আমার পরিচিত একজন ভাই আছেন , যিনি তার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একই মেয়েকে মোট সাতান্নটা চিঠি দিয়েছিলেন ;যার একটা জবাবও তিনি পাননি । ক্যাম্পাসে যতবার তার সাথে মেয়েটির দেখা হত ততবার কোন এক জটিল চিন্তা মেয়েটির মাথায় ভর করত আর উদাস মেয়েটি অন্য কোন দিকে তাকিয়ে ভাব দেখিয়ে তার পাশ দিয়ে হেঁটে যেত । পাস করার পর অনেক জায়গায় অনেক চাকরির পরীক্ষা দিতে।দিতে জুতোর আয়ু।খরচ করেছেন , লাভ।হয়নি । পুরো দুনিয়ার কাছে তিনি কিছুই না ।
তারপর ধুপ করে একদদিন তিনি জানতে পারেন তিনি এখন থেকে আর সাধারণ কেউ নন , হয়ে গেলেন অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার অব পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ , সোজা কথায় ম্যাজিস্ট্রেট। ব্যাস , সবকিছু কেমন বদলে গেল । বন্ধুদের আড্ডায় তাকে বন্ধু কম আর স্যার স্যার টাইপ ট্রীট করা বেড়ে গেল । যে মেয়েটা চিঠির জবাব দিতো না সে ও “Congrats vaiya, I am so happy!” লিখে মেসেজ দিতে শুরু করলো । আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খালি চা এর বদলে সাত আট পদের খাবার আসতে লাগলো । আরো কত কি……….
দ্রুত ঘোর কেটে ছেলেটা নিজের অতিত লাইফকে একবার রিওয়াইনড করে জুম করে দেখে নিল । সাতান্ন চিঠি যে কাজ পারলো না , একটা পদবী সে কাজটা যে শুধু করে দিল তাই না , বরং বলতে গেলে প্লেটে করে সামনে এনে হাজির করে দিল ।
উপদেশঃ অন্য সব চিন্তা বাদ দিয়ে আগে তুমি তোমার লাইফের ফোকাসটা ঠিক করো , অ্যাডিশনাল কোন ফ্যাক্টর কখনো ফোকাস হতে পারে না । শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে একটা জীবন কখনোই সাজানো সম্ভব না । বৃষ্টিতে শখ করে ভেজা আনন্দের হতে পারে তবে বাধ্য হয়ে ছাতার অভাবে ভেজা কষ্টের , ভয়ংকর কষ্টের । তোমার কাছে যখন মধু থাকবে তখন অসংখ্য শুভাকাংখী তোমার খোঁজ খবর নিবে , ভালো মন্দ জানতে চাইবে । এগুলোর অ্যাটিওলজী তুমি না , তোমার কাছে থাকা মধুটা । তাই নিজের কাছে থাকা এই মধুর ডিব্বাটার যত্ন নিও ।.
মনেরেখ , ভোমরার অভাব না থাকতে পারে পৃথিবীতে ,মধূ কিন্তু সবার কাছে থাকে না । কষ্ট করলে ঐ মধু সংগ্রহের জন্য করো , আশে পাশের ভোমরা গুলাকে আটঁকে রাখতে করো না ।
এয়ারটেলের অ্যাড দেখে বন্ধুত্ব শিখো না, তাহসান এর নাটক দেখে প্রেম শিখো না । এগুলোতে হাজারটা জ্ঞানের কথা থাকতে পারে , তবে সবার অভিভাবক টাকা কিংবা অবস্থানের কথা কখনো লেখা থাকে না ।