সময়টা ছিল দুপুর বেলা আযান হচ্ছিল মসজিদে, বাজারে আমি ও আমার এক বান্ধবি কিছু কেনা কাটা করতে গেছিলাম, আমরা হাটছিলাম হঠাৎ করে আমার পায়ের অপর অন্য পা উঠে যাওয়া অনুভাব করলাম তাকিয়ে দেখি আমার পায়ের সান্ডেল্টা ছিরে গেছে। আমি দেখি পাশেই মাথায় টুপি আর পাঞ্জাবি পরে এক ছেলে দ্রুত চলে যাছিল আমি ভাব্লাম অই ছেলেটাই মনে হই আমার স্যান্ডেল টা ছিরে দিয়েছেন পা তুলে তাই দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছেন তাই অকে পিছন থেকে অর পাঞ্জাবীটা টেনে ধরে সেই ছেলেটাকে অনেক জোড়ে এক থাপ্পড় লাগালাম, আর বললাম খুব তো হুজুর সেজে আছেন আর মেয়েদের সাথে এসব করতে লাজ্জা করল না, দেখলাম উনি কিছুই বল্ল না শুধু একটা কথা বল্ল প্লিজ আমাকে যেতে দিন আমাকে নামাজ পরাইতে হবে, আর ৫ মিনিটস বাকি আসে আমার জন্য সবাই বসে আছে আমাকে যেতে দিন, প্লিজ, আমি নামাজ শেষ করাই আসি এরপর আপনার যা যা বলার আর যা করার করবেন প্লিজ অনেক লোকজন এটা দেখছিল কিন্তু সেই ছেলেটা আমার দিকে একবার তাকাইও নাই তাই বললাম খুব সাধু সাজা হচ্ছে তাইনা, তোর মত ছেলেদের ভাল করেই চেনা আছে, যা এই বলে আরও একটা থাপ্পড় লাগাইলাম, বলেই অখান থেকে চলে আসলাম আর ছেলে টা পাশের কোন মসজিদে হইতবা নামাজ পরাই তাই অইদিকে দ্রুত চলে গেলে কিন্তু যাওয়ার আগে এক ফোতা চোখের পানি বের করে দিল যা কিনা আমার হাতে আসে পরেছিল, তার পর চোখ মুস্তে মুস্তে চলে গেল। সে একটা জবাব ও দেইনি, আমি ভাব্লাম বাজে কাজ করার সময় মনে থাকেনা আর
এসব করে আবার চোখের পানি ফেলছে লাজ্জা লাগে না এদের বলে বাসায় চলে আসলাম । আমার বান্ধবি আমাকে বল্ল নিতু কজাক টা কি ঠিক হল রে ছেলেটা কে তুই মারলি সে তো কাজ টা না ও করতে পারে, না জেনেই সবার সামনে অকে থাপ্পড় মারা আর সবার সামনে অকে অপমান করলি, কেমন জানি আমারই খারাপ লাগছেরে নিতু। তুই কি বেলছিস সব তানিয়া , কেউ এমন কাজ করে কি আবার স্বীকার করবে ভাবছিস বলে অর কথাটা উঠিয়ে দিলাম। বাসায় চলে আসলাম কিন্তু কেমন জানি শান্তি পাচ্ছিলাম না, সব কিছু কেমন জানি লাগছিল, রাতে ভাল করে ঘুমাতেও পারলাম না। বার বার মনে হচ্ছিল ছেলেটাকে মারলাম অথচ একটা কথাও বল্ল না, নিরবে সহ্য করে গেল, আর মনে হচ্ছিল আমার হাতে অই ছেলের এক ফোটা চোখেত পানি। আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম, কিছুই ভাল লাগছিলনা আমার, তাই তানিয়াকে ফোন করে বললাম তুই এখন এ বের হো আমি আস্তেছি বলেই অকে নিয়ে, চলে গেলাম সেই জায়গায় আর অই ছেলের খোজ করে বের করে পাওয়া গেল সে যেই মসজিদে নামাজ পরায় সেখানকার ঠিকানা। সেখানে একজন মুরুব্বী মানুস ছিলেন উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম এখানে যে ছেলেটা নামাজ পরাই অনি কথায়, তিনি আমাকে বললেন যান মা ছেলেটা অনক ভাল ছিল, কিন্তু একটা মেয়ে নাকি ছেলেটাকে অকারনেই থাপ্পড় মেরেছিল আর এটা নিয়ে এলাকার মানুস ছেলেটাকে অনেক কিছু বলত আপনি হুজুর হইয়ে এসব কাজ করে বেড়ান ওসব সহ আরও অনেক খারাপ কথা, তাই সে আর সহ্য করতে না পেরে সে এই মসজিদ এর দায়িত্ব ছেড়ে চলেগেছেন,। কথাটা শুনে আমি মাথা ঘুরে পড়ে গেছিলাম, যখন জ্ঞান আসল নিজেকে আবিষ্কার করলাম আমার ঘরে আর তানিয়া আমার পাশেই বসে আছে। আমি তাড়াতাড়ি বের হলাম, তানিয়া আমাকে বল্ল কথায় যাচ্ছিস নিতু এখন তুই থাম আমি বললাম অই ছেলেকে খুজে বের করতেই হবে, কিন্তু কথায় পাব, আমার জন্য অনার মান সম্মান সব কিছু শেষ হয়ে গেল এটা আমি সারাজীবনেও সহ্য করতে পারব না, কিন্তু কোথায় পাব অকে, বলতেই তানিয়া আমাকে বলল তুই যখন অজ্ঞান হয়ে গেছিলি তখন আমি অই চাচার থেকে অই ছেলের গ্রামের বাসা টা জেনে নেই। ধন্যবাদ তানিয়া , চল এক্ষনই বলেই বেরিয়ে পড়লাম।অর গ্রামে যেতেই প্রায় জহরের নামাজ এর সময় হয়ে এসেছে, দেখলাম অই ছেলেটা আসছে, মাথাটা ঠিক লিচু রিকশাওয়ালাকে বললাম আমাদের এখানেই নামাইয়ে দেন, তারপর আমি অই ছেলেকে বললাম থামুন আপনার সাথে আমার কথা আছে, সে আমাকে সালাম দিয়ে বলে,বলুন কি বলবেন? আমি বললাম আমাক কি আপনি শান্তি মত ঘুমাতেও দিবেন না, আপনার চিন্তায় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি আর আপনি চলে এসেছেন, সেদিন আপনাকে আমি মারলাম,আপনি কিছুই বলেনি আবার সেই মসজিদ এর দায়িত্ব ছেড়ে চলে এসেছেন জানেন আমি ঘুমাতে পারিনাই, আপনি চলে আসলেন কেন?? অনি আমাকে বললেন আপনি আমাকে সেদিন অখানে যখন মারলেন তখন আমার চেয়ে আপনার দিকে সবাই তাকিয়ে ছিল,আপনার সম্মানের কথা ভেবেই আপনাকে আমি অখানে কিছু বলিনাই আর আমার নামাজ এ দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই আমি চলে আসেছি যেন সেখানে জনসমাগম আরো বেশি হলে মান সম্মান আপনার আমার দুইজনেরই থাকত না তাই আমি চুপ ছিলাম। আমি বললাম কিন্তু আপনি কোন দোষ করেননি তাহলে আমাকে বাধা দিলেন না কেন? সে বল্ল, আমি খুব তাড়ায় ছিলাম আর নামাজ পরাতে হত আর আপনি কিছু বলার আগেই আমাকে থাপ্পড় দিয়ে ছিলেন তাই নিরবেই ছিলাম হইত এটা আমার ভাগ্যে ছিল।
আমি অনেক অন্যায় করেছি আপনার সাথে আমার একটা ভুলের জন্য আপনার সব কিছুই হারাতে হইয়েছে আপনি আমাক ক্ষমা করে দিন প্লিজ। নাহলে আমি আমার নিজেকে কোন দিন ক্ষমা করতে পারব না। সে আমাকে বল্ল আপনার অপর আমার কোন অভিযোগ নাই এটা আমার ভাগ্যে ছিল আর আল্লাহ হইত আমাকে পরিক্ষা করার জন্য এটা করেছেন আমার সাথে, কিন্তু আজ আমার ভাল লাগছে যে আপনি জানতে পেরেছেন যে সেদিন এর কাজ তি আমি করিনাই। আচ্ছা ভাল থাকবেন বলেই চলে যেতে লাগ্লে আমি উনার হাতটা ধরে বললাম আমি একা ফেলে কোথায় যাচ্ছেন, আমি কে সাথে নিবেন না আপনি?? সে বল্ল কেন,? আমি বললাম আমি আপনাকে ভাল বেসে ফেলেছি আমি আপনাকে বিয়ে করতে চায়!!! উনি বললেন আমাকে বিয়ে করলে আপনি এমন পোশাক আর এভাবে চলাচল করতে পারবেন না,আমি বললাম আপনি আমাকে যেভাবে রাখবেন আমি সে ভাবেই থাকব সারাজীবন , কারন আমার জন্য আপনি অনেক কিছু হারিয়েছেন তাই আমি সারাজীবন আপনার কাছে থাকতে চায় আপনি না হই আমাকে আপনার মত করে তৈরি করে নিবেন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েন না প্লিজ বলেই অনার কাছে হাত জোর করলাম,।অনি বল্ল আমাকে ঠিক আসে আপনি যদি পরদা আর সারাজীবন ইসলামী পথে থাকতে পারেন তাহলে আপনাকে আমার বিয়ে করতে আপত্তি নেই, আমি আপনাকে সব শিখিয়ে দিব ইনশা আল্লাহ। তারপর নতুন জগতে পথা চলা শুরু।
আলহামদুলিল্লাহ
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা