খুজে পাওয়া

খুজে পাওয়া

-এই থামেন থামেন সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি পুলিশ আমাদের কে থামার জন্য সিগনেল দিচ্ছে।এদিকে আমি আর শাকিল মাল খেয়ে টাল্লি হয়ে বাইক চালাচ্ছিলাম আর আমি চাই তুমি আমার হও,আমার স্মৃতিতে তুমি বসবাস করো ,আমার পাশে বসো,হালকা ঠান্ডা হাতে আমার হাতটা ছুয়ে দাও।যেন আমি র্পূণতা পাই।আমি হারাতে চাই,খুব করে হারাতে চাই।এই ভালোবাসাময় কথাগুলা বলছিলাম। আস্তে করে পুলিশের গাড়ির সাথে আমাদের গাড়ি র্পাকিং করতে গিয়ে আমি পুলিশের গাড়ির হেডলাইট ঠুকে দিয়েছি।হঠাৎ শাকিল পিছন থেকে বললো,মাদারি আজ গেছি আমরা।

-এই গাড়ি থেকে নাম দেখাচ্ছি মজা তোদের।আমাদের গাড়ি ঠুকে দিয়েছিস।
-জ্বী স্যার বলুন প্লিজ?এই শীতের রাত্রে কেন আমাদের গাড়ি থেকে নামালেন ?
-কথা জড়িয়ে যাচ্ছে কেন ,কি খেয়েছিস ?
-,সবজি স্যার..
-আর ?
-সাথে ডাল ও খেয়েছি ।খুব টেইস ছিল স্যার।

(মাদা**দ তুই কি কইতেছস ?পুলিশ বুজলে সবজী তরে আবার খাওয়াইবো)শাকিল আমার কানের কাছে এসে বলতে লাগলো।

-আমি তো সেটাই চাই,আমি আরো সবজি খেতে চাই।
-এই তোরা ফুসফুস বন্দ কর।ওলটা পাল্টা খেয়ে এখন মাতলামি হচ্ছে?বাসা কোথাই ?
-চাদের দক্ষিন পাশের গলির ৩য় নাম্বার রোডের ১৬ নাম্বার বাসার পিছনের সাথে যে আমগাছ তার র্পূব দিকে যে বিড়ির দোকান,সেই বিড়ির দোকান থেকে যে তালগাছের মাথা দেখা যায় তার বিপরীত পাশের..

-এই চুপ চুপ,,,,তর বাবার নাম কি ?
-নীল আমস্টংক (টাল্লি হয়ে)
-কিসে পড়িস ?
-মহাকাশে,হাজারো তারার মাজে।আপনি যাবেন স্যার ? এভার পুলিশ টা দাতে দাত চেপে আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে লাগলো,কিন্তু আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না।
-কি হয়েছে সাদেক ভাই?

হঠাৎ এক লেডি এস আই এ কথা সেই পুলিশকে জিঙ্গেস করলো।মেয়েটি যখন আমার সামনে এলো তখন আমি আর কিছু শুনতে পাই নি ?মেয়েটির চোখের গভীরে আমি হারিয়ে গেলাম।তার ঠোট, চুল নাকে চেপে বসা জেদ সব মিলিয়ে আমি সেসব নেশা থেকে বেড়িয়ে আমি এস আই এর চোখের নেশায় বুদ হয়ে রইলাম।বঙ্কিমের যেমন মেয়াও শব্দতে তাহার ধ্যান ভেঙ্গেছিল ঠিক তেমনি শাকিলের কন্ঠ শুনার পর আমার ধ্যান ভেঙ্গে গেল।শালার দিকে চোখ বড় করে তাকালাম।

-দেখেন না মেডাম,রাতে কি খেয়ে মাতলামি করছে।বাড়ি নাকি চাদে আরো কত কি বলে।
-আচ্ছা,আমি দেখছি। সাথের পুলিশ টা চলে যেতে লাগলো আর আমার দিতে তাকিয়ে এমন ইসারা করলো যেন,বাজান তুমার খেলা আছে……

-নাম কি আপনার ?আর এত রাত্রে কোথাই যাচ্ছেন ?
-ইমু আহমেদ,,আপনার নামটা কি ?
-মানে?
-আসলে আপনার বুকের দিকে তাকালেই কিন্তু নামটা আমি দেখতে পারতাম কিন্তু সুন্দরি একটা এস আই অন্য কিছু ও মনে করতে পারে।তাই তাকালাম ও না,আর দেখলাম ও না।

-ফ্লাট করার ট্রাই করছেন ?
-আমি ট্রাই এর মধ্যে নেই,অলরেডি করে ফেলেছি।
-13 শিখ এর ভেতর যেতে ইচ্ছে করছে?
-সেখানে গেলে যদি আপনার মন পাওয়া যায়,তাহলে সেখানেই গেলাম।অবশ্য আমরা বন্ধুরা মিলে ১৩ শিখের মধ্যে বারবি কিও র্পাটি করি। কিরে তাই না শাকিল?

-ইমু প্লিজ অফ যা।কপালে আজ শনি আছে ।
-আরে শনিবার তো চলে গেছে কালকে ।
-শালা বাই**দ।
-আরে বেটা আজ তর ভাবি পাইয়া গেছি।যা এলাকার ছেলেদের গিয়ে বেনসন খাওয়া আমার তরফ হতে।

এ কথা বলার ফাকে আমি মেয়েটির বুকের দিকে তাকিয়ে তার নামটা দেখে নিলাম।আফসানা অথৈ।চেহারার সাথে নামটা হেব্বি যায়। এভার আফসানা আমাদের দিকে তাকিয়ে বললো

-খুব পাখা গজিয়েছে তাই না?
-আমি তো আর পাখি না যে পাখা গজাবে।তা বিবাহিত নাকি ?
-২ টা বাচ্চা ও আছে।
-সমস্যা নাই,আব্বু আব্বু বলে ডাক দিবে।আমার চলবে।
-থাপ্পড় লাগাবো একটা ।
-বাম গালে দিবেন নাকি ডান গালে।আর দিলে ২ টা দিয়েন নয়তো বউ পামুনা।
-অদ্ভুদ তো
-ভূত তো আর নয়।

এভার মেয়েটার মুখে রাগের আভাস পেলাম।মুখটা লাল বণ ধারণ করছে।যা মেয়েটার সৌর্ন্দয আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।আমি তাকিয়ে তাকিয়ে সেই সৌর্ন্দয উপভোগ করছি।এদিকে আবার আমার সিগারেট এর তেষ্ণা বেড়ে গেল।তাই পকেট থেকে একটা বেনসন বের করে জ্বালিয়ে দিলাম।শাকিল অবশ্য বার বার আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়েছিল।আর মনে মনে গাল দিচ্ছিল। আফসানা কোমড়ে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো

-তাহলে এভার ১৩ শিখে ঢুকবেন ই আপনি?
-ভালোবেসে যেহেতু বলছেন,ঢুকতে তো আমাকে হবেই ।তা কারণ টা কি ?
-ড্রিংক এন্ড ড্রাইব ।
-ব্যাস,,,এতটুকুই?
-জ্বী জনাব।
-গুড,চলুন তাহলে।

সে অদ্ভুদ ভাবে আমার দিকে তাকালো।আর মনে মনে হয়তো ভাবছে পাগল নয়তো? এখন আমি আর শাকিল পুলিশ ভ্যানে বসে আছি।সামনে ড্রাইবার আর সেই সাদেক সাহেব ,পিছনে ম্যাম এবং আমরা।আামি আফসানা ম্যাম এর দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছি,আহ কি সুন্দর ।

-আপনি এমন করে হাসছেন কেন আমার দিকে তাকিয়ে?
-আপনি কি আসলেই বিবাহিত ?
-আমাকে দেখে কি মনে হয় আপনার ?
-দেখে তো প্রেমে পড়ার ইচ্ছা হয় খুব করে।
-নিজেকে খুব র্স্মাট ভাবেন ?
-সেটা তো জন্ম থেকেই।জন্মের সময়ই আমার হালকা লালচে চুল ছিল,শরীরে একটা ভাব ই ছিল আলাদা।কিরে তাই না শাকিল ?

-শালা,তরে আমি দেইখা নিমু দেখিস ,,,
-আচ্ছা,ওইদিন আমি ফেরেন্ড হেনসাম মেখে আসমু ।কেমন?
-একটা মানুষ এতটা চুতিয়ে হয় কিভাবে ?
-আমিও তো তাই বলি কিভাবে?

কিভাবে বলে শাকিলের দিকে তাকালাম,সে চোখ দিয়েই আমার খেয়ে ফেলছে।তা দেখে আমি চাপ খেয়ে আফসানার দিকে আবার তাকিয়ে রইলাম।এভার আফসানা আমাকে লক্ষ করে শাকিলকে বলতে লাগলো

-আপনার বন্ধুকে একটা ভালো সাইক্রাটিস এর কাছে নিয়ে যান।
-নিয়ে গেছিলাম ম্যাম ।১ জন নয় ২ জন নয় ৫ জন ডাক্তার দেখাইছি ।
-তারপর ?
-তারপর আর কি!সেই ৫ জন পাগলের ডাক্তার আজ নিজেই পাবনার পাগলা গারদে বন্দি ।
-বলেন কি ?
-জ্বী ম্যাম…….

-কোন প্রকার থেরাপি কি নেই ওনার জন্য? এভার আমি ফট করে বলে উঠলাম
-আছে তো,,আপনার ভালোবাসা ।
-প্লিজ স্টপ।
-আমি তো গাড়ি নাহ ..
-আচ্ছা পাগল তো।
-আপনার প্রেমে?
-আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন ?
-মজা কি কেহ করে ?সবাই তো মজা খেয়ে ই ফেলে।
-সরি!!!!!!!
-ঠিক আছে মাফ করে দিয়েছি। it’s ok….
-Uff

এভার আর কোন কথা না বলে চুপ করে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলো।আমি বুজিনা এমন সুন্দরি মেয়েদের কোন বেটায় পুলিশের চাকরি দেয়?আমরা গফ খুজে পাই না এদিকে আর ওরা এমন সুন্দরিদের রাখছে চোর পাহারা দিতে।আমি এসব ভেবে যাচ্ছি আর আফসানা দেখছি।হুট করেই প্রেমে পড়ে গেলাম মেয়েটার।অবশ্য অবিবাহিত ,সুতরাং আমার চান্জ আছে।আমি ৩০ মিনিটের যাত্রায় শুধু তার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম।সে অনেক বার রাগে ভ্রু কুচকেছিল তবুও আমি দেখেই যাচ্ছিলাম।ক্রমস আমি কেমন পাগল হয়ে উঠছি আফসানার দিকে তাকিয়ে।আমার র্হাট টা মিনিটে মনে হয় ১০০ বারের বেশি স্পন্দিত হচ্ছে,আমার পশম খাড়া হয়ে গেছে ,হাতটা কাপতে শুরু করছে।

আর এদিকে তার লাল ললাট আমার মাথার প্রতিটা নিউরনকে উত্তেজিত করে দিচ্ছে।আমি আর কিছু চিন্তা করতে পারছিলাম না।তাই হুট করে আফসানা কে আমার হাত দিয়ে তার গাল পিষ্ট করে তার ঠোটে র্দীঘ সময়ের জন্য চুমু একে দিলাম।সে হঠাৎ আমায় ঝামটা দিয়ে সড়িয়ে দিল।ঘটনায় শাকিল ও আফসানা দুজন ই অবাক সাথে আমিও ।আফসানা এভার আমার গালে একটা চড় বসিয়ে দিল আর ছোট শব্দে বলে দিল ’লম্পট একটা” আমি নিজেও ভাবতে পারিনি যে এমন কিছু হবে।পুলিশ ও স্টেশন নিয়ে গেল আমাদের।আমাকে ভেতরে নিয়ে বেশ পেদানি দিল।কিন্তু শাকিল কাকে যেন ফোন দিয়েছে বিদায় বের হয়ে গেছি।আফসানা তাকিয়ে দেখলো আমার পিঠ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে যা সে দেখার জন্য তৈরি ছিল না।কেননা আমায় এমন কোন আঘাত করে নি যে রক্ত বের হবে।আমি আফসানার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

-এগুলো কিছুই নয়,আমার ঘরের বাতির আলোর নিচে দেহে অল্প কাটা ছিড়ার দাগ মাত্র।এই রক্ত সব সময়ই প্রবাহিত হয়।এটা নিয়ে আপনার চিন্তার প্রয়োজন নেই।আর হ্যা,সরি এটুকু বলে আমি আর শাকিল বের হয়ে গেলাম।রাস্তায় আমি আর শাকিল হেটে যাচ্ছি।বাইক এক জায়গায় রেখে।রাত্র টা কে উপভোগ করছি।শান্তির নীড় যেন,তবুও হাজারো মানুষের ভালোবাসার ব্যাথায় প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ আহত।

-ইমু,চুপ করে আছিস কেন ?
-এমনি।
-তুই বকবক কর,কথা বল
-কেন ?
-তুই থাকলে আমার ভয় হয়।তুই চুপ থাকিস না ।
-বাইক নে বাসায় যাব।

পরের দিন সকালে শাকিল আমার বাসায় হাজির।ঘুম থেকে তার ডাকেই উঠলাম।আমি বিছানা ছেড়ে উঠার পর সে দেখলো আমার বিছানার চাদর রক্তে লাল হয়ে আছে।প্রতিদিনের মতো আজ ও নিয়ন বাতির আলোয় দেহে হাজারো ছুড়ির কাটা ছেড়া দাগ।কি করবো জ্বলতে যে ভালো লাগে।এভার শাকিল চেচিয়ে বলে উঠলো

-তুই এসব পাগলামি কবে থামাবি ?
-যেদিন আমি থেমে যাব।
-এসব বাউন্ডুলেপণা কথা ছাড় ।
-কি করবো,বাউন্ডুলে যে..
-চল বাহিরে চল ..

আমি ফ্রেস হয়ে শাকিলের সাথে বের হলাম।বেশ কিছুদুর যেতেই দেখি শাকিল বাইক অফ করে দাড়ালো।সিগারেট টানছি দুজন।হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি আফসানা।সে তার গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে তার মানে শাকিল জানতো সে এখানে থাকবে তাই সে আমাকে নিয়ে আসছে এখানে।আমি এভার আফসানার দিকে এগুচ্ছি আস্তে আস্তে

-সিগারেট ফালান
-শেষ হোক তারপর।
-আপনি এমন অদ্ভুদ কেন ?আর শরীর কাটেন কেন ?
-শাকিল আপনাকে বলে দিয়েছে তাহলে…।আসলে আমি ই অদ্ভুদ
-সেটাই তো দেখছি
-আর কালকের ঘটনার জন্য সত্যিই আমি লজ্জিত।আমি নিজেও এমন টা ভাবিনি।আসলে আপনি অদ্ভুদ সুন্দরী একজন মেয়ে,হঠাৎ করেই আমার কি যেন হয়ে গিয়েছিল তাই এমন টা হলো।

-ঠিক আছে
-আচ্ছা আপনি কোন ব্যান্ড এর লিপস্টিক ব্যবহার করেন ?
-কেন ?
-মিষ্টি ছিল তো খুব তাই।চিন্তা করছি এখন আমিও সেই ব্যান্ড এর লিপস্টিক কিনে খেয়ে ফেলবো।তাহলে আর মিষ্টি খাওয়া লাগবে না ।

-হা হা হা,আবারো শুরু করলেন ?
-আচ্ছা আপনার পরিচয় টা দিবেন ?
-আমি আপনার পরিচয় টা ভালো জানি মিঃ বাউন্ডুলে।
-কিভাবে ?
-আপনার লিখা গুলো পড়া হয় অনেক আগে থেকেই,আর সেখান থেকেই চেনা আপনাকে ।
-ওহ

এরপর অনেক দিন ই কেটে গেল।প্রায়স আফসানার সাথে আমাদের দেখা হতো।ছোট ছোট কথা থেকে আমাদের সর্ম্পক টা ও বেশ ভালো হয়ে গেল।এখন অবশ্য তুমি করেই বলি দুজন দুজনাকে।তার সাথে মিসতে মিসতে বুজে গেলাম সে খুবই ফ্রি মাইন্ডের একজন ।ধীরে ধীরে আমার শরীর কাটা টা কমতে লাগলো তার কারণে।আমি কেন জানি ওর কথা ফেলতে পারিনা।আবার ভালোবাসি এমন ও না।কেননা আমাকে দিয়ে আর যাই হোক এই প্রেম হয়ে উঠে না।আমি ভালোবাসি অন্ধকার কে।যা সবসময় আমায় আড়াল করে রাখে এ বাহিরের জগৎ থেকে। আমার পছন্দ আমার বাউন্ডুলে পণা,বিশ ভ্রমান্ড খুজা,মানুষের বাস্তব জীবন কে দেখা।এর বাহিরে আমি চলতে পারিনা,আমার কাছে ইমশোন এর কোন মূল্য নেই,আমি জানিনা এটা কেমন।আর বেচে আছি তা কষ্টের গর্তের দ্বারা মানে কষ্ট রাখা হয় যে গর্তে তাকেই আমি শ্বাস বলি।আফসানা বার বার বলতো

-ইমু একটু সিরিয়াস হও আর শাকিল বার বার উওর দিত
-না তুই যেমন আছিস তেমন ই থাক।অন্তত বেচে তো থাকবি ।

আফসানা কথা গুলোর মানে বুজতে চাইতো কিন্তু সে হেরে যেত।একবার খুব করে আফসানা ধরেছিল আমায় আমার কথা বলতে।বলতে ইচে্ছ ছিল না কিন্তু তার জন্য বলতে হয়েছিল।খুব সংক্ষেপে আমি আমার কথাগুলো তাকে বলেছিলাম যা শুনে সে বড্ড কেদেছিল।আর এটাই বলতো-তুমিও ভালোবাসতে জানো ?

-কখনো জেনেছিলাম কিন্তু এখন তা দিনের আলোর মতো হারিয়ে গেছে।ঠিক এখন যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকারে আমার প্রেম লুকায়িত।
-আমাকে তুমার কেমন লাগে ইমু ?
-রহস্য এটাই তোমাকে আমি এখনো কোন ব্যাখায় আনতে পারিনি।
-তাহলে কি ভালোবাস আমায়?
-র্স্টেট বলে দিতাম তাহলে আমি,তুমি জানো আমি যা বলি তা সরাসরি।

আমি জানতাম সে আমার কথায় আহত হয়েছে।এখন থেকে প্রতিদিন ই আমাদের দেখা হয়।আমি এমনি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তার সামনে বসে থাকতাম।কখনো কখনো তেলাপোকা নিয়ে তার সামনে ছেড়ে দিতাম কখনো হয়তো তার গাড়ির চাকার হাওয়া বের করে দিতাম।সে রেগে গিয়ে বেশ দৌড়ানি ও আমায় দিয়েছে অবশ্য।

এভাবে আমাদের ৪ টা মাস চলে গেল।আমি এই কয়েক দিনে বুজে নিয়েছি আফসানা আমার প্রেমে পড়েছে।সে আমাকে অনেক ভাবেই তা বুজিয়েছে আমি সব বুজেও চুপ থেকে গেছি।আমি চাইনা কেহ আমাকে ভালোবাসুক ,আমি একাই তো ভালো আছি।নিকোটিনের সঙ্গাই আমার পছন্দ। সে ভালোবাসার কথা টা বলার পর থেকে একটু দুরত্ব রেখে তার সাথে চলতে লাগলাম।ফোন কল আগের মতো আর হয় না,মূলত আমি ইচ্ছে করে তার ফোন পিক আপ করি না।¬¬¬¬শাকিল তার কাজের জন্য ১৫ দিনের জন্য বাহিরে গেছে।যাবার আগে বহুত জ্ঞান র্বাতা আমার জন্য উপহার হিসেবে রেখে গেছে।এর ভেতর আফসানা দুপুরে একবার আমায় ফোন করেছিল

-এই ইমু কোথাই তুমি ?
-মেথর পাড়ায়
-ওই খানে তুমি কি করো ?
-রাহিম মামার সাথে দাবা খেলি,জানো ওনি খুব ভালো পারে।
-অহয্য একটা,
-হ্যা তা ঠিক ই
-দেখ কথা একদম ঘুরাবা না
-চরকি নাকি যে ঘুরাবো ?
-ইমু,খেয়ে ফেলবো কিন্তু তুমায় ?
-আমি কি চিজ নাকি যে খেয়ে নিবা ?আর খেলেও কি চাইনিজ কোন রেসিপি করে খাবা নাকি খাটি বাঙালি র খাবার খাবা।

-আমার কিন্তু ধের্যের সীমা পেড়িয়ে যাচ্ছে ইমু।
-বিশ্বাস করো সীমার সাথে আমার কোন কিছুই নেই।কখনো কখনো মেসেস হতো আমাদের।জাষ্ট ফ্রেন্ড আমরা।
-কুত্তা তরে আমি কাছে পেয়ে নেই একবার।
-লিপস্টিক খাওয়াবা নাকি ?
-তুই ওইখানে থাক আমি আসতেছি।
-আসার সময় সিগারেট নিয়ে আইসো,আমার কার্ডের টাকা শেষ সব ।
-বিষ নিয়ে আসবো বিষ।
-নীল এমনি বিষের রঙ,সুতরাং তুমি একটা নীল শাড়ি পড়ে এসো।
-ইমুউউউ্………..

বলেই চিৎকার করে সে ফোনটা কেটে দিল।আমি আবার মামার সাথে দাবা খেলতে লাগলাম।কি ভালো দাবা খেলতে পারে মামা।আমরা পর পর ২ টা ম্যাচ শেষ করে ফেললাম।হঠাৎ কেউ একজন এসে বলতে লাগলো

-পুলিশ আইছে ইমু ভাই,আননেরে খুজতেয়েছে
-মেয়ে পুলিশ ?
-হয় ভাই ।
-আচ্ছা তোমরা থাক,আমি আসছি।

আমি আস্তে আস্তে মেথর পাড়ার মেইন কলনিতে চলে আসলাম।সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি আফসানা আমার দিকে তাকিয়ে সাপের মতো ফুসছে।

-নাগীন নাকি এমনে ফুসতেছো কেন ?
-আমার ফোন ধরো না কেন তুমি ?
-সিগারেট আনছো ?
-নে তোর সিগারেট,এখন বল ফোন ধরিস না কেন ?
-তুমি তুই এমন উল্টাপাল্টা বকছো কেন ?
-আগে আমার জবাব দে ।
-এমনি,মূলত কোন কারণ ই নেই ।
-আর চুলের এ অবস্থা কেন ?দাড়ি অল্প ছোট করো না কেন?
-এভাবেই ভালো লাগে আমার ।

এভার আফসানা টানতে টানতে আমাকে তার গাড়িতে বসিয়ে দিল।মনে মনে ভাবলাম আবার হাজতে নিয়ে কেলাবে না তো?পরক্ষনেই মনে হলো,আরে না আমি তো কিছু করিই নি ।এভার গাড়িটা এসে একটা সেলুনের সামনে এসে থামলো।আফসানা আমায় টেনে নিয়ে সেলুনে বসিয়ে দিল।

-ওনার চুল,দাড়ি গুলো ভালো করে কেটে দেন তো।
-আফা কোন স্টাইলে কাইটা দিমু।আমার হানে হেব্বি হেব্বি স্টাইল আছে।
-দেব এক চড়,বলছি না ভালো করে কেটে দিতে?যেভাবে ওকে ভালো দেখায় সেভাবে কাটেন। এভার আমি ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বললাম
-মেডাম হেব্বি জাল কিন্তু,মেরে দিতে পারে

বেচারা এভার কোন কথা না বলে চুল কাটতে লাগলো।সে ভয় পেয়ে গেছে তা তার চেহারা দেখেই বুজা যাচ্ছে।অনেকক্ষন পর আমার চুল,দাড়ি কাটা শেষ হলো।আর আফসানা টাকা মিটিয়ে আমাকে নিয়ে একটা খোলামেলা জায়গায় নিয়ে আসলো।

-আচ্ছা ইমু তুমি কি আমায় ভালোবাসো না?কেন এমন করছো আমার সাথে তুমি?তুমি জানো আমি তোমাকে ভালোবাসি।
-না আমি জানিনা।
-তুমি লেখক,তুমি চোখের দিকে তাকিয়েই অনেক কিছু বলে দিতে পারো।আর এখন বলছো জানি না ?
-এই ভালোবাসা আমায় দিয়ে হবে না ।
-কে বলছে হবে না।তুমার ও একটা শিশুর মতো পবিত্র মন আছে।তুমিও চাও কেউ একজন তুমায় ভালোবাসুক ।
-না এমন কিছুই না ।
-তাহলে চুমু কেন খেয়েছিলে আমায়,আর কেন ই বা প্রতিটা গল্পের নায়িকার সাথে বর্ণিত চেহারা আমার সাথে মিলে যায় ?কেন ইমু ?

-আসলে তুমার চেহারা টা আমার পুড়াতন প্রেমিকার সাথে কিছুটা মিলে যায় তাই হয়তো তুমি এমন ভাবছো।
-একটু ও মিলে না আমার সাথে,কেননা শাকিল আমায় সেই মেয়েটির ছবি দেখিয়েছে।
-চুতিয়ে রে আমি খাইছি তাহলে ।
-পেছনের দিকে ঘুড়ো তো ইমু ?
-মেয়েরাও আজকাল বেক সাইড দেখে নাকি ছেলেদের।
-বাজে বকা বন্ধ করে যা বলছি তা করো। আমি পেছনের দিকে ঘুড়লাম।সে কিছুক্ষন পর আমার সামনে এস কষিড়ে এক থাপ্পড় মারলো।

-তুমায় মানা করেছিনা শরীর কাটবানা।আজও কেটেছো।এখনো তুমার পিছ দিয়ে রক্ত পড়ছে। আমি এভার আর  কিছু বললাম না।সে আমাকে তার বাসায় নিয়ে গেল।তার মা বাবা আমাকে দেখে আফসানাকে জিজ্ঞাস করলো

-মা কে এটা ?
-এটিই সেই পাগল। (স্লামুলাইকুম আন্টি ভালো আছেন ?)
-খোজ খবর পরে আগে তুমি আমার সাথে এসো ।

এটা বলে আফসানা টানতে টানতে তার বেডরুমে নিয়ে গেল।কি সুন্দর গুছানো ঘর,সাড়ি সাড়ি বই সাথে আমার লিখা কিছু ওল্টা পাল্টা বাণী সে তার রুমে বড় করে টাঙিয়ে রেখেছে।আফসানা একটা + বাক্স এসে বললো

-তুমার র্শাট টা খোল ।
-এ মা,,ছিহ।এগুলোর জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত না।আর আমি একটা র্ভাজিন ছেলে।
-তোর র্ভাজিনের গুষ্টি কিলায়।

বলেই সে র্শাট টা টেনে খুলে ফেললো।হাতে কাচি নিয়ে তাতে একটু তুলা আর এন্টিসেপ্টিক নিয়ে আমার পিঠের কাটা স্থানে সে ঘষতে লাগলো। এন্টিসেপ্টিক এর জাঝ টা আমায় ব্যাথা দিলেও আমার তেমন কোন ব্যাথা লাগছে না ।সে ঘষে ঘষে আমার পিছের রক্ত গুলো মুছে দিচ্ছে।হঠাৎ এক বিন্দু গরম পানি আমার পিঠে পড়লো যা আমার যন্ত্রনা হাজারগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছিল।কিন্তু এমন কেন ?আগে তো কখনো এমন হয় নি ।আমি আয়না দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম আফসানার চোখ বেয়ে অজড়ে পানি পড়তে লাগলো আর সে একটু পর পর বা হাতের উল্টা পিষ্ট দিয়ে সে চোখের পানি মুছছে।এভার সে সুই দিয়ে আমার কাটা স্থান সেলাই করতে লাগলো।আন্টি এর ভেতর আপেল,কমলা,গরম দুধ নিয়ে আমার সামনে হাজিড়।আফসানা আন্টি কে চোখ দিয়ে ইসারা করার পর আন্টি বের হয়ে গেল রুম থেকে ।যাবার আগে বলে গেল বাবা এগুলো খেয়ে নিও ।

-ইমু,তুমি আর কখনো ওই মেথর পাড়ায় যাবা না ।
-কেন ?
-এমনি, আমি মানা করেছি তাই ।
-কান্না করছো কেন ?
-সেটা তুমার জানতে হবে না ।
-আচ্ছা.
-নাও এভার গোসল করে নাও।শরীর থেকে গন্ধ আসছে। কতদিন ধরে গোসল করো না?
-সঠিক মনে নেই ।
-যাও গোসল করো ।
-এখন ,এখানে ?
-হ্যা

আফসানা আমার পিঠে কি যেন একটা পড়িয়ে দিল যাতে পানি না ঢুকে আমার ব্যন্ডেজে।বেলুন জাতিয় কিছু একটা।থাক আর গভীরে না যাই ।আমি তার ওয়াসরুমে ঢুকে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে লাগলাম।গোসল করে বের হয়ে দেখি আফসানা আমার জন্য নতুন র্শাট প্যান্ট নিয়ে এসেছে।হয়তো আগে থেকেই ছিল।কাপড় গুলো ও আমার ঠিক মতো শরীরে ফিট হয়েছে।

-আচ্ছা তুমি আমার কোমড়ের মাপ কিভাবে জানো ?
-বলতে ইচ্ছে করছে না ।
-তারমানে তুমি চুপি চুপি আমার কোমড়ের দিকে ও তাকাও?
-অসভ্য একটা

বলেই আফসানা হেসে উঠলো।আমি এই হাসিটাই দেখতে চাচ্ছিলাম।আমি খাওয়া দাওয়া সেরে বাসায় চলে আসলাম।মনের সুখে আফসানার দেওয়া সিগারেট আমি ফুকছি।এমন করে আরো ২ দিন চলে গেল।আফসানা আমায় ফোন দিয়েছিল কিন্তু আমি ধরি নি।কেন জানি একটু অসুস্হ হয়ে পড়েছিলাম।হঠাৎ দড়জায় ঠক ঠক আওয়াজে দড়জা খুলে দেখি শাকিল দাড়িয়ে

-কিরে তোর না আরো ৫ দিন পরে আসার কথা ?
-তুই ফোন ধরিস নি কেন ?
-খেয়াল করি নি। সে আমার কপালে হাত দিয়ে বললো
-কিরে তোর দেখি জ্বর অনেক ।ডাক্তারের কাছে গিয়েছিস ?
-আরে দুর এসনি ঠিক হয়ে যাব।
-কিছুই ঠিক না।চল ডাক্তারের কাছে চল।

শাকিল টেনে হিচড়ে আমায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।আফসানা যখন জানতে পারলো আমার জ্বর তখন সে কি কান্না।এভার শাকিলকে বললাম তুই আগে আসলি কেন এত ?তোর তো আরো ৫ দিন পরে আসার কথা।

-আফসানা কান্না করছিল ফোন দিয়ে খুব।তুই নাকি আবারো উল্টাপাল্টা করছিস ।
-দুর হুদাই ।
-ইমু তুই জানিস ও তোকে কতটা ভালোবাসে
-ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই ।
-কে বলেছে নেই?একটা মেয়ে তোকে ধোকা দিয়েছে বলে তুই এমন করবি?দেখ তাহলে সেই মেয়ের সাথে তোর অমিল কোথাই ?আফসানা ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে তাহলে তুই কেন তাকে ঠকাচ্ছিস ইমু ?

-কোরবানির গরু নাকি যে জিতমু আর ঠকমু ।
-ফাউল কখা বলবি না ইমু।
-ফুটবল খেলতেছি যে ফাউল করবো ?
-শালা বাই**দ লাথি মারবো ।তুই আফসানাকে ভালোবাসিস না ?
-জানিনা ?
-এইতো এটাই ভালোবাসা।কারণ তুই যদি; ভালো না বাসতি তাহলে আর জানিনা বলতি না।তুই ভালোবাসোস বলেই তাকে প্রকাশ করতে পারছি না।
-তোর ছোট কোন বোইন আছে ?
-নাহ কেন ?
-হ্লা তোর বাপরে বলতে পারলি না একটা বোন ডাউনলোড করতে।তাহলে তুই ই আমার শালা হইতি।অবশ্য শালা তো আগে থেকেই।

-বাজে কথা ছাড়।আর আফসানা ও আমার বোনের মতো ই । হঠাৎ আফসানা শাকিলের মোবাইলে ফোন দিয়ে কাদতে কাদতে বলতে লাগলো
-ইমু কেমন আছে শাকিল ?
-আরে কান্না থামাও,সে ঠিক আছে।আমি তাকে এখনি তোমার কাছে নিয়ে আসছি ।

এভার শাকিল আমাকে তার বাইকের পিছনে বসিয়ে যেতে লাগলো।কিছুক্ষন পর দেখি আফসানা সবুজ শাড়ি,ঠোটে লিপস্টিক,আর গহনা পড়ে এক রিকশায় বসে আছে।শাকিল সেখানে গাড়ি থামালো।আর বললো

-এই নাও পাগলটাকে।এখন থেকে সব কিছু তুমি ই দেখবা।
-কিরে আমি কি মেয়ে পক্ষ নাকি যে তার হাতে তুলে দিলি।
-তুই আর মানুষ হইলি না।
-তো আমাকে তোর কি মনে হয়েছে এতদিন ।
-চুপ শালা,,,এ মামা সামনের কাজি অফিসে নিয়ে রিকসা থামাবা।এর আগে না।আর আফসানা তুমার মা বাবা কাজি অফিসে পৌছে গেছে অলরেডি।

-মানে কি এসবের ? এভার আফসানা বলে উঠলো

-বাবু,তুমি না র্ভাজিন?তাই আজকে তুমার র্ভাজিনিটাকে পবিত্র ভাবে র্বিসজন দেওয়ার জন্যই আমরা কাজি অফিসে যাচ্ছি। এভার শাকিলের দিকে দাত কটমট করে বললাম

-শালা চুতিয়ে তুই এমন সতিনের মতো আচরন করতে পারলি আমার সাথে । শাকিল হে হে করে হেসে বাইক টেনে কাজি অফিসের দিকে যেতে লাগলো।এইফাকে আফসানা মৃদ্র হেসে আমার হাতটা জড়িয়ে নিয়ে বললো ভালোবাসি।

-এই মেয়ে এত চিপকাছো কেন ?
-আমার প্রোর্পাটি তাই আমি যা খুশি করবো ।
-এ আসছে ।

এভার আফসানা তার ব্যাগ থেকে একটা B&W এর প্যাক বের করে আমার মুখে সিগারেট খুজে দিয়ে লাইটার দিয়ে জ্বালিয়ে দিল।আমি পরম আবেশে সিগারেট এর ফিল্টারকে চুম্বনে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।সে আমার দিকে হেসে বললো,এখন থেকে সব কিছুই লিমিটেড হবে,ছেড়ে দিতে বলছি না কেননা তুমি তা পারবে না।শুধু একটু কমিয়ে খেয় কেমন ?আমি হাসলাম আর ঠোট টা আফসানার কানের কাছে নিয়ে বললাম

-ভালোবাসি তুমার অনুভূতিগুলোকে,তুমার ঠোটের সেই লিপস্টিক টাকে,তুমার করা এই মিষ্টি শাষণ টাকেও।বড্ড বেশিই ভালোবেসে ফেলেছি রিকশা থেকে নেমে দেখি সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে মালা হাতে নিয়ে।শাকিল আমার দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো আর ইশারায় বললো

-চুতিয়ে তোকে অনেকটা ভালোবাসি,ভালোবাসি তোর অদ্ভুদ পাগলামিটাকে আর তোর লিখা গল্পগুলোকে। সুন্দর হোক তোর সামনের সময়গুলো।আর হ্যা আমি আছি তোর পাশে। হঠাৎ একটা নাম না জানা লেখকের কবিতা মনে পড়ে গেল “বন্ধুত্ব সে তো এক অদৃশ্য বন্ধন যা সবসময় করা হয় রোমান্হন। বন্ধু মানে ব্যাপক ভালোবাসা মুখ দেখে বুজতে পারা মনের অব্যক্ত ভাষা….”

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত