সুইট ভালবাসার গল্প

সুইট ভালবাসার গল্প

– সাহরিয়য়য়য়য়য়য়া পালাআআআআআ (রাজু) ।
– সেই স্কুল এ পড়তে একবার কুকুরের তাঁরা  খেয়ে যেমন দৌড়ানি দিছিলাম ঠিক তেমন  ভাবে দৌড়াইতাছি ,  যেই দিন থেকে মিষ্টি আপুরে প্রেমে  পরছি তার পর থেকে এমন দৌড়ানির  ওপরে আছি ।  দুঃখের কথা কী আর কইতামরে ভাই , মিষ্টি আপুরে নাকি ওই আমাদের এলাকার  বড় ভাই রকি ও ভালবাসে ।

ঝামেলা তো ওই খানেই , কিন্তু হালাই এখন ও  কইতে পারে নাই ।  আর আমি সিওর মিষ্টি আপুরে কইলে কানের  নিছে দিবে একটা , আর আপনারাই বলেন আমার
মতো একটা মিষ্টি কিউট ছেলে থাকতে  ওই গাঙ্গা খোরকে ভালবাসতে যাবে কোন দুঃখে হি হি হি ।

সালাই আপুরে তো কিছু কইতে পারবে না  ক্যালানি খাইলে তো আমি খামু , ওর আবার  মেলা পোলাপান আছে , আসলে আমাদের দেশ এ  তো আবার গাঙ্গা খোর এর কোন অভাব নাই ।

কিন্তু আমি দৌড়াইতাছি ক্যান , ওই রকি কে কী  আবার রাজু দেখছে নাকি ।
– ওই সালা আমরা দৌড়াইতাছি ক্যান ।
– আরে আমার বাপরে বাজারে দেখলাম তাই ।
– কীইইইইই কইলি হারামি , তোর বাপের জন্য আমারে  আত্ত দৌড়ে নিলি ।
– কী করমু ভাই “ক” বাড়িত থেকে ৫ হাজার টাকা  নিয়া বলছি সাহরিয়া হাসপাতালে ।
– কীইইইইইই হারামি তুই , ভাল আমিটারে মাইরে দিলি ।  এখন ওই ৭৫% বেড় কর ।
– ভাই আজকে গফ এর সাথে দেখা করতে যামু ।
– ঠিক আছে যা একহাজার দে ।
– হুমমমমমমম এই নে , আমার বাপ কিছু বললে একটু  ম্যানেজ করিস ।
– আচ্ছা তাহলে আরও এক হাজার দে ।
– কীইইইইইইইই কেন ।
– আগের টা তো আমারে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ,  তোর বাপরে ম্যানেজ করার জন্য তো না । এখন যদি না দিশ আমার আর কীইইইইই করার ।
– ঠিক আছে ভাই এই নে , তবু কিছু বলিস না ।
– হি হি হি কোন টেনশন নিসনা ভাই আমি তো আছি , আরামছে লাইন মার ।
– ঠিক আছে আমি গেলাম ।
– হুমমমমমমম যা , আমি ও যামু ।

বাসাই আসছিলাম , কত্ত বড় হারামি  আমারে নিয়া ও মিছা কথা কয় ।  আর ওই দিকে রকি সালার জ্বালাই বাঁচি না ,  আবার মিষ্টি আপুরে ও কিছু কইতে পারি না ।
আবার মিষ্টি আপু ও আমরে মনে হয় আমরে  ভালবাসে , তা না হলে ক্যান প্রতিদিন ঘুরতে  নিয়ে যাবে , এ সালা মহা ঝামেলাই পরছি যেমন ।

বাসাই এসে গোসল করে শুয়ে শুয়ে গান শুনছি ,

হঠাৎ মিষ্টি আপুর ফোন …।।

– হ্যালো … সাহরিয়া স্পিকিং ।
– ওই বেয়াদপ কী করছিস ।
– আমি এই তো এক হাতে ফোন নিয়া  দাঁড়াই দাঁড়াই হিসি করছি ।
– ছি ছি ছি তোর মুখে কী ভাল কথা আসে না ।
– হুমমমমমম আসে তো , এই তো এখন  পা দুইটা ওপরে তুলে শুয়ে আছি , তুমি  কী করো ।
– গোসল করে এখন ছাঁদে হাঁটতেছি ।
– বাহ বাহ বাহ ভালো তো , আচ্ছা কত বালতি  পানি দিয়া গোসল করছ ।
– কেন বলতো ।
– না মানে অ্যান্টি আমারে ফোন দিয়া কইল  তুমি নাকি ৭ দিন যাবৎ গোসল কর নাই , সেই  হিসেবে যদি আমরা পার দিন ৩ বালতি করে  ধরি তাহলে ৭ দিনে ৭*৩= ২১ বালতি পানি  দিয়ে তোমারে গোসল করা দরকার ,  এখন বল কত বালতি পানি দিয়া গোসল সম্পন্ন করছ ।
– তোকে কাছে পাইলে না একটা থাপ্পড় দিমু বেয়াদপ ,  আজকে বিকেলে আমাদের বাসার সামনে আসবি ।
– কীইইইইইই কেন ।
– আস্তে বলছি তাই আসবি ।
– আচ্ছা কয়টাই আসমু সেটা তো বললা ।
– আচ্ছা ৪ টায় আসবি ।
– হুমমমমম টিক আছে , যাইতামনি ।
– তারপর ফোনটা রেখে দিলাম , কী আছে কপালে  আল্লাহ্‌ যানে , একদিকে মিষ্টি আপু অন্য দিকে ওই  সালা রকি ।

এর পরে ৪ টা ২০ মিনিটে মিষ্টি আপুর বাসার  উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলাম , আমাদের বাসা  থেকে মিষ্টি আপুদের বাসাই যাইতে ১০ মিনিট  লাগে ।

আমার ভাই একটা সিক্রেট ব্যাপার আছে ,  সেটা হইল আমার কানে যদি কোন ঝাক্কাস  হিন্দি গান আসে , তাইলে কেমনে যানি সাহরিয়া ২  ইনস্টল হয়ে যায় । তখন আমি পুরাই চেঙ্গ হয়ে যাই ।  এইটা কেন হয় সেটা আজ ও বুঝিনা , তখন যদি  রকি কেন ওর বাপ আসলে ও কোন দাম নাই , খালি  যতক্ষণ গানটা আছে ততক্ষণ হি হি হি ।

হঠাৎ একটা বইক আমার সামনে আসলো ।
– ওই তুই সাহরিয়া ।
– জী ভাইয়া আমি সাহরিয়া বলেন ।
– তুই মিষ্টি ভাবির সাথে আর কথা বলবি না ।
– হি হি হি ভাইয়া আমি তো কথা বলতে চাই না  হেই তো খালি কথা কয় ।
– ওকে তো কই যাস ।
– ওই যে আপনাদের মিষ্টি ভাবি আমারে ডাকছে তাই  যাচ্ছি ।
– ওই তোরে না কথা বলতে মাত্র নিষেধ করলাম ।
– আরে ভাই কথা না বললে তো হেই আমারে ক্যালাবে ।
– আর কথা বললে আমরা ক্যালামু ।
– আচ্ছা এতই যখন প্রবলেম আমারে না বলে তারে  বললেই তো পারেন ।

– ওই তুই এখান থেকে যাবি নাকি ক্যালানি খাবি ।
– হায় কপাল আমার , হুমমমমমম যাচ্ছি ।  চলে আসতে লাগলাম ।  পিছন থেকে মিষ্টি আপুর ডাক ।
– ওই সাহরিয়া কই যাস ।
– এই যে ইনারাই তো চলে যাইতে কইল ।
– ওমনি পোলা দুইটা চলে গেল ।
– কী হইছে বলতো ।

– মেলা কিছু হইছে আবার কিছুই হয় নাই ।
– ওই সোজা সুজি কিছু বলতে পারিস না হুমমমম ।
– না মানে ওই যে আমাদের এলাকার রকি আছে  না হেই নাকি তোমারে ভালবাসে ।  আর আমি তোমার সাথে এমন আঠার মতো থাকি  তাই আমারে যেখানে সেখানে দৌড়ানি দেই ।
– কীইইইইইই তুই এত কিছু আমাকে আগে বলিস নাই  কেন ।
– আচ্ছা থাক বাদ দাও , এবার বল কই যাবা ।
– জানি না , যা রিক্সা নিয়ে আয় আজকে রিক্সাই ঘুরব ।
– হি হি হি আমার কাছে কিন্তু মাত্র ২০ টাকা আছে ।
– তোরে টাকার কথা বলছি আমি ।
– না তো ।
– তা হলে যা বলছি তাই কর ।
– ওকে ওকে আনতেছি ।
– একটা রিক্সা নিয়ে আসলাম ।  ওহ ম্যাডাম দাড়াই থাকবেন নাকি  উঠবেন ।
– হাত দে ।
– কেমন জানি খটকা লাগল হঠাৎ হাত কেন ,  কিছু না বলেই বাড়িয়ে দিলাম , কী সুন্দর নরম  হাত , আগে সুধু এই হাতের ক্যালানি খাইছি ।  এই প্রথম এমন ভাবে ধরলাম ।  উঠার পর ও কেমন আমার হাতটা ধরেই  আছে ।  একটু ডানে তাকাতেই দেখি রকি দূরে থেকে আমাদের দেখছে ,

দূর যেই যা দেখে দেখুক এমন একটা পরীর  জন্য আমি মরতে ও রাজি আছি ।
– আপু একটা কথা বলি ।
– হুমমমমমম বল ।
– আজকে না তোমাকে হেব্বি লাগছে ,
এখন যদি কেও আমাকে তোমাকে বিয়ে করতে  বলে আমি চোখ ব্ন্ধ কবুল বলে দিব ।  হায় হায় মুখ ফসকে বলে ফেলছি ।

কিন্তু অবাক করা ব্যাপার মিষ্টি আপু কিছুই  বলে নাই ।  সেই দিন রাত ৮ টা অব্দি ঘুরলাম , তারপর  আপুকে বাসাই নেমে দিলাম ।
– এই যে আমার বাঁদরটা ভাল করে বাসাই যাবা  কেমন ।
– হুমমমমমম , তার কথা শুনে কেমন হা করে  ছিলাম ।
– এই যে মামা একটু দাঁড়ান , দেখি  মাথাটা এইদিকে নিয়ে আয় ।
– কেন ।
– কেমন চুল গুলা কাকের বাসার মতো হয়ে  গেছে ।  এবার ঠিক আছে বাসাই গিয়ে একটা ফোন দিবি ।
– আচ্ছা ঠিক আছে ।

– কেমন জানি খুশি খুশি লাগছে ,  একটু আসতেই ২ টা বইক রিক্সার সামনে  থামল ।  একজন রিক্সা থেকে শার্টের কলার ধরে  নামাল , একটা চর দিতেই অজ্ঞান হয়ে গেছি ।  তারপর আর মনে নাই ।

পরের দিন চোখ খুলতেই দেখি মিষ্টি আপু  দাঁড়াই আছে আর  চোখে পানি টলমল করছে ।
– হাত পা একটু টানা দিলাম , না সব ঠিক আছে ।  যাক অজ্ঞান হয়ে যাওয়াই হয়ত ভয়ে আর মারে নাই ।
– ওই তোর কী হইছিল কালকে ।
– হি হি হি দাঁড়াও আগে আব্বা রে থেইকা শুনে নেই  কেমনে বাসাই আসলাম ।
– হারামি আঙ্কেল বাসাই নাই ,  বাজারে গেছে তোরে কালকে রাতে কত  ফোন করলাম , ধরলি না তাই সকালে এসে  আঙ্কেল এর কাছে শুনলাম ।  তুই নাকি অজ্ঞান হয়ে রাস্তাই পরে ছিলি  ২ টা পোলা বইকে করে এসে দিয়ে গেছে ।
– যাক যা ভাবছিলাম তা হয় নাই ,

তারপর আসল ঘটনা আপুরে খুলে  কইলাম ।

– আচ্ছা তুই আমারে ভালবাসিস ।
– হায় হায় হ্যাঁ বলব নাকি না বলব  ভেবে পাচ্ছি না ।
– ওই কী হল বল ।
– হ্যাঁ বাসি ।
– কীইইইইইইইইইইইইই ।
– না না না বাসি না মুখ ফসকে বের হইছে ।
– কীইইইইইই বললি ভালবাসিস না আমাকে ।
– হি হি হি তোমারেই তো ভালবাসি ।
– সারাজীবন ভালবাসবি ।
– হুমমমমমমম সারাজীবন ভালবাসব ।
– তা হলে এবার চল ।
– কই যাব ।
– রকির কাছে ।
– কীইইইইই কেন ।
– তুই আমাকে ভালবাসিস সেটা বলবি ।
– ওই তোমার মাথা খারাপ , হেব্বি ক্যালাবে আমাকে ।
– ওরে যদি তুই না বলিস তা হলে আমি রকিরে বলব আমি তোরে  না ওরে ভালবাসি , এখন তুই ঠিক কর ।
– না না না আমিই ওরে বলব ২ টা দিন সময়  দাও ।
– কোন সময় না এখনই গিয়ে বলবি ,
ওই কই যাস ।
– দাঁড়াও আগে একটু হিসি করে আসি ,
হইছে এবার চলো ।

আমি রকির সামনে রকির ভয়ে দাঁড়াই আছি  রকি মিষ্টি আপুর ভয়ে দাঁড়াই আছে ।
– ওই কী হল বল তারাতারি ।
– হুমমমমমম বলছি ।

রকি ভাইয়া মানে যা বলছিলাম , আপনি  কিছু মনে কইরেন না কেমন , আমি মানে  না মানে আমি ।
– থাক তোর বলা লাগবে না , আমি বলছি ।
এই যে আপনে শুনেন আমি এই গাধা টারে  ভালবাসি , ওমন ভাবে দেখে লাভ নাই ,  বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না ।
ওমনি ফট করে একটা পাপ্পি দিল ,  ওই দিকে তো রকি জ্বলে পুরে ছাই হয়ে গেছে ।
– কী এবার বিশ্বাস হইছে , আর হ্যাঁ আমাদের মাঝে  আসার চেষ্টা করবেন না ।  সাহরিয়া চল বলে আমার হাত ধরে  টেনে নিয়ে গেল ,
কেমন সীনেমার স্টাইলে আমি তো খালি হা  করে আছি কী থেকে কী হয়ে গেল । হি হি হি হি কি  কপাল আমার খালি পাপ্পি পাই ………।

সব গল্পের শেষ এ যা হিসি চাপে কী  আর কমু …আচ্ছা আপনাদের ও কী গল্প  পরতে পরতে হিসি চাপে ।।হি হি হি থাক বলা  লাগবে না ।।

……………………………………………সমাপ্ত……………………………………

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত