আইরিনঃ-রাজ আই লাভ ইউ।
আমিঃ-ওহ তাই।
আইরিনঃ-হুম আমি তোমাকে ভালোবাসি রাজ।
আমিঃ-তা কতো দিনের জন্যে?
আইরিনঃ-মানে?
আমিঃ-মানে কতো দিনের জন্যে ভালোবাসবেন?
আইরিনঃ-সারাজীবনের জন্যে।
আমিঃ-তা আর কতোজনকে এরকম বলেছেন?
আইরিনঃ-কি বলছো এসব?
আমিঃ-যা বলছি ঠিকই বলছি আর এরকম ভালোবাসা নামক অভিনয় আমাকে দেখাতে আসবেন না মিস্ আইরিন গুড বাই।এই ইমন চল তোরা। চলে আসলাম ওখান থেকে।আইরিন কান্না করতে করতে বসে পরলো।কলেজের অনেকে দেখছে ওকে। ওদিকে ইমন আবির আর মেহেদীকে নিয়ে রাজ বসলো পুকুর পাড়ে।বসেই সিগেরেট জ্বালালো।
ইমনঃ-রাজ সিগেরেট খাচ্ছিস তুই আবার।
আমিঃ-কেন আমিতো সবসময় খাই।
ইমনঃ-রাজ এসব খাওয়া ভালোনা ফেলে দে।
আমিঃ-কে বলেছে ভালোনা সিগেরেট কোনো ধোঁকাবাজ নয়।কোনো ধোঁকাবাজের মতো মিথ্যে বলেনা।এটা কথা দিয়ে কথা রাখে।কোনো ধোঁকাবাজের মতো বলেনা যে সারাজীবন এই হাত ধরে রাখবো কখনো ছাড়বোনা বলেই আগে ছাড়ে।সিগেরেট ক্যানসারের কারন হুম শেষমেষ মৃত্যুও হয়।আর আমিতো এমনিতেই জিন্দালাশ।(চিৎকার করে)
ইমনঃ-রাজ পাগলামি করিসনা থাম তুই।
মেহেদীঃ-রাজ ফেলে দাও চলো ঘুরতে যায়।
আমিঃ-না বাসায় যাবো।বাই।
সবাইকে বিদায় দিয়ে চলে আসলাম বাসায়।এসে রুমে চলে গেলাম।তারপর গোসল করে ঘুমালাম।রাতে উঠে হালকা খেয়ে চলে ছাদে চলে আসলাম।এসেই চলে গেলাম এক কোনায়।আমার প্রিয় গীটারটা হাতে নিয়ে গানের সুর তুললাম গান “কখনও চেনা ভীরে, একা লাগে নিজেকে, কখনও বেরঙীন, ব্যথা কাঁদে এ বুকে, এলোমেলো ঝরে মন ভেঙে পড়ে, হারিয়ে যায় পরিচয় কখনও চেনা ভীরে,একা লাগে নিজেকে কখনও বেরঙীন,ব্যাথা কাঁদে এ বুকে।। “ঘিরে ধরে কতো দিশাহারা মেঘ সারা ঘরে, নীরবতা রেখে সরে যায় দিন অবসরে, কাঁচ ভাঙা ঢেউ এসে বিষ ঢেলে নিঃশ্বাসে কেরে নিয়ে যায় সঞ্চয়, কখনও চেনা ভীড়ে,একা লাগে নিজেকে কখনও বেরঙীন,ব্যাথা কাঁদে এ বুকে। “যাকে ভাবি পাশে, সেও দেখি পর অকারনে, বেপরোয়া হাওয়ায় দাগ রেখে যায় অভীমানে, ধুপ ছায়া চুপ কথা বেমানান শূন্যতা, যেন মুখসের অভিনয়, কখনও চেনা ভীরে,একা লাগে নিজেকে কখনও বেরঙীন,ব্যাথা কাঁদে এ বুকে।
হঠাৎ পাশের ছাদের দিকে চোখ পরলো।আর আমি থেমে গেলাম।একটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দূর থেকে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা ভালো করে শুধু বোঝা যাচ্ছে বাতাসে তার খোলা চুল উড়ছে।আমি আর ওসবে চোখ না দিয়ে পকেট থেকে সিগেরেট এর প্যাকেট টা নিয়ে একটা সিগেরেট জ্বালালাম।হঠাৎ পাশের ছাদ থেকে একটা কাগজ এসে আমার মাথায় লাগলো।আমি হাতে নিয়ে দেখলাম ওখানে লেখা কাগজে লিখা..(এই যে মিস্টার গান তো ভালোই গাইতে পারেন, কন্ঠ ও মাশা-আল্লাহ গীটারটাও ভালো বাজান তবে সিগেরেট এটা একদম ফালতু লাগছে।এখনি ফেলে দিন নইলে যেদিন আপনাকে চিরতরে আপন করে নিবো সেদিন একদম সব কিছু সুদে আসলে তুলে নিবো)
আমি কাগজের লেখাটা পড়ে ওটা পুরিয়ে আবার সিগেরেট এর ধোঁয়া ওড়াচ্ছি।ভাবছি কে এই মেয়ে আগে তো কখনও দেখিনি।আর রহিম চাচার বাসায় তো কোনো মেয়ে নেই।ধুর যে হয় হোক আমি কেন ভাবছি যায় ঘুমাবো।
রুমে এসে ঘুমিয়ে গেলাম।পরেরদিন সকাল সকাল উঠে আবার কলেজে চলে গেলাম কলেজে গিয়ে পুকুর পাড়ে বসে সিগেরেট এর ধোঁয়া ওড়াচ্ছি সাথে ইমন আবির আর মেহেদী বসে আছে।হঠাৎ আইরিন এসে….
আইরিনঃ-রাজ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমিঃ-আমি আপনাকে ভালোবাসিনা যান সরুন। সিগেরেট ফেলে ক্লাসে চলে আসলাম। পরপর তিনটা ক্লাস করে বের হলাম তারপর বাইক নিয়ে চলে আসলাম কোচিং এ।কোচিং শেষ করে বাসায় আসলাম।আম্মু আমাকে বললো….
আম্মুঃ-রাজ সন্ধ্যা হয়ে গেলো আর একবারও খেলিনা বাবা।
আমিঃ-আম্মু কলেজে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়েছিলাম।আর কোচিং এ এখন বেশি ক্লাস হয় সামনে পরিক্ষা তো।
আম্মুঃ-ওহহ ওকে এখন কিছু খেয়ে নাও।
আমিঃ-আম্মু আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি আজ মাথা যন্ত্রনা করছে খেয়েই ঘুমাবো আজ।
আম্মুঃ-ঠান্ডা লেগেছে তোর বাবা।শোনো একটু নিজের যত্ন নাও।
আমিঃ-জ্বি আম্মু খাবার রেডি করো আমি আসছি।
রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসলাম তারপর খেয়ে একটা ঘুম দিলাম।রাত ২:৩০ বাজে।হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো।গীটারটা নিয়ে ছাদে গেলাম।গীটারটা বাঁজাতে যাবো ওমনি একটা কাগজের টুকরো গায়ের ওপর পড়লো।পাশের ছাদে তাকিয়ে দেখি সেদিনের সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে।কাগজের টুকরোতে কি লেখা পড়লাম…..
লিখাঃ-(এই যে প্রাণো সখা আজ আসতে দেরি করলে যে আমি তো ১১:৫০ এ এসে তোমার জন্যে অপেক্ষা করছি।)
কাগজটা ফেলে দিলাম।মনে মনে ভাবছি এ মেয়েটি কি পাগল নাকি রাত অনেক হয়েছে তাও ছাদে।না রুমে যায় আজ আর থাকবোনা।চলে আসলাম রুমে আবার ঘুমালাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে আসলাম কলেজে। প্রতিদিনের অভ্যাস পুকুর পাড়ে বসে সিগেরেট এর ধোঁয়া ওড়ানো।আজও তাই করছি। হঠাৎ….
আইরিনঃ-রাজ আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি।
আমিঃ-ওকে মানলাম তাই কি করতে হবে রোজ রোজ তোমাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে খেতে হবে।রিকশায় হুড় ফেলে দিয়ে তোমাকে ধরে ঘুরতে হবে।তোমাকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ডেটে যেতে হবে আর তোমাকে নিয়ে সকল মানুষকে দেখাতে হবে যে আমি আইরিনকে ভালোবাসি। না আমি অমন না আমাকে ভালোবাসা শিখিওনা এরকম অভিনয় আমাকে দেখিওনা গুড বাই।(রেগে বললাম) চলে আসলাম আমি সাথে ইমন আবির আর মেহেদীও আসলো।বাইকটা নিয়ে সোজা নদীর পাড়ে চলে আসলাম। বসে সিগেরেট এর ধোঁয়া ওড়াচ্ছি। হঠাৎ ইমন বললো…..
ইমনঃ-রাজ একটা কথা বলবো?
আমিঃ-বল তোর আবার অনুমতি লাগবে নাকি।
ইমনঃ-তা নয়।রাজ আমার মনে হয় আইরিন মেয়েটা তোকে সত্যিই ভালোবাসে।
আমিঃ-ইমন তুই জানিসনা আমার বিষয়ে তবুও কেন এমন বলছিস।
ইমনঃ-আমি জানি তোকে শ্রাবণী ধোঁকা দিয়েছে।দেখ বন্ধু সবাইতো আর শ্রাবণীর মতো না।আইরিন খুব ভালো মেয়ে রাজ।
আবিরঃ-হুম দোস্ত ইমন ঠিকই বলেছে।
আমিঃ-আবির তুইও।
মেহেদীঃ-আমিও ইমনের কথার সাথে একমত।
আমিঃ-ওকে আমার কোচিং এর সময় হয়ে গেছে বাই। বাইক নিয়ে সোজা কোচিং এ চলে আসলাম। কোচিং শেষ করে বাসায় পৌছালাম।ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। পরেরদিন আবার কলেজে গেলাম।বসে আছি আজও।হঠাৎ আইরিন এসে বললো….
আইরিনঃ-রাজ আমি সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
আমিঃ-তাই।
আইরিনঃ-হুম।
আমিঃ-আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো।
আইরিনঃ-তোমার জন্যে আমি সব করতে পারবো।
আমিঃ-তাই নাকি।
আইরিনঃ-হুম।
আমিঃ-ওকে আমার সাথে রুমডেট করতে হবে এই নাও ঠিকানা।সময় বিকেল ৫:৩০। অপেক্ষা করবো সিদ্ধান্ত নাও কি করবা।টাটা। চলে আসলাম কোচিং এর উদ্দেশ্যে ৩ ঘন্টা আগে।এসে দোলন আপুর অফিসে গেলাম।অনেকদিন দেখিনা দোলন আপুকে তাই তার কাছে গেলাম।
আমিঃ-দোলাবু কেমন আছো?
দোলন আপুঃ-আরে সোনাভাই তুমি এতোদিন পর।
আমিঃ-হুম।কেমন আছো বললেনা কিন্তু দোলাবু
দোলন আপুঃ-ভালো আছি রাজ।কি খাবে বলো?
আমিঃ-আপাততো ভাই এর প্রতি বোনের ভালোবাসাটুকু খেলেই হবে।
দোলন আপুঃ-রাজ তুমি না সত্যিই ফাজিল।বাসার সবাই কেমন আছে?
আমিঃ-সবাই ভালো আছে।তা আেপু আমার বাসায় তো একদিন যেতেও পারো।
দোলন আপুঃ-যাবো ভাই কাজের চাপটা কমুক।
আমিঃ-তোমার কাজ ফুরোবেনা হুহ।আমি গেলাম কোচিং এ ক্লাস করে বাসায় যাবো ।
দোলন আপুঃ-ক্লাস শেষ করে চলে আসো আজ দুজনে একসাথে খাবো।
আমিঃ-আপু আজ হবেনা গো কাজ আছে একটা।
আপুঃ-ওকে সাবধানে থেকো।
আমিঃ-তুমিও।
কোচিং এ এসে ক্লাস করে আজ তারাতারি চলে আসলাম ইমনের হোস্টেলে।আমি জানি আইরিন আসবেনা। তবুও আসলাম যে দেখি ও কি করে।কারন এরকম বাজে প্রোপজাল ও মানবেনা। আর আমাকে কাল থেকে দিস্টাবও করবেনা।বিকেল ৫:৩০ বাজে ইমনের হোস্টেলে বসে আছি ইমন আবির আর মেহেদীর সাথে।হঠাৎ কলিং বেল বাঁজলো।
আমিঃ-ইমন দরজা খোল। ইমন দরজা খুলে দেখলো আইরিন এসেছে।
আমিঃ-তুমি এখানে।
আইরিনঃ-হুম আসতে দেরি হয়ে গেলো।আসলে ভাবছিলাম কি করবো।
আমিঃ-কি করবা?
আইরিনঃ-তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি তোমার প্রোস্তাবে রাজি।
আমিঃ-ঠাস্ ঠাস্ ঠাস্।শারীরিক চাহিদার নাম ভালোবাসা তাইনা এরকম ভালোবাসা আমি ঘৃণা করি।গুড বাই।
চলে আসলাম বাইরে।আর আইরিন ওখানে কান্না করছে।
ইমনঃ-তুমি ভেবেছিলে রাজ তোমার সাথে রুমডেট করবে। রাজ অমন না আইরিন। একটা গল্প শুনো তোমরা তাহলে।রাজের গল্প যেটা শুধু আমি আর মেহেদী জানি।
আবিরঃ-কি সেই গল্প ?যেটা আমি জানিনা।
ইমনঃ-শোন তাহলে
ইমন বলতে শুরু ছোটবেলা থেকেই রাজ আমি আর মেহেদী একসাথে পড়তাম।আমরা তিনজন একসাথে ঘুরতাম। রাজের বাড়িতে ওর মায়ের বান্ধবীর মেয়ে আসে গ্রাম থেকে পড়ালেখা করতে। রাজ ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের থেকে দূরে থাকতো।কিন্তু আন্টি রাজকে বলেছিলো শ্রাবণীকে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যেতে হবে।অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজ তার মায়ের কথা রাখে।প্রতিদিন সে শ্রাবণীকে স্কুলে নিয়ে যেত আর আনতো।পড়ালেখায় খুব ভালো শ্রাবণী আর রাজ।আস্তে আস্তে রাজ আর শ্রাবণী খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।দুজনে একসাথে থাকে। একজন আরেকজনকে না দেখে যেন থাকতেই পারেনা। রাজের বাবা মা ও শ্রাবণীকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতো। দেখতে দেখতে এসএসসি পরিক্ষা হয়ে যায়।রেজাল্ট দেয় স্কুলে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করে শ্রাবণী আর রাজ।রাজ সরকারী কলেজে ভর্তি হলো।হঠাৎ একদিন শ্রাবণী রাজকে বলে…….
শ্রাবণীঃ-রাজ আমার স্বপ্ন প্যারামেডিকেল এ পড়া।
রাজঃ-তাই নাকি।তা তুমি ডাক্তারি পড়বে কি?
শ্রাবণীঃ-টাকা না থাকলে কি আর স্বপ্ন পূরণ হয় বলো।
রাজঃ-চলো তো।
রাজ তাকে নিয়ে চলে যায় তার বাবার বন্ধু আশরাফ সাহেব এর কাছে। তাকে বলে শ্রাবণীকে প্যারামেডিকেল এ ভর্তি করে দেয়। রাজ জেনারেল এ পড়ে আর শ্রাবণী প্যারামেডিকেল। আর শ্রাবণী হোস্টেলে থাকা শুরু করে। তাই রাজের মন খুব খারাপ থাকে। রাজ আমি আর মেহেদী একসাথে থাকি।রাজকে নিয়ে সবসময় ঘুরতাম। রাজ শ্রাবণীর সাথে সবসময় ফোনে কথা বলতো।দেখতে দেখতে বছর হয়ে গেলো। হঠাৎ মনে হলো রাজের সাথে শ্রাবণী কথা কম কম বলছে। রাজ ওকে কল দিলে পড়ার কথা বলে এড়িয়ে চলে।ফোন অনেকক্ষন ওয়েটিং থাকে।রাজ জিঙ্গাসা করলে ও বলতো ওর বাবা মায়ের সাথে কথা বলছিলো।রাজ তবুও মন খারাপ করে না। আরো একবছর হয়ে গেলো।রাজের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলো। শেষও হলো।তাই রাজ আমাকে আর মেহেদীকে বললো
রাজঃ- শ্রাবণীকে আনতে যায় চল আজ ঘুরবো।
আমিঃ-ওকে চলো।
আমরা চলে গেলাম কুষ্টিয়া মেডিকেল এ। গিয়ে শ্রাবণীর খোঁজ করলাম ওর বান্ধবী ফারিহার কাছে।কিন্তু ফারিহা যা বললো তা শুনে রাজ সহো আমরা স্তব্ধ হয় গেলাম। ফারিহা বললো শ্রাবণী নাকি ওর বিএফ ইমরানের সাথে প্রতিদিন বাইক এ ঘুরে বেড়াই। কোথায় যায় তা কেও জানেনা।রাজ প্রথমে বিশ্বাস করেনা। হঠাৎ পেছনে ঘুরে দেখি সত্যি বলেছে ফারিহা।শ্রাবণী একটি ছেলের বাইকের পেছনে বসে তাকে জড়িয়ে আছে।ওরা থামলো রাজ ওদের সামনে গেলো।রাজ ওকে বললো…
রাজঃ-শ্রাবণী এই ছেলেটা কে আর তুমি এর সাথে কেন? ছেলেটি তখন বলে
ছেলেটিঃ-আমি ইমরান ওর বিএফ আর বিএফ তার জিএফকে জড়িয়ে রাখবেনা তো কে রাখবে।
রাজঃ-শ্রাবণী তুমি কোথায় গিয়েছিলে ওর সাথে?
ছেলেটিঃ-এই তোর কিরে আমরা ডেট এ গিয়েছিলাম কেন তুই কি দেখবি নাকি ওকে এরপর যাস যখন আমরা ডেট করবো তুই বসে বসে দেখবি। কথাগুলো শুনে রাজের মাথা গরম হয়ে গেলো তাই ছেলেটিকে রাজ থাপ্পড় দিলো।
রাজঃ-ঠাস্ ঠাস্।
শ্রাবণীঃ-ঠাস্ ঠাস্। (শ্রাবণী রাজকে থাপ্পড় দিলো)
রাজঃ-শ্রাবণী তুমি আমাকে মারলে তাও এই ছেলেটির জন্যে যে তোমাকে নিয়ে বাজে কথা বললো।
শ্রাবণীঃ-হুম মারলাম। তুই কে ওকে মারার।তুই আমার বন্ধু সো বন্ধুর মতো থাক।আমাকে পড়ালেখাতে সাহায্য করেছিস তাই বলে তোর সব কথা আমার শুনতে হবে তা তো না।জানিস ইমরান আমার কি? ও আমার সব ও আমার ভালোবাসা ও আমার কলিজা। টাকা পয়সা দিয়ে সব হয়না চাহিদা পূরণ করতে হয় বুঝলি।
রাজঃ-বাহ ভালো এতোদিন তাহলে আমি তোর বন্ধু ছিলাম হাহাহা। আর কি বললি চাহিদা হাহাহা। শারিরীক চাহিদার নাম ভালোবাসা। তোর মতো নষ্টা মেয়েকে ভালোবাসাতো দূরের কথা তোকে দেখতেও ইচ্ছে করছেনা।
ছেলেটিঃ-এই তুই কি বললি ও নষ্টা?(কলার ধরে)
শ্রাবণীঃ-ছেড়ে দাও জানু ওসব ছেলেদের সাথে লাগতে নেই।
ছেলেটিঃ-আরে ও আমাকে চিনেনা।দেখো ওর কি হয়। এখনি ওর ১২ টা বাজাবো আমি। ছেলেটি কাকে যেন কল দিলো।৫ মিনিটের মধ্যে ১০ টা মতো বাইক আসলো আর সকলের হাতেই হকিস্টিক। আমি আর মেহেদী রাজের কাছে গেলাম।কলেজের সবাই ভাবছে রাজকে খুব মারবে। কিন্তু এরকম একটা সময়ে রাজ উচ্চস্বরে হাসছে।
ছেলেটিঃ-কিরে এরকম একটা সময়ে তুই হাসছিস এখন তোর কি হাল করে দেখ।এই সানজিদ এই ছেলেটাকে বুঝিয়ে দে।
রাজঃ-ওকে দেখি কি হয় হিহিহি। গাড়ি থেকে নেমে ছেলেগুলো সোজা আমাদের সামনে আসলো।
সানজিদঃ-রাজ ভাই কেমন আছেন?
রাজঃ-আমি ভালো আছি সানজিদ তোরা সবাই কেমন আছিস?
সানজিদঃ-জ্বি ভাই ভালো আছি।
রাজঃ-তা ওই ছেলেটা বললো আর তোরা আমাকে মারতে চলে আসলি।
সানজিদঃ-সরি ভাই আমরা জানতাম না। আর ওর মতো হাজার ইমরানকে আমরা ছাড়তে পারি আপনার কথায়।
রাজঃ-ওকে যা তোরা।আর শোন একে কিছু বলিসনা ওর মতো থার্ড ক্লাস ফালতু ছেলেকে আমি হাজার বার সোজা করতে পারি কিন্তু না ও আমার প্রিয় মানুষের আপনজন। তাই কিছু বলিশনা যা সবাই।
সানজিদঃ-আচ্ছা ভাই। চলে গেলো সানজিদ আর ওর ব্যাচের ছেলেরা।
রাজঃ-তুই কি যেন বললি আমার ১২ টা বাজাবি।হাহাহা তোর মতো মাস্তান আমাকে সালাম দিয়ে যায়।আমি আরিয়ান মাহাবুব রাজ আসাদ চৌধুরী এর ছেলে বুঝলি।তোকে কিছু বললাম না ভালো হয়ে যা।।আর মিস্ শ্রাবণী আপনার মতো নষ্টা মেয়েকে ভালোবাসা যায়না ইউজ করে রাস্তাতেই ফেলে দিতে হয়।আর হ্যা এই দেখুন আমার ফোনে কাকে কল দেওয়া আমি আমার মা কে কল দিয়ে রেখেছিলাম উনি সব শুনেছেন আপনার জন্যে “মায়ের নীড়” বাড়িটা চিরতরে বন্ধ।আর হ্যা আপনার বাবা মাকেও হয়তো জানানো হয়ে গেছে। একদিন আপনি আমার পায়ের কাছে আসবেন পা ধরবেন ভিক্ষা চাইবেন কিন্তু সেদিন আমি আপনার পর হয়ে যাবো।আর হ্যা কখনও ফিরে আসতে চেয়ে লাভ নাই কারন নিজের চোখে দেখলাম তো সব তাই আপনার প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই যা আছে শুধু করুণা।
মেহেদীঃ-চলো রাজ।
রাজঃ-হুম চলো।আর মিস্ শ্রাবণী ভালো অভিনয় করেছেন পুরষ্কারটা নিয়ে যান। ঠাস্ ঠাস্। চলে আসলাম ওখান থেকে।আসার পর রাজ আর আমাদের সাথেও কথা বলতো না।সবসময় রুমে থাকতো খাওয়ার ঠিক নেই ঘুম নেই শুধু সিগেরেট আর অন্যান্য নেশা।একদিন সেন্সলেস হয়ে যায় ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।তারপর ডাক্তার বলে না ঘুমিয়ে না খেয়ে শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। আন্টি আঙ্কেল অনেক বোঝায় ওকে।তারপর অনেক কষ্টে আবার ওকে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। তারপর থেকে আর রাজ এসবে বিশ্বাসী নয়।ভালোবাসাকে ঘৃণা করে রাজ।
আইরিনঃ-আমি বুঝতে পারিনি ভাইয়া ওর সাথে এমন হয়েছে।ওকে ইমন ভাই আমি আসি। আইরিন চলে গেলো।আমিও বাসায় এসে রুমে গিয়ে বসলাম।আম্মু খেতে ডাকলো কিন্তু আমি খেলাম না। রাতে চলে গেলাম ছাদে। গীটারটা নিয়ে গান গাওয়া শুরু করলাম। রাত দুইটা বাজে হঠাৎ মনে হলো পাশের ছাদের মেয়েটি তো আজ নেই।কি হলো ওনি আসলোনা কেন আজ।ধুর কি সব ভাবছি আমি যায় ঘুমাবো। রুমে গিয়ে ঘুমালাম।পরেরদিন কলেজে গেলাম।বসে আছি সাথে ইমন মেহেদী।
ইমনঃ-কিরে চল ক্লাসে যায়।
আমিঃ-তোরা যা আমি বাসায় গেলাম ভালো লাগছেনা।
বাসায় চলে আসলাম। এসে মায়ের সাথে গল্প করে ছাদে চলে গেলাম।বসে গান গাচ্ছিলাম গান আমি কি তোমায় খুব বিরক্ত করছি বলে দিতে পারো তা আমাই হয়তো আমার কোনো প্রয়োজন নেই কেনো লেগে থাকি একটা কোনাই। তুমি বলে দিতে পারো তা আমাই চিঠি লিখবোনা ওই ঠিকানায় আমারও তো মন ভাঙে চোখে জল আসে আর (অভিমান আমারো তো হয়(২) হঠাৎ পাশের ছাদ থেকে একটা কাগজ এসে আমার গায়ে লাগলো।কাগজটি তুলে দেখলাম ওখানে লিখা কাগজে লিখাঃ-কি মন খারাপ নাকি। ছাদে এসে রাত দুটোই ও খুঁজেন আমাকে। এতো ভালোবাসা আমি কোই রাখবো বলুন না আমার কিউট বর। যাইহোক কাল কলেজে যাবেন আর হ্যা আজ রাতে ছাদে আসবেন না ঘুমাবেন।
ধুর মেয়েটা কে এতো কথা জানে কিভাবে।ওসব ভাবার সময় নাই চলে আসলাম রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে একটু মুভি দেখে ঘুমালাম।পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে চলে আসলাম কলেজে। আজ কাল আইরিন কলেজে আসেনা। হঠাৎ কেন জানি আইরিনকে খুব অনুভব করি। খুব মিস করি ওকে।কেন জানি মনে হচ্ছে ওর প্রতি আমি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। তবে কি আমিও ওকে ভালোবাসি। আজ সাত দিন আইরিনকে দেখিনা।সবসময় মন মরা হয়ে থাকি। কলেজে বসে আছি মন ভালোনা তাই সিগেরেট মুখে নিয়ে জ্বালাতে যাবো তখনি আইরিন এসে সিগেরেটটা কেরে নিলো।
আমিঃ-এটা কি হলো?
আইরিনঃ-আমার কিছু কথা আছে?
আমিঃ-কি বলুন আবার কি?
আইরিনঃ-এই যে একদম ভাব নিবিনা আগে যা বলবো তা শুনবি নইলে একদম শেষ করে দিবো।(কলার ধরে)
আমিঃ-ওকে বলো।
আইরিনঃ-আমি একটা গল্প বলবো।
আমিঃ-বলুন।
আইরিন বলতে লাগলো ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করছিলাম। সকল বান্ধবীরা প্রেম করতো।কিন্তু আমার ওসব ভালো লাগেনা। হয়তো ভাবতে পারো আমি ভাব নিচ্ছি তা কিন্তু না।প্রোপোজাল অনেক পেয়েছি কিন্তু রাজি হয়নি। আমার ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর স্বামীর সাথে প্রেম করবো।এক পবিত্র বন্ধনে তো একদিন কলেজ থেকে বাসায় আসলাম।হঠাৎ দেখি বাসায় একজন মেহমান। আব্বু বললো উনি তার বন্ধু। আমি তাকে সালাম দিলাম। উনার সাথে অনেক কথা হলো। হঠাৎ উনি আমার আব্বুকে বললেন আমাকে তার ছেলের জন্যে চাই।আব্বুও নাকি তার ছেলেকে চিনে আর বললো খুব ভালো তিনি রাজি হন।কারন আব্বুর আর ঢাকা শহর ভালো লাগছিলোনা তাই কুষ্টিয়া চলে আসতে চাই। আমাকে সেই ছেলেটির একটি ছবি দেখানো হয়। আমার বাবা মা রাজি বলে আমিও রাজি হয়। পরের সপ্তাহে আমরা চলে আসি কুষ্টিয়া এসে উঠি তাদের পাশের বাসাতে।সেদিন রাতে ছাদে এসেছিলাম এসে দেখি ছেলেটি গীটারের সাথে গান গাচ্ছে।এতো সুন্দর সুর ছিলো মনে হচ্ছিলো ভেতর থেকে কলিজাটা ছিড়ে বেরিয়ে আসবে। হঠাৎ ছেলেটি দেখে ফেলে।আমি চলে যায় নিচে।
তার বাবা মা তাকে সব বলতে চাই কিন্তু আমি তাদের কদিন দেরি করতে বলি আর ছেলেটিকে বাজিয়ে দেখি।
কলেজে ভর্তি হয়ে এসে তাকে প্রোপোজ করি সে রিজেক্ট করে তখনি বুঝলাম ছেলেটি আলাদা আমার মন মতোই।তবে রাতে ছাদে গিয়ে তার গান শুনে বুঝতেছিলাম তার মাঝে চাপা কষ্ট আছে তাই সব জানার চেষ্টা করছিলাম।ছেলেটি যেদিন আমাকে রুমডেট নামক বাজে প্রোস্তাব দিলো সেদিন খুব কান্না পাচ্ছিলো খুব কষ্ট হয়েছিলো সেদিন। তারপর তার বাবা মা আসে আমাদের বাসায়।
আমি তার মা কে সব খুলে বলায় উনি আশ্বাস দিলেন আর বললেন তার ছেলে অমন না হয়তো কোনো কারন আছে।তাই আমি রাজি হয়ে চলে গেলাম ছেলেটির দেওয়া ঠিকানায়।ছেলেটি যখন আমাকে থাপ্পড় দিয়ে বেরিয়ে আসলো তখন নিজেকে সত্যি সুখী মনে হচ্ছিলো তাকে পাবো বলে।তারপর তার বন্ধু আমাকে সব বলে দেয়।আমি সেদিন আর ছাদে যায়নি তবে লুকিয়ে দেখছিলাম ছেলেটি কি করে।দেখলাম রাত দুটোর সময় ছেলেটি ছাদের দিকে তাকিয়ে আছে।পরেরদিন কলেজে এসে আমাকে না দেখে সে ক্লাস না করে চলে গেলো।তাইতো পরেরদিন চিঠি দিলাম। জানো সেই ছেলেটি কে? সেই ছেলেটি তুমি রাজ।
আমিঃ-কিহ্ ওই পাশের বাসায় তুমি থাকো।
আইরিনঃ-হুম আর সব তো শুনলে।রাজ আমি শ্রাবণীর মতো তোমাকে ঠকাবোনা। মরনের আগ পর্যন্ত তোমার হাত ছাড়বোনা। আর এই যে এই কাপড়টা নাও প্রয়োজনে চোখ বেঁধে অন্ধের মতো থাকবো কাওকে দেখবোনা দরকার হলে বাড়ি থেকেও বের হবোনা তোমার সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আর সিগেরেট এটা তুমি চাইলে খেতে পারো আমি নিষেধ করবোনা।কারন- সিগেরেট খেতে নিসেধ করলে সেটা ভালোবাসার সাথে তুলনা করা হয়ে যাবে। আর আমার ভালোবাসা এতোটা তুচ্ছ না যে একটা সিগেরেটের জন্যে শেষ হবে তুমি যা চাও তাই হবে তবুও আমাকে ফিরিয়ে দিওনা রাজ আমি তোমার পায়ে ধরি। (কান্না করতে করতে) আমি আইরিনের কথায় বার বার মুগ্ধ হচ্ছি আর ওর কথার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি। আইরিন আমার পা ধরতে যাবে তখনি….
আমিঃ-আরে আরে কি করছো ওঠো বাসর রাতে পায়ে হাত দিবা এটা বাসর রাত নয়।(জড়িয়ে নিলাম)
আইরিনঃ-রাজ ভালোবাসি তোমাকে।
আমিঃ-আমি আর কি বলবো বাবা মা আগেই সব করেছে তাই রাজি হয়ে গেলাম।আর এই যে সিগেরেট দিলাম ফেলে।
ইমনঃ-বাহ বাহ ভালো তো আমরা বললে ফেলতোনা গুরু যেইনা প্রেমিকা বললো ওমনি ফেলে দিলো হুহ।
আমিঃ-আব্বে শালা প্রেমিকা না আমার বউ।
মেহেদীঃ-হ আর আমাদের কি?
আমিঃ-লুচু হালা তোগো আপু।তোরা কেও ওকে ভাবি বলবিনা লুচুর দল।
ইমনঃ-না ভাবি বলবো।
আমিঃ-আইরিন কিছু বলো নইলে ওদের আমি কিন্তু খুন করমু ।
আইরিনঃ-ইমন ভাই আপনারা আমার ধর্মের ভাই লাগেন।
আমিঃ-হিহিহি উম্মাহ চলো।
পেছনে ঘুরে দেখি শ্রাবণী দাঁড়িয়ে। মেয়েটা একদম শুকিয়ে গেছে। চোখের নিচে কালি পরে গেছে। মনে হয় ঘুমাই না। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আইরিন বললো….
আইরিনঃ-আরে শ্রাবণী আপু যে তা কি মনে করে। নিজের এ কি অবস্থা করেছেন ডাক্তার হয়ে। এটা কি আর মেনে নেওয়া যায়।
ইমনঃ-আহারে বেচারী। মনে হয় রাজের বলা কথাটা ঠিক হয়েছে দেখি আপুর আনা ফুলটা নিচে পরে গেছে।
দিন না ফুলটা রাজ আমাদের আইরিন ভাবির খোপাতে গুজে দিবে।
মেহেদীঃ-ইমরান কোথায় গেলো আপু?
আইরিনঃ-আপু দোআ করবেন আমি আর আমার স্বামী যেন সুখে থাকি।
আমিঃ-থামো তোমরা সবাই। তা ডাক্তার শ্রাবণী আপনার কি হয়েছে টাকা লাগবে নাকি।আজ সন্ধ্যাই বাসায় আসবেন পেয়ে যাবেন।আর হ্যা ফুলটা নিয়ে আমার বউকে দিন ওর হাতে ফুলটা মানাবে। দেখলেন ম্যাম যা বলেছিলাম তাই হলো।ভালো থাকবেন আর আমাদের জন্যে দোআ করবেন। চলে আসলাম আইরিনকে নিয়ে। আমি বাইক চালাচ্ছি আর আইরিন আমাকে জড়িয়ে আছে।বাসায় পৌছে মা বাবাকে ডাকলাম।
আমিঃ-মা বাবা তোমরা এতোকিছু করলে একটিবার বলতে।
আম্মুঃ-যদি তুই রাজি না হোস।
আমিঃ-মা তোমরা আমাকে এতো বড় করলে কখনও আমার চাওয়া অপূর্ণ রাখোনি আর আমি তোমাদের সামান্য চাওয়াটা পূরন করতাম না তাই কি কখনও হয় বলো।
আম্মুঃ- সরি বাবা আর কখনও এরকম করবোনা।
আমিঃ-ধুর তোমাদের জন্যই আমার বউটা থাপ্পড় খাইছে।ইশ্ বউ উম্মাহ।
আইরিনঃ-এই লজ্জা করেনা বাবা মায়ের সামনে এরকম লুইচ্চামি করতে ফাজিল একটা।আর এখনও বিয়ে হয়নি।
আমিঃ-ওহহ ওকে বিয়ের পর সবসময় কিস্ করবো।
আইরিনঃ-যা সর ফাজিল।
আম্মুঃ-পেকে গেছিস তাইনা ফাজিল।(কান ধরে)
আমিঃ-উহ আম্মু লাগছে।
ইমনঃ-আর লাগবেনা বন্ধু।কাজী এসে গেছে এখন বিয়ে পড়ানো হবে কি মজা।
কাজী বিয়ে পড়ালো।বিয়ে হয়ে গেলো। ইমন মেহেদী আর আবির আমাকে জোড় করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো।আমিও দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলাম হারামিগো কথা তো বলা যায়না হিহিহি।
আইরিন আমাকে সালাম করলো।আমি ওকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। বাকিটা ইতিহাস….
৮ বছর পর…
নূরঃ-আব্বু আব্বু চলোনা আজ পিকনিকে যাবো।
আমিঃ-আম্মু এ বাড়িতে একটা ডাইনি আছে যিনি শাষনের পরিবর্তে শোষন করে উনি না বললে কিভাবে যাবো বলো।
আইরিনঃ-কিছু বললে আমাকে তুমি?
আমিঃ-কোই না তো।
নূরঃ-আব্বু তুমি বলো পিকনিকে যাওয়ার কথা নইলে বলে দিবো যে তুমি আম্মুকে ডাইনি বলেছো। (ফিস ফিস করে)
আমিঃ-না মা বলিশনা ওই ডাইনিটা আমাকে খুন করবে। ওকে আমি বলছি।
নূরঃ-ওকে আব্বু।
আমিঃ-আইরিন শোনোনা নূরের স্কুলটা অফ আছে আমারও কদিন অফিসে কাজ নাই চলোনা একটু কোথাও ঘুরে আসি।
আইরিনঃ-না হবেনা বাড়িতে অনেক কাজ আর মা বাবাকে দেখবে কে?
আমিঃ-সবাই একসাথে যায় চলোনা।
আইরিনঃ-বললামতো হবেনা।
আমিঃ-কেন যে এই হৃদয়হীনাকে বিয়া করেছিলাম একটুও ভালোবাসেনা আমায় হুহ লাগবেনা কিছু করা।
আইরিনঃ-ওকে যাবো তবে ২ দিনের মধ্যে বাসায় আসতে হবে।
আমি আর নূরঃ-ওকে উম্মাহ।
নূর হলো আমার আর আইরিনের ভালোবাসার প্রতীক। আমাদের মেয়ে মেহেজাবিন মুমতাহা নূর।বাবা মা আর আইরিন নূরকে নিয়ে বাসায় আনন্দ করে আর আমি অফিসে যায়।আবার বাসায় এসে সবার সাথে আড্ডা দেওয়া হয়ে গেছে অভ্যেস। খুব হাসি আনন্দে সময় পাড় হয়ে যাচ্ছে আমাদের।
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা