ভাই বোনের সর্ম্পক এমনি

ভাই বোনের সর্ম্পক এমনি

= ভাই আমার খুব ক্ষুদা পাইছে?

> তো যা না, টেবিল এ সব কিছু আছে। যেয়ে খেয়ে নে।

= তুই জানিস না আমি একা খাই না, আর তুই না তুলে খাওয়ালে কে খাওয়াবে।

> মা আছে তো।

= আমি কি অন্যর হাতে রাতে কখনো খেয়েছি নাকি যে,আজ খাবো। এমন কথা আজ বলছিস কেনো তাহলে।

> তুই দেখছিস না অফিসের কাজে আজ খুব বিজি আছি। আজ খাওয়াতে পারবো না। নিজের হাতে খেয়ে নে আর না হলে মা আছে বল তোরে খাওয়াবে। আজ আমি পারবো না।

= না আমার খাওয়াতে হবে। আমি এতো কিছু বুঝি না। আমার কিন্তু খুব ক্ষুদা লাগছে।

> এখন বেশি বিরক্ত করিস না।

= কি আজ আমার কথা তোকে বিরক্ত লাগছে। আর লাগবেই তো। নতুন কাউকে পেয়েছিস। যার জন্য আমার সাথে এমন করিস। কিছু বললে বলিস পারবো না বা পরে। ঠিক আছে আমার কথা শুনতে হবে না। তুই তাকে নিয়ে বিজি থাক আর তোর অফিস। আমি যে না খেয়ে আছি সেটা তোর খেয়াল করতে হবে না। ভাল থাক।….

দূর ভালো লাগে না। বোন আমার রাগ করে চলে গেলো।
আসলে বোন আমার হাতে ছাড়া রাতে ভাত খায় না।
সেই ছোটো থেকে এই অভ্যাস।
যা কখনো পরির্বতন হয় না।
কিন্তু ইদানীং যা পালন করতে সমস্যা হচ্ছে।
আসলে ভাই বুঝেনই তো বেসরকারি চাকরিরর প্যারা কি।
সারাদিন হাজার হাজার ঝামেলা।
তাই বোন কে আর আগের মতো সময় দিতে পারি না।
কিন্তু সে বলে গেলো কি যে নতুন কাউকে পেয়েছি দেখে নাকি তাকে আর সময় দেয়া হয় না।
আসলেই তাই কি? জিবনে নতুন কেউ আসলে কি আমার বোন কে ভুলে যাবো।
এটা কখনো সম্ভব না।
কারন বোন আমার আজিবন আমার মনের সেই জায়গা তে থাকবে এতো দিন যেখানে ছিলো।
কেউ চাইলেই তাকে সেখান থেকে সরাতে পারবে না।
অনেক তো বললাম। বলতে বলতে নিজের পরিচয় দিতে ভুলে গেছি।
আর আমার একটা অভ্যাস নিজের পরিচয় অন্য কে অতোটা দেই না।

কেনো জানি অপরিচিত থাকতে ভালো লাগে।
যাইহক আমার নাম টা তাজবির আর আমার আদরের বোনটির নাম জান্নাত।

এখন একটু রাগ কুমারির রাগ টা ভাঙ্গি। তাড়াতাড়ি না কাজ করলে আবার বেশি ঝামেলা হবে। তার চেয়ে বরং অল্পতেই কমিয়ে ফেলি।

> আসতে পারি আমার বোনটির কাছে কি?

= না, খবরদার আমার কাছে আসবি না। ভালো হবে না কিন্তু বলে দিলাম।

> আমি আসবোই আমার বোনের কাছে। কে আটকায় দেখা যাবে।

= আমি মানা করছি না।

> বললেই হলো নাকি। আচ্ছা আমি তোকে এখন তুলে খাওয়াবো। তাড়াতাড়ি চল। এতো রাগ করতে হবে না। ভাইয়ের সাথে রাগ করলে চলে নাকি। একটু কাজ তুই বুঝিস না।

= আমি কিন্তু যাবো না। আমি কোনো কাজ বুঝি না। আমার অধিকার আমি যখন ইচ্ছা আদায় করবো। এটাই আমার শেষ কথা।

> ওকে বাবা বুঝতে পারছি আপু জী। এখন একটু আসেন।

খাওয়া শেষ হওয়ার পর।
আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলি,

> বল।

= তোর জিবনে কেউ আছে নাকি?

> কি আবোল তাবোল বলিস। তখন ও বললি। আমার জিবনে কেউ নেই।

= বুঝলাম। তা জানি না থাকুক আর না থাকুক আমার ভাবি লাগবে।

> তোর কাছে কি ভাবি পুতুল মনে হচ্ছে যে যখন চাইলি আর বাজার থেকে কিনে এনে দিলাম। বুঝি না।

= আমার কাছে তাই মনে হয়। তোর জিবনে কেউ না থাকায় ভালো। আমি ভাবি পছন্দ করে রেখেছি।

> কারে পছন্দ করে রেখেছিস হা।

= কে আবার তুমি যার পিছে আগে ঘুরতা। আমার জানের বান্ধবী বিথি।

> মানে কি আমি তোর বান্ধবী কে বিয়ে করতে পারবোনা।

= কেনো পারবা না সেটা আমি জানি। সেই দিনের কাজ টা বিথিকে দিয়ে আমি করিয়ে নিয়েছি। আমার জন্য সেদিন তোমার প্রপোজ এ বিথি রাজি হয়নি।কারন রাজি হলে হয়তবা আজ তুমি এই ভালো পজিশন এ আসতে পারতে না। বিথি আজো তোমাকে ভালোবাসে। প্লিজ রাজি হয়ে যাও।

> সব কিছু বুঝলাম। কিন্তু তুই তো তোর লাভ ছাড়া এমন কাজ করবি না। ব্যাপার কি? সব একটু খুলে বলতো দেখি।

= আরে না।আমার লাভ থাকবে কেনো। আমার কোনো উদেশ্য নেই।

> না আমার খুব খটকা লাগছে। আচ্ছা বিথির ভাই সজিবের সাথে তোর কিছু চলছে না।

= না কিছু না। সত্যি বলছি কিছু চলছে না।

> না আপু আমার খুব সন্দেহ হচ্ছে ব্যাপার টা নিয়ে। তুমি আমাদের মিল করে দিয়ে নিজের টা মিলে নিবে
সেই ধান্ধা।

= ভাইয়া তুই এতো বুঝিস কেমনে?

> বোনের মনের কথা ভাই বুঝবে না তো কে বুঝবে বল দেখি।

= এই জন্য আমি তোকে এতো ভালোবাসি।

> তবে আমিও কিন্তু একটা জিনিস তোর কাছ থেকে লুকিয়েছি। আর সেটা হলো বিথির সাথে আমার আগে থেকেই প্রেম চলছে। তুই যা যা বিথি কে করতে বলছিস সব আমারে বলছে।আর সজিবের সাথে যে তোর প্রেম চলছে সেটাও আমারে বলছে।

= তবে রে ভাইয়া দাড়া । আমারে না বলে ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিস।

> তুই বুঝি খাচ্ছিস না।

= ভাইয়া।

> থাক আর বলবো না।তবে চিন্তা করিস না খুব তাড়াতাড়ি আমার টা ব্যবস্থা করে তোর টা করছি। এখন ঘুমিয়ে পর। অহ সরি এখন তো জানটুর লগে কথা বলবি বল। আমি আসি বাই।

আসলে ভাই বোনের সর্ম্পক এমনি।
শুরু আছে যার কোনো শেষ নেই।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত