কলেজের পরিচিত মুখ নয়ন ও আঁখি। দুজনেই মেধাবী। একই ক্লাশে পড়ে। কিন্তু দুজন দুজনকে সহ্য করতে পারেনা।
কারন ভালো রেজাল্টের জন্য একে অপরের সাথে মনের অমিল বরাবরই। কিন্তু নয়নের মনের অজান্তেই কখন যেন হারিয়ে গেছে আঁঁখির অস্পষ্ট ভালোবাসায়।সারাক্ষন নয়নের মনে খোঁচা দিয়ে থাকে কখন বলবে তার সিমাহিন ভালোবাসার কথা। একদিন কলেজের কমনরুমে সময় কাটাচ্ছে আঁখি। হঠাৎ যেন কোথাথেকে হাঁপাতে হাঁপাতে হাজির নয়ন …………
নয়ন: আমি তোমাকে কিছুকথা বলবো,আখি?(অপ্রস্তুত কন্ঠে)
আঁখি: বলো।
নয়ন: কিন্ত কিভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা।
আঁখি: কেন? তোমার মত ট্যালেন্ট কি বলবে?যা বুঝতে পারছো না?
নয়ন: না মানে,ই ই……
আখি: কি? (রাগান্বিত স্বরে)
নয়ন: আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আঁখি: কি? তোমার মত ছেলে ভালবাসে আমাকে? কি যোগ্যতা আছে তোমার? এক টাকা তো ইনকাম করতে পারোনা। আমি যাকে ভালোবাসি সে প্রতিমাসে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর তুমি…………….
যদি তুমি তারচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারো তাহলেই তোমাকে ভালোবাসবো শর্ত জুড়ে দিল আঁখি। আখির কথা শুনে মনের অজান্তেই চোখববেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো নয়নের।
কয়েকবছর পর……
বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরেছে নয়ন।এবং অনেক বড় কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকুরীর অফার পেয়েছে। এবার ছুটে গেল আঁখির কাছে……
নয়ন: আমি তোমার শর্তপুরন করেছি,আখি?
আঁখি: দুচোখ বেঁয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। আমি জানতাম তুমি পারবে। যেদিন তুমি ভালোবাসি বলেছিলে তখন অন্য কাউকে ভালবাসতাম না? তোমাকেই ভালোবাসতাম।
নয়ন: তাহলে সেদিন অস্বীকার করেছিলে কেন???
আঁখি:সেদিন যদি আমি স্বীকার করতাম তাহলে আজ তোমার জীবনটা বরবাদ হয়ে যেত। তুমি এত বড় হতে পারতে না। বিশ্বাস করো সেদিনের পর থেকে আমি একমুহুর্তও শান্তিতে থাকতে পারিনি। প্রতিটা মুহুর্ত ভেবেছি তুমি কি আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নয়নের চোখ দিয়েও গড়িয়ে পড়ছে আনন্দের বন্যা।
নয়ন: এই পাগলি তুমি কাঁদছো কেন?আর তো হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। চলো শুরু করি নতুন জীবন।