ভালবাসা অতঃপর কাছে আসা

ভালবাসা অতঃপর কাছে আসা

রাত্রি ঃ ওই তুই এমন কেনো??
আমিঃ কেমন
রাত্রিঃ তুই এই রকম উদাস কেনো?
আমিঃ আসলে আপু আমি এমোনি। তাতে তোর কি
রাত্রিঃ ( রেগে গিয়ে ভাইয়া বললো খুব কষ্ট করে) হ্যা ভাইয়া ভালো আমার কিচ্ছু নাহহ।
অতঃপর রাত্রি রেগে লাল হয়ে আমার রুম থেকে চলে গেল। আমার দেখতে ভালোই লাগলো কারণ অ রেগে গেলে ওকে আরো সুন্দর দেখায়। প্র গাল দুটি লাল হয়ে যায়। আমারো ওকে রাগাটে কেমন জানি ভালো লাগে। ও আমার সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া করবে আর আমিও ওর ঝগড়ায় সমান ভাবে তাল মিলিয়ে যায়। ওর সাথে ঝগড়া করতে আমার কেমন জানি ভালো লাগে তাই করি। ও একটু রাগী আর পাগলি টাইপের মেয়ে। এইটা শুধু আমারি মনে হয়। রাগি এইটা সবাই জানে কিন্তু পাগলি এইটা আমি ছাড়া কেউ জানে নাহহ। ওর সব পাগলামি শুধু আমার সাথেই। ও আচ্ছা এতক্ষণ দরে বলে যাচ্ছি এখনোতো আমার নামটাই বলা হলো নাহ। আমি সাফি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে এখন আপাতত বেকার। আব্বুর টাকায় অন্ন ধ্বংস করছি আর গায়ে হাওয়া লাগিয়ে গুরে বেড়াচ্ছি। আর দুইএকটা টিউশনি করে নিজের পকেট চালাই। আর ওই পাগলিটা ইয়ামানে রাত্রি ও হচ্ছে আমার খালাতো বোন। ও আমাদের বাসায় ছোট বেলা থেকে পরালেখা করে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ ডিপার্টমেন্টের ২য় বরষের ছাত্রী । ছোট বেলা থেকে ও আমাকে নাম ধরেই ডাকে। যাইহোক এখন তাহলে বলি। সবেমাত্র টিউশনির বেতন পাইছি। এটা ওই পাগলি মেয়েটা কেমন করে জেনে গেছে।
রাত্রিঃ এই সাফি তুই টাকা পাইলি আর আমাকে কিছু কিনে দিলি নাহ।
আমিঃ এই বেয়াদব মেয়ে তুই আমার নাম ধরে ডাকছিস কেনো। আমি কি তোর ছোট ভাইয়া বল। আর টাকা পাইছি তোকে কে বললো (ওকে রাগানোর জন্য বললাম আমি) ও রেগে গেছে তারপরও রাগ কন্ট্রোল করে বলল।
রাত্রিঃ তুই বেতন পাবি আর আমি জানব নাহ। তা কি কখনো হয়। আমাকে আইসক্রিম কিনে দেনা।
আমিঃ আমার কাছে কনো টাকা নেই যা ভাগ।
রাত্রিঃ টাকা নেই মানে টাকা কি করছিস হুম। আর আমাকে কিনে দিবা ক্যান তোমারতো দশ বারটা জিএফ আছে ওদেরকে কিনে দাওগা। আর এখনি আমি খালামনি আর আনকেলকে সব বলছি।
আমিঃ আচ্ছা বাবা এনে দিচ্ছি। বাধ্য ছেলের মতো বললাম। আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম এই মেয়েটা এতো শয়তান কি করে। বাবা মার কাছে বানিয়ে বানিয়ে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যা বলবে তাই বাবা মা বিশ্বাস করবে আর আমাকে বকাঝকা করবে আর ও তা দেখবে আর মুচকি মুচকি হাসবে। কেনো জানি মনে হয় মেয়েটা আমাকে খুব ভালবাসে আর আমিও ভালোবাসি পাগলিটাকে তাইতো ওর জ্বালাতন এভাবে সহ্য করি। ভাবতে ভাবতে দোকানে গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে আসলাম আর ওকে দিলাম। ও খু খুশি হলো। আমি দারিয়ে দারিয়ে ওর খাওয়া দেখলাম। কয়েকদিন ধরে আব্বু আম্মু বাসায় থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে লাগল আমি বলে দিয়েছিলাম এখন বিয়ে টিয়ে করব নাহ তারপরেও চাপ দিতে লাগল। আর এক সপ্তাহ যাবত রাত্রিকে বাসায় দেখি না আম্মুর কাছ থেকে শুনলাম ও বাসায় চলে গেছে। খুব মিস করছি ওকেওর জ্বালাতন গুলা প্রত্যেকটা সেকেন্ডে মিস করছি কিছুই ভালো লাগে না এখন সব কিছু কেমন ফাকা ফাকা লাগে।
আব্বু: তোমার জন্য পাত্রী আমি আর তোমার আম্মু আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি আর সামনের শুক্রবার তোমার বিয়ে। আর তোমাকে পাত্রীকে দেখতে হবে নাহহ।
আমি: কিন্তু আব্বু আমি এখনো (আব্বু আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন।
আব্বু: কনো কিন্তু নয় আমরা যা ভাল মনে করছি তাই ফাইনাল।
আমি: আমি বাধ্য ছেলের মতো বললাম তোমরা যা ভাল মনে করো।
আজ আমার বিয়ে। বাসায় অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছে আমার সাথে বউ তুলতে যাবে বলে। আমি ভেবেছিলাম রাত্রি এসেছে। তাই সারা বাড়ি খুজলাম কিন্তু রাত্রি আসে নি। রাত্রিকে কোথাও খুজে পেলাম না। রাত্রিকে এই একসপ্তাহ ফোনে অনেক ট্রাই করছি কিন্তু ওর ফোন বার বার বন্ধ পাচ্ছি। মনটা ভিষন খারাপ।ভালোবাসলাম একজনকে আর বিয়ে করব আরেকজনকে তাও আবার চিনিনা জানি না জীবনে কখনো দেখি নাই কথাও বলি নাই ছবি পর্যন্ত দেখি নাই। সব কিছু নিয়তি বলে মেনে নিলাম যদিও কষ্ট হচ্ছে তুবুও মেনে নিলাম। কি করার বাবা মার আদেশতো আর অমান্য করতে পারি নাহহ। বিয়ে করে বউ নিয়ে আসলাম আর এখন পর্যন্ত বউয়ের মুখ দেখেনি। বউকে বাসর ঘরে রেখে আমি বন্ধুদের সাথে সাদে আড্ডা দিতে লাগলাম। এগারোটা পর্যন্ত আড্ডা দেওয়ার পর বন্ধুরা বাসর ঘড়ে জোর করে পাঠিয়ে দিল। বাসর ঘরে যাওয়ার পর বউ আমাকে

নিচে এসে সালাম করে আবার খাটে গিয়ে বসল।

আর আমি বলতে লাগলাম

আমিঃ দেখুন আপ্নাকে আমার পক্ষে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া সম্ভব না। আমি আপনাকে বিয়ে করতাম না। আব্বু আম্মু জোর করার কারণেই আপনাকে আমার বিয়ে করা। আর হ্যা আমি একজনকে ভালবাসি। আর তাকেই সারাজীবন ভালোবেসে যাবো।(অন্য দিকে তাকিয়ে একদমে কথা গুলা বললাম আমি)

বউঃ কি কইলি তুই আমাকে স্ত্রীর মরযাদা দিবি না তাহলে কাকে দিবি শুনি। তোর ওই দশবারোটা জিএফকে। আর কাকে ভালোবাসিস শুনি।
আমিঃ রাত্রি তুই এখানো।

রাত্রিঃ আমি থাকব না তাহলে কে থাকব শুনি। আর আমি তোর বউ এখানে আমি থাকব না তো কে থাকবে।

আমিঃ মনে মনে খুশি হয়ে তারপরও ভাব নিয়ে বলতে লাগলাম ওকে রাগানোর জন্য। দেখ রাত্রি আমি একজনকে ভালবাসি।
রাত্রি: খুন করে ফেলব। আমাকে ছারা অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকালে আমি তোকে খুন করে ফেলব
আমিঃ ভালোবাসিস।
রাত্রি ঃ হুম অনেক
অতঃপর আমি ওকে আমি ওকে জরিয়ে ধরে ওকে বল্লাম আমিও তোকে অনেক ভালবাসিরে পাগলি। তারপর ওর কপালে আলতো করে একটা চুমু একে দিলাম। তারপর লাইট অফ করে শুয়ে পড়লাম। তারপর যা হবার তাই। আর জানতে হবে নাহ। বাকিটা বুঝে নেন।
ভালো থাকবেন সবাই। বেচে থাকুক ভালবাসা।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত