একটা মেয়েকে কিছু ছেলে বিরক্ত করছে… এমন সময় কোথাই থেকে আরেকটা মেয়ে এসে ছেলেগুলোকে উত্তম-মধ্যম দেয়া সুরু করলো…
তারপর আগের মেয়েটাকে নিয়ে চলে গেলো
আসেন পরিচয় করিয়েদি ঐ যে শিমুল গাছের নিচে বসে আড্ডা মাতিয়ে রেখেছে আর আগের বার ছেলে গুলোকে উত্তম-মধ্যম দিলো উনি হচ্ছে আমাদের কলেজের সব থেকে চঞ্চল মেয়ে ইতি……
এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। মেয়েটা কখনো কোনো অন্যায় মেনে নিতে পারে না…
সব সময় হাসি খুশি থাকে। ছোটো বড় সবার আড্ডা মাতিয়ে রাখতে পটু…
তেমনি কলেজে পড়ুয়া স্টুডেন্টদের ভিতরেও তা স্থান প্রথম পাঁচ এর ভিতরে……
সে বড়োলোক বাবার একমাত্র মেয়ে…..
তারপর ও তার ভিতরে কোনো অহংকার নেই
সব সময় আর পাঁচটা সাধারন মেয়েদের মতো তার চলাফেরা…..
হইত পাঁচটা সাধারন মেয়েদের ভিতরে রাখলে ইতিকে সবার থেকে সাধারন মনে হবে…..
কলেজে এমন কেও নে যেকিনা ইতির কাছে জব্দ হনি..
কিছু দিন আগের একটা ঘটনা…
একটা বড় ভাই ইতিকে প্রোপজ করেছে
বড় ভাইঃ ইতি তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে
ইতি ব্যাপার টা বুঝতে পেরে বলল ভাইয়া আমরও আপনার সাথে কিছু কাজ ছিল কবে থেকে আমার খুব ইচ্ছে আপনার সাথে কিছু বলব….
বড় ভাইঃ হুম বলো…..
ইতিঃ ভাইয়া সিবার সামনে আমার লজ্জা করছে…..
বড় ভাইয়াঃ আরে লজ্জার কি আছে কি কাজ বলে ফেলো
ইতিঃ অন্য কোথাও চলেন ভাই এখানে আমার পক্ষে সম্ভব না…..
বড় ভাইঃ আরে সমস্যা নেই
ইতি সাথে সাথে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে আবার ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতে সুরু করলো যেনো কিছুই ঘটেনি…..
বড়ভাই এর আর প্রোপজ করা হইনি…..
আমি ইতিকে পছন্দ করি কিন্তু সাহসে কমতি পরে… কেউ জানে না যে আমি ইতিকে পছন্দ করি……
আম ইতিকে ফলো করি সব সময় জানিনা ইতি সেটা বুঝতে পারে কি না…
আমি আর ইতি ক্লাসমেট….
আমার পরিচয় দিলাম না…..
আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটানা শোনেন….
আমি প্রতিদিন এর মত ইতিকে ফলো করছি…
যেই আমি একটু অন্য দিকে তাকিয়েছি মেয়েটা আর নেই…
আমি মেয়েটা কে খুজতেছিলাম এমন সময় মেয়েটা আমার সামনে হাজির…
ইতিঃ কাওকে খুঁজছেন….
আমিঃ না…..
ইতিঃ আমি কিন্তু মিথ্যা বলা একটুও পছন্দ করি না…
আমিঃ আসলে….মারবেন নাতো…?
ইতিঃ হা হা হা করে হাসতে সুরু করে দিয়েছে….
আমিঃ তার হাসি দেখে ইয়া বড় একটা হাআয়ায়ায়া করে মেয়েটার হাসি দেখছি
এমন সময়
ইতিঃ হা করে কি দেখছেন….. এই ভাবে তাকিয়ে আছেন কি জন্য আগে কাওকে হাসতে দেখেননি…( অনেকটা রেগে)
আমি আর কিছু না বলে দিলাম এক দৌড়….
যাক বাবা বেচে গেছি….
তার পর তিন দিন কলেজে যায়নি….
পরের দিন কলেজে গেলাম গিয়ে একজায়গাই বসে হেডফোনে ফুল সাউন্ড দিয়ে গান শুনছি
হঠাৎ পিঠে ওপর কি যেন একটা পরলো আমি এক লাফে দুই হাত দূরে গিয়ে দাড়ালাম…
হেডফোন খুলে পিছনে দিকে তাকিয়ে দেখি ইতি…
কিল খেয়ে এমনিতেই চমকে গেছি আবার এই মেয়ে আমি দৌড় দেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি….
ইতিঃ একদম নড়বে না…
আমিঃ আপনি একটু পিছে সরে গিয়ে দাড়ান
ইতিঃ কেনো….?
আমিঃ আপনি মারতে আসলে আমি দৌড় দেয়ার জন্য কিছুটা সময় পাই….
ইতি আবার হা হা করে হেসে উঠলো
ইতিঃ আপনি করে বলছ কেন……?আমার তো ক্লাসমেট তুমি করে বলতে পার…
আমিঃ তু তু তুমি বলব…..??
ইতিঃ আমরা এখন থেকে ফ্রেন্ড বুঝলে….
আমিঃ না…..
ইতিঃ আমার দিকে এগিয়ে আসছে..
আমিও পিছনে হাঁটছি…
ইতি আমার কলার ধরে বলল কি বোঝোনি তাই…..
আমিঃ সব বুঝেছি…..
ইতিঃ কি বুঝেছ তাই বলো।।।।??
আরে ধুর বুঝেছি বললেও সমস্যা আমার বুঝিনি বললেও সমস্যা কি যে করি….
ইতিঃ অই বিড়বিড় করে কি বলছ…..
আমিঃ কই কিছু না তো
ইতিঃ কি বুঝেছ বললে নাতো….
আমিঃ( দৌড় দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বললাম) এই মেয়ের কাছ থেকে যতটা দূরে থাকা যায় বলেই….
দিলাম দৌড়….
একবারে বাসাই এসে থেমেছি….
ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে দিলাম ঘুম…
সন্ধাই ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসলাম…
কিন্তু পড়াতে মন বসছে না
সুধুই ইতির কথা মনে পরছে….
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেছি….
সকালে ঘুম থেকে উঠে কলেজে চলে গেলাম..
আজও বসে গান শুনছি আর ইতির দিকে তাকিয়ে আছি…
ইতি দুরে বসে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে
ইতি আমার দিকে তাকিয়ে উঠে সোজা আমার কাছে চলে আসলো…..
ইতিঃ তুমি কি আমাকে ভালবাস……???
আমিঃ দুই গালে হাত দিয়ে…না মানে..
না আন্টি……
ইতিঃ অই আমাকে আন্টি বললা কেন…..
আমিঃ না মানে…..
ইতিঃ কি মানে মানে করছ….
আমি সাহস নিয়ে বলেই ফেললাম “”হুম””
ইতিঃ আমাকে সুধু বলল এইসব ভূত মাথা থেকে ঝেরে ফেলো…
আমিঃ সরি আমি যাকে ভালবাসি তাকে ভুলতে পারবো না যে আমার মাথায় আছে তাকে আমার মাথায় থাক্তে দাও সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না….
বলেই আমি ইতিকে প্রোপজ করলাম……
ইতি আমাকে একটা জোরে থাপ্পর দিয়ে বলল তোমার সাহস কি করে হই আমাকে প্রপোস করার..
আর যেনো তোমাকে আমার সামনে না দেখি…
বলে আবার সবার সাথে হাসি খুশি কথা বলছে…
কিন্তু আমার ভিতরে ঝড় তুলে দিয়ে গেল…
বাসাই চলে গেলাম খাওয়া দাওয়া না করেই সুয়ে পরলাম
সারা রাত ঘুম হয়নি রাতে খুব জ্বর এসেছিল এখন একটু কম হয়েছে কলেজে জেতে ইচ্ছে করছে না….
তিন দিন কলেজে জেতে পারিনি…( মেয়েটা কি মাইর দিল তিন দিন জ্বর)
এই কয়দিনে শুকিয়ে গেছি পরের দিন কলেজে গেলাম…
ঢুকতেই ইতির সাথে দেখা…
কি ব্যাপার চেহারার এই অবস্থা কেনো….?
আমিঃ তোমার কথা ভেবে….
বলেই চলে আসি…..
ক্লাসে সারাক্ষণ ইতির দিকে তাকিয়ে থাকি..
আরো বেশি করে ফলো করতে থাকি….
অন্য ছেলেরা মার খাওয়াত পর আর পিছু নিত না
কিন্তু আমি আরো বেসি করে….
এক বছর ইতির পিছনে ঘুরলাম কিন্তু কনো সাড়া পেলাম না…
তাই ইতির সব থেকে কাছে বান্ধবীর সাথে প্রেম করার চেস্টা করলাম আর সারা পেয়্ব গেলাম…. (কারন ইতির ঐ বান্ধবী অল্প দিন ব্রেক আপ হয়েছে আর আমার সাথে সুরু করে দিল…অবশ্য অনেক খরচ করার পর রাজি হয়েছে
এক বছর ইতির পিছনে ঘুরে যতটা কাজ হইনি তার চেয়ে বেশি কাজ হয়েছে ইতির বান্ধবীর সাথে ঘুরে( ভায়েরা অন্য কিছু মনে কইরেন না)
ইতির আমার কাছে এসে আমার কলার চেপে ধরে বলল ওর বান্ধবীর সাথে যেন না ঘুরি আর…
আমিঃ কেন….?
ইতিঃ আমি বলছি তাই
আমিঃ তুমি কে যে আমাকে তোমার কথা শুনতে হবে….?
ইতিঃআমি কে দেখাচ্ছি একটু অপেক্ষা কর…
বলেই ওর বান্ধবী (আমার বর্তমান জীএফ কে ফোন দিল….
ফোন দেয়ার সাথে সাথে হাজির…..
এসে আমাকে বাবু এখানে কি করো….
ইতিঃ তোদের প্রেমালাপ এর জন্য এখানে ডাকা হইনি….
<< তাহলে কি জন্য ডাকলি….
ইতিঃ তুই এখনি ব্রেক আপ কর….
<< ওই তুমি আর আমার সাথে যোগাযোগ করবে না(আমাকে বলল)
আমিঃ মানে…
আমাদের চুক্তি কি হলো
<< আসলে ইতি আমাকে তোমার সাথে প্রেমের নটক করতে বলেছিল…
আমিঃ তাহলে আমার টাকা ফেরত দাও……
<< এই যে এতদিন অভিনয় করলাম…
আমিঃ আমার সব লস…..
ইতি এই তোরা কিসের টাকার কথা বলছি….
আমিঃ কই কিছু নাতো…..
<< আসলে আমি ওর কাছে টাকা নিয়েছিলাম তোর সাথে অভিনয় করার জন্য….
ইতিঃ কি……???
আমিঃ এই মেয়ে সব বলে দিলে কেনো
ইতিঃ বলবে না তো কি করবে
আমিঃ সরি….
ইতিঃ আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি…..আই লাভ ইউ
আমিঃ আমি তোমাকে ভালবাসি না
ইতি আমাকে ঘুসি দেয়ার জন্য আমার দিকে এগিয়ে আসছে আমিও পিছে যাচ্ছি…হঠাৎ ইতি দৌড়ে এসে আমাকে জোরিয়ে ধরলো…..
দেখি পুচ্চি পাগলীটা কান্না করছে…
ইতিঃ আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো……
আমিঃ না গো…. আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যাবও না….
এরপর সুরু হলো আমাদের সুখের অধ্যায়…..
তারপর কলেজে আমার সাহস একটু বেড়ে গেলো….
কোনো মেয়ে আমার আসে পাসে ঘোরাফেরা করলে তার কপারে দুঃখ আছে……
সব ইতি সামলে রাখে…………
পাগলীটা আমাকে খুব ভালবাসে…….
আমার খুব যত্নকরে…….
আমারা পরিবারকে সব বলেছি ……….
লেখা পড়া শেষে আমাদের বিয়ে দিতে রাজী হয়েছে…..
…………………………………………………সমাপ্ত…………………………………………..