ছোট বোনের জন্যই বিয়েটা হলো

ছোট বোনের জন্যই বিয়েটা হলো

আমি আমার ছোট বোনকে অনেক বেশি ভালোবাসি, সেইও আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমাকে বোকা বানায় এবং ঝগরা করে,,আমি আমার বাবাকে একটু বেশি ভয় পাই,,সেই কাউকে ভয় পায়না কেননা তাকে সবাই অনেক বেশি ভালোবাসে,,সেই যেইটা বলবে সেইটাই হবে। আমার ছোট বোনের নাম নিলা। আমি একদিন আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতেছি আমার রুমে বসে, নিলা কখোন রুমে ডুকে আমার পিছনে এসে দাড়িয়েছে আমি একটু বুঝতেই পারলাম না, হঠাং নিলা বলে উঠলো ভাইয়া মোবাইলটা দেয় আমি ভাবির সাথে কথা বলবো, আমি হতোভাগ হয়ে তাকেই আছি ওর দিকে,,নিলা কি দেখছো মোবাইলটা দাও এই বলে মোবাইলটা টান দিয়ে নিয়ে গেল, কথা শুরু করলো আমি ওর দিকে এক দিষ্টিতে তাকিয়ে আছি, ভাবতেছি আজকে কি জানি হয়,,অনেক খন ভালো কথা বললো তাররপর শুরু করলো আমার নামে নালিশ, আমি নাকি কিপটা, একটা টাকাও দেইনা তারপর বললো আজকে আমার এক হাজারর টাকা লাগবে তুমি ভাইকে বলে দিও,,তারপর ফোনটা কাটলো। কেটে বললো টাক দাও একহাজার, আমি বললাম টাকা কি গাছের পাতা পেড়ে দিয়ে দিব,,নিলা বললো তার মানে তুমি টাকা দিবানা, দেখি কি ভাবে টাকা না দাও বাবা বাবা এই বলে ডাকতে লাগলো আমি ওর মুখ চেপে ধরলাম, বললাম বাবাকে ডাকছিস কেন এই নে পাচঁশো টাকা, পাচঁশো টাকা হবেনা এক হাজার টাকাই লাগবে, তুই কি আমার ছোট বোন আমার কিন্তু সন্দেহ হয়, কেউ আপন বড় ভাইয়ের সাথে এই রকম করে,,নিলা বললো সন্দেহ পড়ে কর আগে টাকা দাও, আমি বাধ্য হয়ে একহাজার টাকাই দিতে হলো,নিলা বললো তুমি সত্যি আমার বড় ভাই, আমি বললাম বড় ভাইনা কচু।ও চলে গেল,,নিলা যে আমার টাকা নেয় তা কিন্তু নয়,,আমার টাকা লাগলে নিলাকে বলি,তারপর নিলাই আমার জন্য বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দেয়,,এমনে চলতে থাকে আমাদের দিন,,,,,, এখন আমি বিয়ে করলাম আমার গার্লফ্রেন্ডকে,,,,,
সেইটা সম্ভব হয়ে নিলার জন্য,চলেন দেখে আসি কিভাবে হলো,,আমি মাত্র লেখা পড়া শেষ করলাম, একটা ভালো চাকরি খুজতেছি,,এমন সময়ে গার্লফ্রেন্ডের ফোন,,ও সরি আমার গার্লফ্রেন্ডের নাম রিয়া, রিয়া আমাকে বললো ওকে নাকি বাসার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে,এবং রিয়া তার মা বাবাকে বলে দিয়েছে সে আমাকে পছন্দ করে, কিন্তু রিয়ার বাবা মা রিয়াকে বলছে, আমার বাবা মাকে ওদের বাসায় নিয়ে যেতে তারা নাকি আমার বাবার মা সাথে কথা বলবে,,আমি এই কথা শুনে নিচে বসে পরলাম। আমি কি করবো বুঝতেছিনা, কি ভাবে বাবা মাকে বলবো সেইটাই ভাবতেছি,,আমি যেই ভয় পাই বাবাকে,ভাবতে ভাবতে বাসায় গেলাম,খাবার না খেয়ে সুইয়া পরলাম তখনি নিলা পাগলি বোনের আগমন, আমি বললাম জামেলা করিস না, আমাকে একটু একা থাকতে দে। একা থাকতে দিবনা, কি হয়ছে বলো আমাকে।
আমি: আমার কিছু হয়নাই তুই যা এখান থেকে
নিলা: বলবি না,কি ভাবে বলাতে হয় সেইটা আমি জানি।
আমি: তকে বলে আমার কিছু হবেনা,,তাই বলবো না।
নিলা: বলবিনা,আচ্ছা দেখ বাবা বাবা
আমি: ওর মুখ চেপেপে ধরলাম, কি করছিস বাবাকে কেন ডাকছিস।
নিলা: তাহলে বল,নাতো বাবাকে আবার ডাক দিবো
আমি: ঠিক আছে বলতেছি, ,সব কিছু খুলে বললাম।
নিলা: এই কথা, বাবাকে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে বলে দাও।
আমি: আমি পারবো না,আমি শুধু মাকে বলতে পারবো, তুই একটু বাবাকে বুজিয়ে বলিস।
নিলা: আচ্ছা বলবো, আমাকে কি দিবি সেইটা বল
আমি: যা চাইবি তাহা পাইবি, বল কি চাস
নিলা: এখন কিছু লাগবে না,,পরে বলবো
তার পর রিয়ার ফোন, রিয়া বললো কি কখোন আসবে তোমার বাবা মা,,আমি বললা আর একটা দিন সময় দাও তার পর বলতেছি, কিছুক্ষন কথা বলার ফোন রাখলাম,, কিন্তু টেনশেনতো আমার অনেক বেড়ে গেছে, নিলা বাবাকে কি না কি বলে, বাবা যদি আমার সম্পকটা না মানে, তাহলে আমি রিয়া কে যবাব দিবো তাই ভাবতেছি, ভাবতে ভাবতে ঘুমি পরলাম কখোন যে রাত হলো বুজতে পারিনি,ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম,,যখন খাওয়ার জন্য যাবো তখন দেখি বাবা বসে আছে চেয়ারে আর নিলা পিছে থেকে গলাধরে দাড়িয়ে আছে, হাসছে আর কি যেন বলছে, কিন্তু বাবা কিছু বলছেনা আমার আরও টেনশন বেড়ে গেল,, তরপর আমি মায়ের কাছে গেলাম মাকে সব কিছু খুলে বললাম,,মা বললো এইটাতো খুশির খবর, তুই টেনশন করিছ না,আমি তর বাবাকে রাজি করাবো, আমি একটু টেনশেন মুক্ত হলাম, কিন্তু মা কিছু বলার আগে আমাকে এবং মাকে ডাক দিলো নিলা, বললো বাবা ডাকছে খাবার টেবিলে এই বলে নিলা হাসছ, আমার র্হাটবিট তো পুরাই বেড়ে গেলো,,বাবতেছি কি যানি হয়,,আস্তে পা বাড়িয়ে বাবার কাছে গেলাম মাও গিয়ে বসে পরলো,,কিন্তু আমি দাড়িয়ে আছি।
বাবা: দাড়িয়ে আছ কেন বস।
(আমি বসলাম)
বাবা: আমরা শুধু নিলাকে না তোমাকে অনেক ভালবাসি
আমি : আমি জানি (ভয়ে ভয়ে বললাম)
বাবা: এতো ভয় পেতে হবে না, নিলা যেইটা বলবে সেইটা হবে তুমিই তো জানো
আমি: হমমম।
বাবা: নিলা যেইটা বললো এইটাতো খুশির খবর কবে যেতে হবে সেইটা বলো( আমিতো হতোভাগ এতো তাড়িতাড়ি রাজি হয়ে গেলো যাইহোক আমিতো খুশি)
আমি: ধন্যবাদ বাবা
মা: এইবার খুশিতো কখন যেতে হবে সেইটা বলিস
আমি : আচ্ছা আমি বলবো।
তারপর খুশিতে ভাত না খেয়ে চলে গেলাম,,রুমে গিয়ে রিয়া কে ফোন দিলাম কবে আসতে হবে রিয়া বললো কাল আসো,,আমি মাকে গিয়ে বললাম। তারপর দিন সবাই রেডি হয়ে চলে গেলাম রিয়ার বাসায়,, এবং তাদের বাসায় পৌছালাম যে দেখি রিয়া বাবা মা আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে, আমরা আসাতে অনেক খুশি, আমি তাদের কে সালাম দিলাম এং ভিতরে প্রবেশ করলাম,তারা বসার জন্য বললো আমরা বসলাম কিন্তু নিলা বসলো না, নিলা বললো আমি রিয়া আপুর রুমে যাবো, রিয়ার মা বাবা রিয়ার রুম দেখিয়ে দিলো আর নিলা চলে গেল রুমে। আমি বসে আছি, মা বাবা তাদের সাথে কথা বলতেছে, তখনি দেখি নিলা রিয়াকে এবং কিছু নাস্তা নিয়ে আমাদের কাছে আসতেছে,,এসে আমাদের সালাম দিলো রিয়া, মা বাবা সালাম উওর দিলো, তারপর বললো বসো মা, কেমন আছো তুমি,,রিয়া বসে বললো আমি ভালো আছি আপনারা সবাই কেমন আছেন, সবাই বললো ভালো,,রিয়ার মা বললো বাবাকে আপনার ছেলে সাথে রিয়াকে মানাবেতো, বাবা বললো আমার ছেলের পছন্দ আছে,রিয়াকে আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে ,আমিতো লজ্জায় মাথা নিচু দিয়ে রাখছি,,অবশেষে সবার মতামতে বিয়াটা হলো,,আমি অনেক খুশি, মা বাবা অনেক খুশি, নিলার কথা কি বলবো ওতো সারাদিন রিয়ার সাথে গল্প করে,,বিয়ে তিন দিন হয়ে গেলো ভাবলাম একটু বাহির থেকে ঘুরে আসি রুম হতে দেখি নিলার আগমন,,
আমি : তর কি চাই বল, যেইটা চাস সেইটা পাবি
নিলা: তুমি কি মনে করছো, কিছু টাকা বা কিছু পাওয়ার জন্য তোমাকে বিয়ে করিয়েছি,,না।
আমি: কিসের জন্য এতো উপকার করলি
নিলা: আমিও তোমার মতো প্রম করবো তারপর প্রমিকের সাথে পালিয়ে যাবো তখন তুমি আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে হেল্প করবা এই কথা বলছে হাসছে।(আমি একটু আবেগ নিয়ে বললাম)
আমি: তুই আমাকে ছাড়া থাকতে পারবি। (নিলা তখনি আমকে জরিয়ে দরে কাঁদতে শুরু করলো আমিও কান্না করে দিলাম)
নিলা: আমি তদেরকে ছেড়ে কোথাও যাব না
আমি : আরে পাগলি তোকে ছেড়ে আমরাও থাকতে পারবো না,,তুই তো আমার সব,,আর কাদিস না,,মা বাবা আমাদের এইসব দেখে কিদে দিলো।

………………………………….সমাপ্ত…………………………….

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত