এই রিয়া, আই লাভ ইউ।
—তোর লজ্জা করে না রে!
কিসের লজ্জা!
—তুই তো জানিস, আমি আজাদ কে ভালোবাসি।
হুম! আর আমি তোকে ভালোবাসি। —সেটা তো জানি,কিন্তু তুই আমার
অনলি বেস্ট ফ্রেন্ড জাহিদ।
—এই জন্যই তোকে খুব ভালোবাসি
—তোর ফালতু কথা শুনার সময় নেই, আমি গেলাম।
দশ দিন পর…
রিয়া,একটু শোন তো।
—কি বল।
আই লাভ ইউ। — দেখ,জাহিদ।সব জানা পরও
এমন
কেন করিস বুঝি না।
—বুঝবি কি আর পাগলি, তোকে
যে খুব
ভালোবাসি।
—তুই আমাকে পাগলি বললি।তুই তো
পাগলা….
তুই যাই বল, আমি তোর প্রেমে
পাগল।
—হ্যাঁ.. হ্যাঁ.. হ্যাঁ..তুই
সত্যি একটা পাগল রে।
আবার দশ দিন পর..
এই রিয়া, আই লাভ ইউ।
—জাহিদ এমন চর মারব না তোকে..
—রিয়া সত্যিই আমি তোকে
ভালোবাসি। তোকে দেখলে,আমার বুকে
কেমন
কেমন করে।
তোর শরীরের গন্ধটা আমার
মনকে জুড়িয়ে দেয় রে।
(তারপর আর কি রিয়া আমাকে চর মারে
এবং সোজা চলে যায়…)
আবার দশ দিন পর আমি রিয়াকে
প্রোপজ করার জন্য আগের স্থানে যাই।
দেখলাম রিয়া আসছে। সোজা দাড়িয়ে আমার জান পাখিটাকে দেখলাম।
সেদিন আর আই লাভ ইউ
বললাম না। রিয়া কেন জানি আমার দিকে তাকাচ্ছিল। তারপর কাছে আসল…
—ফোন নম্বরটা দে তো জাহিদ।
—কি করবি সরি বলবি ফোনে,তা
আর
বলতে হবে না রিয়া।দোষ তো আমারে,
তোকে আই লাভ ইউ বলে ডিস্টার্ব
করতাম।
—ফোন নম্বরটা দে।
তারপর ফোন নম্বর টা
রিয়তারব্দিয়ে দিলাম। রাত দশটায় হঠাৎ
রিয়ার ফোন…
—হ্যালো জাহিদ।
—হুম।এত রাতে ফোন করলি কেন।
—তুই যেখানে আমাকে আই লাভ
ইউ বলতিস! সেখানে আসবি একটু.. —ওকে, যাচ্ছি আমি।
অন্ধকারে দেখি রিয়া একা
দাড়িয়ে আছে।
—কি রে রিয়া, এতো রাতে
এখানে কি করিস। —আচ্ছা আজকে কত তারিখ জাহিদ।
—কেন তিরিশ,
—তুই আমাকে প্রতি দশদিন পরপর আই লাভ ইউ বলতি,আজ কেন বললি না।
—রিয়া আমাকে তুই ক্ষমা করে দে।
তোকে আর ডিস্টার্ব করবো না।
—কিন্তু আজ থেকে আমি তোকে ডিস্টার্ব করব জাহিদ। আমি তোকে ভালোবেসে ফেলিছি রে।
ভাবছিলাম, আজ তুই আমাকে আই লাভ ইউ
বলবি।আর আমি তোকে আই লাভ ইউ
টু বলব। —একটু আই লাভ ইউ বলবি জাহিদ।
—রিয়ার মুখের কথা শুনে খুশিতে যেন চোখে জল আসল। রিয়া আমি জানতাম! তুই আমাকে ঠিক একদিন ভালবাসবি।।