স্বার্থপর সেই মেয়েটা

স্বার্থপর সেই মেয়েটা

প্রায় একটি বছর কেটে গেলো হঠাৎ সেদিন মেয়েটি আমাকে ফোন করে বলছে কেমন আছেন? ভেবেছিলাম সুদ্রাবে ভুলগুলো কিন্তু এ যে সে জাতি নয়, ভাংবে তবু মচকাবে না। আমি বুঝতে পারছিলাম না সত্যিই কি মারিয়া আমাকে ফোন করেছে। আমি বললাম ভালো আছি সোনা তুমি কেমন আছো। ও বললো ভালো আছি তা প্রেম ট্রেম কেমন চলছে জানতে পারি।

ভাবলাম আমার স্বার্থপর মেয়েটা মনে হয় আমার প্রেমের মর্মটা অবশেষে বুঝলো তাই আমার খোজ খবর নিচ্ছে। বললাম সোনারে আমাকে তো ভালোবাসলে না তবে হঠাৎ এই প্রশ্ন করছো যে। ওর লাইফ ইসটাইল কেমন পরিবর্তন করেছে তা জানিনা তবে আমার কথার মাঝে অন্য রকম রসগোল্লা ঢালতে সিখেছি বিরহের অবসরে। ও বললো না এমনিতেই অনেক দিন কোনো খোজ খবর তো নিলেন না তাই আমিই খোজ খবর নিলাম।আসোলে ও আমাকে কোনোদিন পাত্তাই দেয় নি তাই পুরোনো কথা না উঠিয়ে আমি বললাম সূর্যকে কখনই আরাল করে কেও রাস্তায় চলতে পারে না। তেমনি আমিও তোমাকে আড়াল করে চলতে পারি নাই। যে প্রেম জীবনের সূচনায় সে প্রেম যে ভোলাটা বড়ই দায়। আমাকে বলবে কি যে কেমন করে ভুলবো তোমায় সোনা পাখি। স্বার্থপর মেয়েটা এখন হারে হারে বুঝতে পারছে রাফি আর আগের রাফি নেই। রাফি এখন আর কথার কাঙ্গাল নেই। ও বললো আপনি তো অনেক সুন্দর করে কথা বলা সিখেছেন। আমি বললাম তাই নাকি রাজাকে তার মাথার মুকুট পরলে তাকে সুন্দর দেখায় তাহলে আমাকে কথার মুকুট পরিয়ে দাও না প্রিয়। ও এক ‍দিকে সোনা পাখি, প্রিয়, সোনারে কথাগুলো সুনে বিরক্ত অনুভুত হলেও এত সুন্দর করে ওর কোন বয়ফ্রেন্ড যে ওর সাথে কোনদিন কথা বলে নি সেটা নিশ্চিত ছিলাম। তাই ও কিছু না বলে শুনছিলো আর কথা বলছিলো। আমি বললাম তোমাকে নিয়ে আমার একটা আশা ছিলো বলবো। বলেন। এক বছর পর তোমার সাথে কথা বলছি তাই এটা রাখতে হবে। চেষ্টা করবো। আমি তোমাকে বাবু বলে ডাকবো। কেনো আমি কি আপনার জিএফ নাকি। প্লিজ আগের রুপটা দেখিও না রাজকুমারী। হেসে দিয়ে বললো এটা কিন্তু একটু বাড়াবাড়ী হচ্ছে। আমি বললাম আমার দুষ্টু বাবুটা দুষ্টুমি ছাড়া কিচ্ছু বুঝেনা।

আমিঃ বাবু কখনো সাতটি রং একসাথে দেখেছো?
মারিয়াঃ রং পেনছিল দিয়ে কত রং একেছি।
আ- মনের রং দেখেছো
মা- কিভাবে সেটা দেখা যায় নাকি
আ- যে নিস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতে যানে সে একসাথে সাতটি রং দেখতে পায়।
মা- আপনি দেখেছেন তাহলে মনেহয় তাইনা?
আ- ময়ুর হয়ে কখনো নেচে দেখেছো?
মা- আমাকে আজগুবি কথা বলবেন নাতো বিরক্ত লাগছে।
আ- তাহলে সিগারেটের ধোয়ার কাওকে পুরতে দেখেছো?
মা- বললাম না ভালোমত কথা বললে বলেন নাহলে ফোন কেটে দিব। আপনি হয়ত যানেন না যে আমি আমার ছোট বোনকে এটা বোঝানোর জন্য ফোন করেছি।
আ- মানে কি?
মা- মানে ওর সন্দেহ ছিলো যে আমি আপনার সাথে প্রেম করি সেটা ভুল ধারনা ভাঙ্গালাম।
আ- ভালো তুমি সত্যি অনেক মজার মেয়ে। আমি তোমাকে সুধোসুধি ভুল বুঝতাম। তুমি সত্যি অনেক ভালো মেয়ে। আজকে আমি অনেক খুশি তোমার উপর সোনা।
মা- কি বলেন পাগল হয়ে গেলেন নাকি?
আ- আমার রুপ আমি বদলাই না।
মা- তাহলে আমি এমন কি করলাম যে আমাকে এত ভালো জানা হচ্ছে।
আ- ফুল গাছেই সুন্দর মানায়।
মা- আমি কিছু বুঝলাম না এত দিন না করলে বলতেন কষ্ট পেয়েছি আর আজ উলটা খুুশি হলেন।
আ- এর জন্য খুশি লাগছে যার সাথে প্রেম করেছো এতদিন সে একটা গাধা আর তুমি বড় গাধা। কারন তুমি প্রেমের মর্ম বুঝইনা। যে অন্যের প্রেমের মূল্য দিতে যানে না সে তো প্রেম বুঝেই না। তোমাকে এর জন্যই বাবু বলে ডেকেছি। ওরে আমার সোনা বাবুটা যে কবে বড় হবে।
স্বার্থপর মেয়েটা কিছুতেই আমাকে ঠকাতে পারছে না মানে আমাকে রাগাতে পারছে না। তাই সে রেগে মেগে বললো আমার সাথে প্রেম করবেন।
আ- তোমার সাথে প্রেম করবো মরতে।
অামি বুঝতে পারলাম আমাকে ঠকাতে চায়। তাই মেয়েদের নিয়ে খেলা করা জলন্ত আগুনের উপর দাড়াইয়া থাকা সমান।

অবশেষে মারিয়া ওর স্বার্থের বিনিময়ে উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য প্রেমের অভিনয় করতে গিয়ে আমার মিষ্টি কথার ফাকায় পরে গিয়েছে। একবার ভালোবাসার চাপে সব হারাতে হবে। এভাবে মারিয়া আমার জীবনে জীদ করে আসে আর এই রাগকে দমন করার কোউশল শিখে ওকে সত্যিকারের ভালোবাসতে শিখাতে পেরেছি। তাই এত কিছুর পর আমার প্রেম হওয়ার পর মারিয়াকে ভালোবেশে বলি স্বার্থপর মেয়ে। জানিনা আবার জানি কখন কোন ছলনার স্বিকার হতে হয়। অামি ওকে ওনেক ভালোবাসি তাই ওকে ওর মত থাকতে দিয়েছিলাম বলে অবসেষে আমার কাছেই ওকে ফিরে পেলাম।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত