহিনের কান ধরে নিয়ে গেল।
.
– তুমি যাবে না?
> তুমি আমাকে ভালবাস?
– কি বলছ এসব?
> যদি তুমি না বল তাহলে আমি আর কখনোই তোমার সামনে আসব না।
.
শুভও রিয়াকে কিছুটা ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ভয় পাচ্ছে। তবে আজ রিয়ার মুখ থেকে এমন কথা শুনে শুভ আরও ভয় পেয়ে গেল। হারানোর ভয়। যদি না বলে তাহলে তো রিয়াকে আর কখনোই পাবে না।
.
> কি হিক উত্তর দাও?
শুভ ভেতর রুমে চলে গেল। একটু পরেই এসে রিয়ার হাতে খামটা দিয়ে বলল
– তোমার ঘর তুমিই সামলাও।
রিয়ার মুখে বিজয়ের হাসি ফুটলো। রিয়া শুভকে জড়িয়ে ধরল।
> “আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।” এই লাইনটা তুমি বল।
– প্রপোজ করতে হবে?
> নাহ বউকে প্রপোজ করতে হয় না। বাট ভালবাসার কথা বলতে হয়। বল।
– আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি।
.
শুভ রিয়াকে কোলে তুলে নিল।
– চল ব্যাংকে যাই। সেভিং একাউন্ট খুলব।
> বাহ! ভাল তো। চল।
– আগে এসব চিন্তা করতাম না। কারণ একা ছিলাম। এখন তুমি আছ। ভবিষ্যতে আরও কেউ আসবে। তো সেভিং জরুরী।
> যাহ! দুষ্টু।
– তোমার দুষ্টু।
> আরে আমাকে নিচে তো নামাও। লোকে কি বলবে?
– আমি এসব কেয়ার করি না।
> নামাও বলছি।
– যথা আজ্ঞে মহারানী।
.
অতঃপর রিয়া ও শুভ ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। সেভিং একাউন্ট খুলতে। তাদের ভালবাসাও সেভিং হয়ে থাকুক।
.
শুভর মত মানুষ সবার কপালে জুটে না। ভাগ্যবতীর কপালেই জুটে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত