এই শুনছো কখন থেকে তোমাকে ডেকে যাচ্ছি। তুমি একটু কথাও বলছো না। এত রাগ কেউ করে বলো? দেখো তোমার আর আমার পছন্দের রজনীগন্ধা এনেছি এবার তোঁ কথা বলবে? আমি জানি রজনীগন্ধার সুভাষ তোমার রাগটা কমিয়ে দিবে অরণ্য। তুমি তোঁ সব সময় বলতে রজনীগন্ধার সুভাষ তোমার মনটা ভালো করে দেয়।সব রাগ অভিমান নিমিষেই ঠিক করে দেয়।তাই নিয়ে এসেছি। আজ তুমি আমার সাথে আর রাগ করে থাকতে পারবে না অরণ্য। কি গোঁ কি হলো? আবারও চুপ করে আছো? দেখো অরণ্য আমাকে রাগাবে না বলে দিচ্ছি। কখন থেকে তোমাকে ডাকছিলম আর তুমি না শুনার ভান করে আছো। যেন কিছুই শুনছো না। এটা কিন্তুু ঠিক হচ্ছে না বলে দিলাম। এইভাবে কেউ রাগ করে? তুমি তোঁ জানো আমি রাগ ভাঙতে পারিনা তোমার মতো করে। তবুও দেখো কতো ভাবে বলছি তোমাকে কিন্তুু তুমি তোমার রাগ নিয়েই আছো। আমার কথা একটু ও ভাবছো না। অরণ্য তুমি তোঁ সব সময় বলতে আমার থেকে তুমি অনেক বেশি ভালোবাসো আমায় । আর আমিও জানি সেটা কিন্তুু এতো ভালো যাকে বাসো তাকে এভাবে কষ্ট দিতে তোমার খারাপ লাগছে না? তুমি যে আমার সাথে রাগ করে আছো কথা বলছো না। এতে যে আমার কষ্ট হচ্ছে তুমি তোঁ সবটা বুঝতে পারছো তবুও কেন এমন করছো।আচ্ছা ঠিক আছে একটু ঝগড়া করার জন্য হলেও কথা বলো প্লিজ!
আমাকে গালাগাল করবে বকা দিবে দেও কিছু বলবো না। তবুও একটু কথা বলো অরণ্য। আচ্ছা দেখো কথা দিচ্ছি তোমার সাথে আর রাগ করবো না কথায় কথায়। আর অভিমান করবো না আগের মতো আর তোমাকে এতো কষ্ট করে অভিমান ভাঙ্গাতে হবে না। এখন থেকে তুমি অভিমান করো আমি ভাঙ্গাবো ঠিক আছে? আরে হ্যাঁ সত্যি বলছি তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না? আমি এখন অভিমান ভাঙ্গাতে শিখে গেছি। কি করবো বলো? তোমার মেয়েটা সব কিছু তোমার পেলেও অভিমান টা আমার পেয়েছে। তাই তোমার মেয়ের অভিমান ভাঙ্গাতে ভাঙ্গাতে ভালো করেই শিখে গেছি। আচ্ছা অরণ্য আর কতো রাগ করে থাকবে? মেয়েটার জন্য হলেও তোঁ বাড়ি ফিরবে। আর তুমি তা না করে রাগ করে বাচ্চা ছেলের মতো করছো। অরণ্য কয়েক বছর তোঁ হলো এখনকি তোমার আমার প্রতি একটু রাগও কমেনি ? জানো মেয়েটা খুব কাঁদে, তোমার কাছে আসার জন্য তোমাকে দেখার জন্য। তোমার কোলে করে দোকানে যাবার জন্য। আচ্ছা মেয়েটার জন্য ও মায়া হয় না তোমার? কেমন বাবা গোঁ তুমি? মেয়েটাকে দেখতেও তোঁ একবার আসতে পারো। আচ্ছা ঠিক আছে আমার সাথে নাইবা কথা বললে মেয়েটার সাথে তোঁ বলতে পারো। অরণ্য তুমি জানো তোমার রাখা নামটার মতই তোমার মেয়েটা হয়েছে পুতুল এর মতো । আর তুমি তোঁ নামটা রাখার সময় বলেছিলে অনামিকা দেখো আমার মেয়েটা পুতুলের মতই হবে। অরণ্য তোমার পুতুলকে কি একবারও দেখতে ইচ্ছে করে না? সে ২ মাস যখন বয়স মেয়েটা তখন যে চলে এলে আর গেলে না। এখন ওর ৬ বছর জানো? সব কথা বলতে পারে আর খুব চঞ্চল মেয়েটা!! আর খুব দুষ্টু একদম অভিকল তোমার কার্বন কপি হয়েছে। মেয়েটা হঠাৎ করেই চুপ হয়ে যায় কেন জানি।তখন কারো সাথে কথা বলে না একলা একলা রুমে বসে থাকে বা বাগানে গিয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করে। ঐদিন দেখি বাসায় পেছনে যে গাছের নিচে একা একা কাঁদছে। তখন জিজ্ঞাস করতেই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলো আম্মু আমার আব্বু কবে আসবে? পাশের বাসার নূপুর নাকি তার বাবার কোলে করে দোকান থেকে মজা কিনে এনেছে। আর ও সেটা দেখেই কাঁদছে। যে সে কবে তার বাবাই এর কোলে করে নূপুর এর মতো দোকানে যাবে।তার বাবাই কেন আসে না তাকে আদর করে না। জানো অরণ্য ঐদিন মেয়েটাকে আমি কিছু বলতে পারিনি। মেয়েটার সাথে আমিও খুব কেঁদেছি। হা হা! জানো তোমার মেয়ে আমার কান্না দেখে ও নিজের কান্না বন্ধ করে আমাকে বলছিল। যে আম্মু কেঁদো না আব্বু চলে আসবে কিছুদিন পর আর আমার চোঁখের পানি মুছে দিয়ে ছিল। তখন মনে হচ্ছিলো ও আমার মা আমি ওর মেয়ে। আমি যে কথা বলে ওকে বলতে পারিনি ও আমাকে তা বলে দিয়েছিলো। তখন আরো বুঝলাম মেয়েটা তোমার সবকিছুর সাথে সাথে মনের শক্তি টাও পেয়েছে। তোমাকে পেলে যে কতো খুশি হবে মেয়েটা তা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না। অরণ্য এবার না হয় চলো আমার সাথে। কি গোঁ এখনো কথা বলবে না? জানো অরণ্য তুমি ছাড়া আমি কতোটা অসহায়? কতোটা কষ্টে কতোটা যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বেচেঁ আছি?একটুও কি খবর রাখো আমার? তোমার অনামিকা আগের মতো নেই। যে চোঁখ দেখে তুমি আমার প্রেমে পরেছিলে আর বাসর রাতে বলেছিলে অনামিকা তোমার কাছে আমার একটাই চাওয়া তুমি আমার সামনে কখনো, চোঁখে কাজল ছাড়া এসো না।কারন আমি তোঁমার এই কাজল মাখা চোখে যতো বার চাইবো ততবার আবার নতুন করে তোমার প্রেমে পরবো। আর তোমার এই চোঁখের গভীরে নিজেকে একবার নয় বারবার ঘুরে আসবো ।
অনামিকা আমার এই চাওয়াটা কি তোমার কাছে খুব বেশি অন্যায় হয়ে যাবে। যদি চাই? আমি তখন হেসে বলেছিলাম আচ্ছা ঠিক আছে। কেউ যদি কাঁজল কিনে দিতে পারে তবে আমিও তার জন্য দিতে পারবে। আর এতটুকু কষ্ট তোঁ স্ত্রী হিসাবে করতেই পারি। আর তুমি এ কথা শুনার পর কি খুশি না হয়েছিলে। আর আমিও সব সময় তুমি বাসায় থাকলে বা আসছো জানলে। আগে কাঁজল দিয়ে নিতাম চোঁখে। তা না হলে তুমি আর আমার সাথে অভিমান করে কথা বলতে না।
জানো মাঝেমাঝে হাসি পায় তোমার ঐসব কথা মনে পরলে। মাঝে মাঝে তোঁ একলা একলাই হাসি পাগলের মতো। অরণ্য তোমার অনামিকা আর কাজল দেয় না। যে চোঁখের প্রেমে পরতে বারবার সে চোঁখ আজ ঘোলা হয়ে গেছে । যে চোঁখে গভীরে তুমি ডুবতে। সে চোঁখ আজ জলশূন্য চৌচির মরুভূমি। তুমি আমাকে ছেড়ে চলে আসার পর আর এই চোঁখে কাঁজল মাখিনি। আর কার জন্যই বা মাখবো আমি?এই চোঁখের প্রেমে পরার মানুষটা তোঁ আমার কাছে নেই। আচ্ছা অরণ্য তুমি কি চাও না আমি আবার চোঁখে কাঁজল দেই?একটু আসলে কি এমন ক্ষতি হয় তোমার বুঝিনা!আচ্ছা ঠিক আচ্ছে এখন চলো এখন আমি নিতে এসেছি তোমায়। আর রাগ করে থেকো না দোহাই তোমার। কি হলো তুমি কথা বলবে না এইতো ? আসলেই তুমি খুব খারাপ হয়ে গেছো! আমাকে আর ভালোবাসো না তুমি, জানি আমি সব জানি। আমি কিন্তুু চলে যাবো রাগ করে এখন বলে দিলাম তোমায়। ঐদিন জানো পাশের বাড়ির এক লোক কেমন করে যেন আমার দিকে তাকাছিলো। কিছুদিন ধরেই একটা লোক বাজারে যাওয়ার সময় আমার পিছুনেয় আমি বুঝতে পারি। ঐদিন তো তোমার বড় মামার ছেলে শফিক বাসায় এসেছিলো। সেও আমার সাথে কেমন করে যেন কথা বলছে। কথাবার্তা বুঝা যাচ্ছিলো সে পুতুল কে দেখতে নয় অন্য মতলবে এসেছিলো। জানো ঐদিন খুব কেঁদেছি এত কাছের মানুষ জন্য যাদের এত ভালো জানতাম তারাও এখন। সুযোগ খুঁজছে কি করে আমার কাছে আসা যায়। অরণ্য তুমি পাশে থাকলে কেউ কিছু বলার সাহস পেতো বলো? দেখোনা এখন আমি কারো বাসায় যাই না সব সময় ভয়ে থাকি। কেউ কলিংবেল বাজালেও সহজে দরজা খুলিনা খুব ভয় হয়। আচ্ছা তোমার কি ভালো লাগে?তোমার অনামিকা কে কেউ এভাবে দেখুক? তোমার অনামিকা ভয়ে থাকুক? তোমার অনামিকা এই সকল মানুষ নামের পশুদের ভয়ে ঘরে বন্ধি হয়ে থাকবে তুমি কি চাও বলো? তাই তোমাকে নিতে এসেছি চলো এবার। তুমি আমার পাশে থাকলে দেখবে কেউ কিছু বলবে না। আর আমারও সব ভয় কেটে যাবে। তখন কেউ আর কোন খারাপ মতলব নিয়ে তাকানোরও সাহস পাবে না দেখো।
অরণ্য এতসব কিছু শুনার পরেও তোমার রাগ ভাঙ্গেনি? তুমি বড্ড পাষান হয়ে যাচ্ছো দিনদিন। আমি কি প্রতিদিন এসে তোমাকে জ্বালাই? কিছুদিন পরপর এসে তোমার একটু রাগ ভাঙ্গিয়ে আমার সাথে নিতে চাই। কিন্তুু তুমি সে ৬ বছর ধরে একি জিদ আর রাগ নিয়ে আছো। একটু রাগ ভাঙ্গাতে পারিনি এতো বছরে। একটু কথাও বলো না শুধু চুপচাপ শুনেই যাও প্রতিবার। আমার খুব কষ্ট হয় অরণ্য খুব বেশি কষ্ট হয় এমন করো না প্লিজ। আচ্ছা এই নেও তোমাকে ঝড়িয়ে ধড়ছি এবার তোঁ রাগটা কমাও অরণ্য। তোমার মেয়েটা দরজা খুলে বসে থাকে যখনি আমি বাসা থেকে বের হই। সে ভাবে এই বুঝি তার বাবাকে নিয়ে এসেছি। এইবার হয়তো সে তার আব্বুকে জড়িয়ে ঘুমাতে পারবে। আর তার কত অভিযোগ আমার প্রতি সব তোমাকে বলবে তুমি গেলে।তুমি বলো মেয়েটা যখন জিজ্ঞাস করবে তার আব্বু কোথায়? তাকে নিয়ে আসলাম না কেন। তখন আমি কি জবাব দিবো? ও তাহলে তুমি এবারও যাবেনা আমার সাথে? একটু কথাও বলবে না?আসলেই তুমি একটা স্বার্থপর লোক। আমাকে এভাবে একা ফেলে চলে এসেছো ৬ বছর আগে। আর প্রতিবারই খালি হাতে ফিরে গিয়েছি । আসলেই খুব বেশি স্বার্থপর তুমি একটুও ভালোবাসানা আমায় আর। না একটুও না! আচ্ছা ঠিক আছে আসি এবার তাহলে সন্ধে হয়ে এলো। মেয়েটাকে মার কাছে দিয়ে এসেছি একটু পর কান্নাকাটি শুরু করে দিবে।
বুকটা খুব ভার হয়ে এসেছে । না এখন আর চোঁখ দিয়ে পানি আসে না। তা অনেক আগেই শুকিয়ে গেছে। হাটার শক্তি টাও পাছি না। লোকটাকে কতো করে রাগ ভাঙ্গাতে চেষ্টা করলাম। কিন্তুু সে একটা কথাও বলে নি। ঐখান টায় শুয়ে শুয়ে শুনলো শুধু। স্বার্থপর একটা কখন থেকে ডাকলাম কিন্তুু আসলো না শুয়েই আছে সে। আমাকে একলা রেখে সে কি আরাম করে শুয়ে আছে। কি করে পারলো সে আমাকে একা রেখে সারাজীবন এর জন্য। এত শান্তিতে ঘুমাতে।
হ্যাঁ!অরণ্য ঐখানের কবর টায় ৬ বছর ধরে শুয়ে আছে। ৬ বছর ধরে এতো ডাকাডাকি করি নিয়ে যেতে আসি কিন্তুু না সে আসে না। তার রাগ নিয়ে সে শুয়ে আছে। আসলেই সে স্বার্থপর তা না হলে কি করে সারাজীবন একসাথে থাকবে কথা দিয়ে। এখন এভাবে একা ফেলে চলে এসেছে আমায়।
পুতুলের বয়স তখন ২ মাস । অরণ্য সে কি খুশি মেয়েকে নিয়ে। খুশিতে সে তার অফিস যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সারাক্ষণ মেয়ের আশেপাশে ঘুরঘুর করতো। কিভাবে কোলে নিতে হয় বাচ্চা তা সে পারতো না। তাই শিখার চেষ্টা করতো আমার শাশুড়ি থেকে। একদিন দুপুরে সে পুতুলকে নিয়ে বসে আছে আমার শাশুড়িও ধরে রেখেছে পুতুলকে। আর আমার শাশুড়ি বলছিলো অরণ্যকে ও নাকি পুতুলের মতো ছিলো। অরণ্যের মতই নাকি হবে নাক মুখ পুতুলের। আর তা শুনে সেকি খুশি বলার মতো না। তার মেয়ে তার মত হয়েছে তাই।হঠাৎ করে অফিস থেকে ফোন আসে ওর। কি জরুরী কাজে নাকি যেতে বলেছে। সে তোঁ তার মেয়েকে ছেড়ে যাবে না বলছে। আমি ঐদিন জোর করে অফিসে পাঠাই কারন অনেক দিন হলো সে অফিসে যায় না। আর বাসায় থেকে কি করবে আমি আর মা তোঁ আছি পতুল কে দেখার জন্য।তাই জোর করে অফিসে পাঠাই সেদিন। যাবার সময় বারবার বলছিলো, অনামিকা আমার মেয়েটাকে কিন্তুু দেখে রাখবা। যদি ও কাঁদে তাহলে তোমাদের যার যার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিবে।
বলেই চলে গেলো অফিসের জন্য। আমি আর আমার শাশুড়ি হাসছিলাম। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা কেন জানি হঠাৎ করে খুব কাঁদছে থামছে না। আমি আর আমার শাশুড়ি কেউ পারছিনা তাকে থামাতে এতো কাঁদছিল। এর কিছুক্ষণ পর একটা ফোন আসলো । হ্যাঁ অরণ্য রোড এক্সিডেন্ট করেছে। ওকে হসপিটালে নিয়ে যেতে যেতেই মারা গেছে। আমি কয়েক মাস পাগলের মতো ছিলাম মেয়েটার কোন খোঁজ খবর ছিলোনা আমার। আমার মা আর শাশুড়ি মিলে মেয়েটাকে বাঁচিয়েছে। নিজেকে অপরাধী মনে হয় এখনো যদি ঐদিন ওকে জোর করে অফিসে না পাঠাতাম তাহলে হয়তো আজ অরণ্য আমার পাশে থাকতো। মেয়েটাকে তার বাবাই এর জন্য এভাবে কাঁদতে হতে না।
এইসব কথা ভাবতেই ভিতটা নাড়া দিয়ে উঠে। বাঁচার সব শক্তি হারিয়ে ফেলি। কিন্তুু না আমি তোঁ আর ওর মতো স্বার্থপর না। মেয়েটার মুখের দিকে চেয়ে হলেও বাঁচতে হবে আমায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাটা দিলাম বাসায় যাওয়ার জন্য। মেয়েটা বসে থাকবে যতক্ষণ না যাই। আর যাবার সাথে সাথে আগে আমার পেছনে কেউ আছে কিনা দেখবে। তার বাবাইকে সাথে নিয়ে আসিনি কেন বলবে। আর আমিও সে একি মিথ্যা অভিনয় করে বলবো। তোমার বাবাই এর কাজ অনেক মা। এই দেখো তোমার জন্য চকলেট দিয়ে দিয়েছে। আর তোমাকে বলেছে কান্নাকাটি না করতে। মেয়েটা তখন খুশি হয়ে চকলেট গুলো নিজের কাছে রাখবে। আর এরপরের দিন সবাইকে দেখাবে তার বাবাও তাকে অনেক ভালোবাসে তার জন্য মজা কিনে দেয়।
আসলেই বড্ড ক্লান্ত আমি এই মিথ্যে অভিনয় করতে করতে। মাঝে মাঝে মনে হয় চিৎকার করে কাঁদি। বুকটা হালকা করি। কিন্তুু না পারিনা পাথর হয়ে গেছি মনে হয়। এখন আর চাইলেই কাঁদতে পারিনা। কোথা থেকে যেন একটা গানের সুর ভেসে আসছে। গানটা খুব আপন মনে হচ্ছে। যেন আমার মনের কথা গুলো বলছে আমার জন্যই লেখা। বুকটা আরো ভারি লাগছে।
বড় একলা একলা লাগে, তোরে ছাড়া।
যায় দিন, যায় রাত থাকি দিশেহারা,
তোরে ছাড়া!
একলা জীবন একলা ক্ষনে,
একলা দিগন্ত জুরে
একলা প্রান্তরে!
বড় একলা একলা লাগে তোরে ছাড়া!
বড় একলা একলা লাগে তোরে ছাড়া!
……………………………………………………..সমাপ্তি……………………………………………….