গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনে এলাকাবাসীর নিরলস পরিশ্রম আমি এবং আমাদের পরিবার জীবনে ও ভুলবো না। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ভুলার নয়। এলাকাবাসীর ভালবাসায় আমরা চির কৃতজ্ঞ।
নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় আমার ভাইয়ের সমর্থক ও এলাকাবাসী সহ সাংবাদিকদের উপর অস্ত্রসহ হামলা চালায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী। জাল ভোট প্রয়োগ কালে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে গেলে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং সাংবাদিকদের উপরে হামলা চালায়।
উল্লেখ্য আমার বড় ভাই সাংবাদিক মোঃ আমিনুল ইসলাম (মানিক) মানবজমিন পত্রিকার সোনাইমুড়ীর প্রতিনিধি ডালিম প্রতিক নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে। আমার বড় ভাইকে নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্তে দেখে তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রসাশনের সহযোগিতায় জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে জয় ছিনিয়ে নেয়। বিগত নির্বাচনে যেখানে দুই শতাধিক ভোট পেলে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় সেখানে আমার বড় ভাই প্রায় চারশো ভোট পেয়েও কাউন্সিলর হতে পারে নাই বা হতে দেয় নাই। বিষয়টা এমন হয়েছে যে মৃত ব্যাক্তি আর প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলা যায়। ভোট শতভাগ প্রয়োগ এমনটায় বোঝায়। যদিও এই জয়ে কোন আনন্দ আছে বলে আমি বা আমরা কেউই মনে করি না।
এর আগেও আমার ভাইয়ের নির্বাচনি অফিস সহ আমাদের মাকেটের উপরে দফায় দফায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী। সাংবাদিকরা হামলা কারীদের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে গেলে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিকদের উপরে হামলা চালায়। এতে করে সাংবাদিক সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আছে। সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা বাধী হয়ে অভিযোগ এবং মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায় জড়িতদের শাস্তি দাবী করে অন্যথায় তারা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে জানায়। আমরা তাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
এলাকাবাসীকে বলবো শুধু আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যেন আমার বাবার ন্যায় আদর্শ চরিএবান থেকেই আমরাও যেন এলাকাবাসীর বিপদে আপদে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের পাশে থেকে পরলোক গমন করতে পারি। (আমিন)।
সাইফুল ইসলাম (মাছুম)
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে.
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা