মায়া-পরী

মায়া-পরী

আজ আমার মনটা খুব খারাপ। গল্প লিখতে ইচ্ছে করছিল না। তাও অনেকের অনুরোধে এই পরীর গল্পটা লিখলাম।
.
আমার ছোট বেলা থেকেই পরীদের দেখার খুবই ইচ্ছা ছিল।

আমি রোজ রাতে পরীদের নিয়ে ভাবতাম পরীরা দেখতে কেমন,

পরীরা কোথায় থাকে???তারা কি আমাদের মতো মিলেমিশে বাস করে ইত্যাদি ভাবতে ভাবে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেও

পারি নি।মধ্যো রাতে একটি অপৃর্ব সুন্দর গানের শদ্বে আমার ঘুম ভেঙে

গেল।আমি বিছানা থেকে বাড়ির বাহিরে এসলাম দেখি একটা মেয়ে আমাদের উঠানে দাড়িয়ে আছে।আমি মেয়েটার কাছে গিয়ে

জিঙ্গাস করলাম:- এই মেয়ে তুমি কে, আর এতো রাতে এখানে

কি করছো??? মেয়েটা পিছনে তাকাতেই তো আমি আবাক হয়ে গেলাম। মেয়েটার মতো এতো সুন্দর চেহারা আমি আগে কখনো

কোথাও দেখি নি।হঠাৎ করে মা পিছন থেকে ডাক দিল:-
.
–কিরে এতো রাতে এখানে কি করছিস। (মা)
.
–মা দেখ ওই মেয়েটা।(আমি)
.
(পিছনে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা নেই আমি আবার আচার্য হয়ে গেলাম)
.
–কোন মেয়েটা।
.
–এখানে একটা মেয়ে ছিল মা।
.
–বাজে বকা বাদ দে। এখানে
কোন মেয়ে টেয়ে নেয়।
.
–মা আমি বাজে বকছি না। তুমি বিশ্বাস করো এখানে একটা মেয়ে ছিল।
.
–যা গিয়ে ঘুমিয়ে পর। এতো রাতে ঘুম

থেকে উঠেছিস তাই এমনটা মনে হচ্ছে।

আমি ভাবলাম মার কথাই হয়তো সত্য হবে। আমি বাধ্য ছেলের মতো ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
.
পরের দিন খুব সকালে ঘুম থেকে

উঠে খাওয়া দাওয়া করে গরু নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম গরুকে মাঠে

ঘাস খাওয়ানোর জন্য। মাঠ থেকে একটু দূরে একটি নির্জন বন

আছে।মার কাছে শুনেছি অনেক দিন আগে নাকি ওই বনে পরীরা

বাস করতো।সন্ধার পর নাকি সেই বনের আসে-পাশে কেউ যাওয়ার সাহস পায় না। আমি প্রতিদিন সেই মাঠে গরুকে ঘাস

খাওয়াতে নিয়ে যাই।প্রতিদিনের মতো আসও সেই মাঠে গরুকে

ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছি। সেই মাঠে মধ্য অনেক পুরোনো

একটি বট গাছ আছে আমি সেই বট গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি নিজেও জানি না। ঘুম থেকে

উঠে দেখি গরুটা নেই। আমি গরুটাকে খুজতে খুজতে বনের মাঝে ডুকে পড়েছি। একটু দুরে দেখি একটা মেয়ে আমার গরুটা

নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ওই মেয়ে তুমি কে আর আমার গরুটা তোমার কাছে আসলো কিভাবে???মেয়েটা পিছনে তাকতেই আমি

হতবাগ হয়ে গেলাম এতো দেখি সেই রাতের মেয়েটা””””

আমি সামনে এগিয়ে যেতেই মেয়েটা কোথায় যে উদাহ হয়ে গেল*

আমি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম। গরুটাকে নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসলাম।
.
পরের দিন আমাদের গ্রামের সবচেয়ে বড় হাট রতনকান্দি হাট।

আমাদের বারি থেকে ৩ কি:মি: দূলে হাটটা।হাটে যাওয়ার মতো

কোন গাড়ি গোড়া নেই পায়ে হেটেই হাটে যেতে হয় এবং পায়ে

হেটেই হাট থেকে বাড়িতে ফিরতে হয়।আমার হাট করতে করতে

সন্ধা হয়ে গেল।আমি কিছুক্ষণ রাস্তায় দাড়িয়ে থাকলাম যে আমাদের বাড়ির আশে পাশের কেউ আসলে তার সাথে গল্প

করতে করতে বাড়িতে যাও তাহলে রাস্তাও অনেক এগাইকে

কিন্তু আমাদপর বাড়ির আশেপাশের কাউকেই না পেয়ে একা

একা রওনা দিয়াম বাড়িতে ফেরার জন্য।রাত তখন ৮:৪৫।

আমি সেই পরীদের বনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ করে

রাস্তার পাশে দেখলাম একটা মেয়ে বসে বসে কাদছে।আমি

মেয়েটার সামনে গিয়ে দাড়ি জিঙ্গাস করলাম এই মেয়ে তুমি এখানে একা একা বসে কাদছো কেন?????মেয়েটা আমার দিকে

তাকালো এতো দেখি সেই বমার সাথে প্রতি নিয়ত দেখা হওয়া অপরূপ চেহারার মেয়েটা।আমি মেয়েটাকে সাহস করে জিঙ্গাস

করলাম এই মেয়ে তোমার নাম কি??আর আমাকে বার বার দেখা

দিচ্ছ কেন?????মেয়েটা বললো আমার নাম মায়া পরী।

হঠাৎ করে মায়ের চেচামেচিতে ঘুম ভেঙ্গে গেল।আমি দেখি কোথায় সেই মেয়েটা আর কথায় সেই বনের রাস্তা আমি তো আমার

বিছানায় শুয়ে আছি।তখন বুঝলাম আমি দূর স্বপ্ন দেখেছি।মা বললো এতো বেলা করে ঘুমাচ্ছিস কেন???

যা ফ্রেশ হয়ে নে আমি তোর জন্য টেবিলে খাবার দিয়েছি!
.
………………………………….(সমাপ্ত)……………………………………..

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত