হারিয়ে ফেলা ডাইরি

হারিয়ে ফেলা ডাইরি

: আপনার গালফ্রেন্ড আছে?
মেয়েটার কথাশুনে আমি চোখে তুলে তাকালাম।ক্লাস নাইনে পড়া মেয়ে আমাকে জিঙ্গেস করছে আমার
গালফ্রেন্ড আছে কীনা?তাও আবার আমি তার প্রাইভেট শিক্ষক।আপনারাই বলেন শিক্ষককে কেউ জিঙ্গেস করে
আপনার গালফ্রেন্ড আছে কীনা।
:কেনো আপু আমার জিএফ আছে কীনা এটা জেনে তুমি কী করবে?(আমি)
:ওই আমি আপনার কোন কালের বোন যে আমাকে আপু বললেন?আবার যদি আপু বলেছেন তাহলে আপনার সব দাঁত
ফেলে দিবো।(তাহেরা)
:ওমা পিচ্চি দেখছি রেগেও যায়।তা পিচ্চি মসাই আমার জিএফ নেই আর বানানোর ইচ্ছাও নাই।বিয়ের পরে একবারে বউএর সাথে প্রেম করবো।
:না থাকলেই ভালো।
:না থাকলেই ভালো কেনো?
:এটা আপনি বুঝবেন না।আজ আর পড়তে ভালো লাগছেনা ছুঁটি দিয়ে দেন।
:আরে এইতো পড়াতে আসলাম আর এখুনি চলে যাবো?তোমার আম্মু দেখলে কী বলবে।
:আপনি যান আমি আম্মুকে ম্যানেজ করে নিবো।
:আচ্ছা।কালকের পড়াগুলো জন্য রেডি করে রেখে।আল্লাহ হাফেজ।
আমি তাহেরাদের বাসা থেকে বেড়িয়ে আসলাম।

ও আপনাদেরতো পরিচয়ই দেওয়া হয়নি।আমি হুসাইন এবার অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছি।আর যাকে প্রাইভেট পড়ালাম সে
আমার ছাএী।অন্যদিকে আমার আব্বুর বন্ধুর মেয়ে।নাম তাহেরা।
তাহেরার আব্বুর অনুরোধেই প্রাইভেট পড়াতে যায় নাহলে প্রাইভেট পড়ানোর ইচ্ছা আমার কোনকালেই নেই।তাহেরাদের বাসা থেকে আমাদের বাসায় যেতে ৫
মিনিট লাগে তাই হেঁটেই যাওয়া আশা করি।বাসায় এসেই দিলাম লম্বা একটা ঘুম।ঘুম থেকে ওঠে মোবাইল এর
দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাহেরাদের বাসার নাম্বার থেকে কয়েকবার ফোন এসেছিলো।আমি ফোন ব্যাক করলাম।তাহেরার আম্মু ফোন রিচিভ করলো
:আসসালামুআলাইকুম আন্টি(আমি)
:অলাইকুমআসসালাম।তুমি এখন কোথায়?(আন্টি)
:এইতো বাসায়।কেনো?
:আজকে রাতে আমাদের এখানে ডিনার করতে আসো।
:কিন্তু আন্টি আজ আমার এক ফ্রেন্ডের বাসায় দাওয়াত ছিলো।(মিথ্যা বললাম যাতে না যাওয়া লাগে)
:তুমি আসবে নাকি তোমার আব্বুকে বলবো?
আমি আবার আমার আব্বুকে সেই রকম ভয় পায় তাই ইচ্ছা না থাকলেও যেতে হবে।
:আচ্ছা যাবো আন্টি।
:তাড়াতাড়ি চলে আসবে কেমন।
:ওকে।
ফোনটা রেখে ঘড়ির দিকে তাকালাম।এখন পাঁচটা বাঁজে।ওঠে ফ্রেশ হয়ে আসরের নামাজ পড়ে বাইরে ঘুরতে
গেলাম।সারে ৭ টার দিকে তাহেরাদের বাড়িতে গেলাম।গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে।আমি গিয়ে একটা
চেয়ারে বসে পড়লাম।
:তুমি আসাতে আমরা খুব খুশি হয়েছি।(তাহেরার বাবা)
এই কথার কী উওর দেওয়া উচিত আমি বুজলাম না তাই চুপ করে বসে রইলাম।হঠাৎ তাহেরা অন্য চেয়ার থেকে ওঠে এসে আমার পাশের চেয়ারটাতে বসলো।তখন থেকে সারাটা সময় দেখছিলাম তাহেরা বারবার আমার দিকে আঁড় চোখে তাকাচ্ছে।আমি এসব পাওা না দিয়ে ডিনার
করে বাসায় চলে আসলাম।
আজ ডাইরিতে কিছু লেখতে ইচ্ছা করছে।
অনেকদিন হলো কিছু লেখা হয়না। টেবিলের উপর থেকে ডাইরিটা আনতে গেলাম।গিয়ে দেখি ডাইরিটা নেই।
রুমের সব জায়গায় খুজেও ডাইরিটা পেলাম না।আম্মুর কাছে গিয়ে জিঙ্গেস করলাম
:আম্মু আমার রুমে কে এসেছিলো।(আমি)
:কই আজতো কেউ আসেনি।(আম্মু)
:ও আচ্ছা।
ডাইরিটা কে নিতে পারে ভেবে পেলাম না।ডাইরিটা যদি আব্বুর হাতে পড়ে তবে আমি শেষ।কারণ ওই ডাইরিতে আমার আর নীরার সব কাহিনী লেখা আছে।
আপনারা ভাবছেন এই নীরাটা আবার কে?

নীরা হলো যাকে আমি আগে ভালোবাসতাম।এখনো ভালোবাসিনা তা কিন্তু নয়।এখনো ভালোবাসি তবে আগের
মত নয়।একসময় আমার সমস্ত মন জুরে শুধু নীরা নামটাই ছিলো।নীরার সাথে পরিচয় হয়েছিলো ফেসবুকের
মাধ্যমে।মেয়েটাকে অনেক বেশি ভালোবাসতাম কিন্তু একদিন আমাকে ছেড়ে চলে যায়।আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ ছিলো আমার থেকে ভালো ছেলেকে
পাওয়া।৪ বছরের রিলেশন নিমেষেই শেষ করে চলে গিয়েছিলো।সেদিন নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু বাবা মায়ের কথা ভেবে আর কিছু করতে পারিনি।তারপর থেকে বুঁকে পাথর চেপে বেঁচে
আছি।সারাদিন সবার সামনে হাঁসিখুশি থাকলেও রাতটা কাঁটে ভেজা চোঁখে।সেদিন থেকে মেয়েদের আর তেমন
একটা বিশ্বাস করিনা।এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনেই নেই।সকালে ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো।
দেখি শান্ত ফোন দিয়েছে
:কিরে কই তুই?(শান্ত)
:এই বেটা এত সকালে একজন মানুষ কোথায় থাকে জানিস না।(আমি)
:ওই শালা এখন বাজে ৯টা আর তুই বলছিস এখনো সকাল।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কলেজে আয়।
:তুই ৫ মিনিট দাঁড়া আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসতেছি।
ফোনটা রেখে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম।তারপর কলেজের
দিকে রওনা দিলাম।আম্মু খেয়ে যেতে বললো কিন্তু না খেয়েই বেড়িয়ে পড়লাম।কলেজে গিয়ে দেখি সবগুলো
হারামি একসাথে বসে আছে।
:তা মহারাজের ঘুম ভেঙ্গেছে(শিপন)
:হরে ভাঙ্গলো।(আমি)
:দোস তুই কী তোর ছাএীর সাথে সারারাত লাইন মারিস(ফকরুল)
:ওই শালা মুখ সামনে কথা বল নাহলে মুখে জ্যান্ত টিকটিকি ছেড়ে দিবো(আমি)
:সত্যি কথা বললেই দোষ।প্রেম করবি আর আমরা বললেই সমস্যা তাইনা(শান্ত)
:তোরা কী শুরু করলি থাম।জানিস এসব আমার ভালো লাগেনা তারপরেও কেনো এসব বলিস(আমি)
আমার মুড দেখে কেউ আর কিছু বললো না। কারণ ওরা সবাই আমার অতীত জানে।
ওদের সাথে কিছুসময় আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে এলাম।
দুপুরে আবার তাহেরাকে পড়াতে যেতে হবে।বাসায়,এসে ডাইরিটা আবার খুঁজতে শুরু করলাম।এবারো কোথাও খুজে
পেলামনা।ডাইরিটার জন্য খুব টেনশন হচ্ছে।মনে করার চেষ্টা করছি ডাইরিটা কোথায় রাখতে পারি কিন্তু
কিছুতেই মনে করতে পারছিনা।দুপুরে রেডি হয়ে তাহেরাকে পড়াতে গেলাম।গিয়ে দেখলাম আজ তাহেরা
অনেক সেঁজেছে।সবকিছু ঠিক থাকলেও কপালের টিপটা বাঁকা করে দিয়েছে।ওর এভাবে টিপ দেওয়া দেখে
নীরার কথা মনে পড়ে গেলো।নীরাও এভাবে বাঁকা করে টিপ দিতো আর আমি সেটা ঠিক করে দিতাম।
:তা পিচ্ছিটা আজ এত সেঁজেছে কেনো?আজ কী পিচ্চির বর আসবে?(আমি)
:হ্যাঁ আসবে তাতে তোমার কী?(তাহেরা)
:ভালো।তবে কপালের টিপটা ঠিক করে নাও।
:আমার বরটা ঠিক করে দিবে।
:ও আচ্ছা।
:আজও তাহেরাকে কালকের মত তাড়াতাড়ি ছুঁটি দিয়ে বাসায় চলে এলাম।মনটা আজ খুব খারাপ লাগছে।বুক
ফেটে কাঁন্না আসছে।এই পৃথিবীতে যে মানুষগুলো সত্যিকারের ভালোবাসতে চাই তাঁদের কপালে ভালোবাসা
জোটেনা আর যারা ভালোবাসার নামে অভিনয় করে তাদের ভাগ্যেই ভালোবাসাটা জোটে।আম্মুর ডাকে বাস্তবে ফিরলাম।তাড়াতাড়ি চোখ মুছে আম্মুকে বললাম
:কিছু বলবে(আমি)
:আজই তোর নানু বাড়িতে যেতে হবে।তোর নানু নাকি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে একটু পরেই
বের হবো।(আম্মু)
:তুমি যাও আমি আসছি।
আম্মু চলে গেলো।আমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।আমি আম্মু আর আব্বু সবাইমিলে বেড়িয়ে পড়ালাম।

আজ ১সপ্তাহ পর বাড়িতে ফিরলাম।বাড়িতো এসেই আবার ডাইরিটার কথা মনে পড়ে গেলো।চিন্তা করতে
লাগলাম ডাইরিটা কোথায় রেখেছি কিন্তু এবারো ফলাফল শুন্য।তাহেরা আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে আসে ওর কাছে জিঙ্গেস করি।তাহেরাকে ফোন দিলাম
একবার রিং হওয়ার পরেই ধরলো
:পিচ্চিটা কেমন আছে?(আমি)
:আমি যেমনি থাকি তাতে আপনার কী?আর আপনি ফোন দিয়েছেন কেনো?(তাহেরা)
তাহেরার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম।এর আগে
অনেকবার কথা হয়েছে কিন্তু ও এভাবে কথা বলেনি।আমি নিজেকে স্বাভাবিক রেখে উওর দিলাম
:তুমি কী আমার রুম থেকে কোন ডাইরি নিয়েছো?
:আমি কোন ডাইরি টাইরির ব্যাপারে জানিনা।আর আপনার ডাইরি আমি নিতে যাবো কেনো?
:না মানে এমনি।আচ্ছা এখন রাখছি আর আজ দুপুরে পড়াতে আসবো।বাই
ফোনটা রেখে তাহেরার এমন ব্যবহারের কারণ খুজলাম কিন্তু পেলাম না।যাইহোক এসব ভেবে কাজ নেই।অনেক
ক্লান্ত লাগছে তাই দিলাম এক ঘুম।ঘুম থেকে ওঠে দেখি ১টা বাজে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে পড়াতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে পড়লাম।তাহেরদের বাড়িতে আসা মাএই আন্টির
সাথে প্রথম দেখা হলো
:কেমন আছেন আন্টি?(আমি)
:ভালোনা।আজ কয়েকদিন তাহেরার কী হয়েছে বুঝতেছি না।ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করছেনা।আবার সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে।তুমি একটু দেখোনা বাবা কী
হয়েছে(আন্টি)
:আচ্ছা আমি দেখছি।
তাহেরার রুমে গিয়ে দেখলাম ও টেবিলে বসে আছে।আমি গিয়ে ওর পাশের চেয়ারটাতে বসলাম।ওর দিকে
তাকাতেই একটু অবাক হলাম।ও কাঁদছে।
:কাঁদছো কেনো?কী হয়েছে?(আমি)
:আমি কাঁদছি তাতে আপনার কী।আপনি এখানে কেনো এসেছেন।আমি আর আপনার কাছে পড়বো না।কাল থেকে
আপনি আর আমাকে পড়াতে আসবেন না।(তাহেরা)
:আমি কী করেছি?
:আমি আপনার কোন কথা শুনতে চাইনা।আপনি চলে যান।
আমি আর কিছু না বলে চলে এলাম।বাসায় এসে তাহেরার এমন ব্যবহারের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম
কিন্তু পারলাম না।
– ২ দিন পর।
অনেকক্ষণ হলো পার্কের মধ্যে আছি।একা একা বসে থাকতে অনেক বিরক্ত লাগছে।বসে বসে চারপাশের কাপল গুলোকে দেখছি।ও আপনাদেরতো বলাই হয়নি
কেনো পার্কে এসেছি।কাল রাতে শুয়ে আছি এমন সময় তাহেরার ফোন
:কালকে সকাল দশটায় ওমুক পার্কে চলে আসবেন।
টুট টুট টুট
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ দেয়নি।পরে আমি পরে
দিয়েছিলাম কিন্ত প্রতিবারই বন্ধ পেয়েছি।
ওইতো তাহেরা আসছে।আজ ও লাল একটা শাড়ি পড়েছে।চোখে গাড় করে কাজল দিয়েছে।হাতে লাল চুড়ি
পড়েছে।এক কথায় ওকে একদম পরীর মত লাগছে।আমার পাশে এসে ও বসলো।প্রথমে আমিই বললাম
:কী জন্য ডেকেছো?(আমি)
আমার দিকে একটা ডাইরি এগিয়ে দিলো।ডাইরিটা দেখে বুঝলাম এটা আমার ডাইরি।আমি ওকে জিঙ্গেস করলাম এটা কোথায় পেলে?
:তোমার টেবিলের উপর থেকে সেদিন নিয়ে এসেছিলাম।ডাইরিটা পড়ে প্রথমে অনেক খারাপ লেগেছিলো।তার
থেকে বেশি খারাপ লেগেছিলো যেদিন তুমি আমাকে না বলেই তোমার নানু বাড়িতে গিয়েছিলে।নীরা মেয়েটা তোমাকে কখনো ভালোবাসেনি তোমাকে শুধু প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে।আমি প্রথম থেকেই তোমাকে পছন্দ করতাম কিন্তু কখনো বলতে পারতাম না।তারপর তোমার ডাইরিটা পড়ার পর ভালোবাসাটা আরো বেড়ে যায়।
এতটুকু বলেই তাহেরা থামলো।সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হলো তাহেরা আমাকে তুমি করে বলছে।
:কিন্তু আমিতো তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না।(আমি)
:কেনো পারবে না।তোমাকে পারতে হবে।ওই মেয়েটা যদি তোমাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারে তবে তুমি কেনো পারবে না।(তাহেরা)
:সেটার উওর আমার কাছে নেই।
:আমাকে ভালোবাসতেই হবে।
:জোর করে কখনো ভালোবাসা হয়না।
:এতদিন হয়নি কিন্তু আজ থেকে হবে।তুমি যদি আমাকে ভালো না বাসো তাহলে(ব্যাগ থেকে বিষের বোতল বের করে)বিষ খেয়ে আমি মরে যাবো।
:কী পাগলামি শুরু করেছো।আমি তোমার যোগ্য না।আমার থেকে অনেক ভালো ছেলে তুমি পাবে।বিষের বোতলটা আমার হাতে দিয়ে দাও।
:না দিবোনা না।আগে বলো আমাকে ভালোবাসো।
এই মুহুর্তে আমার কী করা উচিত বুঝতেছিনা।আশেপাশের
মানুষ আমাদের কর্মকান্ডগুলো দেখছে।আমি অনেক টেনশনে পড়ে গেছি।ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম তাহেরাকে ভালোবাসবো।আমাকে ছাড়া যদি নীরা সুখে
থাকতে পাররে তবে আমি কেনো পারবো না।
:আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি কিন্তু আমার একটা প্রশ্নের উওর দিতে হবে।(আমি)
:বলো(তাহেরা)
:আমার কাছে প্রাইভেট না পড়তে চাওয়ার কারণ কী?
:ও এই কথা।আর যাই হোক ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রাইভেট পড়া যায়না।কারণ তুমি আমামাকে পড়াতে আসলে আমি পড়ার চাইতে তোমাকেই বেশি দেখি।
এভাবে চলতে থাকলে আমি পরীক্ষায় ফেল করবো সেটা ভেবেই পড়া বাদ দিলাম।
:তুমি কী করে এত শিউর হলে আমি তোমাকে ভালোবাসবোই।
:মনের টান।
:ও
:হুম
:এই তুমি টিপটা এভাবে বাঁকা করে দিয়েছো কেনো?
:তুমি ঠিক করে দিবে বলে।
যাক অবশেষে কারো টিপ ঠিক করার চাকরিটা আবার পেলাম।এবার আর চাকরিটা হারাতে দিবোনা।

…………………………………………….সমাপ্ত ………………………………………

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত