i love you

i love you

— আমি খুব sorry জান,(ইশিতা)
— কে আপনি?(আমি)
— বললাম তো খুব sorry,
— আপনি sorry বলছেন কেন? আমি ঠিক চিনতে পারছি না,
— আমার রাগ হয়েছিল, তাই চলে গিয়েছিলাম, sorry,
— আপনি দয়া করে পরিচয় টা দেন,
— আমি ইশিতা,
— কোন ইশিতা,(মজা করে)
— তোমার সাথে কয় জন ইশিতার প্রেম আছে?
— একটু অপেক্ষা করতে হবে,(একটু ভাব নিয়ে)
— কেন?
— উফ! Don’T Disturb
— হ্যা, এখন তো Disturb করার অধিকারও আমার নেই, ওরাই এখন তোমার সব, (কাঁদোকাঁদো কন্ঠে)

— ৫(উচ্চস্বরযুক্ত)
— মানে??????
— মানে হচ্ছে ৫ জন ইশিতা আমার সাথে পরিচয় আছে,

একটা দুউউউউউর সম্পর্কের মামার মেয়ে, আরেকটা খুউউউউউব কাছের বান্ধবী, আরেকটা পাশের বিল্ডিঙের মেয়ে, আরেকটা হুম হুম, ও মনে পড়েছে, আরেকটা আমার ছাত্রি, আরেকটা টা বলতে আমার লজ্জা করছে,(খুব লজ্জিত কন্ঠে কইলাম)

— আচ্ছা, বলে ফেল শুনি,(নরম কন্ঠে)
— না না আমার না লজ্জা করছে,
— বলতে বললাম না????
— (সে ভাবছে আমি তার নাম নিব, কিন্তু আমি তো আমি) ঐটা আমার ইয়ে মানে আমার ভাইয়ের শালি,

— কি???(খুব জোরে)
— হুম, ঠিক, খুব ভালো মেয়ে, এখানে আসলে এত লজ্জা পাই আমি, আপনাকে বুঝাইতে পারব না,
— মানে কি???(চিল্লানি দিয়ে বলছে)
— বারে, আমার লজ্জা করবে না বলুন? কি সুন্দর করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, গা ঘেসে কথা বলে,(লুতুপুতু কন্ঠে বললাম)

— মাত্র তিন দিন ছিলাম না, এর মধ্যে তুই এত মাইয়ার দিকে চোখ দি ফেলছস???? তোর সাহস হয় কেমনে??? থাক তোর শালি নিয়ে, আমাই ফোন দিবি না,

— আরে আমার না তো, আমার ভাইয়ের, আমার তো ইয়ে, আপনাকে কেন ফোন দিব শুধু শুধু? আপনাকে আপন মনে হল, তাই বললাম। নাহয় তো এসব বলতে আমার খুব লজ্জা লাগে(আরো লুতুপুতু)

— ছি!!!

এই যাহ! কেটে দিল? ইশিতা আমার একমাত্র প্রেমিকা, এইতো কিছুদিন আগের ঘটনা, মেয়ে আমাই যা ইচ্ছে তা বলে অপমান করল, সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে। ঐদিন আমাই সে বলল, কলেজ থেকে নাকি পিকনিকে যাচ্ছে কক্সবাজার, আমি ওর মা বাবা বা পরিচিত কেউ যাচ্ছে কিনা জিজ্ঞেস করাতে সে বলল কেউই যাচ্ছে না। শুধু বান্ধবী আর বন্ধুরা মিলে যাচ্ছে। আমি ওর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে যেতে বারণ করলাম। মেয়ে আমাই যা নয় তা বলল, সব থেকে বেশি খারাপ লাগল, যখন সে বলল,” মেয়েদের ঘর বন্দি করতে চাও তুমি, এরকম narrow মাইন্ডের ছেলে আমার পছন্দ না।” আমি সেই থেকে আজ অব্দি কোন যোগাযোগ রাখি নি। কেমন জানি, নিজের আত্মাই কথা গুলো এসে পড়েছে। রাত্রে ঘুমাইতে যাবো, তখন আবার ফোন বেজে উঠল, নাম্বার delete করে দিয়েছিলাম। বার বার কথা গুলো মনে পড়ে যায় তাই। নাম্বার চিনতে না পেরে রিসিভ করলাম,

— হ্যালো,
— আমি ইশিতা,
— sorry, আমার পরিচিত কারো কন্ঠের মতন লাগছে না,
— sorry বলেছি তো,(কাঁদোকাঁদো গলাই)
— আপনি আমাই ফোন করিয়েন না প্লিজ,

আমার বিরক্ত লাগে, রাখছি, mobile off করে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে নাস্তাখাস্তা করে, বেরিয়ে পড়লাম কলেজের উদ্দশ্যে, ক্যাম্পাসে মেয়েটিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম, আমি ঐদিকে না গিয়ে কেন্টিনে চলে গেলাম। কর্নারের একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম। দেখি অনেকগুলো ফ্রেন্ড এসে আমার চারপাশে চেয়ার নিয়ে বসল। আমি আড্ডা দিতে যাবো এমন সময় দেখি ইশিতা এসে হাজির। সামনের চেয়ারটাই এসেই বসল। আমাই বলল,

— এরকম কেন করছ?
— (আমি কিছু না বলে চায়ে চুমুক দিলাম)
— আমার প্রশ্নের উত্তর দাও, আমি এখন পুরনো হয়ে গেছি তাই না?

— (আমি মন দিয়ে চায়ে চুমুক দিচ্ছি)
— উত্তর দাও(চিল্লানি দিয়ে) আমার বাংলা সিনেমার কথা মনে পড়াতে মুখে হাসি চলে এল,

ঐখানেও নাকি এরকম হয়, বন্ধুরা নিস্তব্ধ হয়ে আছে, সবাই আমাদের দেখছে। আমার যতটুকু মনে হল, আমার সব ফ্রেন্ডকেই ইশিতা আগে থেকে পটিয়ে রেখেছে। নিরব দেখে আবার চিল্লানি দিয়ে বলল,

— বলবা???
— আপনি কি আমাকে বলছেন? (অবাক হয়ে)
— হ্যা, তোমাই, তোমাই,
— আমি আপনাকে এই ফার্স্ট দেখলাম, আপনার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে,
— তুমি এমন করছ কেন?(কেঁদে বলছে)
— আরে খামোখা এমন করছেন, আমি চিনিই না,
— তুই আরেকবার চিনিস না বললে, আমি কিন্তু সুইসাইড করব,
— হুমকি দিচ্ছেন? লাভ কি? আমি চিনলেও কি না চিনলেও কি? আর আপনি তো আমার কেউ নন, খামোখা আমার জন্য এসব করবেন কেন? আপনি জানেন না হইত, আমি খুব narrow মাইন্ডের মানুষ,

— আমার ভুল হয়েছে আমি কইবার বলব? কি করলে তুমি আমাই ক্ষমা করবে বল? (কান্নাকাটি করছেই)

— আরে না, আমি অবশ্য মেয়েদের ঘরে বন্দি করে রাখতেই ভালোবাসি, আমার মত একজন খারাপ চরিত্রের মানুষের জন্য আপনি কি করবেন? আচ্ছা আমি যাই, ভালো থাকবেন, আর একটা কথা, এসব না করে ভালো কাউকে খুজে নিন, চলি,

— আমার তোমাকেই লাগবে, আমি খুব sorry, তোমার হাত ধরে বলছি। শেষবারের মতন ক্ষমা করে দাও প্লিজ(কান্নাকাট ি করেই বলছে) যেই উঠতে যাবো, বন্ধুরা ধাক্কাধাক্কি করে আমাই বসিয়ে দিল, তাদের একটাই কথা, হয় মেয়েটাকে ক্ষমা করে আগের মত ওর সাথে প্রেমে জড়াব, নাহয় তাদের সাথে বন্ধুত্ব ভাঙব। বন্ধুরা যখন উল্টে যায় তখন আর কি করার, মেয়েটিও দেখি এসে হাত ধরে জোরে কান্নাকাটি করছে। হুম, আমি আবার খুব ইমোশনাল বুঝলেন,আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে হল না, তাই মেয়েটিকে বললাম,

— বসন্তি I hate tears রে, এই কুত্তাগুলোর সামনে কাঁদিস না, সবাই হাহাহাহা করে হেসে উঠল, আর মেয়েটি বুকে মাথা গুঁজে বলল, i love you অভি।।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত