ক্যাম্পাসে দাড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম আর সেটাও বলতে হচ্ছে আপনাদের,কারন চায়েতে চুমোক দেয়ার পর কখন যে চুমোকেই রয়ে গেছি বুঝি নি,হঠাৎ চা’ওয়ালার ডাকেতে বুঝতে পারছিলাম চায়েতে চুমোক দিয়েছি
-দাদা এ কি করলেন এভাবে কেউ তাকায়
-কি বলেন কৈ তাকালাম
-জ্বিহা তো পুড়িয়ে ফেলছেন মনে হয়
-হ্যা তাই তো,কিভাবে বুঝলেন
-যেভাবে ঐ মেয়েটার দিক তাকিয়ে হুশ ছেড়ে অন্য জগৎ এ চলে গিয়েছিলেন, সেখানেতো একটু এরকম হয়।
-অভিজ্ঞতা আছে বুঝি আপনার অনেক?
-চা ব্যবসায়ী হতে পারি মাগার দিল তো আমার ও ছিলো
-কি বলেন ,বুঝি না তো।
-বুঝেই বা কি হবে,আজ সে মেয়েটির জন্য আমি চা ব্যবসায়ী।
-খুলে বলুন ঘটনা,
-জগৎ খুলতে পারুম না মাগার মুখ খুইল্লা সব কইতাছি,আরেক কাপ চা লন আর চুমুকে থাকেন
-এটাই তো শেষ হয় নাই।
-হয়ে যাবে শুরু করলেই
-তবে শুরু করুন।
এই বলে চা বিক্রেতা গল্প শুরু করলেন,যদিও বের হয়েছিলাম ভার্সিটির উদ্দ্যেশ্যে,ক্যাম্পাসের চা ওয়ালা সে আর হতে দিলো কই,
যাইহোক গল্পতে যাই,
-শুরু করলাম তবে দাদা
-ভাই বা মামা বলেন বারবার দাদা দাদা করেন কেনো।
-জানেন দাদা আপনাদের সমস্যাই এটা,কে কি বলে ডাকে এসবে ভুল ধরাধরি।
-আচ্ছা শুরুতো করেন
-আচ্ছা তবে শুনেন
-হুম
-একদিন আমি ও আপনার মত চা খাচ্ছিলাম হঠাৎ এক রমনী পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো,অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে জ্বিহা পুড়িয়ে ফেলছি নিজেও জানিনা
-তারপর
-তারপর আর কি ,চায়ের বিল দিয়ে মেয়েটা পিছু পিছু হাটতে শুরু করি,মেয়েটা ছিলো কালো টিপ কালো শাড়ি আলতা পায়েতে,প্রেমে পইরা গেছিলাম সত্যি দাদা
-তারপর কি হলো
-চা তো লন আরেক কাপ
-আচ্ছা দাও
-তারপর মেয়েটার পিছু হাটতে হাটতে “এই দাদা চা টা নেন আগে”
-তুমি গল্পের মাঝে(রাগান্বিত হয়ে) ,আচ্ছা দাও
-তারপর মেয়েটা হাটতে থাকলো আর আমি ও হাটতেই থাকলাম হঠাৎ
-কি হলো হঠাৎ মামা
-মেয়েটা আমার দিক ফিরে তাকালো
-তারপর তারপর
-আপনার চা শেষ আরেক কাপ চা লন
-আচ্ছা দাও তো,গল্পের মাঝে প্রতিবার ভেজাল করো কেনো।
-আরে শুনেনই না তারপর কি হলো,তারপর আমি লজ্জা পেয়ে মেয়ের সামনে যাই,
-তারপর
-চা টা লন
-ধুর! বাল
-তারপর মেয়েটা সামনে এসে বলে
আপনি আমার পিছু আসছেন কেনো,আমি কইলাম,
কই আপনি তো আমার সামনে আবার মেয়ে বললো আমি লক্ষ করছি সে তখন থেকে আপনি আমার দিক চেয়ে আছেন আমি ও হাসি দিয়া কইলাম আপনি তা লক্ষ করছেন।
-তারপর
-আপনার চা শেষ চা লন
-ধুর। দাও
-তারপর আমার হাসি দেখে মেয়েটা ও হাসলো আর বললো
-কি
-চায়ের কাপতো আগে লন।
-ধুর!
-চ্যাতেন কে আপনিই তো কইছেন শুনবেন
-আইচ্ছা তারপর কন ,ধুর বলেন
-তারপর মেয়েটা বললো
পিছু পিছু তারাই হাটে যাদের সাহস নেই,আমি ও কইলাম আমার সাহস আছে আপনার ধারনাই নাই,মেয়েটাও কইলো “তবে পিছু পিছু কি”,আমি ও কইলাম
-কি বললেন
-চা লন চা শেষ
– ধুর! বাল
-চ্যাতেন কে চা লন
-তারপর বলো ,
-তারপর আমিও কইলাম,আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী আপনি,মেয়েটা ও কইলো
-কি
-চায়ের কাপটা তো লন আগে।
-মেজাজ গরম করতেছেন।
-চ্যাতেন কে,কইতাছি তো
-বলো
-তারপর মেয়েটা কইলো “জানি আমি সুন্দর” আমি কি কমু বুঝতাছিলাম না হঠাৎ করে মেয়েটা কইলো
-কি বললো?
-চায়েতে তো চুমোক দেন আগে,শুধু কি কথা গিলবেন।
-আচ্ছা দিচ্ছি বাল,তারপর বলেন
-মেয়েটা কইলো যে আমি নাকি অনেক সুইট, আমিও কইলাম “সত্যি” মেয়েটা ও কইলো
-চা দাও
-আরেকটু শুইন্না লন
-গল্পের মাঝেতো আটকাবা তাই আগেই দাও
-আইচ্ছা এই লন আরে হুনেন
-বলো
-মেয়েটাও কইলো “চায়েতে চুমোক দেন”
-কি
-আরে আপনারে কইছি চুমোক দিতে
-তারপর বলো ,দিচ্ছি বাল
-তারপর মেয়ে জিগাইলো আমি থাকি কই কি করি ,আমি ও সব কইলাম আর আমার কথা শুইন্না তো মেয়ে কয়
-চায়েতে চুমোক দিতাম
-হয় চুমোক দেন।
-আচ্ছা দিলাম তারপর বলো
-এই লন আমার নাম্বার ,ফোন দিয়েন মেয়ে নাম্বার দিয়া হাটা শুরু করলো আর আমি ও মাগার পিছু পিছু গেলাম অনেকক্ষন হঠাৎ মেয়েটা কইলো “এবার আপনি চলে যান”
আমি ও মাগার আইয়া পরলাম
-তারপর
-আরেক কাপ চা লন,চা শেষ
-কি শুরু করছো,আচ্ছা দাও
-তারপর রাতে ফোন দিলাম, মেয়েটারে পরিচয় দেয়ার পরতো কইলো
-কি বললো
-আগে কাপটা নিজের হাতে লন
-বাল ।দাও
-মেয়ে কইলো “আরে আপনি” তারপর দুজন কথা কইলাম,হঠাৎ মেয়েটা কইলো
-চায়েতে চুমোক দিতাম।
-হ চায়েতে চুমোক দেন কইতাছি।
-তারপর মেয়েটা কইলো “চলো দেখা করি ” আমি ও খুশিতে কইলাম চলো ,এরপর
-আবার চায়েতে চুমোক দিতাম!
-আরে না আরেকটু শুইন্না লন তারপর চুমোক দেন
-আচ্ছা বলো।
-এরপর মেয়ে কইলো তবে চলো কালই দেখা করি,আমি সহমত দিলাম,তারপর এভাবেই দেখা করতাম কদিন পর পর ,হঠাৎ দেখা করতে করতে একসময়
-একসময় কি?
-আরেক কাপ চা লন
-দাও বাল
-একসময় ফতুর হয়ে যাই তারপরই আমার পেট চালাইতে এই চায়ের দোকান দিতে হইছে।
-তারপর !
-তারপর এই কাপ শেষ করে চায়ের বিল দিয়ে দৌড়ের উপর থাকেন
-আজিব তোমার চরিত্র,
-সবাই কয়
-আর কি বলে
-আগে চায়েতে চুমোক দেন আরেকদিন কমু।
–
বি:দ্র: রাস্তায় হঠাৎ অপ্সরী দেখে,চায়েতে চুমোক দেয়া বন্ধ করুন,কালো শাড়ি ,কালো টিপে আলতা পায়ের প্রেমেতে পড়বেন না,তবে “চায়েতে চুমোকময়” জীবন হয়ে যাবে।
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা