-স্যার,একটু থানায় আসতে পারবেন?
 -কেনো?
 -চারটা মার্ডার হইছে।
 -oh my god,কোথায়?
 -থানাতেই।
 -আমি এখনি আসছি।
 কলটা কেটে তাড়াতাড়ি জিপ নিয়ে থানায় উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরলাম।
 থানায় পৌছে পুড়ো অবাক,অফিসের সামনে ইউনিফর্ম পড়া চারজন কনেস্টবলের লাশ পরে আছে।তাদেরকে ঘিরে হাজারো পাবলিক দাঁড়িয়ে।
 -এটা কিকরে হলো?
 -জানিনা স্যার,দুজন লোক থানায় এলো।কিছু বোঝার আগেই পিস্তল বেড় করে এই চারজনকে গুলি করে পালিয়ে গেলো।
 -দুজন কি গাড়িতে করে এসেছিলো?
 -জ্বি স্যার।
 -ওদের গাড়ির নাম্বার বা চেহারা মনে আছে?
 -না স্যার,তবে হ্যা গাড়িটা হোয়াইট কালার BMW ছিলো।
 -ওহ্হো,ঠিকআছে।চারজনের পরিবার থেকে কেউ আসছে?
 -না স্যার।
 -ওকে,ওদের পরিবারকে কল দিয়ে আসতে বলো।তারপর তাদের সিগনেচার নিয়ে বডি হ্যান্ডওভার করে দিও।
 -কিন্তু স্যার ফরেনসিক?
 -তোমাকে যতটা করতে বলছি ঠিক ততোটা করো।
 -ওকে স্যার।
 .
 মার্ডার রহস্যটা হয়তো আমার জানা,তবে সেটা সবার সামনে তুলে ধরার সময় এখনো হয়নি।
 কেসটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে পকেট থেকে মোবাইলটা বেড় করে শক খেলাম,নিধির ১০৪টা কল।
 আজ বাসায় গেলে শিওর আমার ওপর দিয়ে ঝড় যাবে।
 ঝাড়ি কিছুটা কম খাওয়ার আশায় তাড়াতাড়ি জিপ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,যাওয়ার পথে কিছু গোলাপ,চলকলেট আর ম্যাডামের প্রিয় স্প্রিড কিনে নিলাম।
 *
 টানা দশ মিনিট কলিংবেল চাপার পর ম্যাডাম এসে দরজা খুলে দিলো।
 -দরজা খুলতে এত্ত সময় লাগে।
 -(নিশ্চুপ)
 মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে ম্যাডাম কি লেভেলের রেগে আছে।
 তাই ঘাবড়ে গিয়ে গোলাপ গুলো সামনে এগিয়ে দিয়ে বললাম “সরি।”
 নিধি গোলাপ গুলো নিয়ে টেবিলে রেখে দিলো।
 রাগ আরো কিছুটা কমাতে চকলেট গুলাও দিয়ে বললাম “সরি।”
 নিধি নিশ্চুপ হয়ে চকলেট গুলো নিয়ে টেবিলে রেখে দিলো।
 তারপর শেষ সম্বল হিসেবে স্প্রিডটা দিয়ে বললাম “সরি।”
 ভাগ্যক্রমে কাজের কাজ কিছুই হলোনা,প্লান ফেইল।
 ম্যাডামের মুখের কোনো ভাষা শুনতে না পেরে ওয়াস রুমে ফ্রেস হতে চলে গেলাম।
 তারপর ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার দিতে বললাম।
 ম্যাডাম খাবার দিয়ে রুমে চলে গেলো।
 বুঝতে বাকি রইলোনা ইহা ঝড়ের পূর্বক আবহাওয়া।
 খাওয়াদাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে নিজের কাছেই কিছুটা খারাপ লাগলো,বিছানায় শুয়ে মেয়েটা কান্না করছে।
 তখন সাহস করে কাছে গিয়ে কানে কানে আবারো বললাম “সরি।”
 ম্যাডামের কোনো রিএক্সন না পেয়ে কোমড়টা জড়িয়ে ধরলাম।
 নিধি তখন কান্নার বেগ দ্বিগুণ করে দিয়ে বলতে শুরু করলো “কত্তদিন পর আজ তোমার কাছে এই দিনটা চেয়েছিলাম।তুমি পারলেনা সেটা দিতে।কতো ইচ্ছা ছিলো আজ সারাদিন তোমার সাথে ঘুরবো,একসাথে ফুচকা খাবো,রোদের মধ্যে মাঠের মাঝে দুজন পাশাপাশি বসে গল্প করবো,শরীরে যখন রোদ লাগবে তখন আড়াল করতে শাড়ির আচল তোমার মাথার ওপর দিয়ে দিবো আর দিন শেষে ডুবন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে তোমায় একটা খুশির সংবাদ শুনাবো।কিন্তু দেখো তোমার ব্যস্ততা ইচ্চে গুলোকে রাতে ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নতে পরিণত করে দিয়েছে।”
 নিধির কথা আমায় কিছুটা থমকে দিলো।সত্যিতো ভালবাসি কথাটা মুখে হাজারবার বললেও,ভালবাসার মুহূর্তগুলো উপভোগ খুব কমই হয়েছে।কিন্তু আশ্চর্য বিষয় খুশির সংবাদটা কি হতে পারে!
 আর দেরী না করে নিধির কান্না থামাতে নিধিকে আমার দিকে ঘুরিয়ে হাতে হাত রেখে চোখ বুজে ঠোঁটে একটা পাপ্পি দিয়ে দিলাম।
 -এটা কি হলো।[রেগে]
 -আদর।
 -আমার লাগবেনা কোনো আদর।
 -তো কি লাগবে?
 -কিছুইনা।
 -ওই তুমি খেয়েছোতো?
 -জানিনা।
 -খাবানা?
 -তাও জানিনা।
 -আমি খাইয়ে দিবো।
 -হুহ্।[ঠোঁট বাঁকা করে]
 আর কিছু না বলে নিধিকে কোলে তুলে এনে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে দিলাম।
 তারপর ভাত বেড়ে ম্যাডামকে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
 আর ম্যাডাম নিরীহ দৃষ্টিতে ড্যাব ড্যাব করে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
 .
 খাওয়ানো শেষে নিধিকে বললাম ফ্রেস হয়ে আসতে।
 নিধি নিশ্চুপ ভাবে ফ্রেস হয়ে এলো।
 তারপর আলমারি থেকে আমার প্রিয় হলুদ রঙের শাড়িটা বেড় করে পড়িয়ে দিয়ে নিজের মতন করে সাজিয়ে দিলাম।
 সময়টা জুড়ে খেয়াল করেছি নিধির মুখে দুষ্টু-মিষ্টি হাসি,যেটা কোনো ভাবে হৃদয়ের ভালোলাগার কড়াটা নেড়ে দিয়েছে।
 *
 ব্যস্ত শহরে দুজন পথীক পাশাপাশি হেঁটে চলেছে,আর জুড়ে বসেছে হরেক রকম গল্পের ঝুড়ি।
 সূর্য যখন তার তেজ কমিয়ে দিয়ে ডুবে যাওয়ার আভাস দিচ্ছে,পথিক দুজন তখন এসে থামলো নদীর এক ধারে।
 ঝিরঝির বাতাসে দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে,এদিকে একটু একটু করে চারিপাশে ঘিরে আসছে অন্ধকার।
 .
 মেয়েটা তখন আমার হাত শক্ত করে জরিয়ে ধরে বললো “তুমি আব্বু হতে চলেছো।”
 কথাটা নিমেষেই আমায় লাফিয়ে উঠতে বাধ্য করলো।
 কিছুক্ষণের জন্য মনে হলো পৃথিবীর সব সুখ জেনো আমার মাঝেই বিরাজ করেছে।
 খুশিতে নিধিকে কোলে তুলে নিয়ে কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে দিলাম।
 তখনি মোবাইলটা বেজে উঠলো।
 নিধিকে কোল থেকে নামিয়ে রিসিভ করতেই SP স্যার অর্ডার দিলো “রফি,আজ রাতেই সিক্রেট অপারেশনটায় চলে যাও।”
 -ওকে স্যার।
 -আর হুম দুইগাড়ি না নিয়ে চার গাড়ি ফোর্সের সাথ attack করো।
 -নো স্যার,কেসটার সাথে আমি অতিরিক্ত কাওকে জড়াতে চাইছিনা।
 -ওকে,কিন্তু গ্যাংয়ের ক্যাডারকে আমার জিবিত চাই।
 -ট্রাই টু মাই বেষ্ট স্যার।
 -ওকে বেষ্ট অফ লাক,বাই।
 কলটা কেটে যাওয়ার পর খেয়াল করলাম,নিধি মলিন দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে।
 তারপর নিজে থেকেই বললো “চলো এখন বাসায় যাওয়া যাক।”
 -কিন্তু….
 -ডিউটি থেকে এসে নাহয় আমায় ভালবেসো।
 -তুমি রাগ করনিতো?
 -উঁহু,শুধু কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে দিলেই হবে।
 মেয়েটার কথা শুনে আর কিছু বলতে না পেরে জড়িয়ে ধরলাম।
 তারপর কপালে আলতো করে পাপ্পি দিয়ে দিলাম।
 যার সাক্ষী হয়ে রইলো আঁধার আলোয় মিশ্রিত এই সন্ধ্যা আর স্মৃতি হিসাবে থাকলো বিশাল এই নদী।
 .
 নিধিকে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে ইউনিফর্ম পড়ে থানায় চলে এলাম।
 তারপর সিক্রেট মিশনটার সাথে জড়িত সকল পুলিশকে হাতিয়ার সহ প্রস্তুত হওয়ার অর্ডার দিলাম।
 তবে মিশনটার জন্য নতুন জয়েন কড়া দারগা খুবি জরুরি,তাই তাকেও কল করলাম….
 -হ্যালো সিয়াম কোথায় তুমি?
 -জ্বি স্যার বাসায় আছি।
 -এক্ষনি থানায় চলে এসো।
 -কিন্তু স্যার….
 -this is my order.
 -ওকে স্যার।
 *
 এক ঘণ্টা পর দুই গাড়ি পুলিশ ফোর্সসহ সিক্রেট মিশনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
 যাওয়ার পথে লুকিয়ে সিয়ামের gun থেকে ম্যাগাজিন খুলে ফেললাম।
 কিছুক্ষণ বাদেই গাড়ি এসে থামমো বিশাল এক গোডাউনের সামনে।
 তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে attack এর প্লানিং সবাইকে বুঝিয়ে বললাম।
 .
 প্লান অনুযায়ী বাহিরে দুইজন পুলিশ গেটের দুইপাশে লুকিয়ে গেট বরাবর gun তাক করে রইলো।
 বাকি পনের জনকে নিয়ে গুডাউনে প্রবেশ করলাম।
 সিক্রেট খবর অনুযায়ী গোডাউন ফাকা থাকবে,ভেতরে প্রবেশ করে সেটাই ঘটলো।
 তখন গোডাউনের মাঝে রাখা ড্রাম গুলো সরিয়ে মেইন রাস্তা পেয়ে গেলাম।
 তারপর চারজন পুলিশকে ওপরে থেকে লুকিয়ে যার যার পজিশন নিয়ে নিতে বললাম।
 বাকিদেরকে নিয়ে শিরি বেয়ে নিচে চলে গেলাম।
 নিচে নেমেই সবাই সবার পজিশন নিয়ে হামলা চালিয়ে দিলো।
 আর আমি সিয়ামকেসহ অন্য জায়গায় লুকিয়ে গেলাম।
 কিছুক্ষণেই গোডাউন গোরস্তানে পরিণত হলো।
 যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শুধুই মাফায়িদের লাশ।
 তখন মাফিয়াদের বস্ বেড়িয়ে এলো।
 হঠাৎ পাঁচ মিনিটের জন্য লাইট অফ যখন অন হলো তখন সব পুলিশ মাফিয়াদের পাশে লাশ আকারে শুয়ে আছে।
 পেছন থেকে সিয়াম 0পয়েন্টে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকালো।
 -কি করছো সিয়াম এটা!
 -সরি স্যার,এখন আমার অর্ডার অনুযায়ী চেয়ারে গিয়ে বসুন।
 <তখন ভিতু একটা ভাব নিয়ে চেয়ারে গিয়ে বসলাম,আর সামনে দাঁড়িয়ে রইলো চিরচেনা একটা মুখ আর অচেনা এক মানুষরূপি দানব>
 -তো সিয়াম,ক্যাডারের সাথে পরিচয় করিয়ে দাও।
 -কিসের ক্যাডার স্যার,মাফিয়া জগতে একটাইতো ক্যাডার…..সিয়াম।
 -মানে,এদের হেড তুমি?
 -হাহাহা,এত্ত সহজ একটা বিষয় বুঝতে এতো সময় লেগে গেলো আপনায়।
 -বুঝে তো আগেই গেছিলাম,তবে ক্যাডারটা যে তুমি হবা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।
 -হাহাহা,ইউ আর টু মাচ ফানি স্যার।
 -তোহ্,মেড়েই তো ফেলবা মনেহয় মড়ার আগের একটা শেষ ইচ্ছা পূরণ করবা ভাই।
 -কি ইচ্ছা।
 -তোমার মাফিয়া জগতে প্রবেশের গল্পটা জানতে বড্ড ইচ্ছে করছে।
 -আমার হাতে এতো সময় নেই ওসি,অন্য কোনো ইচ্ছা থাকলে বল।
 -আচ্ছা সবাই জানে তুমি পুলিশ অফিসার,শুধু আমি আর তোমার ওই চামচাটা জানে তুমি ক্যাডার।
 -হুম,তো?
 -যদি তোমায় মেরে এই চামচাটাকে ক্যাডারের উপাধি দিয়ে দিই তবে কেমন হয়!বোঝোই তো ভাই পুলিশের রেপুটেশনের ব্যাপার।
 -কি..বলতে কি চাচ্ছিস তুই?
 -বলাবলি আর খেলাবোনা এবার কাজে নামা যাক।
 বলেই সিয়ামের চামচার হাতের থাকা পিস্তল বরাবর গুলি করলাম।
 সিয়াম তখন ওর পিস্তলটায় ব্যর্থ টিগার চাপতে শুরু করলো।
 -বাদদে ভাই,ম্যাগাজিন আমার পকেটে।
 -তোরে তো ওসি…[অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে]
 তারপর চারটা গুলি সিয়ামের হাত-পা ভেদ করে বেড়িয়ে গেলো।
 সিয়াম তখন মাটিতে পড়ে যেতে বাধ্য হলো।
 -আমায় ছেড়ে দে ওসি,তোর যতো টাকা লাগে আমি দিবো।
 -ওকে দাঁড়া আগে তোর চামচাটার ব্যবস্থা নিয়ে নিই।
 বলেই চামচাটার দুই হাতের তালু বরাবর আরো দুইটা গুলি করলাম।
 -এবার বল,তোর জিবনের মূল্য কত দিবি?
 -দশ কোটি,বিশ কোটি,ত্রিশ কোটি কত চাই তোর।
 -হাহাহা,একবার ভেবে দেখ তোর মতন দেশদ্রোহীর জিবনের মূল্য যদি এতো হয় তবে তুই যে নিরীহ মানুষগুলাকে মেরেছিস তাদের জিবনের মূল্য কত।নাহ্ তোর সাথে ডিল করলে আমিও তোর পাপের ভাগিদার হয়ে যাবো,তুই বরং তোর পাপের খাতা বন্ধ করে উপড়ে যা।
 -না…ওসি ওয়েট,ওসি….
 তারপর আরো একটা গুলির শব্দ আর মাফিয়াদের ক্যাডার চিরতরে ঘুমিয়ে গেলো।
 তবে SP স্যারের কথা রাখতে ক্যাডারকেতো তাঁর হাতে জীবিত তুলে দিতে হবে,তাই কেসটা নিজের মতন করে সাজিয়ে বেঁচে থাকা মাফিয়াকে সবার সামনে নিয়ে গেলাম।
 বিনিময়ে মাফিয়াটা জীবন পেলেও নাম উঠে গেলো ক্যাডারের খাতায়।
 .
 আর সিয়াম..ওর ভাগ্যে জুটলো মিশনে গিয়ে শহীদ হওয়ার বিশাল এক সম্মান।
 বাকি রইলাম আমি,ইম্পরট্যান্ট সিক্রেট মিশন কম্পিলিট কড়ায় SP স্যার খুশি হয়ে মেডেল উপহার দিয়ে সম্মান জানালেন।
 সেটা পকেটে করে বাসায় ফিরতেই মনে পরলো নিধির কথা,সাথে সাথে বাজারে গিয়ে ওর জন্য স্প্রিড আর গোলাপফুল হাতে কলিংবেল চাপলাম।
 সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো।
 -কোথায় ছিলা পরশুদিন রাত থেকে?
 -থানায়।
 -একটুও আমার কথা মনে পড়লোনা?
 -সারাক্ষণি পড়ছে।
 -তো একটা কল দিতে পারতা।
 -ভেতরে এসে কথা বলি।
 -ওহ্,হুম।
 ভেতরে ঢুকে পকেট থেকে মেডেলটা বেড় করে নিধির গলায় পরিয়ে দিলাম।তারপর গোলাপটা সামনে ধরে হাঁটু গেড়ে বসে বললাম “সারাজীবন বাসায় আসার সময় তোমার আর তোমার ছেলে মেয়ের জন্য এত্তগুলা স্প্রিড নিয়ে আসার দায়িত্ব চাই।”
 -আমি রাজি,তো মেডেলটা কোন মহান কাজের জন্য পেলে?
 -সেটা রাতে বলবো,আগে একটু রোম্যান্স তো করেনিই।
 -ধ্যাত।
 -নিধি।
 -হুম।
 -তোমার ঠোঁটের কি হইছে?
 -কই কিছু নাতো।
 -না কি জেনো হইছে।
 -কি হইছে?
 -আমার ঠোঁটকে আকর্ষণ করছে।
 -হিহিহি।
 মেয়েটার মিষ্টি মুখে দুষ্টু হাসি দেখে কাছে টেনে এক হাত দিয়ে কোমড় জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলাম।
 *
 ভালবাসার জন্য কোনো সময়,কাল বা বয়স থাকেনা।
 একটা দুধের বাচ্চাও বুঝে ভালবাসা কি।
 ……………………………………..<সমাপ্ত>……………………………………..
 
  
 Loading...
Loading...













