“এই যে শুনছেন”
আমি বিকেলে একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাড়িতে আসছিলাম। তখনি পেছন থেকে কথাটা বলে উঠলো। আর পেছনে তাকিয়ে আমিতো অবাক। দেখি একটা মেয়ে আমার দিকে দৌড়ে আসছে।এসে আমার সামনে দাড়ালো ।তারপর বলল, , , , , ,
মেয়ে- এই আপনাকে কখন থেকে ডাকছি শুনতে পান না।
আমি- আমি কি করে জানবো আপনি আমাকে ডাকছেন।
মেয়ে- ভালো। এই নিন (একটা মোবাইল ফোন এগিয়ে দিয়ে)
আমি- আমি আপনার ফোন নিয়ে কি করব।
মেয়ে- আরে বুদ্ধুরাম এটা আমার না আপনার ফোন।
আমি আমার পকেট চেক করে দেখি আমার পকেটে ফোন নেই । হায় হায় এ কি হচ্ছিল আজ। যদি ফোন হারাতাম তাহলে আমার আর বাপের হটেলে খাওয়া হত না।কি ভাবছেন একটা ফোনের জন্য বাড়িথেকে খাইতে দেবেনা কেন। আসলে মাএ এক বছরে ৫ টা ফোন কিনিছি। আর সব কটা হারায় ফেলছি। আর আমার বাবা এই ফোনটা কেনার আগেই বলে দিয়েছিল যে যদি এবার এই ডাও হারায় তা হলে বাড়িতে আমার খাওয়ার বন্ধ।হিহিহিহি
তারপর মেয়েটার কছথেকে ফোনটা নিতে যাব ঠিক তখনি মেয়েটা বলল, , , , , , , , , ,
মেয়ে- ফোনতো ফেরত পেয়ে গেলেন কিন্তু আমার ট্রিট কে দেবে।
আমি- কি ট্রিট চাই আপনার?
মেয়ে- ফুচকা খাওয়াতে হবে।
আমি- ঠিক আছে চলুন।
মেয়ে- এখন না এখন আমার একটু কাজ অাছে পরে খাবো।
আমি- আমি আপনাকে পরে পাব কই।
মেয়ে- সে আমি আপনাকে ঠিক খুজে নেব।
আমি- আপনার নামটাতো বলে জান।
মেয়ে- পরের বার যখন দেখা হবে তখন বলে দেব।
এই বলে মেয়েটা চলে গেল। কি মেয়েরে বাবা নিজে ট্রিট চেয়ে বলে পরে নেব।। তার উপরে ধন্যবাদ ও বলার সময় দিল না। যাকগে পরে দেখা হলে বলে দেবনি।
ও আমার পরিচয় টা দেওয়া উচিৎ। আমি নীল বাবা মায়ের এক মাএ সন্তান।।এবার অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ।।। সারাদিন বাদরামি করে বেরাই বাবা মার কথা একদম শুনি না। নিজের যা মন বলে তাই করি। সে যাই হোক এখন বাড়ির দিকে জাওয়া যাক।
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে নিজের ঘরে শুয়ে আছি ঠিক সেই সময় আমার এক বন্ধুর ফোন, , , , , ,
আমি- হ্যা মেঘ বল।
মেঘ – কিরে কই তুই ।
আমি- বাড়িতে কেন।
মেঘ – কেন মানে তারাতারি নিচে আই আমি দারিয়ে আছি।
আমি- কোথায় যাবি।
মেঘ- তোর মনে নেই আজ মেঘলার জন্মদিন ।(মেঘলা মেঘের gf )
আমি- আরে আমার একদম মনে ছিল না।তুই দারা আমি আসছি।
অতঃপর রেডি হয়ে নিচে গেলাম দেখি মেঘ দারিয়ে আছে। তারপর আমি আর মেঘ রওনা দিলাম মেঘার বাড়ির উদ্দেশে ।
মেঘার বিড়িতে জেয়ে দেখি সেই খুব সুন্দর করে বাড়িটা সাজানো । বড়লোকের মেয়ের জন্মদিন বলে কথা।
বাড়ির ভেতরে যেয়ে দেখি অনেক লোক জন।আর আমাদের কিছু বন্ধুও আছে।আমি ওদের সাথে কথা বালার জন্য গেলাম আর মেঘ হারামিতো এসেই মেঘার পেছন পেছন ঘুরে বেরাছে।সে যাই হোক আমি আর কয়েকটা বন্ধু কথা বলছিলাম।হঠাৎ কেউ বলে উঠলো, , , , , ,
“এই যে মিস্টার কেমন আছেন”
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি বিকালার সেই মেয়েটা।দেখতে সেই লাগছে একদম পরীর মত। আমিতো চোখ সরাতেই পারছি না ।তবুও নিজেকে একটু সামলে নিয়ে আমি বললাম, , , , ,
আমি- ভালো । আপনি কেমন আছেন।
মেয়ে- ভালো ।
আমি- তা এখানা কি করে ।
মেয়ে- মেঘা আমার ছোটো বেলার বান্ধবী।
আমি- ও । তা আপনার নামটা কি এখন বলবেন।
মেয়ে- আমি নদী।
আমি – আমি নী, , , ,
নদী- নীল তাই তো।
আমি-আপনি জানলেন কি করে।(অবাক হয়ে)
নদী- আমি জানব না তো কে জানবে।
আমি- তাই বুঝি ।
নদী- হু তাই ।
তারপর ওর সাথে আরো কিছু কথা বলে জানতে পারলাম ও অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্রী । ও এখানে থাকেনা শুধু মেঘার জন্মদিন বলে এখানে এসেছে।
পাটি শেষ করে আমি আর মেঘ বাড়ি চলে আসলাম।
এরপর দিন কলেজে থেকে আমি আর মেঘ হেটে হেটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম তখন মেঘের ফোনে একটা ফোন আসলো ।ও ফোনে কথা বলে আমাকে বলল, , , , , , ,
মেঘ- নীল মেঘা ফোন করেছিল ।
আমি- তো।
মেঘ- চল ও পার্কে আছে ওখানে যেতে বলল।
আমি- আমি জেয়ে কি করব।
মেঘ- চলনা গেলেই বুঝতে পারবি।
আমি আর কোনো কথা না বলে ওর সাথে যেতে লাগলাম। পার্কে ঢুকে আমি একটু অবাক হলাম । কারণটা হল মেঘার সাথে সেই মেয়েটা মানে নদীও এসেছে। আমি আর মেঘ ওদের কাছে গেলাম । কাছে গিয়ে আবার অবাক হলাম কারন নদীকে আজ দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে । একটা নীল শাড়ি , হাতে কাঁচের নীল চুরি , কপালে একটা ছোটো নীল টিপ, আর গোলাপি কালারের ঠোট এক দম আমার স্বপ্নে দেখা পরীর মত।আমিতো “হা” করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার এমন তাকিয়ে থাকতে দেখে ও একটু লজ্জা পেয়ে বলল, . , , , , , , , ,
নদী- কি দেখেন এমন করে।
আমি- আজ আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
নদী- আর পামদিতে হবেনা।
আমি- আমি সত্যি বলছি।
নদী- ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমার কথা বলছিলাম হঠাৎ খেয়াল করলাম যে মেঘ । হারামিটা আমাকে এখানে একা রেখে নিশ্চয় মেঘার সাথে লুতুপুতু প্রেম করছে।
আমি আর কি করব আমিও নদীর সাথে বসে গল্প করতে লাগলাম।হঠাৎ নদী বলে উঠলো , , , , ,
নদী- ওই আমার ট্রিট কই।
আমি- কি সের ট্রিট (না বোঝার ভানকরে)
নদী- ওই সেই দিন আমি তোমাকে মোবাইল ফেরত দিলাম সেই ট্রিট ।
আমি- ও মনে পরেছে। ওকে চলো ফুচকার দোকানে ।
আমি আর নদী ফুচকা দোকানে গেলাম।
আমি- মামা এক প্লেট ফুচকা দেন তো।
নদী- এক প্লেট কেন। আপনি খাবেন না।
আমি- আমি ফুচকা খাইনা।(আসলে ফুচকা খেলে ঝাল লাগবে বলে ফুচকা খাইনা)
নদী- ও।, , , , ,
নদী- মামা ফুচকাতে ঝাল বেশি দেবেন।
আতঃপর নদী ফুচকা খাওয়া শুরু করল ।তার কিছু খন পর ওর দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটার চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে। হয়তো ঝালের জন্য । কিন্তু নদীকে তখন হেব্বি লাগছিল একদম কিউট এর ডিব্বা।
হঠাৎ নদী আমার দিকে একটা ফুচকা এগিয়ে দিয়ে বললল, , ,
নদী- হা করেন।
আমি- আমি খাবনা আপনি খান।
নদী- আমি যা বলছি তাই করেন বেশি কথা বলবেন না।(রেগে)
হায় হায় রাগলে দেখি এই মেয়ে কে আরো বেশি সুন্দর লাগে।আমিতো এর উপর ক্রাশ খাইতে খাইতে শেষ হয়ে যাব।
আমি আর কোনো কথা না বলে হা করলাম।আর নদী ফুচকাটা আমার মুখে পুরে দিল।আমি ফুচকাটা খেয়ে নিয়ে।
চিৎকার শুরু করলাম।কারণ ওটা এত ঝাল যে
আমার চোখ মুখ দিয়ে পানি পরতে শুরু করেছে।আর আমার এমন অবস্থা দেখে নদীতো হেসেই কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে ।আর আমি ওর দিকে তাকিয়ে আবার ক্রাশ খাইলাম।
হায় আল্লাহ এত ক্রাশ খাইলে ভাত খাওয়া তো কোনো দরকারি পরবেনা।
কিছুখন পর মেঘ আর মেঘা আসল ।ওদের সাথে আরো কিছু কথা বলে মেঘা আর নদী চলে গেল।
কিছুখন পর আমি আর মেঘও বাড়ি চলে আসলাম।
এরপর আনেক কটা দিন কেটে গেল । কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ করলাম যে নদীতো এখানে থাকেনা । আর আমি যত দূর জানি ওর এত দীন চলে যাবার কথা। কিন্তু ও এখন এখানেই আছে। আমাদের প্রতিদিন দেকা হয়। আমরা একে অপরকে তুমি করেই ডাকি । কিন্তু মেয়েটা একটু কেমন যেন । দেখতে অনেক মায়াবি কিন্তু খুব রাগি । আমার উপর সব সময় অধিকার দেখায়।তখন আমারো ভালো লাগে।
এই কয়দিনে আমি নদীকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু ওকে ভয়ে বলতে পারিনা। যদিও আমাকে ভালো না বাসে তা হলেতো ও আর আমার সাথে কথায় বলবে না।
আজ কলেজ থেকে আসার সময় হঠাৎ দেখলাম নদী যেন একটা ছেলের সাথে পাশাপাশি হাঁটছে। আমি একটু কাছে গেলাম সিওর হওয়ার জন্য।কাছে গিয়ে দেখলাম হ্যা এটা নদী কিন্তু ওর সাথে ছেলেটাকে। কেমন যেন হেসে হেসে কথা বলছে। আর এদিকে আমার বুকের মধ্যে ফেটে যাচ্ছে ।আমি আর ওখানে এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে বাড়ি চলে আসলাম সোজা নিজের ঘরে জেয়ে দরজা লাগিয়ে শুয়ে পরলাম। কিছু ভালো লাগছে না। বারবার নদীর কথা মাথায় ঘুরছে। কিন্তু কে ওই ছেলেটা। মনে হয় ওর বফ হবে। হয়ত ও এখন এখানে থেকে জায়নি বলে দেখা করতে এসেছে।এই সব ভাবতে ভাবতে মনটা খাপার হয়েগেল। তাই ঠিক করলাম আমি আর ওর সামনেই যাবনা।
যেই ভাবা সেই কাজ । পরের দিন থেকে আমি আর ওর সাথে কোনো যোগাযোগ করতাম না । এক কথায় ওকে আমি এরিয়ে চলতাম আমার ওনেক কষ্ট হত।
একদিন ঘরে বসে আছি হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো । দরজা খুলে দেখি মেঘ আর মেঘা দারিয়ে আছে।আমি ওদের ভেতরে নিয়ে এসে বললাম, , , , , , , , ,
আমি- আরে এই অসময়ে।
মেঘ- তোর সাথে কিছু কথা বলার জন্য আসলাম।
আমি- বল।
মেঘ- তুই নদীর সাথে এমন কেন করলি।
আমি- আমি আবার কি করলাম।
মেঘ- তুই জানিস তুই ওর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে ছিস বলে ও খাওয়া দাওয়া বন্ধকরে দিয়েছে।
আমি- কিন্তু কেন( অনেকটা অবাক হয়ে)
মেঘা- আমি বলছি ভাইয়া।
আসলে নদী এখানে আসার মূল কানণ আমার জন্মদিন ছিলনা মূল কারণ ছিল আপনি।
আমি- মানে( অবাক হয়ে)
মেঘা- মানে হল আমি যখন ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন আমার ফোনে ও আপনার ফোটো দেখে আপনাকে পছন্দ করে। তারপর এখানে ওকে আমরা নিয়ে আসি। আর মেঘের কাছে সব বলি। আর সে দিন আপনি ফোন ফেলে এসেছিলেন না। ওটা মেঘই সরিয়ে রেখেছিল পরে ওটা নদীর হত দিয়ে আপনাকে দেয়। তারপর থেকে আপনি সব জানেন। আর এর মাঝে নদী আপনাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। আপনি ওর সাথে কথা বলছেন না বলে ও অনেক কষ্ট পেয়েছে। তাই ও আজ বাড়িতে চলে যাচ্ছে ।
আমি- কিন্ত সেদিন কার ওই ছেলেটা কে ছিল।
মেঘা- কোন ছেলেটা।
তারপর সেই দিনের ঘটনা বললাম।আর এই কথা শুনে মেঘা বলল, , , , ,
মেঘা- আরে নীল ভাইয়া। ওটা ওর নিজের ভাইয়া ছিল।
আমার এইকথা শুনে নিজের প্রতি নিজোর খুব রাগ লাগছে। কেন সেদিন আমি ওর কাছথেকে শুনলাম না। আমি মেঘাকি জিজ্ঞেস করলাম, , , , , , ,
আমি- মেঘা নদী কই এখন।
মেঘা- ওতো চলে গেছে ।
আমি- কখন গেছে।
মেঘা- এইতো একটু আগে এখন মনে হয় বাসস্টন্ডে আছে। আমি এই কথা শুনে আর এক মুহূর্ত দারালাম না।আমি সোজা বাসস্টন্ডে দিকে দৌড় দিলাম।
বাসস্টন্ডে এসে সব বাসগুলোই প্রায় দেখা হয়েগেছে। আমি দেখলাম একটা বাস ছেরে চলে যাচ্ছে। আমি ঠিককরে লক্ষ করলাম যে ওই বাসটাতে নদী আছে তাই আমি ওই বাসের পেছন পেছন দৌড়াতে শুরু করলাম। আর বারবার নদী নদী বলে চিৎকার দিচ্ছিলাম।এক বার মনে হল নদী আমাকে খেয়াল করেছে।
হঠাৎ করে আমি নদী বলে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই ।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করলাম। কিন্তু আমার সাথে এটা কি হচ্ছে । আমি আমার একটা পা অনুভব করতে পারছি না কেন। কি ব্যাপার আমার পা কই। আমি চাদরটা সরিয়ে একটা চিৎকার করে উঠলাম ।আর বাইরে থেকে সবাই ঘরে ঢুকে আসল। কি করতে চিৎকার করলাম শুনবে না। শুনুন তা হলে আমি দেখলাম কি একটা পা নেই । আমি কি করব আমি প্রচন্ড জোরে চিৎকার দিয়ে যাচ্ছি। আর চোখ দিয়ে পানি পরছে। আমি পরে জানতে পারলাম যে আমি নাকি গত ২০ দিন অজ্ঞান ছিলাম।
কিছু দিন পরে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আমি এখন মোটামুটি সুস্থ হয়েগেছি। এর মাঝে আমি মেঘের কাছে নদীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু ও আমাকে কিছু বলেনি।
আজ আমি আর মেঘ নদীর পারে বসে আছি । আজ নদীর কথা খুব মনে পরছে তাই আমি মেঘকে বললাম।
আমি- মেঘ আজ বলনা প্লিজ নদী কোথায় । ওর সাথে আমার আর কথা হল না ।বল না কোথায় আছে ও।
মেঘ- মেঘ চুপকরে আছে।
তাই আমি ওর কাছে বারবার জিজ্ঞেস করছি। তারপর ও যা বলল তা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল।ও কি বলল তা হলে শুনুন, , , , , , , , ,
মেঘ- নীল নদী আর এই পৃথিবীতে নেই।ও সেই দিনি মারা গেছে যে দিন তোর এক্সিডেন্ট হয়।
আমি- কি বলছিস এ সব ফালতু কথা।
মেঘ- ঠিকি বলছিরে দোস্ত। বিশ্বাস কর নদী আর বেঁচে নেই।
আমি- কিন্তু এটা কি করে সম্ভব । কি হয়েছিল ওর সাথে ।( চোখ দিয়ে পানি পরতে শুরু করেছে)
মেঘ- তুই যখন বাসটার পেছনে দৌড়ে যাবার সময় এক্সিডেন্ট করলি। ওটা নদী দেখে ফেলেছিল। আরও তারাতারি করে বাসথেকে নামতে জায় । আর তখনি ওখান থেকে একটা ট্রাক পাসকরছিল । ও সেই ট্রাক টার তলায় পরে জায়। তারপর তোকে আর ওকে ওখান কার পাবলিক হাসপাতালে নিয়ে হয়। ডাক্তার বলে তোর পা কেটে বাঁদ দিল তুই বেঁচে যাবি । কিন্তু সে দিন তোকে বাঁচানো গেলেও নদীকে বাঁচানো জায় নি।
এই কথা বলে মেঘও চোখটা মুছে ফেলল। আর আমি চিৎকার করে কাঁদছি। আর বলছি “যা কিছু হয়েছে সব আমার জন্য আমি কেন সেদিন অমন করলাম। আমি নিজের দোষে নিজের প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে ফেললাম। ”
এমন ভাবে শেষ হয়ে গেল একটা ভালেবাসা । শুধু একটু ভুলের জন্য নীল হারিয়ে ফেললো তার প্রিয় মানুষটাকে।
……………………………………………………সমাপ্ত……………………………………………….