:এই ওঠো(সোহা)
; …..চুপ …… (রাজভি)
: এই আমার কথা কি কানে যায় না।
তারা তারি ওঠো।(সোহা)
; ওই যাও তো। ঘুমাতে দেও। আজকে শুক্রবার। অফিস off।আজকে আমার ঘুম day. So disturb করবা না। যাও তুমি ও ঘুমাও আমাকে ও ঘুমাতে দেও।যত সব সকাল সকাল ঝামেলা(রাজভি)
: এই উঠবা না কি পানি ঢালব।
; এই না না ।। আমি তো উঠে পরেছি। এই দেখ।
:Good boy. যাও fresh হয়ে আসো। তার পর নাস্তা করে আমরা শপিং এ যাব।
; ওকে।
কি ভাবছেন ও আমার বউ। আরে না ভাই আমার ভাগ্য এত খারাপ না।
ওর কথা এত সহজে মেনে নিয়েছি কারন ওর কথা না শুনলে ও হেড অফিসে(আমার বাবা) বিচার দিবে।
আর আমি ঘর ছাড়া হব। আগে ও হয়েছি।
এই মেয়ে আমাকে এত জ্বালায় তা ও আমার বাবা মা বোন সবাই ওকেই সাপোর্ট করে।
মাঝে মাঝে খুব হিংসা হয়।
এবার পরিচয় টা তারাতারি দিই। ওই বান্দরনি টা ওয়েট করছে।
আমি মো:রফসান রাজভি। একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি।
আর যার সাথে কথা হচ্ছিল সে সোহা।এবার আমার বোনের সাথে আনার্স 1 বর্ষে আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে এবং আমার বোনের বান্ধবী।
সে জন্য তাকে কিছু বলা যায় না।
বললে সবাই ওর পক্ষে থাকবে।
মাঝে মাঝে মনে হয় বাড়ি টা ওর।
সারাক্ষণ আমাদের বাড়িতে থাকে।
আর যাই হোক মেয়ে টা দেখতে অনেক cute।
একদম একটা বাচ্চার মত।
ও এত জ্বালায় তা ও কে কিছু বলি না।
আমার ও ভালো লাগে।
নাস্তা করে ওকে শপিং এ নিয়ে গেলাম
হায় মেয়ের সাথে কেউ শপিং করতে যায়।
হাজার দোকান ঘুরে এসে কিনল শুধু একটা ওড়না।
এর পর ওকে নিয়ে একটা রেস্টুডেন্টে ঢুকলাম lunch এর জন্য। হঠাৎ সেখানে এক কলেজ ফ্রেন্ডের সাথে দেখা। ওর নাম মাহি।
কলেজে থাকতে ও আমাকে অনেক পছন্দ করত।
কিন্তু তা নিয়ে আমি কখন ভাবিনি বা ভাবার সময় পাইনি।
মেয়েটা দেখতে খারাপ না।
আমার কাছে ওর চোখ দুটো খুব মায়াবী লাগতো।
এখন আছে।
আমাকে দেখে তো ও মহা খুশি।
ও ওর বান্ধবী দের সাথে lunch করতে এসেছে।
আমিঃ কি কেমন আছ??
মাহিঃ হুমম ভালো। তোমার খবর কি?
আমিঃ এই তো ভালো।
মাহি সোহার দিকে তাকিয়ে বলল এটা কি তোমার gf ??
আমিঃ আরে না না। ও সোহা রাখির(আমার বোন) ফ্রেন্ড। তো তুমি বিয়ে করেছ নাক?
মাহিঃ আরে না।এখন জব করছি। ওসব নিয়ে ভাবার সময় নাই। তো আস আমাদের সাথে বসে lunch কর।
আমিঃ আরে না।sorry তোমার enjoy কর।
মাহি সোহার দিকে তাকিয়ে বলল It’s ok ঠিক আছে।
আমরা অন্য দিকে বসলাম।
আমি লক্ষ্য করলাম এতক্ষণ সোহা কিছু বলল না।
এই মেয়ে যখনই এমন চুপ থাকে। তখনই আমার উপর কোন ঝড় আসে।
কিন্তু আমি এখন এই সব ভাবছি না।
আমার মাহির পরের টেবিলে বসে আছি।
সেখান থেকে আমি মাহি কে আর মাহি আমাকে খুব ভালো করে দেখতে পারছে।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
আর মাহি ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
সত্যি ওর চোখ অনেক সুন্দর।
এদিকে খাবারের এসে পরেছে।
খাওয়ার শেষ করে ওরা বাসা আসে।
বাসায় গিয়ে সোহা নিজের বাসায় চলে যায়।
এর পর বেশ কিছু দিন কেটে গেল।
আমি লক্ষ্য করলাম সোহা আর আগের মত আমাকে জ্বালায় না।
আমাকে কেমন এরিযে চলে।
আমাকে দেখলে চুপ থাকে।
আমাদের বাড়িতে ও আগের মত আসে না।
আর মেয়েটা ও কেমন রোগা হয়ে গেছে।
চোখের নিচে কালো দাগ।
আগের মত আর চঞ্চল নেই।
আমার ও কিছু ভালো লাগছে না।
ওকে কেমন যেন মিস করছি।
খুবই খারাপ লাগছে।
এখন বুঝতে পারছি আমি সোহা কে কত টা ভালোবাসি।
আমার মনে হয় ও আমাকে ভালোবাসে।
তাই ওকে বলব বলব ভাবছি।
এদিকে আম্মু আমার বিয়ে করানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি না করার পর ও সে মেয়ে দেখতে শুরু করেছেন।
তাই ভাবলাম যা করার তারা তারি করতে হবে।
আর সোহা রাজি থাকলে আমার বা
ওর পরিবার অমত করবে না।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে নদীর পাড়ে আসলাম খেয়াল নেই।
সেখানে অনেকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।আবার কোন কোন জায়গায় প্রেমিক প্রেমিকা রা গল্প করছে।
আমি একা একা বসে সোহার কথা ভাবছি।
কিছুখন পর বাড়ির উদ্দেশে হাটা শুরু করলাম।
হঠাৎই আমার চোখ আটকে গেল একজনকে দেখে।
আসলে একজন না দুইজনকে দেখে।
দেখলাম সোহা আর তার সাথে একটা ছেলে বসে বসে গল্প করছে।
দেখে মনে হচ্ছে ওরা দুজন দুজনকে খুব ভালো করে চিনে আর ওরা একে অপরকে ভালো বাসে।
ছি ছি এসব আমি কি ভাবছি এটা হতে পারে না।ওরা ভালো বন্ধু হতে পারে।
কিন্তু নিজের মনকে বুঝতে পারছি না।
কি করব বুঝতে পারছি না।
কখন সিগারেট ধরি নি। বন্ধুরা কত সাধত কিন্তু খেতাম না। কিন্তু আজ এক সাথে ১৫টা খেলাম।
কেন জানি বুক ফেটে কান্না আসছে।
অনেক রাতে বাড়িতে ফিরলাম।
না খেয়ে শুয়ে পরলাম। কিন্তু ঘুম আসে না।
শুধু ওর কথা মনে পড়ে।
অনেক কান্না করলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেক বেলা হয়েছে।রাতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম খেয়াল নেই।
এদিকে কিছু ভালো লাগছে না। তাই আজ অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি।
কিছুখন পর মা আসল
মাঃ কিরে তোর কি হইছে? কখন তো রাতে দেরী করে ফিরিস না। কিন্তু কালকে কি হইছে??
আমিঃ এই একটু কাজ ছিল।
মাঃ আচ্ছা বাদদে। শুন আমরা তোর জন্য মেয়ে দেখছি। মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর আর অনেক ভালো।
আমাদের সবার পছন্দ হইছে। তুই আজকে দেখতে যেতে পারবি ? তোর পছন্দ হলে আমরা বিয়ের দিন ঠিক করব।
আমিঃ না আমি দেখা লাগবে না।তোমাদের পছন্দ হলেই হল।
মাঃ তাও একবার মেয়েটাকে দেখিস। তোর ডয়ারে মেয়েটার ছবি রেখে গেলাম। দেখেনিস।
আমিঃ আচ্ছা।
এই বলে মা চলে গেল। মার উপর খুব রাগ হচ্ছে। আমি এখনো এত কষ্টের মধ্যে আছি। আর সে বিয়ে নিয়ে পরে আছে।
আসলে এখানে মায়ের ও কোন দোষ নাই।মা কি আর জানে যে আমি সোহা কে ভালবাসি।
তারা তো আমার ভালো চায়।
যা হয়েছে এখন সব বাদ দিয়ে মা বাবার জন্য আমাকে এই বিয়ে করতে হবে।কিন্তু কিছুতেই মন কে বুঝতে পারছি না। শুধু সোহার কথা মনে পরছে।
আর যখনই মনে পরে ও অন্য কাউকে ভালোবাসে।আমার চোখ ভিজে আসে।
বিকেলে ঘরেই বসে আছি।এমন সময় সোহা ঘরে আসল।
আজ ওকে বেস খুশি লাগছে।
আমার পাশে এসে বসল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল
সোহাঃভাইয়া কেমন আছেন?আর মন খারাপ মনে হচ্ছে?
আমি নিজেকে কিছুটা সামলে বললাম
আমিঃ কই কিছু হয়নি তো। আমি ঠিক আছি।
সোহাঃ ও । সমস্যা নেই আমি এখন যে খবরটা শোনাব তা শুনলে আপনার মনে এমনিতে ভালো হয়ে যাবে।
আমিঃ হুমম বল।
সোহাঃ ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। ছেলেটা অনেক ভালো। আগামী শুক্রবার আমার বিয়ে। আমি এখন আর আপনাকে জ্বালাব না।
এসব বলে আমাকে বিয়ের কার্ড দিয়ে চলে গেল।
আর যাওয়ার আগে বলেছে আমি যেন অবশ্যই ওর বিয়েতে যাই।
আমি ও যাব বললাম।
এতে সোহার কোন দোষ নেই। ও তো আর এসব জানে না।
এখন একটু ভালো লাগছে যে ওর ওর ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সুখে থাকবে।
রাতে রাস্তায় বসে বসে এসব ভাবছি আর নিকোটিনের ধোয়া আকাশে ছাড়িয়ে দিচ্ছি।
অনেক রাতে বাড়িতে ফিরলাম।
সকালে মা এসে বলল আমীন শুক্রবার আমার বিয়ে। যাক শুনে ভালো লাগছে যে আমাকে চোখের সামনে দাড়িয়ে সোহার বিয়ে দেখতে হবে না।
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এল।
আমার বিয়ের নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা নেই।
আমি শুধু সোহার কথা ভাবছি।
বিয়ে করে বউ নিয়ে বসায় আসলাম।
আমি যে বিয়ে করেছি তা আমার মনে নেই। আমি শুধু সোহার কথা ভাবছি। আজ ও অন্য কারো হয়ে গেছে। ও অনেক সুখে আছে।
আমি ছাদে দাঁড়িয়ে নিকোটিনের ধোঁয়া উড়াচ্ছি।
অনেক রাত হয়ে গেছে।সব কিছু কিছুটা নিরব হয়েছে।
এখন হয়ত সোহা ওর স্বামীর সঙ্গে সুখের সংসারের সপ্ন দেখছে।
হঠাৎ আমার বন্ধু সোহেল আসল।
ও আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু। ওকে আমি সব কিছু বলি। ওকে আমাকে অনেক বুঝার এবং বলল সব ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে।
ও অনেকটা জোর করে আমার রুমে পাঠাল।
রুমে গিয়ে তো আমি অবাক আমার রুম চেনাই যাচ্ছে না।
অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে । ঋণের খাটে লাল বেনারসী পরা একটি মেয়ে বসে আছে।
আমাকে দেখে সে উঠে এসে আমাকে সালাম করল।
আমি তাকে বাধা দিয়ে খাটে বসতে বললাম।
তার পর আমি বালিস নিয়ে সোফায় শুয়ে পরলাম।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম মেয়েটা ঠিক আগের মত বসে আছে।
আমি ওকে উদ্দেশ্য করে বললাম
আমিঃ কি হল শুয়ে পরেন।
মেয়েটাঃ আপনার সোফায় শুয়ে আছেন কেন?? আমার সাথে ঘুমাতে কি কোন সমস্যা?
আমিঃ না আমি আপনার সাথে ঘুমাতে পারব না।
আপনি ঘুমান।
মেয়েটাঃ আপনি ভালোয় ভালোয় আসবেন নাকি আমি চিল্লব।
আমিঃ আজব তো এ কেমন কথা।
মেয়েটাঃ আসবেন নাকি আমি চিল্লাব।
কি আর করার। মান সম্মানের ভয়ে খাটে গেলাম।
এখন পর্যন্ত আমি মেয়েটার মুখ দেখি নেই।
সে অনেক বড় গোমটা দিয়ে বসে আছে।
মেয়েটা আবার বলা শুরু করল।
মেয়েটাঃ এই ঘুমাচ্ছেন কেন।
আমিঃ তো কি করব। রাতে মানুষ ঘুমায় নাতো কি করে।
মেয়েটাঃ তো আমি কি এমনে বসে থাকব। আমার গোমটা তুলুন।
আমিঃ কেন নিজে তুলতে পারে না।
মেয়েটাঃ আপনি তুলবেন নাকি আমি চিল্লাব।
আমিঃ( কি মেয়ে খালি ভয় দেখায়)ওকে তুলতেছি।
বলতে বলতে মেয়েটার ঘোমটা তুললাম।
মেয়েটার মুখ দেখে তো আমার মনে হল আমি ইলেকট্রিক সক খাইছি।
মেয়েটা আর কেউ না সোহা।
আমার এই অবস্থা দেখে সোহা তো রীতিমত হেসে খুন।
সোহাঃ কি মিঃ কেমন দিলাম??
আমিঃতু তুমি এখানে কেন?
সোহাঃ কেন অন্য কাউকে আসা করছ? আর শুন আমি তোমার বউ। বুঝলা মিঃ মগা।
বলে হাসতে শুরু করলো।
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
সোহা মনে হয় আমার অবস্থা বুঝতে পেরেছে।
সে বলতে শুরু করল।
সোহাঃ কি কিছু বুঝতে পারছ না। আচ্ছা আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।
শোন তাহলে
আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। যখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি তখন থেকে। আমি যে তোমাকে ভালোবাসি এ কথা রাখি জানত।
সো আমি তখন থেকে তোমাকে কত ভাবে বুঝতে চেয়েছি। কিন্তু পারিনি। তুমি তো যান মেয়েদের বুক ফেটে কিন্তু ঘুম ফোটে না।
আমার ও একই অবস্থা। তাও আমি হাল ছাড়িনি।
তোমাকে বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে থাকি।
তুমি তোমার বুঝই না। কিন্তু আন্টি আমার হাব ভাব দেখে সব বুঝে গেল এবং সে আমাকে ভরসা দিলেন যে তুমি রাজি থাকলে সে আমার বাবার সাথে কথা বলবে। আর আমাদের বিয়ে দিবে। এটা শুনে তোর আমি মহা খুশি।
সব ঠিক ছিল। আমার প্লেন ছিল আমার পড়া লেখা শেষ করে বিয়ে করব। কিন্তু তুমি একটা বদের হাড্ডি। সেদিন রেস্টুডেন্টে ওই মেয়ের সাথে এমন ভাবে কথা বলছিলে যে ওকে তুমি তখনই বিয়ে করে ফেলবা।
তাই বাসায় এসে রাগে তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
ভেবেছিলাম তুমি আমাকে মিস করবে। আর আমার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করবে।
কিন্তু না হলে না মহারাজ শান্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাই আমি আর রাখি প্ল্যান করে সেদিন নদীর ধারে আমি আর আমার মামাতো ভাই বসে আছি। যাতে তুমি দেখ আর আমাকে এসে প্রোপজ কর। কিন্তু না তুমি তোমার গাধার সরদার।
আমার এই অবস্থা দেখে সে বলল যে আমাদের বিয়ে দিবে। অন্য দিকে রাখি আমাকে বলল যে তুমি ও নাকি মন মরা হয়ে থাক।
আর রাত করে বাসায় ফির।
তো জনাব কেমন লাগল।
আমিঃ বাহ বাহ আমার নাকের নিচে এত কিছু
হয়ে গেল। আর আমি চেরই পেলাম না।
তো মহারানি এত কিছু না করে সোজা আমাকে বললেই তো পারতেন যে আমাকে ভালো বাস।
সোহাঃ ইসস। কি সখ। নিজে বলতে পারতে না।
যান কত কষ্ট পেয়েছি। প্রতি রাতে কত কেঁদেছি।
আমিঃ সরি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও।
সোহাঃ না। কোন ক্ষমা নেই। তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।
আমিঃ বল কি শাস্তি?
সোহাঃ আমাকে কোলে করে ছাদে নিয়ে যেতে হবে। আর রোজ রাতে তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দিতে হবে এবং আমার সব আবদার গুলো রাখতে হব। কি রাজি।
আমিঃ( এটা কোন শাস্তি হল। এটা তো আমার জন্য সুখবর। তাও ওকে রাগানোর জন্য) কি ?? সব ঠিক ছিল। কিন্তু তোমার মত আটার বস্তাকে আমি কোলে তুলতে পারব না।
সোহাঃ কি বললা। আমি আটার বস্তা। যাও আমার সাথে আর কখন কথা বলতে আসবা না।
আমি কিছু না বলে ওকে কোলে নিয়ে ছাদের উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করলাম।
আর মহারানী আমার বুকে ঘুসির বৃষ্টি বর্ষণ শুরু করল। এরপর আমার বুকে মুখ লুকাল।
আজ চাদটা ও অনেক সুন্দর।
চাদের জোছনার আলোতে রাতে অন্ধকার মিশে এক অপরুপ দৃশ্য তুলে ধরেছে ।
ও চাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আর আমি ওর দিকে।
(কি সুন্দর আর নিষ্পাপ। সত্যি সব মেয়ের মধ্যে কিছু সৌন্দর্য থাকে। শুধু তা দেখার জন্য মন লাগে।)
ও আমার দিকে তাকিয়ে বলছে
কি দেখছ এভাবে।
আমিঃ তোমাকে। তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।আমি চাই সব রাত এমন করে তোমাকে দেখে দেখে কটাতে।
সব সময় এমন করে আমার পাশে থাকবে তো?
সোহাঃ তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাব বল। তোমাকে ছাড়া যে আমি থাকতে পারব না।
বলেই আমার বুকে মুখ লুকাল।
আমি আলতো করে তার কপালে একটা চুমু একে দিলাম।
আমরা তোমার চন্দ্রবিলাস করছি।
আপনারা আর Disturb করবেন না তো।