ওরা ছিলো সাত জন, বেশ ভালো বন্ধু ওরা কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারেনা।সামনে ভালোবাসা দিবস নিয়ে সবার মাথা থেকে
বেশ ভালো প্ল্যান বের হচ্ছে ১৩ই ফেব্রুয়ারি রাতে,সবার গফ নেই, মাএ তিন জনের আছে,সবার আবার প্রেম করার যোগ্যতা
নেই।বেশ ভালো গার্ল ফ্রেন্ড তাদের।
পরদিন সকালে সবাই বেশ স্যুটেড বুট্যাড হয়ে বের হল, এদিকে তাদের গফ রাও বের হলো সারাদিন এদিক সেদিক ঘুরা ফেরা
করে বেশ ভালো রোমান্টিক মুডে ছিলো সবাই।গফ রা তো বেশ খুশি আজ ভালোবাসার দিবসে অনেক গুলো উপহর পেয়েছে,
এদিকে বফ গুলোর তো পকেটের অবস্থা বেশ খারাপ।
বেশ আনন্দ ফুর্তির পর এবার বাসায় যাবার পালা, কিন্তু না বফ রা তো বাসায় যেতে দিবেনা, কেননা সারাদিন তো ছেলেরা তাদের
ভালোবাসার গভীরতা দেখিয়েছিল, এবার মেয়েদের দেখানোর পালা, সেই গভীরতা না দেখে কি তাদের ছাড়বে কথিত গফ রা।
অনেক অনুনয় করে তাদের হ্যাঁ সম্মতিতে নিয়ে গেলো পূর্বের প্ল্যান মাফিক ভাড়া করা হোটেলে ,বেশ সাজানো গোছানো
পরিপাটি হোটেল তিন জন তিন রুমে ঢুকে গেলো, এদিকে বাকি চার জন কে বিদায় দিয়ে দিলো গফ রা।শুরু হলো কথিত
ভালোবাসার গভীরতা দেখানোর পালা, কিন্তু তার সাথে যদি একটু ড্রিংকস না হলে পুরো হবে না যে আজকের গভীরতা পরীক্ষা।
গফ দের আবদার মেটানোর পর যখন বন্ধুদের আবদার মেটানোর কথা উঠলো তখনি হলো যত বিপওি, এতে কোন গফ রাজি
নয়, কিন্তু বফ রা তো নাছোড় বান্দা।বেশ সুকৌশলে তাদের ড্রিংকসের সাথে ভারী নেশার দ্রব্য মিশিয় দিয়েছিলো বাকী চার বন্ধু যা
তাদের অন্য তিন জনের অজানা ছিলো,
যখন তারা ছয়জন নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে তখন বাকি চার জন পৈচাশিক নির্যাতনে মেতে উঠে,তাদের গফের আত্ম চিৎকার বফের
কান পর্যন্ত পৌছালেও বফের কোন কিছু করার থাকে না।
পরদিন সকাল,,,,,,,
হাজারো কষ্ট আর অভিমান নিয়ে যখন হোষ্টেলের দরজায় আঘাত করে তখন ভেতর থেকে ম্যাম তাদের বাবা মা কে বাহিরে এনে
তাদের হাতে কথিত নির্যাতিত গফ দের মা বাবার হাতে তুলে দেয়।
শত অভিমান, কষ্ট ,লজ্জা , উপেক্ষা করে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক চলা ফেরা শুরু করে গফ রা।হটাৎ একদিন অস্বাভাবিক বমির
মাধ্যমে বুঝতে পারে তাদের কিছু একটা হতে যাচ্ছে।কথিত বফ দের যখন এব্যাপার জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হয় সেদিন
থেকেই তাদের সম্পর্ক বল্ক লিস্টের বাসিন্দা দের হয়ে যায়।
ডিসেম্বরের কোন এক সকালে পএিকার এক কোনে তিনটি নবজাতক বাচ্চা ডাস্টবিনের দ্বারে পড়ে থাকার খবর আসে।
…………………………………….সমাপ্ত……………………………..