আমার সব বন্ধুরা বলে বিয়ে মানে প্যারা।তবে এটা যখন ফরজ কাজ সব নর নারীকে করতে হবে।
অনেক মেয়ে দেখার পরে একটা মেয়েকে আমাদের পরিবারের সবাই পছন্দ করে, আমারও মেয়েটাকে পছন্দ হয়।
কিন্তু মেয়েটা ছিলো পরিবারের ছোট মেয়ে।আমার বন্ধু রিমণ বলে?
__বন্ধু পরিবারের ছোট মেয়ে কিন্তু দজ্জাল টাইপের হয়।
__কস্কি বন্ধু তাহলে কি বিয়ে করতাম না নাকি।
__বন্ধু পরিবারে ছোট মেয়েরা একটু ঝগড়া করলেও তাদের মন ভালো, ও কিউট হয় তারা।
__বুঝলাম,তুই কি বলিস এখন?
__হ্যাঁ বিয়ে কর।
__আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে বিয়েটা করে নিয়।
”
~
”
সবার যখন জেরিনকে পছন্দ হয়। হয়ে গেলো আমার আর জেরিন এর বিয়ে।জেরিন সবাইকে অল্পদিনে আপন করে নিছে সত্যি মেয়েটা সবার সাথে মিশতে পারে।
জেরিনকে আমার পরিবারে সবাই ভালোবাসে। তার সব আবদার রাখে কারণ জেরিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সকালে কোরআন পড়ে।
জেরিন আর আমার বিয়ের পরে ৫মাস খুব শান্তিতে আমি জীবনযাপন করি কোনো প্যারাও নাই।একদিন আমি শখ করে পুঁটি মাছ কিনছি অনেকগুলো।
সেগুলো কিনে এক ছোট ভাইয়ের হাতে দিয়ে বলি আমাদের ঘরে দিতে। সেদিন আমি রাতেও অনেক দেরি করে আসি বাসায় তখন থেকে শুরু হয় বউয়ের প্যারা।
বাসায় যখন ফিরে আসি তখন আমি জেরিনকে বলি?
__জেরিন দরজা খুলো।
__না,আজকে তুমি বাহিরে থাকবা।
__কি আজব বাহিরে থাকবো কেন।
__তুমি দেরি করে বাসায় আসছো কেন।
__জিরোমণি দরজা খু্লো বলতেছি।
__আমার নাম জিরো না হুমমমম আমার নাম জেরিন।
__আচ্ছা জেরিন দরজা খুলো।
__আগে বলো আর কোনোদিন দেরি করে আসবা নাকি?
__আচ্ছা ঠিক আছে আর দেরি করে আসবো না।
__কখনো ও পুঁটিমাছ কিনবা নাকি?
__পুঁটিমাছ আবার কি করছে তোমাকে।
__এত কথা বলতে পারবো না বলছি আর কখন ও কিনবা নাকি।
__আচ্ছা ঠিক আছে আর কিনবো না।
~
”
অবশেষ এ জেরিন দরজা খুলে দেয়।কিন্তু না আমি একটু দেরি করে বাসায় আসলে সে প্রায় সময় এমন করে যা আমার কাছে অসহ্য লাগে।
কিছু বললে বলে তুমিতো আমাকে স্মরণী রাতে কথা দিছো যে আমার উপর কখনো রাগ করবা না। সেদিন এ কথা দিয়ে আজ আমি বউয়ের প্যারা আছি।
আমার পরিবারের মেম্বারদের বললেও লাভ হবে না কারণ জেরিন সবার সাথে ভালো।যা প্যারা আমাকে দিতেছে এভাবে চলতেছে আমার জীবন।
আমি মনে করি জেরিন আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে না,কিন্তু না।একদিন সকালে আমি কাজের জন্য বাহিরে যাই হঠাৎ শুরু হলো বৃষ্টি।
জেরিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে?
__এই তুমি কোথায়?
__বৃষ্টি হচ্ছে তাই দোকানে বসে আছি।
__আমিতো বলছি যাওয়ার সময় ছাতা নিয়ে যেতে এখন বৃষ্টির দিন যখন তখন বৃষ্টি আসতে পারে।
__সমস্যা নাই আমি ভিজে ভিজে চলে আসবো, একসাথে দুপুরের ভাত খাবো।
__একদম বৃষ্টিতে ভিজবা না পরে আবার জ্বর,সর্দি, কাশি হবে।তুমি অপেক্ষা করো আমি ছাতা পাঠানোর ব্যবস্থা করতেছি।
>>আমি মনে মনে চিন্তা করি যে বউ সারাদিন প্যারা মধ্যয় রাখে।একটু দেরি হলে দরজা বন্ধ করে রাখে সে নাকি আমার জন্য ছাতা পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
কিন্তু না ঠিকে ছাতা নিয়ে আসতেছে ছোট ভাই সজিব।সজিব আমার কাছাকাছি এসে বলে?
__ভাইয়া তোমার বউটা একটা হিটলার।
__হাহাহা কেন রে কি হইছে।
__দেখতেছো না এ বৃষ্টির মধ্যয় আমাকে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে আসতে বলতেছে।
আমি না করছি তখন ভাবী বলে আমি যদি ছাতা না নিয়ে আসি।
ভাবী নাকি আর কথা বলবে না আমার সাথে।
__তোর ভাবী এমন রে চল বাড়িত চল।
__হ্যাঁ ভাইয়া তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
__ঠিক বলছোত ছোট ভাই।
__চলো বাড়িত চলো দেরি হলে ভাবী আবার দরজা বন্ধ করে রাখবে।
__হাহাহাহা হুম ঠিক বলছোত রে, চল তাড়াতাড়ি বাড়িতে।
রাস্তা দিয়ে আসার সময় মনে মনে চিন্তা করলাম জেরিন সত্যি আমাকে মন থেকে ভালোবাসে তাই সে এমন করে।
সেদিন থেকে জেরিন এর প্যারা গুলো আমার কাছে প্যারা মনে হয় না, মনে হয় সব কুমিল্লার রসমালাই।
সব জেরিন এর ভালোবাসা যা আমি প্যারা মনে করি তবে এখন সে প্যারা গুলো আমি সব ভালোবাসা মনে করি।
~
,কাল্পনিক গল্প এটা তবে জেরিন মতো বউরা সবসময় তার স্বামীর প্রতি খেয়াল রাখে।
তারা এমন করে তার স্বামীকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে ও যত্ন করে যেনো কোনো কারণে তার প্রিয় স্বামী অসুস্থ না হয়।
__একটা কথা বলি সেটা হলো?
প্রেমীকার ভালোবাসা পাওয়া অনেক কঠিন।কিন্তু বউয়ের ভালোবাসা পাওয়া খুব সহজ।
জেরিন এর মতো বউয়ের ভালোবাসা প্যারা মনে হলেও সেগুলো হলো নিখুঁত ভালোবাসা যার মাঝে কোনো ফরমালিন নাই।