চিলেকৌঠার রৌদ্দুর

চিলেকৌঠার রৌদ্দুর

ঢাকা শহরে ফ্লাট পাওয়া যে কি কষ্টের তারউপরে যদি ব্যাচেলার হয় তাহলে তো আর ওও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে।।

বাড়িওয়ালার নোটিশ পেয়ে জিনিস পত্র গুছিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি,আর বাড়ির গেইট গুলোর দিকে নজর বুলিয়ে বেড়াচ্ছি,যদি একটা টু-লেট লাগানো বাড়ি পেয়ে যাই।

অবশ্য দু-তিন টা বাড়ি পেলাম ও কিন্তু ব্যাচেলর শুনে না করে দিলো।

উফপপ ব্যাচেলর রা কি মানুষ না নাকি,বাড়িওয়ালা ও তো একদিন ব্যাচেলর ছিল,তো এমন অন্যায় কাজ টা করে কি ভাবে কে জানে।।

বড় বড় দালানকোঠা যতদুর চোখ যাই সব গুলো বড়লোক দের সম্রাজ্র

হটাৎ করে হুচট খেলাম,চোখ তুলে তাকাতেই দেখি একটা মেয়ে ঝাড়ি মারা শুরু করে দিছে।

:-কানা নাকি চোখে দেখেন না,চশমা পরার পরও চোখে দেখেন না।

নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বললাম…..

:-সরি,,আসলে বাড়ির খোঁজ করছিলাম তো তাই নিচের দিকে খেয়াল করি নাই।
:-বাহানা করার জায়গা পান না তাই না।
:-সত্যি বলছি,এই যে পিছনে ভ্যানগাড়িতে দেখেন আমার সব জিনিস পত্র।

মেয়েটি ভ্যান গাড়ির দিকে মোটামোটা চোখ করে তাকিয়ে চলিয়ে গেলো,
কি আজব মেয়ে রে বাবা,যাই হোক আমার কাজ আমি করি বলে আবার বাড়ির খোঁজ চালিয়ে গেলাম।

অবশেষে অনেক খোঁজা খোঁজির পর একটা সিঙ্গেল রুম পেলাম,কিন্তু সেটা হলো চিলেকৌঠার রুম।
আমি একা থাকার কারনে রুমটা আমার বেশ পছন্দ হলো,আর রুমটা বেশ খোলামেলা,রুম থেকে বার হয়ে মস্ত বড় ছাদ।।

রুমটা ঠিক করে ফেললাম,সব জিনিস পত্র বহন করে নিয়ে এসে গুছিয়ে নিলাম নিজের মতন করে।।

সারাদিন অনেক ধকল গেছে শরিরে উপর দিয়ে,বিছানাতে শুতেই চোখ দুটো জুড়িয়ে এলো,তন্দ্রাআচ্ছন্নতা আমাকে গ্রাস করে নিলো।।

আসরের আযান এর শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গলো,উঠে ফ্রেস হয়ে সাদের এক কোনে গিয়ে দাড়ালাম।।

দীপ্তিময় সূর্যটা তখন ধিরে ধিরে নিস্তেজ হয়ে পশ্চিম দিগন্তে লুকিয়ে যাওয়ার খেলাতে ব্যাস্ত।
ঘুরে ঘুরে ভালোই একটা রুম পেয়েছি,ছাদ টা বেশ মনোরম একদম আমার মনের মতন,কারন আমি একদম হৈ হুট্টগোল পছন্দ করি না,আর এখানের পরিবেশ টাও বেশ মনোরম।।

সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো,তাই আকাশ দেখা বাদ দিয়ে রুমে যেতে লাগলাম,কিন্তু পিছনে তাকিয়ে দেখি অপরপ্রান্তে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে,,,

দেখে একটু অবাক ও হলাম,এখন সন্ধ্যার সময় ছাদে একা একা কি করে,,
একটু পর মেয়েটি ছাদের কার্নিসে উঠলো,নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না,চোখের সামনে একটা মেয়ে এভাবে মরে যাবে তাই গিয়ে মেয়েটির হাত ধরে নিচে টেনে নামালাম।

:-এই আপনি,আপনি আমার পিছু পিছু এখানেও চলে এসেছেন(মেয়ে)
:-আমারো তো একই প্রশ্ন আপনি এখানে কি করছেন আর আত্মহত্যা করতে চাচ্ছিলেন কেন,জানেন না আত্মহত্যা করা মহাপাপ।
:-ওহ্ হ্যালো আপনার মাথাই কি প্রবলেম আছে নাকি আমি আত্মহত্যা করতে যাবো কোন দুঃখে আমি ছাদের কিনারাতে উঠে দু হাত মেলে দিয়ে প্রকৃতির পরশ নিচ্ছিলাম।
:-ওহ্ তার মানে আত্মহত্যা করছিলেন না।
:-নাহ্,,কিন্তু আপনি এখানে কেন?
:-আমি এই বাসায় ভাড়া উঠেছি আজকেই।
:-মানে !
:-মানে,আমি ওই যে ওই রুমে ভাড়া থাকবো আজকে থেকে(চিলেকৌঠার রুম টাকে উদ্দ্যেশ্য করিয়ে)
:-ওহ্ আচ্ছা,কিন্তু আমার কিছু শর্ত আছে,যদি মানেন তবে ভাড়া থাকতে পারবেন।
:-আপনি কে হে, যে আপনার শর্ত মেনে নিতে হবে।
:-আমি কে মানে,আমি এ বাড়ির মালিকের মেয়ে।
:-ওহ্ সরি সরি,বুঝতে পারি নি,প্লীজ গরিবের পেটে এভাবে লাথি মারবেন না,অনেক কষ্টে এই রুমটা পেয়েছি যদি এটাও হারাই তাহলে রাস্তাতে গিয়ে থাকতে হবে।
:-তাহলে শর্ত গুলো শুনেন।
:-হুম বলেন
:-সন্ধ্যার সময় ছাদে থাকবেন না,আমি ছাদে আসি।ছাদে যে ফুল গুলো দেখছেন সে গুলোতে ভুলেও হাত লাগাবেন না,আর রাস্তাতে চলাফেরা করার সময় চোখ টা উপরে না রেখে সোজা রাখার চেষ্টা করবেন।
:-আচ্ছা মেনে নিলাম,কিন্তু ছাদে থাকবো না মানে,আমার রুমটাই তো ছাদে তো রুমে থেকে বার হলেই তো ছাদে আসতে হয় আমাকে।
:-ছাদে থাকবেন না সেটা তো বলি নাই,বলেছি সন্ধ্যার সময় ছাদে দাড়াবেন না।
:-আচ্ছা ঠিক আছে।
:-যান এখন রুমে যান,রাত হয়ে গেলে আর চোখে দেখতে পাবেন না চারচোখ কোথাকার
বলেই মেয়েটি দাঁত কেলিয়ে হাসতে লাগলো,
কি আর করার সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে বাড়ি ওয়ালার মেয়ে দেখে না হয় দিতাম কানের নিচে দু একটা।

এভাবে যেতে লাগলো আমার চিলেকৌঠা তে বসবাস এর দিন গুলো,আর তার সাথে বাড়ি ওয়ালার মেয়ের টুকিটুকি ভয় দেখানো।

ওহ্ মেয়েটার নামই তো বলা হয় নি,
মেয়েটার নাম নীলাদ্রি,মেয়েটার নামটা যেমন মিষ্টি দেখতেই ঠিক তেমনি অপরুপ,কিন্তু একটু বদমেজাজি,তবে নীলাদ্রি রাগলে তার সৌন্দর্যময় আরো দ্বিগুন হয়ে উঠে।

সে দিন মন টা ভিষন খারাপ থাকার কারনে বিকল থেকে ছাদে বসে আকাশ দেখছিলাম,আমার মন খারাপ থাকলে অপলক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনটা ভালো হয়ে যাই।
তাই বসে বসে আকাশ আর ছাদের চারপাশটাকে অনুভব করছিলাম।
এমন সময় নীলাদ্রি পিছন থেকে বলে উঠলো,আপনি আবার ছাদে এসেছেন বলেছিলাম না এই সময় টাতে ছাদে থাকবেন না।।

আমার মনটা আগে থেকেই খারাপ ছিলো,তারউপর নীলাদ্রি উপর জমে থাকা এতোদিনের রাগ কে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না সব বার করে ঝাড়তে লাগলাম একসাথে তার উপরে।।

সেদিন ইচ্ছে মতন নীলাদ্রি কে বকা দিছিলাম,আর নীলাদ্রি মুখ বুজে মাথা নিচু করে আমার কথা গুলো সব শুনে যাচ্ছিলো।।একটু পর এক দৌড়ে নীলাদ্রি ছাদ থেকে নেমে গেলো।।

খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম,যদি ওর বাবাকে বলে দেয় সব তাহলে তো এ বাসা টাও ছাড়তে হবে এবার।

কিন্তু না,,সে দিনের কোনো কথাই নীলাদ্রি তার বাবাকে বলে নি,বিধাতাও হয়তো চাই নি নীলাদ্রি থেকে দুরে সরে যাই আমি,তা না হলে যে মেয়েটির এতো রাগ তাকে এতো কিছু বলার পরও আমি সেই বাসাতে থাকি কি করে।।

যাই হোক তারপর থেকে আর নীলাদ্রি কখনো ছাদে আসতো না,প্রাই একসপ্তাহ হয়ে গেলো,কিন্তু নীলাদ্রি আর ছাদে আসে না।আমিও এখন তার ছাদে আসাটাকে খুব

মিস করছি,বাধ্য হয়ে নীলাদ্রির কলেজের পথে গিয়ে দাড়ালাম,কারন তার বাসার ভিতরে গিয়ে কথা বলার সাহস আমার নাই যদি আমার অন্যকিছু করে বসে,জেদি মেয়ে বিশ্বাস নাই কিছুতে।

টানা ৩০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর নীলাদ্রির দেখা মিললো,দেখলাম নীলাদ্রি আসছে।। এতো শান্তশিষ্ট মেয়ের ভিতরে এতো রাগ আর জেদ থাকতে পারে সেটা ওরে দেখে কেওই বুঝতে পারবে না।
নীলাদ্রি কাছে আসতেই তার কাছে গেলাম।।

:-এই যে একটু শুনবেন?

বুঝলাম এখনো মেয়েটার রাগ কমে নি,
:-হুম বলেন।
:-সেদিনের কথা গুলো বলার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।আসলে সেদিন আমার মনটা ভিষন খারাপ ছিলো,তাই ছাদে গিয়ে আকাশ দেখছিলাম কারন আকাশ দেখলে আমার মনটা ভালো হয়ে যাই।।
কিন্তু আমারো বুঝা উচিৎ ছিলো শর্তের কথা।
:-আচ্ছা ঠিক আছে,এখন থেকে আপনি ছাদে থাকবেন আমি আর যাবো না ঠিক আছে।
:-না,না তা হবে কেন আপনাদের ছাদ আপনি যখন ইচ্ছে তখন যাবেন আমি তো ভাড়াটিয়া আমার কথাই রাগ করে ছাদে যাওয়া ছেড়ে দিবেন কেন?
:-আপনার উপর কখন রাগ করলাম,আমার যখন ইচ্ছে হবে তখন ছাদে যাবো,আর কিছু বললেন।
:-না আর কিছু না,তবে আজকে যদি বিকেলে ছাদে আসেন তাহলে বুঝবো আপনি আমার উপরে রাগ করে নাই।

নীলাদ্রি আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলো,
কি মেয়েরে বাবা এতো জেদ, এ মেয়ের সাথে যার বিয়ে হবে তাকে কাপড় ধোয়ার মতন ধুবে সিউর।

বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়ে দেখি নীলাদ্রি তার ফুল গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে।
আমি দরজার মুখে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম।

সুন্দরি মেয়েদের নাকি খুব জেদ হয় তার প্রমান এই নীলাদ্রি,কি সুন্দর করে কোমল স্পর্শে গোলাপ গাছ গুলোকে ছুঁয়ে দিচ্ছে আর আমার ক্ষেত্রে সব সময় গুটিবাঁজি করে বেড়ায়।দেখতে দেখতে পা বাড়াতে লাগলাম।

কাছে গিয়ে….

:-ধন্যবাদ।
:-কেন?
:-এই যে আবার ছাদে আসার জন্য।
:-আপনার জন্য আসি নাই,এসেছি গোলাপ গাছগুলোতে পানি দেওয়ার জন্য কি করতে ছাদে থাকেন বলুন তো গোলাপ গাছ গুলো এই কইদিন কেমন জানি হয়ে গেছে দেখেন নি।
ওহ্ আপনি দেখবেন কি করে আপনি তো আবার চার চোখ। বলেই নীলাদ্রি হেসে দিলো।
:-ওহ্ হ্যালো আমি চার চোখ তো কি হয়ছে আর আমাকে চশমাতে আরো কিউট লাগে বুঝছেন।
:-তাই নাকি কোন গাধা বলেছে কথাটা।
:-কারা আবার আমার বন্ধুরা।
:-তাদের সবার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে আপনার সাথে থেকে থেকে।
:-তাদের না,আপনার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

দু এক কথা বলতে বলতে সে দিন নীলাদ্রির সাথে অনেক কথাই বলে ফেললাম,নীলাদ্রি সব সময় হাসি হাসি মুখে কথা বলে আর কথা বলার সময় মৃদু হাসিতে তাকে অনেক সুন্দর লাগে।

ঝগড়ার পর আমারা দুজনে বন্ধু হলাম।
এখন রোজ ছাদে আসে নীলাদ্রি আর আমরা দু জনে অনেক কথা বলি।
আর এই কইদিনে নীলাদ্রির সাথে কথা বলে যা জানতে পারলাম মেয়েটা আসলেই অনেক ভালো তবে বাবা মা য়ের আদরের মেয়ে তো তাই একটু জেদ টা বেশি।

রুমে ঘুমোচ্ছিলাম এমন সময় দরজায় টুকা দেওয়ার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো,,
খুলেই দেখি নীলাদ্রি দরজার ওপাশে দাড়িয়ে মুখে একধরনের বিরক্তি ছাপ।
:-কি হয়ছে দরজা টোকাচ্ছো কেন?
:-ক্যাম্পাসের মেয়েটা কে ছিলো।(রেগেমেগে)
:-কোন মেয়েটা।
:-যে মেয়েটা ঢলেঢলে কথা বলছিলো তোমার সাথে চটপটি খাওয়ায়ে দিচ্ছিলো।
:-ওহ্ ওর নাম তানিসা।
:-তানিসা কি মানিসা সেটা জানতে চেয়েছি আমি,আমি বলছি মেয়েটা কে?
:-ওহ্ আমরা একই ক্লাসে পড়ি।
:-উফ কথা ঘুরাবে না তো,যেটা বলছি তার উত্তর দাও।
:-কি বলছো তুমি?
:-মেয়েটা তোমার কে হয়,আই মিন ওর সাথে তোমার কি সম্পর্ক।
:-বললাম তো আমরা ক্লাসমেট,
আচ্ছা আচ্ছা একটু দাড়াও তো।
:-দাড়িয়ে তো আছি।
:-তোমাকে আজকে এমন লাগছে কেন?
:-কেমন?
:-তোমার তাকানো দেখে মনে হচ্ছে টিকটিকি যেন আরসোলা স্বীকার করবে বলে চেয়ে আছে।
:-হ্যা তাইই,আর কখনো ওই মেয়ের দিকে তাকাবে না।
:-কেন?
:-বারন করছি তাই।
:-তুমি বারন করার কে?

নীলাদ্রি শার্টের কলাপ চেপে ধরে কাছে টেনে নিয়ে,,
:-আমি তোর সব,খবরদার যদি অন্য মেয়ের দিকে তাকাও না তোমার চশমা সহ চোখ খুলে নিবো।
:-বললেই হলো।
:-হ্যা হবে আমি যা চাই তাই নিয়ে ছাড়ি আর আমি তোমাকে ভালোবাসি তো তোমাকে অন্য কারো সাথে আর যেন না দেখি।
:-ওরা তো আমার বান্ধবি।
:-হুম,,বান্ধবি ঠিক আছে ওর বেশি যেন না হয়।
:-আচ্ছা হবে নাহ্,,
:-এই তো লক্ষি ছেলে,,,আর হ্যা চশমা পরে তোমাকে সত্যি অনেক কিউট লাগে।
:-তাই নাহ্,তাহলে এতোদিন যে বলতে কানা,চারচোখ।
:-ওগুলো তো তোমাকে রাগানোর জন্য বলাতাম।
:-তাই নাহ্।
;-হুমম এই রে,,দেখছো আমি কি বোকা সব বি এফ রা তার জি এফ কে -প্রপোজ করে আর আমি তোমাকে বলেছি এখন নতুন করে আবার তুমি প্রপোজ করবা আমাকে।
:-কিভাবে করবো।
:-ন্যাকা কিছু জানো না,মুভি দেখো না তুমি।
:-হুম দেখি।
:-তো দেখো নি কিভাবে হিরো হিরোইন কে প্রপোজ করে সেভাবে তুমিও করো।
:-আচ্ছা,তাহলে একটা কাজ করতে হবে।
:-কি কাজ।
:-তোমার গোলাপ গাছ থেকে একটা গোলাপ নিয়ে আসি হুমম।
:-নাহ্ নাহ্ ফুল ছেড়া নিষেধ।
:-ওকে।

অতঃপর গোলাপ গাছ সহ নীলাদ্রিকে প্রপোজ করলাম সিনেমার স্টাইলে।

নীলাদ্রিকে পরম আদরে বুকে জড়িয়ে নিলাম,,,হঠাৎ ই মনে পড়লো সেদিনের কথা,,বলেছিলাম এই মেয়ে যার কপালে জুটবে তাকে কাপড় ধোঁয়ার মতন খেচবে,,তো ধোঁয়ার জন্য আমাকেই বেছে নিলো জেদি মেয়েটা।

আগে কি আছে আল্লাহ্ ভালো জানে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত