“উঠ ঘুম থেকে উঠ বলতেছি।আর কতো ঘুমাবি।সারা রাত মোবাইল চালাবি আর সকালে ঘুমাবি।উঠ বলতেছি না হলে পানি দিবো”।
-“তোর সমস্যা কি?আমার সাথে এমন করিস কেন
সব সময়।একটু ঘুমাতে দিবি না শান্তি মতো।সব
সময় তুই এমনি করিস আমার সাথে”।(তুষার)
-“সকালে ডেকে না দিয়ে দিলে তো উঠতে পারিস না।
আবার বড় বড় কথা বলিস।এবার উঠ নাস্তা করে
বাজারে যা”।(অর্নি)
-“একটা দিন বন্ধ পাই আর তুমি আমাকে এই দিনটাও
শান্তি মতো থাকতে দিবি না।এই কারনে এতো সকালে
ডাকতেছিলি।আরেকটু ঘুমিয়ে নিই তারপর সব কাজ
করবো।এখন যা এখান থেকে”।
-“মানে কি?আর এতো সকাল কোথায় ১০টা বাজে।
তুই উঠ এখন,যখন বাজারে কিছু থাকবে না তখন
যাবি বাজার করতে।তুই না ভালো যা বাজার করে
এসে আবার ঘুমাবি।তোকে কেউ উঠাবে না তখন”।
“কারো ভালো লাগে এই গুলি।একদিন অফিস বন্ধ
পাই আর এই দিন আমাকে জ্বালাবে বাজার করার জন্য,ভালো লাগে না।যেইদিন আমার অফিস বন্ধ
সেইদিন সারা রাত মুভি দেখি আর মোবাইল চালাই।
এই কারনে আপু তখন বকা দিছে।আর আমি ছাড়া
তো আর কেউ নেই।সেই ছোট সময় বাবা-মা রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়”।
“আগে বাজার করে নিয়ে আসি।ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে বাজারে চলে গেলাম”।
“আজকে মনে হয় সব দোকানের মালিক গুলি বউয়ের সাথে ঝগড়া করে আসছে।এতো দাম সব কিছুতেই আর একটা টাকাও কম নিবে না।বুঝতে পারছি বউ মনে হয় দামি কিছু চেয়েছে তা সব জিনিসের দাম
এতো বেশি চাচ্ছে।করার কিছু নেই বাজার না নিয়ে
যদি যাই তাহলে না খেয়েই থাকতে হবে।অনেক কষ্টে বাজার শেষ করে বাসায় আসলাম”।
-“আপু কই তুই এইনে আর দেখতো সব ঠিক আছে
কিনা”।(তুষার)
-“সব ঠিক আছে।অনেক কষ্ট হয়েছে তোর তাই না”।
(অর্নি)
-“না কষ্ট হয় নাই।তবে সব জিনিসের যেই দাম মানুষ
খাবে কি।আমার তো মনে হয় কিছু দিন সব মানুষ
না খেয়েই মরবে।আচ্ছা তিথি কোথায় দেখছি না যে।
এই গুলি তিথির জন্য এনেছি”।
-“তুই শুধু শুধু এই গুলি আনিস।বাহিরে গেলেই এই
গুলি নিয়ে আসবি।আর বাসার কিছু খায় না।তোর
উপর রাগ করে রুমে বসে আছে।তুই সকালে কোলে
না নিয়ে বাহিরে গিয়েছিস তাই”।
“আর কিছু না বলে আমি আনিকার রুমে গেলাম।তিথি হচ্ছে আমার ভাগ্নি।আপুর এক মাত্র মেয়ে।এবার ১ম শ্রেনিতে পড়ে।মাত্র ৬ বছর বয়স।কিন্তু পাকা পাকা কথা বলে এই বয়সে।আমাদের ভুল ধরে আর শাসন করে।আমাকে ছাড়া কিছু বুঝে না।বাসায় থাকলে আমার হাতে ছাড়া খাবে না।আর বাহিরে গেলে যদি আইসক্রিম না নিয়ে আসি তাহলে আমার কাছেও আসবে না”।
-“আমার আম্মুটা কই।আমার উপর নাকি রাগ করেছে”।
(তুষার)
-“তুমি আমার সাথে কথা বলবে না”।(তিথি)
-“আম্মু তুমি তো তখন ঘুমিয়েছিলে তাই তোমাকে ডাক
দেইনি।আরে তুমি কান্না করছো কেনো।এই দেখো
তোমার জন্য আইসক্রিম এনেছি।কান্না করো না।এই
দেখো কান ধরেছি আর এমন হবে না”।
-“সত্যি বলছো তো আর এমন করবে না”।
“আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিলে আমার কোলে এসে বসলো।আমাকে কিছু না দিয়ে খায় না।মানে সব কিছুইতেই আমাকে লাগবে,এমন অবস্থা”।
“অনেকক্ষন কথা বলে আমার রুমে চলে আসলাম।বারান্দায় বসে সিগারেট ধরিয়ে সিগারেট টানতে থাকলাম।আর আগের দিন গুলির কথা ভাবছি”।
“বাবা-মা মারা যাবার পর আপু আমাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করে।আমাদের এমনো দিন গেছে যে আমরা না খেয়েছিলাম।কেউ একটাবার আমাদের খোঁজ খবর নেয় নাই।আমরা বেঁচে আসছি নাকি মরে গেছি।আর এখন আমাদের সব আছে।এখন সবাই আমাদের খবর নেয়।বিপদের সময় কেউ পাশে ছিলো না আর এখন ভালো সময় সবাই পাশে আছে”।
“আপু না খেয়ে আমাকে মিথ্যা বলে খেতে দিতো, আমাকে বলতো আগেই খেয়েছে অনেক ক্ষুধা
নাকি লেগেছিলো তাই।আসলে একজনের খাবার ছিলো আর সেই খাবার আপু না খেয়ে আমাকে
খেতে দিতো।আমাকে বুঝতে দিতো না।এমন কি
নতুন কাপড় কিনতো না।আমাকে বলতো আমার
তো লাগবে না অনেক কাপড় আছে।আমাকে
অনেক স্বপ্ন।ছিলো।আজ আমি পেরেছি সব স্বপ্ন
পূরণ করতে।আপুর কষ্টের প্রতিদান দিতে”।
“অনেক সুখের মাঝেও কিছু কষ্ট থাকে।আপুকে দেখে একজন পছন্দ করে।আপুকে পছন্দ হবে না কেনো দেখতে যেমন সুন্দর পড়াশুনাও ভালো,ভালো রান্না করতে পারে।আর সব সময় ভালো ভাবে চলে,রাস্তায় বের হলে এমন ভাবে বের হয় যেন কেউ কিছু
না বলতে পারে”।
“সব দেখে শুনে আপুকে বিয়ে দিয়ে দেই।আপু তো
বিয়ে করবে না বলে,তাহলে আমার কি হবে আমাকে কে দেখবে,কে আমাকে রান্না করে দিবে আরও অনেক কিছু বলে।শেষে অনেক কষ্টে আপুকে রাজি করাই।বিয়ের দুই বছর পর তিথি আসে আমাদের সবার মাঝে।সেই দিন আমি আনন্দে কেঁদে দেই।এতো খুশি হয়েছিলাম যা বলে বুঝানো যাবে না।আপু আমার নামের সাথে মিল রাখে নাম রাখে তিথি”।
“কিন্তু কিছুদিন পর দুলাভাই কেমন যেন হয়ে যায়।অকারনে আপুর সাথে ঝগড়া করে।এভাবে কিছু
দিন যাবার পর দুলাভাই আরেকটা বিয়ে করে।আমি আপুকে আমার বাসায় নিয়ে আসি।আমি বুঝি না
যেই মানুষ আপুকে পছন্দ করে বিয়ে করেছে আর
আপুকে না দেখে থাকতে পারতো না সেই মানুষটা
এই কাজ কিভাবে পারে।তিথির বয়স তখন ৬ মাস।তারপর আপু নিজেই ডিভোর্স দিয়ে দেয়।এরপর থেকেই আপু আমার কাছেই থাকে”।
“মাঝে মাঝে ভাবি এইটুকু পিচ্ছি বাবার আদর পায় না।বাবার আদর ছাড়াই বড় হচ্ছে।যেই বয়সে বাবার সাথে খেলার কথা,দুস্টমি করার কথা সেই বয়সে কি করছে।
ভাবতেই অনেক খারাপ লাগে।আমি সব সময় চেষ্টা করি হাসি-খুশি রাখার।আমি ছাড়া ওদের কেউ নাই আর ওরা ছাড়া আমার কেউ নাই”।
“আমাদের আর কোন ভাই বোন না থাকায় আপু আমাকে ভাই বলেই ডাকে।যদিও আপু আমার
থেকে বড়”।
-“ভাই কই তুই”।(অর্নি)
-“বারান্দায় আছি।কেন কি হয়েছে”?(তুষার)
-“এইখানে কি করিস।আর আমি তোকে পুর বাসা
খুঁজে পাই না”।
-“কিছু বলবি নাকি”।
-“বললে রাগ করবি না তো”।
-“রাগ করার কথা বললে তো রাগ করাবোই”।
-“থাক তাহলে বলবো না”।
-“আচ্ছা বল রাগ করবো না”।
-“আসলে কথাটা হচ্ছে তোর জন্য একটা মেয়ে
পছন্দ হয়েছে।মেয়েটা অনেক ভালো।তোকে
ভালো রাখবে,দেখতেও ভালো”।
-“দেখো আপু আমি আগেও বলেছি আমি বিয়ে
করবো না।তারপরেও কেন বার বার এই কথা বলো”।
-“ভাই তোর ভালোর জন্য বলি সব সময় কি আমি
আর দেখে রাখতে পারবো।আর বয়স হয়েছে বিয়ে
করবি না কেন।তোর সব বন্ধুরা তো বিয়ে করেছে।
অনেকের তো দুই-তিনটা করে বাচ্চা আছে”।
-“আমার ইচ্ছে নাই তাই করবো না”।
-“এইটাই তোর শেষ কথা”।
-“হ্যাঁ এইটাই আমার শেষ কথা”।
-“তাহলে আমারও শেষ কথা শুনে রাখ।তুই যতদিন
না বিয়ে করছিস ততোদিন আমি রান্না করবো না।
তুই বাহিরে খেয়ে নিবে।আমি আর তিথি না খায়ে
থাকবো।আর তোর সাথে আমরা কেউ কথা বলবো
না”।
-“এই গুলি আবার কেমন কথা।এই আপু কোথায়
যাচ্ছিস আমার কথা শুনে যা”।
“আমার কথা না শুনেই চলে গেলো।আমি কি মানুষ না।আমার কথা্র কোন মূল্য নেই কারো কাছে”।
“আমি বিয়ে করতে চাই না তার কারন আছে।আপু আমাকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছে।আবার এখন নিজে অনেক কষ্টে আছে।আমি যেই মেয়েকে বিয়ে করবো সেই যদি আপু আর তিথির সাথে খারাপ ব্যবহার করে তখন অনেক কষ্ট পাবে।আমিও
অনেক কষ্ট পাবো।আমি তো জানি আপু কি কষ্ট করেছে আর এখন কি কষ্টে আছে।আমাকে বুঝতে
দেয় না।কিন্তু আমি তো সব বুঝি।এই সব কারনে
আমি বিয়ে করতে চাচ্ছি না”।
“কিন্তু এখন যেই অবস্থা তাতে মনে হয় বিয়ে করতেই হবে।আপু আর তিথি না খেয়ে থাকবে তাহলে।আর সত্যি সত্যি রান্না করবে না তা আমি ভালো করেই জানি”।
-“তিথি কোথায়,এইদিকে আসো তো আম্মু”।(তুষার)
-“না তোমার সাথে কথা নাই।আম্মু না করেছে কথা
বলতে”।(তিথি)
-“আমি কি করেছি?আর তুমি কেনো আমার সাথে
কথা বলবে না”।
-“তুমি জানো না কি করেছো।তুমি বিয়ে করবে না
তাই।একি আমি তোমার সাথে কথা বলছি কেনো।
আমি তো তোমার সাথে কথা বলবো না”।
-“আম্মু এমন করে বলে না মি কষ্ট পাবো।তোমার সাথে
কথা না বলে আমি কি থাকতে পারি বলো”।
-“আচ্ছা তাহলে তুমি বিয়ে করো।আমার না মামি
লাগবে।মামি আমাকে অনেক আদর করবে”।
-“কেনো আমি বুঝি তোমাকে আদর করি না”।
-“তুমি করো কিন্তু এখন মামি লাগবে আমার।জানো
সেই দিন আমাকে আইসক্রিম কিনে দিয়েছে”।
-“মানে কে তোমাকে আইসক্রিম কিনে দিয়েছে।আর
তুমি অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে কেনো নিয়েছো”।
-“আম্মু তো চিনে।আর আমাকে আম্মু নিয়ে গেছে
তোমার জন্য মেয়ে দেখতে”।
-“আচ্ছা এই কাহিনী এবার বুঝছি।মেয়ে দেখে সব
ঠিক করে তারপর আমাকে বলতেছে”।
-“তোমাকে আম্মু বলতে না করছে।আমি তো সব
বলে দিয়েছি তোমাকে।আম্মু জানলে আমার খবর
আছে”।
“আপু কোথায় তুই।একটু শুনে যা কথা ছিলো”।
-“কি হইছে এই ভাবে চেচাচ্ছিস কেনো।আর বললাম
না তোর সাথে কোন কথা নাই”।(অর্নি)
-“আমি চেচাই তাই না।আর তুই কি করেছিস।আমি
কিছু জানবো না তাই মনে করেছিস।তুই আগেই মেয়ে
দেখে সব ঠিক করে তারপর আমাকে বলিস বিয়ে
করতে”।(তুষার)
-“তোকে আবার কে বললো।বুঝেছি এই মেয়েকে নিয়ে
আর পারলাম না সব কিছুই বলে দেয়”।
-“তোকে আমি না করেছিলাম না।তারপরেও কেন তুই
বুঝিস না”।
-“দেখ আমি জানি তুই কেন বিয়ে করেতে চাচ্ছিস না।
আর আমি যেই মেয়ে দেখেছি সেই মেয়ে অনেক
ভালো আর ধার্মিক।তোর সাথে মানাবে”।
-“সব ঠিক করে এখন আসছে আমার সাথে মানবে”।
-“আমি জানি তোর কি পছন্দ আর কি অপছন্দ।আর
এই মেয়ে সব দিক দিয়েই ভালো,দেখতেও সুন্দর।তুই
আর না করিস না।আমি কি তোর খারাপ চাই বল”।
-“বুঝছি এখন সব কিছু ঠিক করে আসছে আমি কি
খারাপ চাই বলতে।কি আর করার তুই যা ভালো মনে
করিস তাই হবে।কিন্তু তোর আর তিথিকে কোন কষ্ট
না দেয় আর খারাপ ব্যবহার না করে”।
“কি আর করবো শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হলো।আমি আসলে আপুর সব কথাই শুনি।কখনো এমন হয়নি
যে কোন কথা শুনিনি”।
“মেয়েকে না দেখেই বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাই।কারন আপুর উপর বিশ্বাস আছে আমার”।
“নির্দিষ্ট তারিখে বিয়ে হয়।আপু আর তিথি অনেক খুশি”।
“রাত বারোটায় আপু আমাকে অনেক জোর করে বাসর ঘরে দিয়ে আসে।মেয়েটির নাম হচ্ছে রিদিতা।তিথির কাছে একবার নাম শুনেছিলাম”।
“আমি বাসর ঘরে যাবার সাথে সাথে মেয়েটি মানে রিদিতা আমাকে এসে সালাম করে”।
-“শুনো রিদিতা তুমি তো মনে হয় সব কিছুই জানো
তারপরেও একটা কথা বলি।এই কথাটা সারা জীবন
জেনো মনে থাকে।আমার সব কিছুর আগে হচ্ছে আপু
আর তিথি।তুমি কখনো তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার
করবে না আর তাদের কষ্ট দিবে না।আমার আপু
অনেক কষ্টে করেছে এখনো অনেক কষ্ট করতেছে।
আমার মনে হয় তুমি পারবে আমার এই কথা রাখতে”।
(তুষার)
-“তুমি শুধু আমার জন্য দোয়া করবে আর আমার পাশে
থাকবে তাহলেই হবে।আমি তোমার সব কথা রাখবো।
আর আপু হচ্ছে আমার নিজের বোন।আমি আমার
বোনের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবো না”।
(রিদিতা)
-“শুনে খুব খুশি হলাম।অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমিয়ে
পর”।
-“জি আচ্ছা”।
“মনে হচ্ছে রিদিতা আমার কথা শুনবে।দেখা যাক সামনে কি হয়”।
“সকাল সকাল কে ডাকে একটু ঘুমাতে দেয় না।
বিয়ে করেও তো শান্তি নাই”।
-“এই উঠো নামাজ পড়বে।নামাজের সময় হয়ে
গেছে”।(রিদিতা)
-“আর একটু পর উঠি,একটু ঘুমাই”।(তুষার)
-“নামাজ পরে ঘুমাবে এখন উঠো”।
-“আচ্ছা ঠিক আছে উঠছি এখন খুশি তো”।
“আপু বলেছিলো রিদিতা অনেক ভালো মেয়ে।আর আমি বুঝতে পারছি এখন।বিয়ের পরের দিন থেকেই রিদিতা বাসার সব কাজ করছে।আপুকে কিছুই
করতে দেয় না।আপুকে বলে যে এখন আমি আসছি আমি সব কাজ করবো আর আপনি বসে বসে খাবেন।আর তিথি সে তো রিদিতা কে পেয়ে আমাকেই
ভুলে গেছে।এখন রিদিতার হাতে খায়”।
“আমি যখন বাসায় আসি তখন আমাকে বলে আজকে সারা দিন কি করেছে।তিনজন সব সময় এক সাথে থাকে।দেখেই ভালো লাগে”।
“অনেক দিন পর আপুকে দেখলাম মন খুলে হাঁসাতে।শেষ কবে যে দেখেছিলাম মনে নেই”।
“রিদিতা আমার সব কথা শুনে।আমার কথা অবাধ্য
হয় না।আমার কি লাগবে তা সব সময় খেয়াল করে।আমার সব কিছু সব সময় গুছিয়ে রাখে”।
“আমাদের বিয়ের বয়স দুই বছর এখন।আজ সকালে রিদিতা য়ামাকে বললো যে আমি নাকি বাবা হবো।এতো খুশি লাগছে যা বলে বুঝাতে পারবো না।
এই দিকে বাসার সবাই তো অনেক খুশি।আর তিথির খুশি দেখে কে”।
“দেখেত দেখতে সময় চলে আসলো।আজ রিদিতার অপারেশন।ভয় হচ্ছে অনেক।আমি রিদিতাকে অনেক ভালোবাসি আর রিদিতাও আমাকে অনেক ভালোবাসে।কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বললো আমি মেয়ের বাবা হয়েছি।আর দুজনেই ভালো আছে।তখন আমি আনন্দে কেঁদে দেই”।
“প্রথম তখন আমার মেয়ে কোলে নেই কি যে ভালো লেগেছিলো।আমার মেয়ের নাম আরিসা রাখি।
দেখতে একদম রিদিতার মতো হয়েছে।আমি তো কোলে নিতেই পারি না সব সময় দেখি আপু না হলে তিথি কোলে নিয়ে বসে আছে”।
“আজ সবাই অনেক খুশী।আর আমি সবার খুশিতে খুশি।প্রথমে যে ভয় ছিলো যেবিয়ে করলে আপু আর তিথির সাথে যদি খারাপ কিছু হয়।কিনু এখন মনে
হচ্ছে বিয়ে না করলে আপুর আর তিথি কখনো এতো ভালো থাকতো না।সব কিছুই রিদিতা করেছে।তিনজনের মধ্যে কি যে মিল তা বুঝানোর ক্ষমতা আমার নেই।আর এখন তো চার জন হয়েছে।বাসায় আসলে মনে হয় কেউ আমাকে চিনে না”।
“আরিসা কে নিয়ে আমরা সবাই এখন অনেক ভালো আছি।একটা কথা কষ্টের পরে সুখ আসে।আর এই কষ্টের সময় ধৈর্য ধরতে হবে।ধৈর্য না থাকলে কোন কাজ সঠিক ভাবে করা যাবে না”।