অবশেষে সুখের দেশে

অবশেষে সুখের দেশে

খুব ভালোবাসতাম রাইসা নামের এক মেয়েকে। সবার কপালে তো ভালোবাসা জুটে না। যেমন আমার কপালে রাইসাকে জুটলো না। মেয়েটার একটাই কথা হলো ও আমাকে ভালোবাসতে পারবে না। মেয়েটা যখন কলেজে যেতো আমি আগে থেকেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কোনোদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সময় হয়ে গেছে রাইসাকে দেখার। তাড়াহুড়ো করে বিছানা থেকে উঠে এইভাবেই দৌড়ে সেখানে চলে যেতাম। গায়ে কেমন কাপড় ছিলো সেটা নিয়ে চিন্তা না করে রাইসাকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে যেতাম। কিন্তু রাইসা কখনো বুঝার চেষ্টা করলো না। একটা মেয়ে কি চায়..? একটা মেয়ে চায় তার জীবনে এমন একজন আসুক যে টাকা-পয়সা দিয়া না পারুক অন্তত ভালোবাসা দিয়ে সুখে রাখবে। মেয়েরা তো এটাই চায়। আমার টাকা নাই কিন্তু ভালোবাসা তো আছে। এইভাবে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বের হলে আজ নাহয় কাল পরিবারের কেউ না কেউ তো জানবেই। তো একদিন আম্মু কেমনে জানি আমার পিছুপিছু এসে সবকিছু জেনে গেলো। রাইসার জন্য সবসময় আমার মন খারাপ থাকতো। ফ্যামিলির কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করতো কি হইছে আমার..? তখন আমি মিথ্যে কোনো কথা বলে মন খারাপের ব্যাপারটা ধামাচাপা দিয়ে দিতাম। কিন্তু আম্মুর কাছে সেটা আর লুকাতে পারলাম না। কারণ আম্মু জানে আমার মন খারাপের প্রধান কারণ হচ্ছে রাইসা।
.
প্রায় সময় রাইসার জন্য মন খারাপ থাকতো। একদিন রাইসা আমাকে বলছিলো ও আমাকে ভালোবাসতে পারবে কি না সেটা আজকেজকে রাতে ভেবে পরেরদিন জানাবে। সেদিন আমি খুশিতে আত্মহারা। বাড়ির একেকটা সদস্য জিজ্ঞেস করে হঠাৎ আমার মুখে এমন হাসির কারণ কি। কাউকে কিচ্ছু বলিনি। কারণ এই হাসি হয়তো বেশিক্ষণ থাকবে না তাই কাউকে কিচ্ছু বলিনি। রাইসার মুখে কথাটা শুনার পর আমার কাছে কেমন জানি সময় আটকে গেছে। কিছুতেই পার হচ্ছে না। বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখি। সেদিন রাতে আমার ঘুম হয়নি। পরেরদিন সকালবেলা চোখেমুখে ঘুমঘুম ভাব নিয়ে রাইসার সামনে গেলাম। কিছুক্ষণ পর রাইসা বললো আমি সারারাত ভাবছি কিছুতেই আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না। এই বলে রাইসা চলে যায়। অনেক আশা নিয়ে আসছিলাম। একটা কথায় সব শেষ করে দিলো। যাইহোক মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। যেতেই আম্মু আমাকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ-
__একটা মেয়ের জন্য আর কত কাঁদবি..?
সেদিন আম্মুকে কি বলবো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর আবার আম্মু বললোঃ-
__তোর জন্য একটা মেয়ে দেখছি।
মন খারাপ বলে সেদিন আম্মুর সাথে কোনো ধরনের কথা বলিনি।
.
আস্তে আস্তে আমি রাইসার জন্য খারাপ হয়ে যাচ্ছি। নেশা তখন আমার একমাত্র সঙ্গী। রাত করে বাড়ি ফেরা সবকিছু মিলে আমার জীবনে খারাপ পরিবর্তন আসে। অনেকেই বলে আমি নাকি খারাপ হয়ে গেছি। আজ যদি রাইসা আমাকে ভালোবাসতো তাহলে হয়তো নেশা পেশায় পরিণত হত না। কোনোদিন বা বাড়ি থেকে বের হলে পরেরদিন বাড়ি ফিরতাম। সারারাত কোথায় থেকেছি নিজেও বলতে পারবো না। পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতো।
.
কিছুদিন পর আম্মু জানালো আমার বিয়ে ঠিকঠাক। এত তাড়াতাড়ি সবকিছু ফাইনাল করে ফেলছে অথচ আমারে একবার ও জনানোর প্রয়োজন মনে করলো না। শুধু বলছিলো আমার জন্য একটা মেয়ে দেখছে তারপর বিয়ে ঠিক করে ফেলছে। আম্মুর কথার অবাধ্য হতে পারবো না বলে সেদিন বিয়েতে আমি রাজি না হয়েও রাজি। বিয়ের কথা শুনার পর থেকে নেশাটা কমে গেছে।
পাত্রী পক্ষের ওরা আমাকে দেখতে আসছিল। আমাদের এখান থেকেও সবাই পাত্রীকে দেখে আসলো। শুধু পাত্র আর পাত্রী কেউ কাউকে দেখে নাই। আম্মুর মুখে একবার শুনছিলাম পাত্রী মেয়েটা খুবই ধার্মিক। যতই ধার্মিক হোক না কেন রাইসার জায়গায় অন্য কোনো মেয়েকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে। মেয়েটার আমার বিষয়ে সবকিছু জেনেও এ বিয়েতে কেন রাজি হইছে বুঝলাম না। আমি নেশাখোর আমার সাথে সংসার করবে কিভাবে..? কেন জানি রাইস ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মেয়েকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। এদিকে আম্মুর কথার অবাধ্যও হতে পারবো না। তারপর দুপক্ষের সবাই বসে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করলো এ মাসের পঁচিশ তারিখ শুক্রবারে। তার মানে পাঁচদিন পর বিয়ে। মেয়েটা খুব ধার্মিক বিয়ের আগে দেখা করা যাবে না এটা পাত্রী পক্ষের মা-বাবার বক্তব্য। কথাটা শুনে হাসি পাচ্ছিলো। আমি তো নিজইচ্ছায় বিয়ে করছি না মেয়েটার সাথে দেখা করে কি হবে..?
.
বিয়েরদিন ধুমধাম করে বিয়ে হলো। পাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসলাম। বেলকুনিতে বসে আছি রাত তখন এগারো টা হবে আরকি। সবাই দরজা লাগিয়ে শুয়ে আছে শুধু আমি ছাড়া। এতক্ষণে পাত্রী মেয়েটাও হয়তো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। বেচারি আমার মত নেশাখোর এর কাঁধে এসে পরলো। যাইহোক এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত বারোটা বেজে গেছে। বিয়ের আগেরদিন আর বিয়েরদিন এ দুইদিন আমি কোনো ধরনের নেশা করতে পারিনি। এখন গিয়ে চুপচাপ পাত্রী মেয়েটার পাশে শুয়ে পরি। অহ এখন তো উনাকে আর পাত্রী বলা যাবে না। এখন মেয়েটা আমার স্ত্রী। তারপর রুমের পাশে দাঁড়িয়ে দরজায় হালকা ধাক্কা দিতেই দরজাটা আপনা আপনি খুলে যায়। ভিতরে ঢুকতেই চমকে যাই। এইভাবে এই ঘরটাকে এত সাজগোজ করলো কে। বাসরঘর বলে কথা। নিজের রুম বলে মনে হচ্ছে না। আমাকে দেখামাত্রই মেয়েটা বিছানা ছেড়ে দিলো। তারপর আমার পায়ে সালাম করলো। ধার্মিক মেয়ে তো এটা করতেই হবে। আমি রাইসাকে ছাড়া কেন জানি এই মেয়েকে মেনে নিতে পারছি না। তারপর মেয়েটা লম্বা একটা ঘোমটা পরে চুপচাপ বিছানা বসে পরলো। দুজনের কেউ কোনো কথা বলছি না। সবচেয়ে আশ্চর্য হওয়ার বিষয় হলো এইযে মেয়েটা এখন আমার স্ত্রী মেয়েটার নাম কি সেটাও জানি না। জানার চেষ্টাও করিনি।
.
বিয়ের পাঞ্জাবি খুলে একটা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে টেবিলে বসে পূরনো উপন্যাস পড়ছিলাম। এর মাঝে বিয়ে করা বউটা বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। আর মনেমনে হয়তো আমাকে বকা দিতেছে। উপন্যাস বন্ধ করে মনেমনে নিজেই নিজেকে বলছি কত পাষাণ আমি। একটা মেয়ের কত ইচ্ছে, কত আশা থাকে যে বাসর রাতে তার স্বামীর সাথে গল্পগুজব করে সেই রাত পার করে দিবে। কিন্তু আমি সেই স্বপ্ন,আশা মেয়েটার পূরণ হতে দিচ্ছি না। কত পাষাণ আমি তাই না..? বিয়ে করা বউয়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছি এই মেয়ের জায়গায় যদি রাইসা থাকতো তাহলে আজ আমি এখানে বসে সময় পার করতাম না। যাইহোক তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত একটা বাজে। ইচ্ছে করছে ঘড়ির টাইম বাড়িয়ে সকাল দশটা করে দেই। কিন্তু সেটা করলে তো আর সকাল হবে না। তারপর ফ্লোরে একটা বিছানায় শুয়ে পরলাম। মেয়েটা আর না পেরে নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলোঃ-
__আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন..? ভাবছিলাম মেয়েটা হয়তো রেগে গিয়ে বলবে এই ছেলে এত ভাব কিসের..? কিন্তু এই কথা পুরো চিন্তাভাবনাকে পালটে দিছে। এই প্রথম বিয়ে করা বউয়ের সাথে কথা বলতে যাচ্ছি। তারপর বললামঃ-
.
__আমি সুস্থ আছি তবে আপনি এখন শুয়ে পরলে খুশি হব। আমাকে নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। কথাটা বলে চুপ মেরে শুয়ে পরলাম। মেয়েটা বললোঃ-
__ঘুমান ভালো কথা কিন্তু আপনি নিচে ঘুমাবেন কেনো..? এই বলে মেয়েটা বিছানা ছেড়ে আমার কাছে আসতে লাগলো। আমি বললামঃ-
__এখানে আসছেন কেন..? আমি একা ছাড়া ঘুমাতে পারি না। মেয়েটা বললোঃ-
__আর আমি একা একা ঘুমাতে পারি না। এই কথা বলে মেয়েটা মুচকি একটা হাসি দিলো। বললামঃ-
__বিয়ের আগে কিভাবে একা একা থাকছেন..?
__আমার ছোট বোন ছিলো।
__অহ, তাহলে এখানেও তাকে নিয়ে আসতেন।
__কি বলেন এসব বাসর রাতে বোন থাকবে কেন..?
তারপর মেয়েটাকে সাফসাফ বলে দেই আমি আপনার সাথে সংসার করতে পারবো না। এই বলে ঘুমিয়ে পরলাম। চোখ বন্ধ করে ভাবছি মেয়েটাকে এই কথা বলা আমার ঠিক হয়নি। এই কথায় হয়তো মেয়েটা কষ্ট পাইছে। এমনিতেই মেয়েটার সব স্বপ্ন, আশা ভেঙে দিছি তার উপর এমন একটা কথা বললাম। চোখ খুলে দেখি মেয়েটা এখনো বিছানায় বসে আছে। ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে জিজ্ঞেস করলামঃ-
__ঘুমিয়ে পরেন রাত তো অনেক হলো।
__স্বামীকে নিচে রেখে আমি খাটে ঘুমাতে পারবো না। এই বলে মেয়েটা বিছানা থেকে নেমে দাঁড়িয়ে পরলো।
__হা হা হা, আমি এখনো আপনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেইনি।
__আজ নাহয় কাল একদিন আপনাকে দিতেই হবে।
__সেইদিন আসবে বলে মনে হয় না।
__এত কথা বলে চুপচাপ উপরে এসেসে ঘুমান।
.
সকালবেলা হঠাৎ করে আমার ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলে দেখি বিয়ে করা বউটা নামাজ পরছে। বিছানায় বসে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি। নামাজ শেষে আমার জন্য দুহাত তুলে দোয়া করছে। তারপর আবার ঘুমিয়ে পরলাম। আরেকটু পর চোখ খুলে দেখি মেয়েটা অগোছালো ঘরটাকে গুছাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম।
নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন রকম খাবার। জিজ্ঞেস করলামঃ-
__এত রান্না এ বাসায় এর আগে দেখছি বলে মনে হয় না। এর মাঝে আম্মু বললোঃ-
__দেখবি কি করে তখন তো বউমা ছিলো না।
__অহ, তাহলে এই মেয়েটা এতকিছু রান্না করছে। আম্মু রাগী স্বরে বললোঃ-
__মেয়েটা মানে কি..? ও এখন তোর বউ।
নাস্তা সেরে রুমে যেতেই দেখি বিয়ে করা মেয়েটা অফিসে যাওয়ার জন্য সবকিছু রেডি করে রাখছে। অন্যদিন খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে যেতাম আর আজ সবকিছু চোখের সামনে। বিয়ের পরেরদিন অফিসে যেতে হচ্ছে হাস্যকর ব্যাপার তাই না..? যাইহোক মেয়েটার হাত থেকে কাপড় গায়ে গিয়ে টাই বেঁধে রেডি হতে হতে দেখলাম দুপুরে লাঞ্চের খাবার নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা। খুব চঞ্চল মেয়ে আমার যখন যা দরকার সব আমার সামনে এসে হাজির করে। এসব দেখে মেয়েটাকে একটু ভালো লেগে যায়।
.
এই প্রথম বিয়ের পরেরদিন অফিসে যাচ্ছি বাবার দেওয়া ছোটখাটো একটা চাকরী। ইন্টার্ভিউ দিছিলাম অনেক আগে আর আজকে যেতে বলছে। না গিয়ে কি আর উপায় আছে…? অফিসে গিয়ে প্রথম দিন সবার সাথে পরিচিত হতে হতেই অনেক সময় চলে গেছে। দুপুরে লাঞ্চ করবো ঠিক তখন অচেনা নাম্বার থেকে ফোন। রিসিভ করতেই মেয়েলী কন্ঠে জিজ্ঞেস করলোঃ-
__লাঞ্চ করছেন..? কন্ঠ শুনে ঠিক চিনতে পারছি না। আমতা আমতা করে বললামঃ-
__না মানে লাঞ্চ করতে যাচ্ছি। মেয়েটা রাগী স্বরে বললোঃ-
__যাচ্ছি মানে আমার দেওয়া লাঞ্চ কি করছেন। এইবার বুঝে গেছি এটা আমার বিয়ে করা বউ। তারপর বললামঃ-
__আপনার দেওয়া লাঞ্চ করতেই যাচ্ছি।
__অহ, আচ্ছা তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন। আর অফিস শেষে সোজা বাসায় আসবেন।
__আচ্ছা আসবো। মেয়েটার কেয়ারিং দেখে সত্যি মুগ্ধ।
.
অফিস শেষ হলো বিকেল পাঁচটায়। একটা রিক্সা করে সোজা বাসায় আসতে লাগলাম। পথে আবার বিয়ে করা বউয়ের ফোন। রিসিভ করতেই বললোঃ-
__কই আছেন..?
__আসতেছি।
__সোজা বাবায় আসছেন না..?
__না একটু আঁকাবাঁকা।
__মানে..!!
__মানে আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে আসছি।
__আপনি তো সেই ফাজিল। আচ্ছা আর কতক্ষণ লাগবে..?
__আনুমানিক দশমিনিট লাগতে পারে।
কিছুক্ষণ পর বাসায় কাছে রিক্সা থেকে নেমে বাসার ভিতরে যাচ্ছি। দরজায় কলিং বেল বাজাতে দেরি হইছে খুলতে দেরি হয় নাই। তারপর বিয়ে করা বউ আমার হাত থেকে অফিসের ব্যাগ নিয়ে রুমে রাখলো। আবার দৌড়ে আমার কাছে এসে শার্টের বোতাম খুলেতেছে আর বলতেছেঃ-
__প্রথম দিনের অফিস কেমন হলোঃ-
__ভালো, এরচেয়ে ভালো হলো মেয়ে কলিগ বেশি।
__এইটা কি দেখছেন..?
__টাই।
__এইটা দিয়ে গলাটিপে ধরবো। আশ্চর্য হয়ে বললামঃ-
__সাহস তো কম না।
__আরে আপনার না ঐ কলিগ মেয়েদের গলাটিপে ধরবো যদি আপনার সাথে মিশতে আসে।
এই কথা শুনে দুজনে মিলে হাসতে লাগলাম।
.
এইভাবেই কেটে যাচ্ছে আমার পরবর্তী দিনগুলি। এই মেয়েকে বিয়ের পর আমার জীবনে এত পরিবর্তন আসবে ভাবিনি। একটা মেয়েই পারে একটা ছেলেকে খারাপ পথ থেকে ভালো পথে আনতে আর একটা মেয়েই পারে একটা ভালো ছেলেকে খারাপ পথে নিতে। সবশেষে একটা কথা হলো সব মেয়েরা এক না।
.
………………………………………(সমাপ্ত)…………………………………

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত