খুব আবাক হয়েছিলে তাইনা?একটা ছেলে শুধুমাএ তোমার সাথে দেখা করার জন্য ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে….
সবকিছু কল্পনা মনে হচ্ছিল তোমার!!!
পরক্ষনেই যখন রিকশায় তোমার হাত এর আঙুলগুলোর মাঝে আমার হাত এর আঙুলগুলো শক্ত করে জড়িয়ে গিয়েছিলো তখন হয়ত তুমি মেনে নিয়েছিলে এটা কল্পনা নয় বাস্তব।।
আমার কাঁধে মাথা রেখে যখন খোলা মাঠে একই চাদর এর মাঝে গুটিশুটি হয়ে বসে ছিলে তখন হয়ত ভরসা করতে পারছিলে যে আমি তোমার পাশেই আছি কল্পনাতে নয় বরং বাস্তব এ………
কথা ছিল –আমাদের যেদিন প্রথম দেখা হবে সেদিন আমি তোমায় নীল চুড়ি পড়িয়ে দিব…………….
তোমার পছন্ধের নীল চুড়ি নিতে ভুলে যাওয়ায় সবার সামনে কান ধরে যখন উঠবস করিয়েছো আর মিটি মিটি হেসেছো…..
চুড়ি পড়িয়ে দেয়ার সময় যখন লজ্জায় মাথাটা নিচু করে রেখেছিলে তখন হয়ত মেনে নিয়েছিলে এটা কল্পনা নয় বাস্তব।।
পড়ন্ত বিকেল এ যখন তুমি পার্কে আমার ঠিক পাশটায় বসে ছিলে তখন হয়ত মানতে পারছিলে যে আমি আছি তোমার পাশেই……..
সন্ধে নামার আগে যখন রিকশায় তুৃমি আমার বা হাতটা তোমার দুহাত এর মাঝে রেখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমার কাঁধে মাথা রেখেছিলে তখন নিজেকে দুনিয়ার সবথেকে সুখী মানুষ মনে হচ্ছিল…..
প্রথম যখন তুমি আমার পাশটায় বসলে মাঝখানে অল্প একটু দূরত্ত বজায় ছিল সেটাও পূরন হয়ে গেল যখন আমার হাতটা তোমার হাতটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল………..
বাইরের ঠান্ডা বাতাসে যখন আমি কাবু হয়ে যাচ্ছিলাম পাতলা একটা পাঞ্জাবি পড়ে থাকার কারনে…. তুমি আমায় ইচ্ছামত বকছিলে যে… কেন শীতের কাপড় পড়িনি!!!!..
আমি মুচকি হেসে জবাব দিয়েছিলাম “”তাহলে তো তোমার বকা শুনতে পেতাম না গো”””
তোমার সমস্ত রাগ তখন এক চিলতে হাসি হয়ে বাইরে ছড়াচ্ছিল………..
পাশাপাশি বসে যখন তোমার টানা টানা কাজলসহ চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম তখন তুমিও কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে তখম আমি তোমার কাজল কালো নয়নে হারিয়ে জাচ্ছিলাম বার বার…….
তোমার দেখা সপ্নের নদীর স্রোত এ গা এলিয়ে দিয়ে বার বার তোমার কথাই ভাবছিলাম কেননা আমি তো তুমিতেই…….আসক্ত………..
কথা ছিল তুমি বোরখায় থাকবে আর আমি পাঞ্জাবিতে……
কথা মত তাই হয়েছিল ভাল লাগছিল না??
তুমি আমার কানের কাছে তোমার মুখটা এনে বলেছিলে ভালবাসি……………
শিশির ভেজা ঘাসগুলো তখন চকচক করে উঠছিলো….
ধীরে ধীরে সকাল থেকে দুপুর হলো দুপুর থেকে সূর্যটা একদিকে হেলে পড়তে লাগল আর সূর্যের রক্তিম আভা যখন তোমার মুখ স্পর্শ করল তখন তোমাকে সবথেকে বেশি মায়াবী লাগছিল…….মায়াবী মুখটার মায়ায় বার বার পড়তে ইচ্ছা করছিল!!!পড়ছিলাম ওওও………
তুৃমি লজ্জায় মুখটা নামিয়ে রেখেছিলে…..
খারাপ লাগছিল না একদম…………
যখন চলে আসার সময় হল তুমি ছাড়তেই চাইছিলে না…..
হাতটা জড়িয়ে ধরে যখন বলেছিলে “”যেও না “” তখন সত্যি আর আসার ইচ্ছা করছিল না।
তুমি যখন চোখের পানি নাকের পানি এক করে কান্না করছিলে আমি তখন ফোনের এপাশটায় চুপ করে চোখের একফোটা জলকে লুকিয়ে মুখে হাসি এনে বলেছিলাম “”পাগলী একটা কান্না করে না… আমি আছি তো… আবার আসবো তো”””
তারপর………….
তারপর বাসটা ছাড়ল তোমার আমার হৃদয়টা একবার এর জন্য কেঁপে উঠলো…
বাসটা চলছে তুমি আর আমি ধীরে ধীরে দূরে চলে যাচ্ছি মাইল এর পর মাইল দূরে চলে আসছি…..
আর তুমি চোখের লবণাক্ত পানিগুলোকে আটকাতে না পেরে অনবরত বের করে দিচ্ছ……………
তবে মনের থেকে ততটাই কাছের দিকে যাচ্ছি এতটাই কাছে যে আমাদের মাঝে আর কোনো দূরওই অবশিষ্ট নেই……
এভাবেই প্রতিটা শীতে ঠান্ডা বাতাসে তোমার পাশে থাকতে চাই, আমার শীতল হাতজোড়া তোমার হাত এর মাঝে রেখে গরম করতে চাই,একসাথে সারাজীবন চলতে চাই,একসাথে রিকশায় হাত ধরে ঘুরতে চাই,আর………
ভালবাসতে চাই যতটুকু বাসি তার থেকে আর একটুবেশি….
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা