>> আরে মুমু আপু।
এতো সকাল সকাল কি কর এখানে?
>> কিছু না। তোমাদের ফুলের বাগান টা দেখতে আসলাম। খুব সুন্দর ফুল ধরেছে তো।
>> তা তো আমি দেখতেই পাচ্ছি। আচ্ছা আপু কেস কি বল তো। তুমি তো কোনো দিন এতো সকাল সকাল আমাদের বাসায় আসো না।। অবশ্যই কেস কিছু আছে।
>> আরে না। তেমন কিছু না। আচ্ছা আবির ভাই কোথায়?
>> তাই তো বলি। এতো সকাল সকাল বুলবুলি পাখি আমাদের বাসায় আসার কারণ কি? যা বলতে যাচ্ছ তা সরাসরি বললে কি হয়। ভাইয়া তোমার উপর রেগে আছে। তুমি নাকি ভাইয়া কে টিশার্ট দিয়েছ । সেই টিশার্ট ভাইয়া ছোট ভাইয়া কে দিয়েছে। ছোট ভাইয়ার অনেক পছন্দ হয়েছে ।
>> কি?
রাহুল এই টিশার্ট পড়েছে। দাঁড়াও। তোমার ভাইয়ার ভাব আমি নিব। আমার গিপ্ট দেওয়া হয়েছে আরেক জন
কে। টিশার্ট টা আমি কত কষ্ট করে কিনেছি। আচ্ছা এখন রাহুল কোথায়?
>> ছোট ভাইয়া খেলতে গেছে । আপু শুন। ছোট ভাইয়া এই টিশার্ট টা পড়ে খেলতে গেছে। ছোট ভাইয়া কে এই টিশার্ট টায় খুব মানিয়েছে।
>> আমি মানাচ্ছি। দাঁড়াও।
.
>> এই তুমি আমাকে দেখে ওই দিকে চলে যেতে চাইলে কেন?
তোমার খুব ভাব। এতো ভাব নিয়ে থাক কিভাবে। আর তুমি নাকি আমার দেওয়া টিশার্ট রাহুল কে দিয়েছ।
>> হিহিহিহি।
তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমার দেওয়া টিশার্ট টা পড়ব। খুব তো বলেছিলে আমি নাকি তোমার দেওয়া টিশার্ট টা না পড়ে থাকতে পারব না। এখন আমি কিভাবে থাকতাছি।
>> তোমাকে আমি দেখে নিব। তুমি খুব বেড়েছ। আর এভাবে পার্কে এসে ঘুরাঘুরি কর কেন?
মেয়েদের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাক কেন? সুস্মিতার সাথে এতো কিসের গল্প। ওর সাথে তো দেখি প্রায়ই হাসতে থাক। একদম বলে দিচ্ছে ওর ধারে কাছে যেন তোমাকে না দেখি বলে দিচ্ছে। সুস্মিতা কে আমি একদম সহ্য করতে পারি না। আমাকে দেখলেই বলে কি আবিরের পাগলী।
>> ও।
সুস্মিতা এ কথা বলে। ও তো ঠিক হই বলেছে। তুমি তো পাগলী। শুধু পাগলী না। পাগলীর মা-বাবা।
>> দ্যাত। তুমি এই টিশার্ট টা যদি না পড়। তাইলে তোমার কপালে শনি আছে। এই আমি মুমু বলে দিচ্ছে।
.
>> এই রাহুল এই দিকে আসো। তুমি এই টিশার্ট টা পড়ছ কেন? আমি টিশার্ট টা আবির কে দিয়েছি। তুমি পড়লে কেন?
>> আপু আমার এই টিশার্ট টা অনেক ভালো লাগছে। তাই পড়ছি।
>> তুমি এই টিশার্ট টা পড়তে পারবে না।
এই টিশার্ট টা শুধু তোমার ভাইয়া পড়বে।
তুমি এই টিশার্ট টা খুল বলছি।
>> না আমি খুলব না। ভাইয়া আমাকে এই টিশার্ট দিয়ে দিয়েছে। তুমি বলার কে?
>> আমি বলার কে? এই টিশার্ট টা আমি তোমার ভাইয়া কে দিয়েছে। তাড়াতাড়ি খুল। নইলে তোমার বন্ধুদের দিয়ে টিশার্ট টা খুলাব।
>> হিহিহি।
পারলে খুলো। ওরা আমার বন্ধু। তোমার কথা শুনবে না।
>> সিয়াম, প্রিন্স,তাসিম। এই দিকে আসতো। রাহুলের শরীর থেকে টিশার্ট খুল তো।
>> না তোরা খুলবি না। এই খুলবে না।
>> আপু আগে বলেন। আমাদের একটা ব্যাট কিনে দিবেন। আমাদের ব্যাটটা ভেংগে গেছে ।
>> ঠিক আছে কিনে দিব।
>> ওকে আপু। শালা টিশার্ট টা খুল। সিয়াম বলতে লাগলো। তোরা ওর পায়ে ধর। আর হাতে ধর। তারপর টিশার্ট খুলে মুমুর হাতে দিয়ে দিল রাহুলের বান্ধুরা ।
>> মুমু রাহুল কে বলতে লাগলো। এই নেও ৫০০ টাকা তুমি একটা টিশার্ট কিনে নিও আর এই ১০০০ টাকা ব্যাট কিনে নিও।
>> আপু ১০০০ টাকা আমাকে দিয়ে দেও। আমি আর দু’টা টিশার্ট কিনব। (রাহুল)
>> সিয়াম,প্রিন্স তোরা এই ৫০০ টা রাহুলের কাছ থেকে নিয়ে। কিছু খেয়ে বাড়ি চলে যাও।
তার আগেই রাহুল দৌড় দিল।
আর সবাই তার পিছন পিছন দৌড় দিল।
.
>> আবির রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে । কোথায় থেকে একটা গরুর গাড়ি এসে আবিরের দিকে উঠে যায়। আবির ভয় পেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। আবির মনে মনে গরুর গাড়িটা কে বকাবকি করতে থাকে । মুমু এ সব কিছু দেখেছে। মুমুর হাসতে হাসতে পেট ফুলে যাচ্ছে। কি হাসি। যেন অনেক দিন পর মন খুলে আসছে। আবির মুমুর হাসি দেখে রাগে চটপট করতে লাগল। কি করবে বুঝতে পারছে না। আবির বলতে শুরু করল…
>> এই তুমি এতো হাসো কেন?
>> আমার হাসি এতো টাই যে। হাসি টা বন্ধ করতে পারছি না। আর আমি হাসলে তোমার সমস্যা কি?
>> আমার সমস্যা আছে। যদি হাসতে চাও। তাইলে আমার সামনে থেকে গিয়ে হাসো। আমি তোমার হাসি সহ্য করতে পারি না।
>> সহ্য করতে পারবে কেন?
আমাকে তো তুমি দেখলেই সহ্য করতে পার না। আমি তোমার কি করছি।
>> আমি যেদিকে যাই। তুমিও সেদিকে যাও কেন? তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে পার না?
>> না। আমি পারি না। আমি তোমার কাছাকাছি ওই থাকব। তোমার সমস্যা হলে তুমি আমার কাছাকাছি আসবে না।
>> আমি তো তোমার কাছ থেকে দূরে ওই থাকতে চাই। কিন্তু তুমি তো চলে আস।
>> আমি চলে আসি। আমার ধার দিয়ে তুমি চলাফিরা কর কেন? নিজে চলাফিরা কর আবার আমাকে বলছ আমি ধারেকাছে চলাফিরা করি।
>> দ্যাত। তোমার সাথে কেন দেখা হয় বুঝি না।
>> এতো বুঝতে হবে না। এই নেও টিশার্ট। এইটা পড়ে আমার কাছে কাল আসবে। আমি তোমাকে দেখব।
>> আমার বয়ে গেছে। তোমার দেওয়া টিশার্ট পড়তে। তুমি এতো মারাত্মক মেয়ে কেন? আমার ছোট ভাই এই টিশার্ট টা পড়েছে । তুমি তার শরীর থেকে খুলে নিলে কেন?
>> কেন সে পড়বে? এই টিশার্ট টা শুধু তুমি পড়বে। তোমাকে গিপ্ট দিছি । তোমার ভাইকে দেই নি।
>> তুমি আমাকে গিপ্ট দিছ। কিন্তু আমি আমার ভাই কে গিপ্ট দিছি।
>> আমি এসব কিছু বুঝি না। তুমি ছাড়া এই টিশার্ট আর কেউ পড়তে পারবে না।
>> তুমি বললেই হলো। আমি পড়ব না পড়ব না ।
>> এই তোমার মন বলতে কিছু নাই। একটা মেয়ে এতো কষ্ট করে তোমাকে একটা টিশার্ট গিপ্ট দিল। আর তুমি টিশার্ট টা পড়বে না।
>> মেয়ে নয়তো। যেন বাঘের রাজকন্যা। দেখলে আমার শরীর টা জ্বলে উঠে।
>> জ্বলবে ওই তো। তোমার তো চামড়া টা গণ্ডারের মতো।
দ্যাত যাও ভালো লাগে না।
>> এখান থেকে যাও তো।
.
>> আবির কি করিস বাবা?
>> মা কিছু না। কিছু বলবে ?
>> তুই একটা কাজ কর। মুমুর মায়ের কাছে গিয়ে এই টাকা গুলো দিয়ে আয়।
মুমুর নাকি খুব দরকার।
>> মা আমি পারব না। রাহুল কে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে দেও।
>> এতো টাকা রাহুল কিভাবে দিয়ে আসবে। তুই দিয়ে আয়।
>> মা তুমিও না। কেন সে পারবে না।
দেও তো টাকা।
>> সাবধানে যাস কিন্তু। আর একটা কাজ কর। এই শাড়ী টা মুমুর মায়ের হাতে দিছ ।
>> মা শাড়ী কেন?
>> তা তুই বুঝবি না।
>> আমার এতো বুঝার দরকার নাই।
.
>> এই তুমি আমাদের বাসার ভিতর উকি মার কেন? (মুমু)
মতলব কি?
>> শুন। আমি উকি মারি না। আমার বয়ে গেছে। তোমাদের বাসার ভিতর এসে উকি মারতে। উকি মেরে কাকে দেখব। বাঘের রাজকন্যা কে।
>> এই তোমাকে আমি…
তার আগেই মুমুর মা আসেন।
>> কি আবির বাবাজী।
তুমি কখন আসলে?
>> এইতো এখন।
মা কিছু টাকা দিলেন। আর এই শাড়ী টা দিলেন।
>> ও ঠিক আছে বাবা।
তুমি যেও না। কিছু খেয়ে যাবে।
>> না আন্টি। আমি যাই। নইলে বাঘের রাজকন্যা আক্রমণ করবে। সামনে কি রকম করে দাঁড়িয়ে আছে। দেখলে রাগ উঠে যায়।
>> কে বাঘের রাজকন্যা বাবা?
>> না আন্টি। কিছু না।
আমি যাই আন্টি ।
.
আজ ঢাকায় বাণিজ্য মেলা। এখানে সবাই কে খুব সুন্দর লাগছে। সিয়ামও এখানে এসেছে । সিয়াম আসতেই একটা ধাক্কা খেল। মুমু কে দেখে। মুমুর চুল গুলো দূর থেকে দেখা যাচ্ছে। খুব সুন্দর করে উড়ছে । হাত দিয়ে চুল গুলো সরাচ্ছে। আবার চুল গুলো এসে মুখে পড়ছে। মনে হচ্ছে মুমু বাতাসের উপর খুব বিরক্ত। মুমু সিয়ামের কাছে আসতেই। সিয়াম একটু ভাব ধরল।
>> আজকাল মেয়েরাও মেলাতে আসে। এদের কোনো কাজ নাই।( মুমুকে শুনিয়ে শুনিয়ে)
>> শুরু হয়ে গেল। এই আমাকে দেখে তোমার একটু মায়া হয় না। দেখলেই শুধু ঝগড়া করতে মন চায়।
>> তুমি তো এখানে এসেছ নাচতে। তো ঝগড়া করব না তো কি করব। এই শাড়ী টা মা তোমাকে দিয়েছেন কেন?
>> আমি কি জানি। তুমি তোমার মা কে গিয়ে জিজ্ঞাস কর। আমাকে কেন করছ। আমি কি তোমার কথার উত্তর দিব নাকি?
আমার বুঝি লজ্জাশরম কিছু নাই।
>> হাহাহা।
তোমার লজ্জাশরম কিছু আছে।
>> দ্যাত এতো হাসতে হবে না। তুমি কিছু বুঝ না। সত্যি কিছু বুঝ না।
>> ওই কি বুঝব। সামনে থেকে যাও তো।
>> তুমি যাও।
.
>> আরে মুমু আপু? (রাহুল)
>> রাহুল তুমি এখানে। কি কর?
>> আপু তোমার আব্বু আর আমার আব্বু এখানে এসেছেন। তাদের সাথে এখানে আসলাম। আপু একটা সুখবর আছে।
>> সুখবর। কি সুখবর শুনি?
>> আগে আমাকে কিছু কিনে দিতে হবে। তারপর সব খবর বলব।
>> ঠিক আছে সব কিনে দিব। এখন সব খুলে বল।
>> আপু আপনি আমার ভাবী হতে যাচ্ছেন।
>> সত্যি।
>> জ্বী আপু।
.
>> আবির একটা কথা বলব বাবা। শুনবি। তোর কাছে তো আমরা কোনো দিন কিছু যাই নি। আজ একটা জিনিস আবদার করব শুনবি। (মা)
>> কি মা? এমন করে কেন বলছ?
>> তুই বাবা মুমু কে বিয়ে করে পেল। মেয়ে খুব ভালো। মেয়েটি কত লক্ষ্মী। তোর সাথে মানাবে ভালো।
>> মা কি বলছ। মা শুন না। মুমু কে বিয়ে না করলে হয় না। আর কাউকে বিয়ে করি।
>> ভাইয়া মুমুর মতো আপু তোমার কপালে জুটছে। তোমার কপাল টা ভালো। নিজে তো একটা গাধা ছাড়া কিছুই না। (রাহুল)
>> তুই এখান থেকে যাবি কি না বল?
নইলে আমি কিন্তু তোরে…
>> যাচ্ছি।
>> তুই রেডি হয়ে থাক। আর মুমুর দেওয়া টিশার্ট টা পড়িস। আজ তাদের বাসায় যাব।
.
বিকাল বেলা মেলাতে গেলাম। মন টা খারাপ। মুমু কে ওই বিয়ে করতে হবে। মুমু কে দেখলেই আমার মাথার রক্ত মাথায় উঠে যায়। আবির কিছু দূর যাওয়ার পর মুমু কে দেখতে পায়। মুমু আবির কে তার কাছে আসলো………….
>> কি গো?
তুমি আমার দেওয়া টিশার্ট টা পড়ে আসলে? তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
.
আবির ধরা খেয়ে গেল। টেনশনে কি পড়ে আসল। খেয়াল করে নি। এখন কি করবে।
>> না আসলে। খেয়াল করে নি তো।
তাই পড়ে আসলাম।
>> ও। তাই ভাবছিলাম। এ কথা ওই বলবে। তুমি আমার কোনো কিছুতেই খুশি হউ না। আচ্ছা তুমি আমাকে সহ্য করতে পার না কেন?
.
এখন আবির মুমুকে দেখে অনেক মায়া লেগে গেল। কথার মধ্যে বোকার একটা ভাব আছে। মুমু কি আসলে ওই বোকা। না অভিনয় করছে। কিছু বুঝতে পারছে না।
>> মুমু আমি কখন বললাম। আমি খুশি হই নি। আমি কিন্তু এমন কথা কখনও বলি নি।
>> তা বলতে যাবে কেন? আমি মুখ দেখে ওই বুঝে যাই। তুমি তো আমাকে বিয়ে করবে না। তা আমি বুঝে গেছি।
এখন আমি আর তোমার সাথে ঝগড়া করব না, বিরক্ত করব না। দূরে দূরে থাকব।
>> তুমি কান্না কর কেন?
ফুচকা খাঁবে?
.
আবির একি বলছে। যে আবির মুমু কে সহ্য করতে পারে না। সে আবির নাকি মুমু কে ফুচকা খাঁওয়ার জন্য বলছে। মুমু তো বোকা হয়ে গেল।
তারপর দু’জন্য ফুচকা খেল। আবির ফুচকাওয়ালা কে বলল মুমুর ফুচকার মাঝে জ্বাল বেশি দিতে। ফুচকাওয়ালা জ্বাল বেশি দিল। সে ফুচকা খেয়ে মুমু জ্বালে কান্না করতে শুরু করল। আবির সে সুযোগ পেয়ে মুমুর কাছে গেল। মুমু কে কাছে থেকে দেখতে লাগল। মুখটা প্রায় লাল হয়ে গেছে। চোখে পানি টলমল করছে। মগ থেকে পানি নিয়ে মুমু কে খেতে দিল। মুমু পানি খেতে খেতে দেখতে পেল আবির তাকে দেখছে। মুমু একটু লজ্জা পেয়ে কাঁশি দিল। আবিরও চমকে গিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াল।
>> এমন হয়ে কি দেখলে?
>> কিছু দেখি নাই। একটা রাক্ষসী সুন্দরী কে দেখলাম। যে কিনা খেতে ভালবাসে।
>> আমি খেতে ভালবাসি। তোমাকে কে বলল?
>> আমি তো নিজে ওই দেখলাম।
>> তে যাও। বিয়ে করতে হবে না। আমি অন্য কাউকে বিয়ে করব।
>> ও। তাইলে ঠিক আছে। আমি এখন যাই। ফুচকাওয়ালার বিল টা তুমি দিয়ে আসো।
>> ভ্যাএএএএএএএ।
তুমি আমাকে দোকানওয়ালার কাছে অপমান করতে চান?
>> আমি কেন অপমান করতে যাব। কান্না করতেছ কেন?
>> কান্না করব নাতো কি করব। আমি আজ টাকা আনি নি বলে। তুমি বলছ ফুচকাওয়ালা কে টাকা দিতে। এখন আমি টাকা দিব কি করে?
>> তাইলে আমাকে বিয়ে করবেন না কেন?
>> বিয়ে করলে টাকা মাফ তো?
>> মাফ।
>> তাইলে বিয়ে করতে আমি রাজি।
মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে এসে আমাকে ফুচকা খাওয়াইবে।
>> টাকা কি দিবে?
>> আমার স্বামী দিবে।
>> ওই তোমার স্বামী আছে?
>> আছে তো।
>> তাইলে আমি তোমাকে বিয়ে করব না।
>> আরে গাধা তুমি ওই তো আমার স্বামী।
>> সত্যি।
>> জ্বী।
.
বিয়ের পরের দিন।
>> এই তোমার এতো ঘুম কিসের। উঠো বলছি ।
বাজার করে নিয়ে আসো। বাসায় কোনো বাজার নাই। আমি কি রান্না করব।
>> সকাল সকাল ডাকাডাকি কর কেন?
বাজার নাই রাতে বললে কি হতো। আমি রাতে বাজার করে নিয়ে আনতাম।
>> আমাকে বকা দিচ্ছ কেন?
ভ্যাএএএএএএএএএ।
>> এ আবার কান্না কর কেন?
একদম কান্না করবে না । মেয়েদের একটাই সমস্যা কিছু হলেই ভ্যাএএএএ করে কান্না করে দেয়।
>> তাইলে আমি কান্না করব না। তুমি আমাকে বকা দিচ্ছ। আমার ভুল হলে তুমি আমাকে বলবে । তাই বলে বকা দিতে হবে।
>> আচ্ছা ঠিক আছে। আর বকা দিব না।
এখন একটা জিনিস দেখলাম। তোমাকে কান্না করলে খুব পেত্নী পেত্নী লাগে।
>> আমি পেত্নী?
>> নাতো ভূত্নী।
>> কি?
>> না বাজারে যাচ্ছি
.
শুরু হলো আরেকটি সংসার।
.
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা