লাভ এট ফার্স্ট সাইট

লাভ এট ফার্স্ট সাইট

“এই যে মেম চকোলেট খাবেন? বাসে বসে আছি। একটু আগেই বাসটা ছেড়েছে। ফ্রেন্ডরা মিলে সফরে যাচ্ছি রাঙামাটি সফরে। আমাকে যদি কেউ বলে এই ইভানা চল ঘুরে আসি আমি তো খুশিতেই প্রথমে মনে মনে নাচতে থাকি। অবশ্য মনে মনে কেউ নাচতে পারে নাকি? বলতে গেলে ভ্রমন করতে আমার বেশ ভালই লাগে।

ভার্সিটি ঈদের বন্ধ দিয়েছে। সবাই মিলে ঠিক করলাম ঈদের পরে আমরা ঘুরতে যাব। যেই কথা সেই কাজ। এই ঈদটা আমার কাছে একটু স্পেশাল। রাঙামাটি যাচ্ছি আমরা মেয়ে ফ্রেন্ডরা, কোন ছেলে ফ্রেন্ডদের এলাউ করি নি। আরে আমরা মেয়েরা স্বাধীনভাবে ঘুরবো, উড়ন্ত পাখির মত ডানা মেলে উড়বো মজা করবো কত কিছু করবো ছেলেদের কাজ কি শুনি? কিন্তু সমস্যা হলো একটা জায়গায় তিশা বাবা মায়ের আদরের মেয়ে। প্রত্যেক বাবা মা তাদের সন্তানকে ভালবাসে কিন্তু আমার কাছে তিশার বাবা মায়ের আদর গুলা একটু বেশি ন্যাকামো ন্যাকামো লাগে।

ভার্সিটিতে আসলে বাবা/মায়ের সাথে আসবে বাসায় গেলেও তাদের সাথে যাবে আরো কত কি? যাক এটা মানলাম প্রত্যেক বাবা মাই তার সন্তানের নিরাপত্তা চায় কিন্তু রাঙামাটি যাচ্ছি ওর সাথে করে একটা বান্দর ছেলেকে পাঠিয়েছে ওকে দেখে শুনে রাখার জন্য। আর না হলে তিশাকে সফরে যেতে দিবে না। আরে তাহলে আমরা আছি কি জন্য।? আর ঐ বান্দর ছেলেটাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে চকোলেট খাবো কিনা। তোর চকোলেট তুই খা বান্দর কোথাকার। চোখে আবার চশমাও পড়ে। মনে হয় কত ভদ্র। পুড়ো বাসে আমরা মেয়ে আর একটা ছেলে। এই ছেলেটার কি একটুও বিব্রতিকর লাগছে না, এত গুলা মেয়ের মাঝে? “কি ব্যাপার চকোলেট টা নিন। “নো থ্যাংকস। আপনার চকোলেট আপনি রেখে দিন। আমি চকোলেট খাই না।

আমার কথাটা শুনে ছেলেটা একটু হাসলো। আরে এখানে হাসির কি কথা বললাম যে, বত্রিশটা দাঁত বের করে আমাকে দেখাতে হবে? “এবার মুখটা বন্ধ রাখুন আপনার দাঁত যে সুন্দর সেটা বুঝা হয়ে গিয়েছে। “হা হা হা। আপনি অনেক ফান করতে জানেন তো। আর আমি তো জানি মেয়েরা চকোলেট প্রেমী আর আপনি আমি আর কিছু বললাম না। বেশি প্রশয় দিলে মাথায় চড়ে বসতে পারে। ছেলেদেরকে আমি হারে হারে চিনি। আমার ফ্রেন্ডরাও আমার দিকে কেমন করে তাকাচ্ছে। আমি বললাম “কিরে তোরা আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? আমার রুপ কি বেয়ে বেয়ে পড়ছে? আমার কথা শুনে সবাই একটু নিজেকে স্বাভাবিক করে নিল।

তিন্নি বললো “দেখ রিয়া তুই ভুলে যাইস না আমরা সবাই মজা করতে এসেছি। ভাইয়া সবাইকে চকোলেট খাওয়াচ্ছে তুই নিলি না কেন? তুই মনে হয় চকোলেট খাসই না? এই তো কিছুদিন আগেই তো আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ক্যাটবেরি খাইলি। তিন্নির কথা শুনে সবাই একটু হাসলো। ঐ বান্দর ছেলেটাও হাসলো। নিজের বান্ধবী যদি এইভাবে অপমান করে এর কোন মানে হয়? “ওই কেউ চকোলেট দিলেই যে আমি খাব সেটা তো কোন কথা না। আমার এখন চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছে নেই। আর তোর কিসের ভাই শুনি? মায়ের পেটের ভাই নাকি ধার্মিক ভাই? ওরা বুঝতে বাকি রইলো না যে আমি রেগে যাচ্ছি। আর ছেলেটাকে আমি সয্য করতে পারছি না। তাই সবাই চুপ হয়ে গেল।

“দেখুন আমার জন্য আপনারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। আসলে আমার আসাটাই ভুল হয়েছে। আমি আসতে চাই নি তিশার বাবা এত করে বললো তাই আর নিষেধ করতে পারি নি। সত্যি বলতে কি আংকেলকে অনেক শ্রদ্ধা করি তাই ওনার কথা অমান্য করতে পারি নি। স্যরি আপনাকে চকোলেট খেতে বলার জন্য। এক টানা ছেলেটা কথা গুলা বললো। বেশ একটা করুনার চোখে কথা গুলা বললো। এদিকে আমাদের বাস অনেক পথ পারি দিয়েছে। সবাইকে কলা পাউরুটি দেয়া হলো সকালের নাশ্তা হিসেবে।

“একটু গান করলে কেমন হয়? দুটো দল থাকবে। বাসের ডান পাশের সিটের সবাই এক দল আর বাম পাশের সবাই আরেক দল। প্রথমে যে দল গান গাইবে সে গানের শেষ অক্ষর দিয়ে অন্য দল গান গাইবে। নাশ্তা খাওয়ার কিছুক্ষন পর রিয়া কথাটা বললো। আর সবাইও রাজি হলো। আমি ডান পাশের দলে পরি। প্রথমে কোন দল শুরু করবে তা নিয়ে একটা হৈ চৈ লেগে গেল। এই হৈ চৈ এর মাঝে গিটারের শব্দ শুনতে পেলাম। গিটারের শব্দ শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। ঐ বান্দর ছেলেটা বাজাঁচ্ছে আর গাইছে তুমি আমার ঘুম তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধি নাতুমি আমার খোলা আকাশ কখনো সূর্য্য দেখি না তুমি আমার দিন থেকে রাত আমি যে সময় জানি না।

তুমি আ আমি একটু অবাক চোখে তাকিয়ে থাকলাম এই ছেলে গান গাইতে পারে আবার গিটার বাজাতেও পারে। ছেলেটার শেষ অক্ষর আ তার মানে আমাদের দলকে এখন আ দিয়ে গাইতে হবে। আমাদের দলের সবাই একটু ভাবতে লাগলো আ দিয়ে কোনটা গাইবে? সবার কান্ড  দেখে আমিই গাইতে শুরু করলাম। না হলে এইছেলের কাছে হার মানতে হবে। আর এই রিয়া এই ছেলের কাছে হার মানবে উহু এটা একদমি না আকাশ এতো মেঘলা যেও নাকো একলা এখনি নামবে অন্ধকার ঝড়ের জল ত্তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে ভয় আছে পথ হারাবার গল্প করার এই তো দিন মেঘ কালো হোক মন রঙিন স আমার গান শেষ হলে ছেলেটা ডান হাতের বৃদ্ধ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বুঝিয়ে দিল ভাল হয়েছে।

এরপর ছেলেটি আবার গাইতে থাকলো স দিয়ে সে যে বসে আছে একা একা রঙিন স্বপ্ন তার বুনতে সে যে চেয়ে আছে একা একা জানালার ফাঁকে মেঘ ধরতে সে যে বসে আছে একা আমার মনটা ছুয়ে গেল। আমার পছন্দের একটা গান গেল ছেলেটা। সত্যি খুব সুন্দর। এতক্ষন ছেলেটাকে কিনা বলেছি সত্যি বলতে কি একটু লজ্জা বোধ করছি। এমন একটা অনুভূতি তৈরি হলো আমার মাঝে কারো আশা না করে ছেলেটার সাথে পাল্লা দিয়ে আবার গাইতে ইচ্ছে হলো কে বাঁশী বাজায় রে মন কেন নাচায় রে আমার প্রান যে মানে না কিছুই ভালো লাগে না। ঐ বাঁশী কি বিষের বাঁশী তবু কেন ভালোবাসি লগ্ন ভোরে আড়ালে থেকে দেখেছি পোড়া হাসি এভাবে চলতেই থাকলো একের পর এক গান।

সবাই টুকটাক গাইলো। ছেলেটার প্রতি এতোক্ষন যে রাগটা বিরাজ করছিল সেটা কেন যেন নিমিশেই বাতাসের সাথে মিশে গেল। না একবার স্যরি বলা দরকার ছেলেটাকে। কি বা এমন হতো চকোলেট টা নিলে? কিন্তু সবার সামনে তো আর স্যরি বলা যায় না। যদি আমার কোন বান্ধবী দেখে এই ছেলেকে আমি স্যরি বলেছি তাহলে তো আমাকে কথায় কথায় খোচা দিবে। আমার বান্ধবীদের আমি ভাল করেই চিনি এক একটা বদের হাড্ডি। প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছে। অনেক মজা করলাম। পেটে ক্ষিদেও লেগেছে। দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থামাল। সবাই আস্তে আস্তে নামতে শুরু করলো। আমি ভাবলাম এই একটা সুযোগ সবাই নেমে গেলে ছেলেটাকে এখানে স্যরি বলতে পারবো। কারন সব মেয়েরা নামলেই ছেলেটা নামবে।

আমি বসে থাকলাম। সবার নামা শেষ হলে ছেলেটা যখন নামতে যাচ্ছে যেই আমি স্যরি বলতে যাব ঠিক তখনি ছেলেটা বললো “আপনার কন্ঠটা খুব মিষ্টি। খোলা চুল আমার অনেক ভাল লাগে। নিচের দিকে তাকিয়েই এই কথাটা বলে ছেলেটা বাস থেকে নেমে গেল। আমি এতোটা অবাক হলাম স্যরি বলবো যে এটা ভুলে গেলাম। আমি তো চুল ক্লিপ দিয়ে খোপার মত করে রেখেছি। ছেলেটার ঐ কথাটার মানে কি আমার আর বুজতে বাকি রইলো না। আমি ক্লিপটা নিয়ে চুল গুলা খোলা অবস্হায় করে দিলাম। কেন করলাম কি জন্য করলাম সেটা জানি না। বাস থেকে যখন নামলাম আমার চোখ দুটো যেন ছেলেটাকে খুজঁছিল। একটু পর ছেলেটাকে দেখতে পেলাম রেস্টুরেন্টের পাশে দাড়িয়ে আছে। ছেলেটাও আমায় দেখলো। ওর তাকানো দেখে মনে হলো ও খুব খুশি হয়েছে।

খাওয়ার আগে তিশাকে বললাম “এই শোন তিশা। এই ছেলেটা তোর কেমন ভাই হয়? “কেন তোকে আবার কি করলো রে? “ওই আমাকে আবার কি করবে রে? ওর সাহস আছে নাকি? ঠেং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দিব না, কিছু করলে? তিশা আমার দিকে কেমন করে যেন দেখলো। তারপর বললো “রিফাত ভাইয়া আব্বুর বন্ধুর ছেলে। ভাইয়া কি যেন একটা অফিসে চাকরি করে। ভাইয়ার অফিসও ঈদের ছুটির বন্ধ। তুই তো জানিস আব্বু আম্মু আমাকে একা কোথায় যেতে দেয় না। আব্বু ভাইয়াকে অনেক বিশ্বাস করে। আর সে অনুযায়ী রিফাত ভাইয়াকে এখানে আসতে বলেছে। তুই রিফাত ভাইয়ার প্রতি এই ভাবে ক্ষেপে আছিস কেন? তিশার কথা শুনে বুঝতে পারলাম ছেলেটার নাম রিফাত।

“কোথায় ক্ষেপে আছি? তোর রিফাত ভাইয়া আমাকে চকোলেট খেতে বললো আমি খেতে চাই নি। আর এটা নিয়ে তোরা বাড়াবাড়ি করেছিস। তবে তোর ভাইয়া কিন্তু ভাল গাইতে পারে। আচ্ছা চল খেতে চল। ঠিক সন্ধ্যার দিকে রাঙামাটি পৌছালাম। আমরা ৩০ জন। আর রিফাতকে নিয়ে ৩১ জন। হোটেলে ১০টা রুম আগে থেকেই বুকিং দেওয়া ছিল। আমরা প্রত্যেক রুমে তিন জন করে থাকব। একটা রুম বাড়তি নেওয়া হলো রিফাতর জন্য। অবশ্য ও নিজেই রুমটা নিয়েছে। “আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর তাই না? ফ্রেশ হয়ে হোটেলের নিচে একটু পায়চারি করতে আসছিলাম। হোটেলের সামনেই একটা গার্ডেন আছে। ঐখানে এসে কিছুক্ষন পায়চারি করে একটু বসলাম। আর ঠিক তখন পিছন থেকে রিফাত এসে ঐ কথাটা বললো। কেন যেন খুব ভালো লাগলো।

“হ্যাঁ আজকের আকাশটা একটু অন্যরকম। অন্যরকম আলো অন্যরকম স্নিগ্ধতা। বহুকাল ধরে হেটেছি আলোর পথে, রাতের নিশ্চুপ রাতে, মেঘলা আকাশে হস্ত বাড়িয়ে ডেকেছি, এসো হাতটা ধরো। চায়ের কাপে চুমুক, তুমি চেয়ে চেয়ে দেখবে, চাঁদের আলোতে আমায় ছুয়ে দিয়ে ধুর ছাই কি সব বলছি এই গুলা। আমি একটু এই রকমি। আসলেই সব মিলিয়ে আজকের আকাশটা একটু অন্যরকম। “বাহ আপনি তো খুব চমত্কার করে কবিতা বলতে পারেন। আমি পারি না। শিখাবেন আমায়?

“হি হি হি রিফাত সাহেব পাম দেয়া হচ্ছে আমাকে তাই না? বাই দা ওয়ে আপনি দাড়িয়ে কেন বসুন। এরপর দুজনে একটু চুপ করে থাকলাম। সকালের যে রিফাতকে আমি সয্য করতে পারি নি। সেই রিফাতের সাথে আমি হেসে হেসে কথা বলছি। আচ্ছা ওর প্রতি কি আমার ভাল লাগা কাজ করছে? কি জানি? “স্যরি রিফাত সাহেব। “হঠাত্ স্যরি কেন? “না মানে সকালের বিষয়টা আমি পুরো কথাটা শেষ করলাম না। রিফাত একটু হাসলো। আমি আবার বললাম “হাসবেন না। হাসলে আপনাকে বাদঁরের মত লাগে। আর শোনুন একটা মেয়ে ভুল করেছে তার জন্য স্যরিও বলেছে তাকে কিন্তু ক্ষমা করা উচিত্ আপনার হু “কিন্তু আমার যে সেই মেয়েটার ভুল গুলাই ভাল লেগেছে।

ও বুজছি পটানো হচ্ছে আমাকে। মিঃ রিফাত সাহেব এই রিয়া পটানোর পাত্রী না। কথাটা বলার ইচ্ছে হলো কিন্তু বলি নি। “তাই বুঝি মিঃ রিফাত সাহেব? তাহলে তো এই  ভুলটা বার বার করতে হয়। “সেটা আপনার ইচ্ছা। আপনার পাহাড় কেমন লাগে? “পাহাড়ের সবুজ ঘাস আমি, পাহাড়ের এপার প্রান্তে চিত্কার করে ওপার প্রান্তের চিত্কার শুনি, পাহাড়ের শনে প্রেম আমার, পাহাড়ে মিশি হুম আর বলবো না। “বাহ ব্বাহ আপনি তো একজন কবি। “কি জানি। ঐ যে রাতের আধারে যে পাহাড়টা দেখা যাচ্ছে ঐ পাহাড়টা আমার।

আমি যে পাহাড়ে ঘুরতে আসি বা কোথাও যাই ঐটা আমার হয়ে যায়। হি হি হি রিফাত আবারো হাসলো আমার কথা শুনে। আমি বুজলাম না এই ছেলে এত হাসে কেন? এই ছেলের হাসির রোগ আছে নাকি? অবশ্য আমার কথায় না হেসে কি থাকা যায়? আমি বললাম “আমি একটু বেশি কথা বলি তাই না রিফাত সাহেব? “এই রকম কথা বলতে কজনে পারে। আচ্ছা আপনার পাহাড়টায় আমি কাল সকালে যেতে চাচ্ছি নিয়ে যাবেন? “হি হি হি। হুম প্রথমে তো আজকের আকাশের কালো রংটা সাদা হোক। মানে সকাল হোক। তবে একটা শর্ত আছে আমার পাহাড়ে চড়তে হলে আমাকে চকোলেট খাওয়াতে হবে। “আপনি না চকোলেট খান না। সকালে না বললেন।

“আজকের সকাল আর কালকের সকাল অনেক তফাত্ হু সকালে আমরা সবাই বের হলাম। নাশ্তা করেই বের হয়েছি। আমি রিফাতের পাশেই হাটছি। মাঝে মাঝে টুকটাক কথা বলছি। আমরা দুজন যে কথা বলছি এটা দেখে সবাই একটু অবাক হয়েছে। কারন ওদের চোখ মুখ দেখেই বুঝতে পেরেছি।

বিকেলের দিকেও সবাই একটু বের হলাম। তবে কেন যেন একটু খারাপ লাগলো। আমরা সবাই আছি কিন্তু রিফাত নেই। বাদঁর ছেলেটা নাকি ঘুমিয়ে আছে। আরে এখানে ঘুরতে আসছি ঘুমানোর জন্য না। অবশ্য এই ছেলে ঘুমোক না হলে যা ইচ্ছে তাই করুক আমার কি? কিন্তু আমার এমন লাগছে কেন? আচ্ছা আমি কি? ধুর এটা কি করে সম্ভব? লাভ এট ফার্স্ট সাইট এই গুলা এই রিয়াকে স্পর্শই করতে পারে না একদমি না।

দু দিন পর। রাতের চাঁদটাকে যেন একটু গোমড়া গোমড়া লাগছে। আমি চাঁদকে জিজ্ঞেস করলাম “এই যে তোমার কি মন খারাপ? আমরা চলে যাব এই জন্য মন খারাপ তাই না? জানো আমারো মন খারাপ। আজ চারদিন হলো এসেছি। এই জায়গাটার প্রেমে পড়ে গিয়েছি। কিন্তু চাদঁ শোনো তোমার প্রেমে পড়ি নি হু। কাল সকালে চলে যাচ্ছি। তুমি যাবে আমাদের সাথে? “হা হা হা। একা একা কার সাথে কথা বলছেন? চাঁদ তো সব সময় পাশেই থাকে। আমি ঘাবড়িয়ে গেলাম। দেখি রিফাত হাসছে। “চাঁদের সাথে কথা বলি। কিভাবে কিভাবে চারটা দিন কেটে গেল। আচ্ছা আপনার সাথে আমার কি আর দেখা হবে না? “হবে না কেন? অবশ্যই হবে। এই নিন আমার কার্ড। এখানে আমার নাম্বার আছে। এইটা বলে রিফাত চলে গেল নিজের রুমে।

“হ্যালো আমি চুপ করে রইলাম।
“হ্যালো কথা বলছেন না কেন? কে আপনি? আমি আবারো একটু নিরবতা পালন করে বললাম…

“আপনি কি রিফাত সাহেব? “জ্বি বলুন।”আমি রিয়া। একটু আগে যে কার্ডটা দিয়ে গেলেন একটু চ্যাক করলাম আপনার নাম্বার কিনা। ” হা হা হা। রিফাত ছেলেটা শুধু হাসে। আসলে এই ছেলেটার শুধু হাসির রোগ আছে। আমি বললাম..

“এই বাদঁর হাসবা না। হাসলে জিব্বা টেনে ছিড়ে ফেলবো। হি হি হি আমি লাইনটা কেটে দিলাম। আমার কথাটা শুনে রিফাত নিশ্চয় অবাক হয়েছে। আমি ওকে তুমি করে বলেছি।এই চারটা দিন কেন যেন ওর প্রতি উইক হলাম। হয়ত এটাই আমার লাভ এট ফার্স্ট সাইট। তোমাকে ঠিক চেয়ে নিব। আর এই জন্য সামনের পথটা না হয় আমিই তৈরি করে নিব। যাই সকালে রওনা দিতে হবে ব্যাগ, কাপড় চোপড়, গুছিয়ে রাখি….

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত