বাসর ঘরে একা বসে আছি। অনেকক্ষণ হয়ে গেলো বর মহাশয়ের নিউজ পাচ্ছি না।ওহ মেকাপ করে কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে।গ্রামে থাকতাম মেকাপের সাথে ততোটা পরিচিত না।যার সাথে বিয়ে হয়েছে তাকে খুব চিনি আমি। আমার বন্ধু আমার পুটুস। আসুক একবার নাক মুখ ছিড়ে দিবো! দরজা খোলার শব্দ।পুটুস আসলো মনে হয়।এসে বললো
–কি রে ঘোমটা দিস নাই কেনো?জানিস না বাসর রাতে ঘোমটা দিয়ে থাকতে হয়।আর মুখে এত আটা ময়দা মেখেছিস কেনো?কি রকম পেত্নী পেত্নী লাগছে
–উফ টিপু চুপ করবি!তোরেও তো টেপার মত লাগছে।
–তুই এটা বলতে পারলি সাথি?
–এবার প্লীজ কান্না করিস না।এমন ভ্যাঁকান্না ছেলে জীবনে দেখি নাই আমি…!আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
বাপরে ফ্রেশ হতে এত টাইম লাগলো ভাবতেই পারছি না।এত সাজানোর কি দরকার ছিলো। রুমে এসে দেখি পুটুস শুয়ে আছি।
–এই শুনছিস!
–হুউ…
–ঘুমাবো আমি।
–তো ঘুমা।
–আমি তো দুইটা বালিশ না হলে ঘুমাতে পারি না জানিস না?
–প্লীজ কুটুস আমার বালিশ টা নিস না।
–দে তো ভেড়া।ড্রামা বাদ দে ঘুম আসছে।
নিলাম বালিশ টা কেড়ে।দুইটা বালিশ মাথার নিচে না দিলে ঘাড় ব্যথা করবে প্রচুর। টিপু বসে আছে।আমি শুয়ে পড়লাম।
–কিরে পুটুস ঘুমা।
–আমাকে অসহায় পেয়ে আমার বালিশ কেড়ে নিলি তোর তো জাহান্নাম নসিব হবে।
–ওলে বাবালে অবিতাপ দিত্তো।আচ্ছা ওয়েট।এই নো তোর বালিশ।
–ওয়াও থ্যাংকস ইয়ার। তোর এই ঋণ আমি কখনো ভুলবো না দেখিস।
–ওকে এবার তুই ঘুমা।
টিপু শুয়ে পড়লো। এবার আমি কি করবো?উচু জায়গায় না ঘুমালে তো ঘাড়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।অনেকক্ষণ ধরে ভাবছি কি করা যায়।ইয়াপ আইডিয়া।আমার বালিশটা নিয়ে টিপুর বুকের উপর রাখলাম তারপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম।বাহ আমার মাথায় কত্তো বুদ্ধি। কেউ আমার কপালের চুল সরিয়ে দিচ্ছে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল।তাকিয়ে দেখি টিপুর হাত আমার চুলে
–উ উ উ
–কি হইছে কথা না বলে উ উ করিস কেনো?
সকালে ব্রাশ না করে কথা বলি না কারো সাথে নিজেকে কেমন অপরিষ্কার লাগে।টিপু আমার গাল ধরে ওর মুখের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।কি করবে?কিস করবে না তো। ওহহ শিট! কি ডিসগাস্টিং ব্যাপার।একখানি ঝটকা দিয়ে টিপুকে সরিয়ে বাথরুমে ব্রাশ করতে দৌড় দিলাম। বিকেলে দেখি টিপু শুয়ে আছে।মোবাইল টিপছে মনে হয়।তাও জিজ্ঞেস করলাম
–কিরে টিপু কি করিস?
–চোখ কানা দেখিস না কি করছি?
–না আজ তো বৌভাত।সবাই অনুষ্ঠানে আর তুই একা শুয়ে আছিস তাই জিজ্ঞেস করলাম।
–ভাল্লাগছে না
–চল উঠ বলছি।
টিপুর হাত ধরে টানতে লাগলাম।কিন্তু আমার হাত সরিয়ে দিলো। কয়েকজন আমাকে ডাকতে আসায় আমি টিপুকে কিছু না বলে ওদের সাথে চলে গেলাম! রাতে খাওয়া দাওয়া করে ফেবু নিয়ে বসলাম।টিপু এখনো রুমে আসে নি। কয়েকজন কংগ্রাচুলেশনস জানিয়েছে আমাকে। রিপ্লাই করলাম তাদেরকে। টিপু এসে গেছে হাতে একটা এক্সট্রা বালিশ নিয়ে।ভ্রু কুচকে বললাম
–এটা কেনো আনলি!বালিশ তো পেয়ে গেছি।
–এটাই মাথায় দিবি।জলহস্তিনী বুকের উপর রেখে আমি ঘুমুতে পারবো না।
–আমি জলহস্তিনী??
–কেন সন্দেহ আছে?
–কি বললি কুমির…..
বলেই পাশে থাকা বালিশটা ওর দিকে ছুড়ে দিলাম।ওর হাতে থাকা বালিশটা আমার দিকে ছুড়ে দিলো।টিভিতে দেখানো প্রোগ্রামের মত আস্তে না। এমন জোরে মেরেছে আমার নাকে লেগেছে অনেক।
–আওওও….
টিপু ছুটে এলো আমার কাছে।পাগলের মত দেখাচ্ছে ওকে।ওর উপর আমার তেমন ভালোবাসার ফিলিংস নেই।কিন্তু প্রিয় বন্ধুকে হারাতে চাইনি আর অন্য একটা অচেনা মানুষের সাথে থাকতে পারবো না বিধায় ওকে বিয়ে করা।আমি জানি টিপু আমায় ভালবাসে। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ নাকে ব্যথা করে উঠলো।ওদিকে টিপু কি বলছে একটাও ব্যথার জ্বালায় কানে যাচ্ছে না।অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেল নাক ধরে বসে আছি।টিপু আমার সামনে মাথা নিচু করে বসে আছে।
–ওই টিপু চোখ তুলে যখন তাকালো আমার দিকে দেখি চোখদুটো লাল টমেটোর মত হয়ে গেছে।উফ কি ভ্যাঁকান্না ছেলে রে।
–সরি!
–আমি এখন ঠিক আছি।ঘুমিয়ে পড়। কালকে তো আমাকে আর তোকে আমার বাপের বাড়ি যাওয়ার দিন।
–আচ্ছা।
বাড়ি এসে খুব ভালো লাগছে আমার।গ্রামের আলোবাতাসের আসলেই তুলনা নেই!অনেক লোক আসছে টিপুকে দেখতে। টিপুকে আমার ফ্রেন্ড থেকে বরে রূপান্তরিত হয়ে কেমন লাগছে সেটা দেখতে। রাতে এলাম দুজন ঘুমাতে।কানে হেডফোন লাগিয়ে হৃদয় খানের ফিরে তো পাব না গানটা শুনতে লাগলাম।হঠাৎ আমার কান থেকে একটা স্পিকার খুলে ওর কানে লাগিয়ে গান শুনতে লাগলো।
–ওই ওই তুই তোর কানে ওটা লাগালি কেনো রে?
–তোর সব জিনিসের আমি অধিকার আছে।
ওর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।এটা বলা স্বাভাবিক।কিন্তু আমার কি প্রবলেম হচ্ছে টিপুর কাছে যেতে!কিসের জড়তা কাজ করছে আমার ভিতর। ওর সাথে মিশতে পারছি না কেনো আমি।তাহলে কি বন্ধুকে কখনো বর ভাবা যায় না!আমি কেনো তাহলে টিপুকে বিয়ে করলাম।কেনো ওর লাইফটা আমি ধ্বংস করলাম।
–কি কুটুস বাবু কোথায় হারিয়ে গেলা?
টিপুর চোখের দিকে তাকালাম।স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ও আমার কাছে আসতে চাইছে।কিন্তু ওকে কি করে বোঝাই আমি এসবের জন্য রেডি না।আমার সময় লাগবে। আমার জড়তা কাটাতে পারছি না আমি। টিপুকে বললাম –আমার শরীর খারাপ করছে।আমি ঘুমাবো।ওর দিকে আর না তাকিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লাম। পরদিন দুপুরবেলা।
–এই কুটুস জানিস আজ না সুপারমুন দেখা যাবে!
–মানে?
–আরে চাঁদকে ৩০গুন বড় দেখা যাবে।
–ওকে দেখব তাহলে। রাত৭:৫২
–কিরে টিপু চাঁদ তো অন্যদিন যা দেখি আজকেও তাই দেখছি।
–তাই তো।তোদের এখানে কোনো পুকুর নেই যেখানে পুকুরের পানিতে চাঁদ দেখা যায়?
–আছে। যাবি?
–হুমমমমমমমমম চারিদিকে নিরবতা।আমার ভয় লাগছে।হরর ফিল্মসের মত এখন যদি কোনো ভূত দেখি তাহলে একদম শেষ।
–ওয়াও। দেখ সাথি কি সুন্দর দেখাচ্ছে চাঁদটাকে পানিতে।
–হুম দেখ।আমার শীত লাগছে।
–আমার চাদরের মধ্যে আয়।
–না থাক
–আরে আয় না।
টেনে নিয়ে নিল চাদরের মধ্যে।কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে।আবার কেমন জানি ভালো লাগছে।হঠাৎ কিছু একটার শব্দে প্রচন্ড ভয়ে সিনেমার মত টিপুকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
–কি হলো?ভয় পাইছো?আমি তো আছি তোমার সাথে তাইনা।চলো ঘরে যাই। মশা কামড়াচ্ছে। লজ্জা সহকারে বললাম
–হুমম যাই চল। বাড়িতে এসে আম্মার বকা খেতে হলো।
–কিরে সাথি তোর কি জীবনে আক্কেল হবে না।নতুন বিয়ে হয়েছে।আর এই হলদে গায়ে পুকুরে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিস।
–আম্মা তুমি মনে হয় ভুলে গেছো আমার এখনো আক্কেল মাড়ি ওঠে নাই।
–চুপ কর।আর গেলে তোর কি করি দেখবি।এখন জামাইকে নিয়ে খেতে আয়।
–আচ্ছা। হালার টেপা আমার বকা খাওয়া দেখে হাসছিলো।ইয়া জোরে একটা চিমটি দিয়ে দিলাম দৌড়…
–এটা আমার বকা খাওয়া দেখে হাসার জন্য…. হিহি
–এই দাড়া জলহস্তিনী রাতে…
–আজ রাতে খুব জ্যোৎস্না তাই না কুটুস?
–হুম তো?
–এমন জ্যোৎস্না রাতে ডাবলরা কি করে জানিস?
–জানতে চাই না। ঘুমা। টিপু একদম কাছে চলে এসেছে আমার।
–আমি এসবের জন্য রেডি না টিপু।আমার সময় চাই।প্লীজ আমায় জোর করিস না তুই।
বলেই কেঁদে দিলাম।টিপু আমার দিকে থেকে অন্যপাশে ফিরলো। পরদিন আমার শ্বশুরবাড়ি আসলাম।দুদিন পর শাশুড়ি আম্মার সাথে বসে কথা বলছিলাম।তিনি হঠাৎই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন
–বউমা টিপুর সাথে তোমার কি কোনো ঝামেলা হয়েছে?
–না তো আম্মা।কেনো?
–তাহলে ওর রাজশাহী এমএ করতে যাচ্ছে কেনো?
–কি বললেন আপনি?ও রাজশাহী যাচ্ছে? কই আমাকে তো কিছু বলে নি।
–হুম ৭দিন পরই তো যাবে বললো।কেন জানি মনে হচ্ছে ওর কিছু একটা হয়েছে।তুমি একটু দেখো না ওর কি হয়েছে।
–জ্বী আম্মা।
টিপু রাজশাহী যাচ্ছে কেনো।আমার থেকে দূরে থাকার জন্য? ওহ তাহলে তো ভালোই। নিজেকে গোছানোর জন্য একটু সময় পাব।কিন্তু ওটা শোনার পর থেকে আমার এমন হচ্ছে কেনো?কেমন অসহায় লাগছে।রাতে টিপু ফিরলে ওকে জিজ্ঞেস করলাম
–শুনলাম রাজশাহী চলে যাচ্ছো?
–হ্যা।
–আমাকে জানালে না যে!
–জানিয়ে কি হবে?আমাকে কি যেতে দিবি না।আটকে রাখবি?
–হ্যা রাখবো
–কেনো?
–আমি তোমার স্ত্রী।
–ওহহ আচ্ছা বুঝলাম।এখন ঘুমা।
টিপু এমন বিহেভ করলো কেনো?আমার এত খারাপ লাগার কারণ কি? কেনো মনে হচ্ছে ওকে যেতে না দিয়ে আটকে রাখি। কেনো কি জন্য?ওহহ বুঝেছি আমি ওকে ভালবাসি। ও কখনো কোনোদিন আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেনি তাই বুঝিনি ওর মূল্য কতখানি।আজ যখন যাওয়ার কথা বলছে তখনি বুঝছি ওর মূল্য কতখানি।কিন্তু টিপু কি সত্যি চলে যাবে? পাঁচদিন কোনোরকমে কেটে গেল।টিপুকে কিছু বলতে যেয়েও পারছি না বলতে।সেই জড়তা কাজ করছে নিজের মধ্যে।যাওয়ার আগের দিন বলেই দিলাম
–টিপু রাজশাহী না গেলে কি খুব লস হবে?
–লাব ও কিছু হবে না তাইনা।
–আসলে আমি পাশের রুম থেকে শাশুড়ি আম্মা ডাক দিলেন।
–যা মা ডাকছে…
–কিন্তু আমার এখন কথাগুলো বলা জরুরি।
–আগে মায়ের কথা শুনে আয়।
কিছু বলতে চেয়েও পারলাম না।কিছুক্ষণ পর রুমে এসে দেখলাম টিপু ঘুমিয়ে গেছে।নাহ আমার ভালো লাগছে না।আমার নিজের দোষে টিপু চলে যাচ্ছে আমাকে রেখে।নিজেকে অনেক বোঝলাম টিপুকে আমার মনের কথা বললে ও আমাকে ছেড়ে যাবে না।ঘুমন্ত টিপুর কানের কাছে গিয়ে বললাম –আমাকে ছেড়ে যাস না পুটুস।আমি তোকে ভালবাসি।ঘুমন্ত চেহারার কোনো পরিবর্তন হলো না।প্রচন্ড হতাশা হয়ে শুয়ে পড়লাম।ঘুম আসলো তিনটারও পরে…!সকালে ধড়ফড়িয়ে ওঠে পড়লাম।টিপুকে খুজলাম পাশে। নাহ নেই। ব্রাশ করে এস দেখি ব্যাগ রেডি করছে। বিবর্ণ মুখে ওর সামনে গিয়ে বসলাম।
–তোর তো খুশি হওয়ার কথা।মন খারাপ কেনো?স্মাইল প্লীজ! বৃথাই হাসি আনার চেষ্টা করলাম।১০টায় ট্রেন। ৯টার দিকেই বের হয়ে গেলো টিপু।আমি ওকে আটকাতে পারলাম না।পারলাম না ওকে আমার মনের কথা বলতে।নিজের ওপর রাগ হচ্ছে।হেডফোনে গান দিলাম প্রচন্ড জোরে…”কি ভুলে গেছো ভুলে আমায়? আড়ালে একা! হৃদয়ে দেয়াল তুলে তোমার হারালে কোথায়?আমার আকাশে আজ বরিস্বরন কালো মেঘে ঢাকা এ মন।ফিরে তো পাবো না তোমাকে কভু আর হবে না তুমি আমার।খুলে মনদ্বার ভাঙামনও আমার খোঁজে তোমাকেই বারেবার।”
নাহ অসহ্য লাগছে।দুঃখের সময় এমন গান শুনলে দুঃখ পাচগুন বেড়ে যায়।আমারও তাই হলো আমি টিপুকে ফিরে পেতে চাই। ঘড়ির দিকে তাকালাম ৯:৪৫মিনিট।আমি যাব টিপুকে ফিরিয়ে আনতে।কিছু টাকা নিয়ে দিলাম দৌড়।স্টেশনে আসতে আসতে বেজে গেলো ১০:০৫। গাড়িতে মাত্রই হুইসেল দিলো।ছেড়ে দেবে এখনি।কোন বগিতে খুঁজবো আমি ওকে।সিনেমার কাহিনি মনে পড়ছে।ভাবতে ভাবতে দিলো ট্রেন ছেড়ে।সামনের দুইটা বগি দেখা এখনো বাকি।মন বলছে একটাতে টিপু আছে।ট্রেন এখনো বেশি জোরে ছাড়ে নি।আস্তে আস্তে দৌড়াতে লাগলাম।সামনেই তো প্লাটফর্ম শেষ।হে আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন।
হঠাৎ দেখি দরজা দিয়ে কেউ হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।আমার কত্তদিনের শখ এমন চলন্ত ট্রেনে কারো হাত ধরে উঠার।অবশ্য একবার ছেড়ে যাওয়া বাসে উঠেছিলাম। বাসের হেল্পার আমাকে টেনে তুলেছিলো।এমন ভাবতে ভাবতে লোকটার হাত ধরে উঠে পড়লাম ট্রেনে। একেবারে ফিল্মি কায়দায়। হঠাৎই মনে হলো এ কার বুকে মাথা রেখেছি আমি? লোকটাকে ঢাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেখলাম ওটা আর কেউ না আমার পুটুস!আমার এত্ত আনন্দ লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।আনমনেই পুটুসকে আবার জড়িয়ে ধরলাম।কতক্ষণ ধরে আছি জানি না।টিপুর ডাকে বাস্তবে ফিরলাম।
–এই যে ম্যাম এবার তো ছাড়ুন। সামনে স্টেশনে নামতে হবে যে।
–কেনো?
–আমি তো সামনের স্টেশন পর্যন্ত টিকিট কেটেছি তাই!
–মানে কি?তুই রাজশাহী যাবি না?
–কিভাবে যাব বলেন মহারাণী!! কুটুস বাবু যে আমাকে যেতে মানা করেছে।
–আমি কখন মানা করলাম?
–কেনো মনে নেই? ওই যে কাল রাতে বললি আমাকে ছেড়ে যাস না পুটুস।আমি ওটুকু বলার আগেই ওর মুখ চেপে ধরলাম আর বললাম
–আমি তোকে ভালবাসি।
টিপু আমার চোখের দিকে তাকাতেই লজ্জায় লাল হতে লাগলাম।এ মুখ যে কোথায় লুকাই!ওহহ ভুলেই গেছি ছেলেদের বুক তো রয়েছেই তার প্রিয়তমার লজ্জা মাখা মুখ লুকানোর জন্য। আমিও লুকাই হিহি…