ক্লাস শেষ, নরকে ফেরত যাচ্ছি। মানে মেসে, মেস হলো আমার কাছে নরক, যারা থাকে তারাই অনেক ভালো জানে। মাথার উপর ড্রাগন এর মত দাঁড়িয়ে সূর্য , মনে হচ্ছে আগুন বর্ষন করছে। তপ্ত রোদের তাপে কপাল বেয়ে লোনা পানির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। তবুও হাটছি নরকে তো যেতেইই হবে। মেসে থাকা ছেলেদের যাওয়ার জায়গা অনেক কমই হয়।
কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাটছি, এই কবরস্থান এর রাস্তাটা অনেক ছায়া, এখান দিয়ে গেলে দাদুর কথা খুব মনে পড়ে, তাই রাস্তাটা তাড়াতাড়ি পার হয়ে যাই, মেসে গিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম চোখে নেমে আসল, ফ্রেস না হয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম। বিকেলের দিকে রুমমেট এর ডাকে ঘুম ভাংলো। খিদাও পাইছে অনেক, গতকাল রাত থেকে কিছু খাওয়া হয়নি, দিন দিন না খেয়ে থাকাটা কেন যানি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ফ্রেস হয়ে খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম, মেসের ছেলেদের এই একটা গুন এরা ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে পারে। . . সন্ধ্যা সাতটার দিকে এক বড়ভাই ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলল। -রক্ত দিতে পারবা এক ব্যাগ? – আমার তো দুইমাসের মত হল কেবল। -ও আচ্ছা। -জরুরি কি খুব? -হুম ব্ল্যাড ক্যান্সার রোগীর জন্য।
-ঠিকাছে আপনি রেডি হন আমি, আমি আসতেছি। . হাসপাতালে আসতে খুব একটা ইচ্ছে করেনা, কিন্তু রোগী হয়ে আসার খুব ইচ্ছা। -তপু? আগে রোগী দেখবা না ব্লাড দিবা? -ব্লাড দেই আগে, পরে ভালো লাগলে রোগী দেখব। -আচ্ছা। সাদা একটা ফরম আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে, নার্স গেল সব রেডি করতে। আমি সত্যা মিথ্যা মিশিয়ে ফরম টা পুরন করলাম। যেমন :- কতদিন আগে রক্ত দিয়েছিন? -আমি সুন্দর মত বসিয়ে দিলাম ১০০ দিন। কোন ঔষধ খান? – না কিন্তু গতকাল রাতেই দুইটা সিল্পিং পিল খাইছি। নার্স বেড এর উপর শুয়ে পড়তে বলল, আমি লক্ষি ছেলের মত শুয়ে পড়লাম। আপা ইয়া মোটা একটা শুই হাতের মধ্যে ঢুকায় দিয়ে শুশুক এর মত রক্তের থলি ভরতে লাগল। শুশুক রক্তের থলি ভরে নিয়ে কদুর জুস (মানে আমের জুস আর কি) পাশে রেখে দিয়ে বলল কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে। কিছুক্ষণ পর ভাই এসে বলল -রোগী দেখতে যাবা? -চলেন হসপিটালে যখন আসছি, তখন দেখা টা করেই যাই।
রোগী কে দেখে আমি কিছুটা অবাক। আমার বয়সি একটা মেয়ে, সবকিছুই ঠিকঠাক শুধু ঠোটের কোনে একটা ছোট একটা ঘা । বসে বসে ফেসবুক চালাচ্ছিল, আমি তার বেডের পাশে দাড়ানোর কারনে, তার আইডি নাম টা দেখতে পেলাম” বিবর্ণ রংধনু “। আমিই তার সাথে কথা বলা শুরু করলাম -আসসালামু আলাইকুম? -জি ওয়ালাইকুম, কেমন আছেন? -হুম আলহামদুলিল্লাহ , আপনি? যানি প্রশ্নটা করা বোকামি তবুও করলাম। -হুম। কথার মাঝে অজানা একটা কষ্ট কাজ করল যেটার মানে আমি বুজি। এই কষ্ট আপনজন ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট। -আচ্ছা আসি তাহলে ভালো থাকবেন। -হুম আপনিও . . মেয়েটার বড় বোন আমাদের এগিয়ে দিতে আসল। উনি হঠাৎ ই বলা শুরু করল – ওর নাম রোদেলা, রোদেলা জাহান। তোমাদের ব্যাচ এর ই। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে মাথা ঘুরে ঘুরে প্রায় পড়ে যায়, নাক মুখ দিয়ে রক্ত আসে। হসপিটালে ভর্তি করালাম কিছু টেস্ট করাইতে বলল।
টেস্ট করালাম, বলল ব্লাড ক্যান্সার। মাদ্রাজে নিয়ে গেলে চান্স থাকতে পারে। এখানে রক্ত দিয়ে শুধু টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। . আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম, কি বলব ভাষা খুজে পাচ্ছিলাম না। তবুও মিথ্যা শান্তনা দিলাম – আল্লাহ এর উপর ভরসা রাখেন। তিনি নিরাশ করবে না। . বাইরে থেকেই নাস্তা করে ফিরলাম, মোবাইল টা নিয়ে ফেবুতে ঢুকলাম । হঠাৎ রোদেলার কথা মনে হল, বিবর্ণ রংধনু লিখা সার্চ দিলাম। অনেক গুলা নাম বের হল, আমি দোটানায় পড়ে গেলাম কোনটা তার আইইডি? একটা আইডির ভিতরে ঢুকে ঠিকানা দেখে তার আইডি মনে হল। রিকুয়েস্ট দিলাম, একি? কিছুক্ষণ পরই একসেপ্ট। ওই আগেই নক করল > – তপু? – নাম জানলেন কিভাবে আর চিনলেনই কিভাবে? আমার তো প্র-পিক দেয়াও নাই। -এত প্রশ্ন একসাথে? একটা একটা করে উত্তর দেই? – ঠিকাছে। -আপু আপনার নাম বলেছে।
আপনি যখন আমকে দেখতে এসছিলেন তখন আপনি আমার ফোনের দিকে তাকাইছিলেন , তখনি বুঝেছিলাম রিকুয়েস্ট দিতে পারেন। -কিন্তু ফেবুতে তো আমার নাম দেয়া নাই? আর প্র-পিক দেখেও তো চেনা স্বম্ভব না । -আপনার প্র -পিক এ আপনার ঘড়ি দেখা যাচ্ছে না? আর আপনি আজকে সেই ঘড়িটাই পড়ে এসেছিলেন। তাছাড়াও আপনার প্রফাইলে নিক নেম তপু দেয়া আছে। -হুম বুজলাম। -কি? -আপনি অনেক চালাক। -হা হা তাই নাকি? ফেবুতে আপনার এই নাম কেন? -ঠিকি আছে তো, কিছুদিন পরতো এমনেই সব রং মুছে যাবে তবে লাল রং টা থেকে যাবে, আপনি যেটা আজকে দিয়ে গেলেন। -আপনি এত স্বাভাবিক থাকেন কিভাবে? -আমি আমার ভবিষ্যত জানি তাই। -ও, সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস কম না? -না তো যিনি সৃষ্টি করেছেন তার উপর বিশ্বাস কমানো যায়? -তাহলে?
-কিছুনা, রাত তো অনেক হল ঘুমাবেন না? -আমি নিশাচর। – ও ভালো। আমাকে ঘুমাতে হবে যে? -আচ্ছা ঘুমান তাহলে। . . এভাবেই রোদেলার সাথে রোজ কথা হয়, এখন আর সে আপনি করে বলেনা। তুই করেই বলে। আগে জানতাম মেয়েটা অনেক শান্ত, কিন্তু এখন পুরোটাই উল্টা। ও সারাদিন বক বক করবে আর আমাকে শুনতে হবে, না শুনলে ওর আপুকে দিয়ে আমকে ফোন দেয়াবে। প্রায় রাতে গিয়ে তার সাথে গিয়ে খাইতে হবে, কারন কিভাবে যেন জেনে গেছে আমি প্রায় রাতে খাই না। যদি বলি যাবো না, সোজা ব্লাকমেইল, ইমোশনাল ব্লাকমেইল। সেদিন ক্লাস করছি মাঝখানে ও ফোন দিছে? -কই রে তুই? – কুতকুত খেলছি স্যার এর সাথে। খেলবি? -না মুড নাই, হসপিটালে আয়।
-আরে আমি এখন ক্লাসে। -ক্লাস করা লাগবে না আয়। স্যার কে মেডিকেল যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে আসলাম। অবশ্য ক্লাস করতেও ইচ্ছে করছিলো না। আজকেই যে তার প্রথম আবাদার সেটা না এর আগেও অনেক আবদার করেছে সব আবদার পুরন করার চেষ্টা করি। না করলে মেয়েটা আভিমান করে বসে থাকে। তবে অভিমান বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারেনা বেচারি শেষমেশ ফোন দিয়ে বলবে তাড়াতাড়ি আয়। আমার ক্যাম্পাস থেকে হাসপাতাল খুব একটা দুরে না, পাচ মিনিটের রাস্তা। গিয়ে দেখি বেচারি খাবার নিয়ে বসে আছে তার বড় বোন পাশে বসে ফোন চাপছে।
-কিরে আসতে এত সময় লাগে?। -কই কত সময় লাগলো তাড়াতাড়িই তো আসলাম। -নাও হাত ধুয়ে বসে পড় তাড়াতাড়ি আমার বোনটা সেই কখন থেকে তোমার জন্য খাবার নিয়ে বসে আছে। -বস রে গাধা। -হাতটাও ধুতে দিবি না নাকি? . হাসপাতাল থেকে ফিরে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে গেলাম ,ঘুম ভাঙলো রাত ১০ টায়। ফোন নিয়ে দেখি ১০ টা মিসডকল,সব রোদেলার ফোন থেকে। এখন ফোন ব্যাক করলে শুরু হয়ে যাবে মেয়েটার বকাবকি তবুও ফোন দিলাম -কিরে ছাগল? এত ঘুম পাইস কই থেকে তুই? -আকাশ থেকে পড়ে রে, লাগবে তোর?
-না লাগবে না তোর কাছেই রাখ। একটু পর চলে আসিস। -আচ্ছা। ফ্রেস হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। জানিনা কিসের টানে ছুটেচলা, হয়ত বন্ধুত্ব অথবা মায়া। কিন্তু আমি তো কোন মায়ায় জড়াতে চাই না তবুও ছুটে চলা কেন? মেয়েটার একটা বয়ফ্রেন্ডও ছিলো আকাশ। কিন্তু কপাল টা এতটাই খারাপ যে তার অতবড় আকশে এই বিবর্ন রং্ধনু টা জায়গা পায়নি। রোদেলার রোগের কথা জানার কিছুদিন পরেই চলে গেছে আকাশ। রোদেলার চোখে একদিনো আকাশের জন্য ভালোবাসা দেখিনি, দেখেছি আমার জন্য বন্ধুত্বের ভালোবাসা। মাঝে মাঝে ফাজলামো করে বলতো বিয়ে করবি আমায়? এখন না,যদি সুস্থ হই তবে? আমি বলতাম ধুর গাধি তুই সুস্থ হয়ে নে সব আবার আগের মত হয়ে যাবে,রাজপুত্র আসবে তোকে বিয়ে করতে হাজার দশেক বাচ্চা হবে।
আমার কথা শুনে তার সে কি হাসি! যে হাসির মাঝে লুকিয়ে অনেক জমানো কষ্ট তবুও হাসিটা ছিল নিশ্পাপ। হত ভাগা হলে সৃষ্টিকর্তা হয়ত সবদিক দিয়ে হতভাগা বানিয়ে দেয়। রোদেলার বয়স যখন পাচ বছর তখন রোড এক্সিডেন্টে বাবা-মা দুজনেই মারা যায়। . হাসপাতালে পৌছে দেখি সব কেমন যেন অচেনা, শুধু রোদেলা বেডে শুয়ে আছি বাকি সব গোছগাছ করা। আমাকে দেখে শোয়া থেকে উঠে বসল -এতখন লাগলো কেন? -হেটে আসলাম, সব এরকম গোছগাছ করা কেন? -আজকে রাতে ঢাকা যাচ্ছি। ওখানে এক সপ্তাহ থাকার পর, দেশের বাইরে। -ও আচ্ছা! হঠাৎ মেয়েটা কাদতে কাদতে জড়িয়ে ধরলো আমাকে। -তোকে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হবে রে আমার। -কিছুদিনের জন্যই তো তারপর তো ভালো হয়ে ফিরে আসবি ।
-আমার মনে হচ্ছে আমি আর ফিরবো না রে। -মাইর দিলে ঠিক হবি বুঝেছিস? তুই ফিরবি। এবার কান্না থামা আর আমাকে ছাড় কেউ দেখে ফেললে কি ভাববে? -আচ্ছা। আর এই টাকাটা রাখ কাজে দিবে, আমার ফেবুর আইডি আর পাস এটাতে লেখা আছে একটা পোষ্ট অনলি মি করা আছে, যেদিন আমার অপারেশন হবে বা খারাপ কিছু হবে সেদিন লগ ইন করে পড়বি ওটা। ডাক্তার আমাকে ফোন ব্যাবহার করতে মানা করে দিছে। আমি ঢাকায় গেলে তোকে নিজে থেকে ফোন দিবো সুযোগ পেলে। আর ভালো থাকিস, নিজের যত্ন নিস গাধা। -আচ্ছা তুই ভালোমত যাস। গিয়ে একটা ফোন দিস।
খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করিস। . টাকা টা না নিলে মারামারি শুরু করে দিতো। কেবিন থেকে বের হওয়ার সময় পিছনে তাকাইনি। পিছনে তাকালে হয়ত কান্না ভেজা চোখ দেখতে পেতাম যেটা সহ্য করারা ক্ষমতা আমার নাই। . কিছুদিন পর . ঢাকায় যাওয়ার পর সুযোগ পেলে ফোন দিত। ফোন দিয়ে কান্না করত, আমি শুধু শুনে যেতাম আমার কিছু বলার থাকত না। এরপর হঠাৎ করে কিছুদিন আর রোদেলার ফোন পাই না। আমিও ফোন দেই না, রোদেলা নিশেধ করেছিল ফোন দিতে। কিন্তু সেদিন ওকে খুব মিস করতেছিলাম কোন বারণ আটকাতে পারলো না, রোদেলার বড় আপুর নাম্বারে ফোন দিলাম -আপু আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? -ওয়ালাইকুম আসসালাম,এইত। (কন্ঠটা কান্নাভেজা মনে হল) -আপু রোদেলার কি অবস্থা? উনি এবার হাউমাউ করে কাদতে শুরু করে দিলো, আমি যা বুঝার বুঝে গেলাম।
আপু কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলতে লাগলো -তোমার সাথে শেষ যেদিন কথা হয়েছে, তার পরেরদিন সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে। তোমার কথা খুব করে বলতেছিলো। তার মৃত্যুর সংবাদ টা দিতেও মানা করেছে তাই দিতে পারিনি ভাই। . ফোন টা কাটলাম আর সহ্য হচ্ছিল না।। ওর দেয়া কাগজ টা খুজে ফেবুতে লগিন করলাম। প্রথমে অনলি মি করা একটা পোষ্ট দেয়া যার শুরুই আমার নাম দিয়ে “” তপু”” আমি জানিনা তুই আমার কে ছিলি হয়ত খুব ভালো বন্ধু নয়ত বন্ধুর থেকে অনেক কিছু। আমি জানতাম আমার এ ধরনের খারাপ কিছু একটা হবে। চাইলে আমি কথা গুলা মুখে বলতে পারতাম কিন্তু তোর সামনে কথাগুলো এভাবে গুছিয়ে বলতে পারতাম না। তুই সামনে থাকলে কেন জানি সব এলোমেলো হয়ে যায়।
আমার শরীরে রক্ত তো বেশিদিন থাকত না , কিন্তু তোর রক্ত গুলা ছিল। রক্তগুলো হ্রদপিন্ড টা বার বার পাম্প মস্তিস্কে দিত আর তোর মত করে আমাকে বাচার অনুপ্রেরন যোগাত। কিন্তু কি করবো বল? আমার মনে হয় যাওয়ার সময় হয়ে এসেছিল । ভালো থাকিস, একদম কাদবি না। আর নামায পড়বি ঠিকমত। আজেবাজে কাজ করবি না। আর যদি ফিরে আসি তবে তোর গলায় ঝুলে যাবো এবার বুঝেছিস গাধা? . ফোন টা অফ করে দিলাম, ছাদে দাঁড়িয়ে দেখি আকাশ টা বড্ড মেঘলা। ছোট একটা তারা উজ্জল বর্ন করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আচ্ছা এটাই কি রোদেলা? হয়ত আবার হয়ত না! কেন যানি কাদতে পারতেছি না চাইলেও চোখ এক ফোটা পানি বের হচ্ছেনা।।
কিন্তু আকাশ থেমে নেই, সে তার নিজের গতিতে বর্ষন করে যাচ্ছে। উজ্জল তারাটাও নিভে গেছে। আমি ভিজছি নোনা জল গড়িয়ে পড়ছে আকশের মিস্টি জলের কাছে আমার নোনা জল টা তুচ্ছা তাই তার অস্তিত্ব আমি ছাড়া কেউ টের পাবেনা। আজো রোদেলার কবরে সামনে গিয়ে দাড়াই কাদতে পারিনা। কাদলে যদি ওর কষ্ট হয়? রাতের আকশে আজো রোদেলা হেসে বেড়ায় তারা হয়ে। লুকোচুরি খেলে আমার সাথে। আমি আজো অসম্পূর্ণ কেউ জানেনা সেটা। তারা হয়ে থাক বিশাল আকশে হাস্সোজল করে রাখ গোটা আকাশ। আমার আকশে জমে থাক কিছু বোবা কান্না আর ঘন কালো মেঘ।