কেই না জানুক তুমি তো জানো তুমি আমার,,” অনিকের মোবাইলে ফোনটা এই রিংটোনে বেজে উঠল। অনিক একহাতে ব্যাগে বই ভরছে অন্য হাতে মোবাইল রিসিভ করল সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে মেয়েলি কন্ঠে বলে ওঠল,,,
মেয়েলি কন্ঠঃ সালা কুত,,,
অনিকঃ থাক আর বলিস না,এক মিনিটের মধ্যে আসছি। অনিক ব্যাগ কাদে ঝুলিয়ে তারাতারি রুম থেকে বাহির হতেই তার মা বলল,,, কিরে খেয়ে যা,,,
অনিকঃ মা বাইরে রাক্ষসি দারিয়ে আছে এমনি দেরি হওয়ার কারণে ক্ষেপে আছে এখন যদি আরো দেরি করি আমার আর রেহাই থাকবে না। আমি কেন্টিনে কিছু খেয়েনিব
মাঃ ঠিকাছে, ওরে এই সব নামে না ডাকতে কত বার বলব তোকে,,,
অনিকঃ ডাকব না আর টাটা মা,,, অনিক তারাতারি করে বের হয়েই দেখে এক জোরা নয়ন অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে এখনি পুড়িয়ে ছাই করে দিবে,,,
অনিকঃ Hi,মেরি জান কেমন আছিস((দাত গুলা সব বের করে দিয়ে))
তাহিয়াঃ সালা কুত্তা, বিলাই,কালা বান্দর মটকা, হনুমান, ছোট হাতি তোকে কয়টা ফোন দিছি রে এতক্ষন আমাকে বসিয়ে রাখলি ((এক নিশ্বাসে বলল রাগি লুক নিয়ে))
অনিকঃ সাবধান সব বলিস মেনে নিছি কিন্তু হাতি বলবি না তোর থেকেও আমার ওজন কম বলে দিলাম বাইট্টানি।
তাহিয়াঃ হারামি কুত্তা কি ডাকব তাহলে কয়টা বাজে দেখছিস((এখনো রেগে))
অনিকঃ আরে মেরি জান রাগ করিস কেন আজ ঘুম ভাঙ্গে নাই তাই উঠতে পারি নাই। আর তুই কি করেছিল শুনি আম্মুর মোবাইলে কল দিতে পারিস না ((ওলটো রাগ দেখিয়ে))
তাহিয়াঃ সাবধান ওল্ট জারি দিবি না। এমনি মেজাজ গরম আছে তুই যদি ফাউল কথা বলিস তাহলে তোর বারটা বাজিয়ে দিব,,,((চোখ দুটু দিয়ে যেন খেয়ে ফেলবে))
অনিকঃ ((না ভাই ওর সাথে এখন পাঙ্গা নিয়ে লাভ নেই পরে আমাকে ধরে কেলাবে))তুই কি দারিয়ে থাকবি নাকি রিস্কায় ওঠবি কোনটা? তাহিয়া কিছু বলল না চুপ করে ওঠে বসল পাশে অনিকের জন্য জায়গা রেখে দিল অনিক বসার জন্য,,, রিস্কাওয়ালা ওদের কাহিনি দেখে মিটমিট হাসছিল, তার খুব করে ইচ্ছে জাগছে অনিক আর তাহিয়ার ব্যাপারে জানতে তাদের কি সম্পর্ক,,,
রিস্কাওয়ালাঃ মামা যুদি কুছু মনে না করুইন একটা কতা জিগাইতাস কমু নি মামা?
তাহিয়াঃ আরে এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে বলুন সমস্যা নেই।
রিস্কাওয়ালাঃ আনফেরা কি গালপেন বয়পেন? অনিক আর তাহিয়া রিস্কাওয়ালার কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠল যেন তারা যেন কাইশার কোন ফানি ভিডিও দেখছে, রিস্কাওয়ালা তাদের হাসি দেখে লজ্জা সঙ্গে অবাক হল এখানে এত হাসার কি আছে।
রিস্কাওয়ালাঃ কিতা অইছে মামা এমুন কইরা আসতাছেন কেরে((বোকা হয়ে))
তাহিয়াঃ আরে মামা আপনি যে কথা বলেছেন হাসার কথাই।আমার হলাম বেস্টফেন্ড ওর নাম অনিক আর আমি তাহিয়া,,, আর দুনিয়াতে শেষ ছেলেটা যদি এই খচ্চর টা হয় তবুও ওরে বিয়া করব না ((নাকের নিচে আঙ্গুল ডানে বামে নিয়ে))
অনিকঃ তোর মত খাডাসরে আমি করব বিয়া ওয়াক থু দুরে গিয়া মর। সালি মটকি ময়দা সুন্দর কালুনি((নাক টেনে))
তাহিয়াঃ হালা হারামি কি বললি আমি কালো, ময়দা সুন্দরি তোর মত রে লুঙ্গিটাও ঠিক করে পরতে পারিস না ((হাহাহা))
অনিকঃ এই ওই দিন আমি থ্রী কোয়াটার পেন্ট পরে ঘুমিয়ে ছিলাম আর রাতে শীত করেছিল তাই ওটা গায়ে দিয়েছিলাম এর বেশি কিছুই না কিন্তু তুই এমন ভাবে বলছিস যেন তুই আমারে বিনা কাপড়ে দেখে ফেলেছিস।((অনিক কথা বলেই জিব্বা কামড় দিল কি বলল এটা ))
তাহিয়াঃ জানি তুই কেমন লুঙ্গি পড়তে পারিস সাইড হ,,,
রিস্কাওয়ালা এতক্ষন রিস্কাচালাছিল আর ওদের জগড়া দেখছিল এখন সে মুখ খুলল,,,
রিস্কাওয়ালাঃ আরে মামারা আমি হুদা জানতাম চাইছলাম যে আনফেরা গারপেন, বয়পেন কিনা আর আনফেরা কিতা শুরু করছেন মনে অইতাছে দুইডা দুইজনের জন্মের শত্রু,
অনিকঃ এই কালোনি কে বলুন চুপ থাকতে নয়তো ওরে ফেলে দিব,,,
তাহিয়াঃ রিস্কাটা আমি ভাড়া করছি আর তুই এখানে ক্ষমতা দেখাচ্ছিস তোর সাহশ তো কম না। কোথ থেকে আসল এত সাহশ নামিয়ে দিব বলছি।
অনিকঃ সাহশ আমার জন্মের পর থেকেই আছে শুধু দেখাই না হুহ((ভাব নিয়ে))
তাহিয়াঃ হহহ দেখছি তো ওই দিন আঙ্কেলের সামনে কেমন ভেজা বিড়াল হয়েছিলি ((হাহাহা))
অনিকঃ দেখ ওই দিন ভয়ে পেয়েছিলাম কারণ ওই ব্যাটার কপাল ফুটিয়েছিলাম পরে বাবার কাছে বিচার দিয়েছিল।এই একমিনিট ওর কপাল ফুটিয়ে ছিলাম তোর জন্যই। ওই সালা কোন সাহশে তোকে খারাপ কথা বলছে।
তাহিয়াঃ আমি কি বলেছিলাম নাকি মারতে। যাই হওক আঙ্কেলের হাত থেকে বাচিয়েছিলাম আমি ওই বুঝছিস,,,((ভাবনিয়ে মনে হয় সে জজ)) হঠাৎ করেই রিস্কাওয়ালা চালানো বন্ধ করে দিল।
অনিকঃ কি হল মামা চালানো বন্ধ করলেন যে?
রিস্কাওয়ালাঃআর যদি মন থায়ে আমনেরারে কোন দিন রিস্তায় তুলতাম না, আর যুদি ভুলে তুইল্লা লাই তইলে কোন প্রশ্ন করতাম না। দুইডা প্রশ্ন করছি আমনেরারে। আনফেরা তো আমার মাথা ওই গমর কইরা দিছেন। জোর আত কইরা কই দয়া কইরা আর একটা ও কথা কইয়েন না, আমার মাতা বেতা করতাছে আনফেরার বকর বকরে। যদি কতা কন তাইলে রিস্কা থেইক্কা নাইম্মা যান আমার ভাড়া দরকার নাই। কারণ যদি আনফেরা এমনে কতা কন তাইলে মাথা বেতা শুরু করব আর সারা দিনও মাতা বেতা যাইতো না। আমি এই মাতা বেতা লইয়া গাড়িও চালাই তে পারতাম না আমি সারা দিন বেকার থাহন লাগব।
অনিক আর তাহিয়া রিস্কাওয়ালার কথা শুনে হাসবে না দুঃখ প্রকাশ করবে কিছুই বোজতে পারছে না তাই তারা ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বসে রইল,,,কারণ এর আগে অনেক রিস্কাওয়ালাই তাদের মাঝ রাস্তা নামিয়ে দিয়েছে শুধু অতিরিক্ত কথার জন্য,,, এবার চলুন ছোট্ট করে তাদের পরিচয়টা দেওয়া যাক,,, অনিক মধ্যবিত্ত ঘরের একজন ছেলে তার বাবা ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা। নিজেদের সুন্দর একটা বাড়ি করেছে উপরে টিন আর দেওয়ার পাক্কা করা। তার বাবা যা পায় তা দিয়ে খুব সুন্দর করে পরিবারের ভরণপোষণ হয়ে যায়,,, তাহিয়া বাবা মায়ের একমাএ সন্তান। বাবা বেশ বড় লোক নিজের ব্যাবসা আছে শহরে। নিজেদের বাড়িটা যেন কোন রাজপ্রসাদ। মেয়ের সব শখ বলা মাএ পুরণ করে তার বাবা আমাজাত সাহেব। তাহিয়াদের বাড়ি অনিকের বাড়ি থেকে এক ষ্টেশন আগে। তবুও প্রেত্যেক দিন তাহিয়া সেখান থেকে পেছনে এসে রিস্কা নিয়ে অনিকের বাড়িতে চলে আসে এতে তাহিয়ার বিন্দুমাএ কষ্ট মনে হয় না। সে বরং অনিকের সাথে একটু বেশি সময় থাকতে পারে এবং অনিকের সাথে জগড়া করতে পারে ওটা খুব এনজয় করে।
তাহিয়া আর অনিক সেই ক্লাস ওয়ান থেকেই একসাথে এখন অনার্স ৩য় বর্ষের একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টর ছাএছাএী।
তারা দুজন চুপকরে রিস্কাথেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে কলেজে ক্লাসরুমে চলে গেল। গিয়ে দেখে ক্লাম শুরু হয়ে গেছে। তাদের দেরি করার জন্য প্রবেসরের বকা শুনতে হয়েছে। সব ক্লাস শেষ করে অনিক আর তাহিয়া বসে আছে তাহিয়া বলল,,, আজ “মা” বিরিয়ানি রান্না করেছে জমিয়ে খাব((অনিকে শুনিয়ে কারণ অনিকের বিরিয়ানি খুব পছন্দের))
অনিকঃ তো আমাকে বলছিস কেন((হারামি দাওয়াত না দিয়ে আমা লোভ দেখায়))
তাহিয়াঃ জানিস অনেক রান্না করেছে((চান্দু তোকে লোভ দেখাব))
অনিকঃ আমাকে বলছিস কেন বোজতে পারছি না((নিমকি শয়তান একটা))
তাহিয়াঃ সাথে গরুর গোশত ও আছে।
অনিকঃ ((বলে কি এখন যদি ওদের বাড়িতে না যাই। না খাওয়ার আপসোসে মরতে হবে কি করি এখন কি করি কি করি???!!!পাইছি))আচ্ছা রে আন্টির পায়ের ব্যাথা ভাল হয়েছে ইশ দেখা হল না ব্যাস্তার কারণে চল আজ গিয়ে দেখব আন্টিকে((হাত ধরে টানতে টানতে))
তাহিয়াঃ আরে মায়ের শরীর সেই কবেই ভাল হয়ে গেছে তোর যেতে হবে না সমস্যা নাই((চান্দু এবার কি করবে))
অনিকঃ আরে কি বলিস আমি আন্টির এত কাছের একজন মানুষ আমি যদি না যাই ব্যাচারি কত কষ্ট পাবে বুঝতে পারছিস?
তাহিয়াঃ কোন কষ্ট পাবে না। মাকে তোর ব্যাস্তার কথা বলেছি। মা বলেছে ওনার জন্য দোয়া করলেই হবে।
অনিকঃ ((মটকির মটকি জানি তুই জেনে বোঝে এমন করছিস আমি যাতে তোর খাবারে ভাগ না বসাতে পারি কিন্তু আমি ও না ছারার পাএ না)) আরে ব্যাচারি মনে কষ্ট পেলে আমার পাপ লাগবে আমাকে যেতেই হবে আর কত দিন ধরে যাওয়া না চল চল ((কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে টেনে সিএনজি তে উঠলাম।
তাহিয়াঃ ((সালা পেটুক শেষ অবধি নিয়েই ছারল)) তারা দুজন চলে গেল চলে গেল,,, তাহিয়া কলিং দিতে কিছুক্ষন পর মিলি আক্তার ((তাহিয়ার আম্মুর নাম))দরজা খুলে দিল। অনিক দরজার একপাশে লুজিয়ে ছিল ভয় দেখাবে বলে,,,
মিলি আক্তারঃ কিরে তুই একা কেন অনিক কোথায় তোকে না বলল আজ অনিকে নিয়ে আসতে।
তাহিয়া এমন কথা আশা করে নি। কারণ অনিক শুনেছে ফেলছে যে তাকে নিয়ে আসার জন্য বলে দিয়েছিল তাহিয়াকে। আর অনিক অনেক কষ্ঠ করে তাহিয়াকে রাজি করিয়েছে অনিক পাশ থেকে তাহিয়ার মাথায় ট্টাটি মেরে বলল,,,
অনিকঃ হারামি আন্টি বলে দিয়েছে আমাকে বলার জন্য আর তুই কিনা কত কাহিনি করলি। আন্টি কেমন আছো??
মিলি আক্তারঃ আমার খবর নেওয়ার তোর। সময় আছে ((অভীমানি কন্ঠে))
অনিকঃ সরি মা আসলে ব্যাস্ত ছিলাম(( বাচ্চতের মত মুখ করে))
মিলি আক্তারঃ আচ্ছা হয়েছে হয়েছে এত অবুজ মুখ করতে হবে না। যা গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয় তোদের পছন্দের খাবার রান্না করেছি।
অনিকঃ ওয়াও!থাঙ্কু থাঙ্কু ((বেটকি দিয়ে))। সেদিনের মত অনিক খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়িতে চলে গেল। রাতে তাহিয়া আর অনিকের অনেক কথা হয়েছে। কথা হয়েছে বললে ভুল হবে বেশির ভাগটা ওরা ঝগড়াদে কাটিয়েছে। পরদিন সকালে আবার সেই রিংটোনটা বেজে উঠল আজ অনিক রেডি হয়ে রুম থেকে বের হবে তখনি তাহিয়ার ফোন,,,
অনিকঃ চল চল দেরি হয়ে যাচ্ছে
তাহিয়াঃ আগে বল কল ধরলি না কেন।((ভ্রু কুঁচকে))
অনিকঃ আরে চেইন আটকে গেছিল তাই ধরতে পারি নাই।
তাহিয়াঃ ওহ তাই ব্যাথা পাসনি তো((দুষ্টুমি হাসি দিয়ে))
অনিকঃ ব্যাগের চেইন আটকে গিয়েছিল লুচ্চি ((বিরক্তি নিয়ে))
তাহিয়াঃ ওহ আমি আরো ভাবলাম অন্য কিছু((অন্য দিকে তাকিয়ে))
অনিকঃ তুই তো সারা দুনিয়া ভাবিস।কিন্তু আজ রিস্কা কোথায়?
তাহিয়াঃ আরে আর বলিস না, এখানে রিস্কা থামানোর পর গত কালের রিস্কাওয়ালা টা বলে দিয়েছে যে আমরা নাকি বেশি কথা বলি।
অনিকঃ যাহ সালা এখন কি হবে।হেটে যেতে হবে পারবি।
তাহিয়াঃ না পারার কি আছে! চল।
অনিকঃ তোর নতুন বয়ফেন্ডর কি খবর?
তাহিয়াঃ আরে ওই হারামির কথা বলিস না।
কাল ওর সাথে ৩০মিনিটের মত কথা বলেছি। তারপরও বলে আরো কথা বলার জন্য। আমি ঘুমাব বলে ফোন কেটে দিয়েছিলাম। জানিস ওই সালা অনেক চালাক রাতে আবার ফোন দিয়েছিল কিন্তু ওয়েটিং এ পেয়েছিল। পরে সকালে জিজ্ঞেস করে কার সাথে কথা বলেছিলাম আমি তোর কথা বলেছি। সে বলে তার সাথেই থাকো আমাকে দিয়ে কি করবে। আমিও বলেছি ৩০ মিনিট কথা বলতে পারবি যদি প্রেম করতে মনে চায় করবি নয়তো ফুট।
অনিকঃ পরে?
তাহিয়াঃ আর কি ব্যাচারার সাথে ব্রেকআপ করে দিলাম((মলিন মুখ করে))
অনিকঃ এই অবধি কয়টা গেল রে?
তাহিয়াঃ উমমম হবে ১৭-১৮ কম হবে না শিওর
অনিকঃ তাহলে তো তুই বারভাতারি ((হাহাহা))
তাহিয়াঃ একদম হাসবি না কুত্তা তোর সাথে কথা বলতে গিয়েই ওদের সাথে ব্রেকআপ হয়।
অনিকঃ আমি বলেছি নাকি কল দিতে।
তাহিয়াঃ কল না দিলে পরদিন চিল্লাস কেন। আর সারা রাত ঘুমাস না কেন?
অনিকঃ এটা তো কথা জানি না।ধুর ছার তো চল স্পিড খাই।
তাহিয়াঃ একটা আনিস দু জনে মিলে খাব।
ওরা দুজন স্পিড খাচ্ছে আর রাস্তা দিয়ে হাটছে ভিবিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে বেশির ভাগ আজাইরা কথা। দুজন মুখ লাগিয়ে খাচ্ছে কিন্তু কারো সে দিকে ভ্রুক্ষপ ও নেই। তারা সেদিনের মত বিদায় নিল। প্রতেক দিন তাদের এই অবস্তা, একজন অন্য জন কে ছারা থাকতে পারে না।কিন্তু ওরা এখনো রিয়েলাইজ করতে পারে নি যে নিজেদের অজান্তেই কোন এক অদৃশ্য মায়ায় জড়িয়ে গেছে। কিছু দিন পর অনিক তাহিয়া কে বলে,,,
অনিকঃ শোন, আজ এক মেয়ের সাথে দেখা করতে যাব। সঙ্গে তুই ও যাচ্ছিস। তাহিয়া বাদাম খাচ্ছে আর আর অনিকের কথা শুনছে আর বলল আমি গিয়ে কি করব তোরা ওখানে লুতুপুত করবি।
অনিকঃ আরে সে রকম কিছু হবে না। জাস্ট দেখা করব শেষ। এমনি আগে অনেক কথা হয়েছে দেখা হয়নি তোকে তো বললাম ওই দিন এটার ব্যাপারে।
তাহিয়াঃ হুম ঠিকাছে চল।
তারা দুজন চলে গেল মেয়েটার সাথে দেখা করার জন্য। দেখে মেয়েটা আগে থেকেই বসে আছে তাহিয়া আর অনিক রিস্কা থেকে নেমে যেতে লাগল কিন্তু তাহিয়া একটু দুরে থাকল অনিকে পাঠিয়ে দিল।
অনিক মেয়েটার সাথে কি যেন বলছে তাহিযা দুরে থেকে ভুট খাচ্ছে আর দেখছে। বেশ অনেক সময় হয়ে গেল তাহিয়া এখনো একা একা ভুট করে মুখে দিচ্ছে। অনিক যখন আসতে যাবে তখনি মেয়েটা অনিকে জড়িয়ে ধরল। কিন্ত অনিক চুপ করে দারিয়ে ছিল আর সে মেয়েটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসল। কিন্তু সে জরিয়ে ধরাটা তাহিয়ার কাছ। কেমন যেন লাগল। কেমন যেন খারাপ লাগেছে কিন্তু অনিকে বুঝতে দেয় নি। তারা নিজেদের মত বাড়িতে চলে আসল কিন্তু আসার সময় অনিকের সাথে তাহিয়া একটিও কথা বলেনি। অনিক একাই বক বক করে গেছে। রাতে তাহিয়া চোখের সামনে একটু দৃশ্য ভেসে উঠছে যে অনিকে জরিয়ে দরেছে। কোন ভাবেই দৃশ্য টা মন থেকে মুছতে পারছে না। তাহিয়া নিজেও বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে। সে আর ভাবতে না পেরে অনিকে কল দিল কিন্তু অনিকের ফোন ওয়েটিং সে বার বার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল। তাই সে রাহ করে ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেল।
অনিকঃ কি ব্যাপার হারামির ফোন বন্ধ কেন। ওর জন্য আরেক মেয়ের সঙ্গে কথা না বলে ফোন কেটে দিলাম এখন ফোন বন্ধ কাল দেখা হওক তার পর বুঝাব। অনিকও পারি জমাল ঘুমের দেশে। সকালে তাহিয়ার রিস্কা নিয়ে দারিয়ে আছে। আজ ইচ্ছে মত গালি দিবে অনিকে। অনিকও ভাবছে যে হারামিটা কে আজ পুকুরে চুবাব ওর জন্য নতুন গার্লফেন্ডর সাথে কথা বলতে পারি নাই।
অনিকঃ কিরে হারামি তুই কাল ফোন দিয়ে মোবাইল বন্ধ করলি কেন।
তাহিয়াঃ লাত্তি খাবি তোকে কত ফোন দিলাম দরিস নি কেন? তাই রাগ করে বন্ধ করে দিয়েছি। ওরা ইচ্ছে মত জগড়া করল পরে কলেজের চলে গেল। তাহিয়া কলেজ থেকে ফিরে দেখে বাড়িতে তিন মানুষ সোফায় বসে আছে যদিও তাহিয়া অবাক হয় নি এমন অনেক মানুষ আসা যাওয়া হয়। কিন্তু আজ তাদের অন্য রকম লাগছে সুট বুট পরে দুই জন পুরুষ একজন তার বাবার বয়সি অন্য জন্য যুবক একজন মহিলা আছে যিনি খুব সুন্দর একটা শাড়ি পরে বসে আছে।
আমাজাদ সাহেবঃ এই তো আমার মেয়ে চলে আসছে।মিলি আমার মেয়েকে তৈরী করে নিয়ে আসো। তাহিয়া তখনো কিছু বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে।
তাজিয়াঃ মা ওনারা কারা? মিলি আক্তার কোন কথা না বলে একটা শাড়ী পড়েতে দিয়ে চলে গেল। মিলি আক্তারের কথায় তাহিয়া শাড়ী পরে নিল। তাহিয়া শাড়ী পরে নিল আর মিলি আক্তার তাহিয়াকে নিয়ে তাদের সামনে বসিয়ে দিলেন।
আমজাত সাহেবঃ তাহিয়া মা ওনারা হলেন শরীফ আহাম্মেদ,আর ওনার একমাএ ছেলে আজহার আর ওনি আজহারের মা হামিদা। আজহার তোকে একদিন কলেজে যাওয়ার সময় দেখেছিল পরে তোর পিছু নিতে নিতে বাড়ি অবধি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসল।
শরীফ সাহেবঃ মা আমার ছেলের তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে তাই আমরা সাত পাচ না ভেবে চলে আসলাম বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। তুমি কি রাজি আছো মা।
হামিদা বেগমঃ তুমি তোমার পড়ালেখা নিয়ে কোন চিন্তা করো না আমাদের বাড়িতে তোমাকে পড়ানো হবে।
তাহিয়া চুপ করে বসে রইল,,,
আমাজাদ সাহেবঃ যা মা আজহার কে ছাদ থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয়। তাহিয়া মাথা নেরে সামনে উঠে গেল আর আজহার পেছন পেছন যাচ্ছে। ছাদে আজহার অনেক প্রশ্ন করছে আর তাহিয়া হ্যা অথবা না উওর দিযে যাচ্ছে। এদিকে অনিক বার বার তাহিয়ার মোবাইলে কল দিচ্ছে কিন্তু তাহিয়া ফোন কেটে দিচ্ছে নয়তো রিসিভ করছে না। পরে আজহার তাহিয়ার ফোন নাম্বার নিয়ে চলে গেল। রাতে তাহিয়ার রুমে তার মা বাবা।
তাহিয়াঃ কি ব্যাপার তোমারা এখানে বস।
আমাজাত সাহেবঃ তোর কি কেউ পছন্দের আছে।
তাহিয়া কি বলবে কখনো অনিক ছারা অন্য কোন ছেলে সাথে মিসে নি তাই সে সাফ বলে দিল কেউ নেউ। আমজাদ সাহেবঃ তাহলে আমরা চাচ্ছি যে ওই বাড়ির সঙ্গে তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলি। ওরা বলেছিল আগামি পাচঁ দিনের মধ্যে তোকে ও বাড়িতে নিয়ে যাবে। তাহিয়ার আর কি বলবে সে তার বাবা মায়ের কথাতে রাজি হয়ে গেল। এবং সে নিজেও অনিক খুসি হয়েছে কারণ এত বড় বাড়িতে বিয়ে হবে আর বর টা এত স্যান্ডসাম রাজি হবারি কথা তাই এই খুশির খবর অনিকে জানানোর জন্য ফোন দিল। তাহিয়া ফোন দেওয়ার সাথে সাথে অনিক রিসিভ করে মনে হচ্ছিল তার ফোনের জন্য বসে আছে। অনিক ফোন ধরেই তাহিকে কে ইচ্ছে মত কথা শুনাল,,,
তাহিয়াঃ আরে বকিস পরে একটা খুশির খবর আছে শোন।
অনিকঃ বাহ্ তা কি শুনি অব্যশই তোর বিয়ের খবর না। ইশ তোর বিয়ের খবর যদি হত কি খুশিটাই না হতা। ভাগ্য খারাপ তোর মত পেত্নিকে কে বিয়ে করবে ((রাগানোর জন্য))
তাহিয়াঃ আমার বিয়ে আগামি ২৫ তারিখ
অনিক তাহিয়ার কথা শুনে মনে হল াসমান থেকে পড়ল চুপ হয়ে আছে।
তাহিয়াঃ সত্যি বলছি,তাহিয়া বিকালের ঘটনাটা বলল।
অনিকঃ তুই খুশি তো
তাহিয়াঃ হ্যাঁ, আমি অনেক খুসি। হঠাৎ তাহিয়ার মোবাইলে ম্যাসেজ আসল “আমি কি আপনাকে ফোন দিতে পারি আজহার”
তাহিয়াঃ অনিক ফোন রাখ হবু জামাইয়ের সাথে কথা বলে নেই।
অনিকঃ ঠিকাছে।
তাহিয়া কথা বলছে অনেকক্ষন ধরে অনিক এর মধ্যে বেশ কয়েক বার ট্রাই করেছে দেখে ওয়েটিং তাই সে আর কল দিল না। অনিক খানিকটা মন খারাপ করে ঘুমিয়ে গেল।
তাহিয়া ফোন কেটে দেখে অনিকের অনেক গুলা কল কিন্তু বেশি রাত হয়ে যাওয়া তে সে আর কল দেয় নি।
পরিদিন অনিক বাড়ি থেকে বের হয়েদেখে আজ আর কেউ রিস্তা নিয়ে দাড়িয়ে থাকেনি। তাই সে তাহিয়ার কে ফোন দিল,,, সে জানাল যে সে নাকি হবু জামাইয়ের সঙ্গে শপিং করতে গিয়েছে। অনিকের কেমন জানি শূন্যতা অনুভব হচ্ছে। কলেজে গিয়ে সোজা ক্লাস করে বাড়িতে চলে গেল।অনিক পরে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে কিন্তু তাহিয়া ফোন রিসিভ করে নি। বিকালে অনিকের প্রেমিকা যার সাথে পার্কে দেখা করতে গিয়ে ছিল আজ সে ডেকেছে দেখা করা জন্য। দেখা শেষে অনিকে জড়িয়ে দরছিল ওটা দেখে ফেলে তাহিয়া সে হবু বরের সাথে শপিং শেষে বাড়িতে যাচ্ছিল। ওটা দেখে তাহিয়া খুব রেগে যায়।
তাহিয়াঃ ((হারামির কত বড় সাহস ও অন্য মেয়ের সাথে লুতুপুতু করছে ওই দিন করেছে কিছু বলেনি বলে আজ কিছু বলব না। কি ভাবেছি ও)) রাতে তাহিয়া ভাবছে,,,
তাহিয়াঃ অনিক যার সাথেই যাক তাতে আমার কি। যার সাথেই লুতুপুত করুক তাতে আমার কি? আমি কেন ওর উপর রাগ দেখাব। আজ সারাটা দিন কেমন যেন গেল বার বার চোখ দুটু অনিকে খুজেছে। সারা দিন ওই ছেলেকে অনিকে গল্প বলেই দিন পার করে দিলাম। এমন মনে হচ্ছে যে অনিক ছারা আমার কাছে অন্য কোন গল্পই নেই। আমি ওরে ভেবে দিন পার করে দিলাম আর হারামিটা একটা ফোনও দিল না। এমা ও দেখি অনেক কল দিয়েছে আমি রিসিভ করতে পারি না। আমি ফোন দেই জারি দিব আর কি কি কিনলাম ওগুলো বলতে হবে। তাহিয়া যখনি অনিকের মোবাইলে ফোন দিবে ঠিা তখনি আজহারের ফোন আসল আর তাহিয়া ইচ্ছা না থাকা সত্যেও ফোন রিসিভ করে আলাপ করতে লাগল,,,
অনিকঃ সালি সারা দিন ঘুড়া ফেরা করে ইচ্ছে শেষ হয় নি এখন আবার ফোনে কথা বলা হচ্ছে মনটা চাচ্ছে বাড়িতে গিয়ে থাপ্পড়াইয়া আসি। দেখ আজকের ফেলফি গুলা তোকে দিয়ে তোকে জালিয়ে মারব। অনিক নিজের অজান্তেই ওর আর প্রমিকার কিছু সেলফি তাহিয়ার কাছে পাঠিয়ে দিল কিন্তু কেন পাঠাল অনিক নিজেও জানে না।
তাহিয়াঃ সালা খচ্চার মেয়েটার কত ক্লোজ হয়ে ছবি তুলছে একবার দেখো। ঠাডা পড়ব অনিক্কা তোর প্রমিকার উপর মনে রাখিস।কাল কলেজে গিয়ে সেই তার পর দেখাচ্ছি তোকে((রেগে গিয়ে নিজের হাত মুচরাচ্ছে)) দুটু মন তারা নিজেই জানে যে তারা কখন কীভাবে ভালবাসা নামক মায়ার জালে জরিয়ে গিয়েছে। সকালে তাহিয়া বাসা থেকে বের হতেই দেখে আজহার গাড়ি নিয়ে দিরিয়ে আছে। তাহিয়া কারণ জানতে চাইলে সে নাকি তার সব বন্ধু বান্ধবের সাথে পরিচিতি হতে চায়।তাহিয়া নিরুপায় হয়ে চলে গেল আজহারের সাথে। এদিকে অনিক গতকালের মত এটা একা কলেজে চলে গেল অভিমানে তাহিয়াকে ফোনও দেয় নি সে।
কলেজে,,,
আজহারঃ তাহিয়া কি খাবে বল?
তাহিয়াঃ উমম না তেমন কিছু না।
আজহারঃ তুমি দারাও আমি আমি আইসক্রিম আনছি। কিছুক্ষন পর আজহার এগিয়ে আসছে আর সেই সময়
অনিক কলেজে ডুকল। অনিকে দেখে তাহিয়া মনে ভিতর কেমন জানি শান্তি অনুভব করছে মনে হল কত বছর পর সে দেখছে অনিক কে। ওদিকে অনিকেও সেইম অবস্তা,,, তাহিয়া অনিকে দেখে ছুটে আসার সময় আজহারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যায়। আজহার তাহিয়ার দুই বাহু ধরে তুলার জন্য ধরতেই অনিক এসে আজহারের হাতে ধরে বলতে শুরু করল,,,
অনিকঃ কেরে তুই ওরে ফেলে দিয়েছিস আবার ওর শরীরে হাত দিচ্ছিস বলেই ঠাসস করে থাপ্পর বসিয়ে দিল আজহারের গালে। তাহিয়া রিতিমত অবাক আর গত কালের ছবি গুলা সাথে হাতে ছিলে যাওয়ার নিয়ে রাগের বসে অনিকের গালে ঠাসস ঠাসস করে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে থাপ্পর বসিয়ে দিল,,,
তাহিয়াঃ তুই কার গায়ে হাত তুলেছিস জানিস। সে আমার হবু বর। আর তুই তার গায়ে হাত তুলেছিস ছোটলোট কোথাকার। সব সময় খালি মথায় ফাউল চিন্তা ঘুরে তাই না।তাহিয়া বলছে আর চোখ দিয়ে পানি পরছে।
অনিকঃ((তাহিয়া এমন কথা বলছে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছ।)) অনিক কিছু না বলে তাহিয়াকে তুলে পাশের দোকান থেকে হাতের ছিলে যাওয়া যায় গাতে বেন্টিস করে দিল।
অনিকঃ ইশ কি জোরে মারিস রে তুই((বুকে চাপা কষ্ট লুকিয়ে))ওহ সরি ভাইয়া জানতাম না যে আপনি ওর হবু বর প্লিজ প্লিজ মাফ করে দেন ((হাত ধরে))
আজহারঃ চিনলাম না আপনাকে?
তাহিয়াঃ ওর নাম অনিক।
আজহারঃ তাহলে আপনি সেই অনিক যার কথা তাহিয়ার মুখে নিজের থেকেও বেশি শুনেছি। বাইদা ওয়ে আমি কিছু মনে করেনি আর আপনি আমার বউকে এতদিন সেইফ রেখেছেন ওটার জন্য ধন্যবাদ।
অনিকঃ ধন্যবাদ ভাই ((একগাল হেসে))শোন আমার একটু কাজ আছ আমি যাই। টাটা সবাই। অনিক চলে যাচ্ছে তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে তাহিয়ার কথা গুলা যেন সুইয়ের মত কলিজাতে বিদে হেছে। সারা দিন অনিক খুব কষ্ট পেয়েছে সাথে তাহিয়াও এই প্রথম তাহিয়া অনিকে কষ্ট দিয়েছে থাপ্পর তো হাজার টা দিয়েছে কিন্তু আজ দুটু থাপ্পর যেন তাহিয়া নিজেকে দিয়ে। খুব কষ্ট হচ্ছে অনিকের জন্য পারছে না আর ফোনটা না দিয়ে থাকতে তাই সে অনিকের মোবাইলে ফোন দিল। সাথে সাথেই অনিক রিসিভ করে, কিন্তু কোন কথা বলছে না। ওপাশ থেকে ও কোন কথার আসছে না শুথু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওযাজ অাসছে। প্রায় দশ মিনিট পর,,,
তাহিয়াঃ থাপ্পর গুলা খুব লেগেছে তাই নারে ((কান্না করতে করতে))বিশ্বাস কর আমি মারতে চাই নি কিন্তু কিভাবে মেরেছি জানি না।
অনিকঃ আরে না কোন ব্যাপার না। ওখানে তুই ছোট লোকরে মেরেছিস।
তাহিয়াঃ মাফ করে দে অনিক প্লিজ মাফ করে দে আমি আর পারছি না তোর কে আগাত করার পর থেকেই আমি জলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। কথাটা বলা শেষ হতেই দুজন দুপাশ থেকে কান্নায় ভেঙ্গে পরল,,,
তাহিয়াঃ(( কেন পারছি না অনিকে ভুলে থাকতে সব জায়গাতে শুধু তাকেই দেখতে পাই। কেন বার বার মন চাচ্ছে ওর কাছে ছুটে যেতে কেন কেন?))
অনিকঃ((খুব ভাল থাকিস আমার কলিজা জানি না কখন নিজের অজান্তেই তকে ভালবেসে ফেলেছি সেদিন যখন পার্কে দেখা করতে গিয়েছিলাম ফ্যাসব্যাক,,,
অনিকঃ কেমন আছো? মিমি((পার্কের মেয়েটার নাম))ঃ ভাল তুমি কেমন আছে?
অনিকঃ ভাল,কি এত জরুরি তলব যে দেখা করতেই হবে।
মিমিঃ তুমি কি জান তুমি যে অলরেডি কারো সম্পর্কে জরিয়ে এসে আমার সাথে দ্বিতীয় সম্পর্কে আছো?
অনিকঃ তুমি কি পাগল হয়ে গেছ তুমি ছারা অন্য কারো সাথে আমি কথা ও বলি নাই শুধু তাহিয়া ছারা।
মিমিঃ হ্যা তা জানি যে তুমি তাহিয়া ছারা অন্য কারো সাথে কথাও বল না। কিন্তু তুমি এই তাহিয়াকেই ভালবাস।
অনিকঃ তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছ((অবাক)
মিমিঃ না অনিক পাগল হয় নি আমি সারা দিন তুমি ওর ব্যাপারে কথা বল, ফোন দিলে তাহিয়া,খেতে গেলে তাহিয়া,রাতে তোমার মূল টপিক থাকে এই তাহিয়া সব জায়গাতেই তাহিয়া তুমি মান আর নাইমান এটাই সত্যি।
সেদিন কথাটা শুনার পর খুব খুশি হয়েছি কিন্তু পরে যখন মনে পরল যে তোর তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তখনি তোর থেকো দুরে রাথার চেষ্টা করছি। আমি বুঝেছিলাম যে তোকে আমি কতো ভালবাসি সব সময় তুই তুই করে জীবন শেষ করে দিলাম কিন্তু দুদিন পর তুই অন্য কারো।)) পরদিন তাহিয়া চুপ করে নিজের ঘরে বসে আছে আর অনিকর কথা ভাবছর সে সময় রিতা((মামাতো বোন + কাছের বান্ধবী যাকে অনিকের পরের জায়গাটা দিয়েছে তাহিয়া))রুমে অাসল আর বলল,,,
রিতাঃ কি ব্যাপার নতুন বউয়ের মুড অফ কেন?
তাহিয়াঃ নাহ এমনি ((দীর্ঘশ্বাস ছেরে))
রিতাঃ অনিকের কথা ভাবছিস?
তাহিয়াঃ ((অবাক ব্যাপার সে কীভাবে জানল যে আমি অনিকের কথা ভাবছি)) তুই কিভাবে জানলি?
রিতাঃ মনে একজন কে রেখে শরীরে একজনকে বিয়া করা ঠিক না তাহিয়া।
তাহিয়াঃ কি যাতা বলছিস আমি কেন কাউকে মনে বসিয়ে রাখব।
রিতাঃ অনিক তোর মনে বসে আছে।যার জন্য কেঁদে কেঁদে রাত পার করেদিয়েছিস, যাকে অন্য কোন মেয়ের মাথে সহ্য করতে পারিস না।যার কথা নিজের থেকেও বেশি ভাবিস। যাকে ছরা তোর জীবনে অন্য কোন গল্প নেই। যাকে প্রতিনিয়ত মিস করছিস।যার সম্পর্কে বলতে তোর বোরিং লাগে না সে হল অনিক আর এই অনিক তোর মনে আছে,যাকে তুই নিজের যাইতে বেশি ভালবাসিস। তাহিয়া অবাক দৃষ্টিতে রিতার কথা শুনছে,,,
তাহিয়াঃ((সত্যি কি আমি অনিকে ভালবাসি,কিন্তু রিতা যা বলেছে একটি কথা ও মিথ্যা না তাহলে আমি অনিকে ভালবাসি)) তাহিয়া কথাটি রিয়েলাইজ করা মাএই ঠোটের কোণে হাসি ফুটে উঠল কিন্তু পরক্ষনেই মনে পড়ল যে তার বিয়ে আগামি কাল। আমি পারব না নিজের বাবার মানসম্মান ধুলুই মিশাতে,,, আমাকে বিয়ে করতেই হবে।
রিতাঃ তোর যা ইচ্ছা কর, রিতা রুম ত্যাগ করল,,, দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসল অনিক এক কোনে দারিয়ে তাহিয়াকে দেখছে। আজ তাহিয়া হলুদ লেহেঙ্গা, গাঁ ভর্তি গহনা। যেন সর্গ থেকে নেমে আসা পরী সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। তাহিয়া চোখ দুটু অনিকে খুজছে,এবং পেয়েও গেল। অনিক খয়ড়ি কালার পাঞ্জাবিতে কি দারুন লাগছে আশে পাশের মেয়ে গুলা চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে অনিকে,,,
তাহিয়াঃ(( অনিকে আজ কত সুন্দর লাগছে কিন্তু ওর চোখ লাল কেন সে কি কান্না করেছে। রাতে কি ঘুমায় নি। চোখের নিচে কালি পরে গেছে। চেহারাতে উজ্জল ভাবটা নেই তবুও কি সুন্দর লাগছে)) তাহিয়াকে নিয়ে বরের পাশে বসানো হল। ইতি মধ্যে কাজি সাহেব বেশ কয়েকবার কবুল বলার জন্য বলেছে কিন্তু তাহিয়া বলার নামও নিচ্চে না। শুধু চোখ দিয়ে পানি পরছে। হঠাৎ তাহিয়ে বসা থেকে উঠে গিয়ে অনিকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরল বলল,,,
তাহিয়াঃ আমি অনিকে ভালবাসি, আমি তাকে ছারা অন্য কাউকে আমার পাশে ভাবতেও পারব না। পারব না অন্য কারো সাথে খুনসুটি করতে। গত ১৮ বছর অনিকের সঙ্গে ছিলাম বাকি জীবটা ওর সাথে পার করতে চাই বাবা প্লিজ তুমি আমাকে অনিকের হাতে তুলে দাও। তাহিয়া তখনো অনিকের বুকে মাথা দিয়ে ডুকরে কান্না করছে। হঠাৎ করেই করতালি দিয়ে উঠল চারপাশ থেকে তাহিয়া মাথা তুলে তাহিয়ে দেখে সবাই মিটমিট করে হাসছে শুধু অনিক ছারা।
আমাজাদ সাহেবঃ আমি জানতাম আমার মেয়ে অনিকেই ভালবাসে কিন্তু সে ওটা জানে না। যখন আজহার বিয়ে নিয়ে আসে তখন শর্ত দিয়েছিলাম যদি শপিং করতে গিয়ে কারো নাম নেয় সে যেন আমাকে বলে।তুই নাকি সারা দিন অনিকের নাম জপে ছিলি পরে জানতে পারি অনিকও তোকে ভালবাসে আজহার কে শুধু সামনে নামমাএ বর ছিল আসল বর তো অনিক। তাহিয়া খুশি তে বাবাকে জরিয়ে দরল সেখানে একই কথা জানাল অনিকের মা বাবা। পরে তাদের বিয়ে দিয়ে দিল,,, রাতে,,,
অনিকঃ যদি মিমি থাকত কত কিছুমিসু দিত তোকে বিয়ে করছি শুধু শুধু কিছুই দিস না।
তাজিয়াঃ ওরে সেয়ানা রে। বলেই জাপিয়ে পরল অনিকের উপর। শুরু হল নিজেদের নতুন জীবন
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা