তুমি কার পুশা পাখি

তুমি কার পুশা পাখি

ভালোবাসি পাখিটাকে খুব বেশি ,এতই ভালোবেসেছিলাম যে পাখিটার রক্তের সাথে মিশে গেছিলাম আমি।ওরে প্রথম যেদিন আমি দেখেছিলাম তখন মনের খাচায় পাখিটারে বন্ধি করে রেখেছিলাম।ভাবছিলাম তখন পাখিটারে খাচার ভেতর বন্ধি রেখে আমি সারাজিবন কাঠিয়ে দেব।কতটা ভালোবেসেছিলাম পাখিটাকে তা আমি নিজেও জানতাম না।মনের সপ্নে আমি দেখতাম তাকে, ,চোখ বুজলেই বেসে উঠে পাখিটার মায়াবি চেহারা। অনেক দিন আমি ওরে পুশে রেখেছিলাম মনের খাচায়।
যখন বুজতে পারলাম যে আমার খাচাটা ভেজ্ঞে যাচ্ছে তখন ভাবলাম পাখিটাকে বেধে রাখব।একটা খাচার ভেতরে তো পাখিটাকে সারাজিবন ধরে রাখতে পারবনা?অবশ্যয়ই পাখিটার খাচা পরিবর্তন করতে হবে।তাই তো আমি পাখিটাকে ভালোবাসার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখছিলাম।আমি জানতাম না ,ভাবতেও পারিনি কখনও এই চাদরটাও ফুটো হয়ে যাবে।
ভালোবাসার চাদর দিয়ে জড়িয়ে রেখেছিলাম চার বছর……।।
কখনও কান্না ,কখনও হাসি আবার কখনও বিরাট বড় জগড়া করেও পাখিটাকে পুশে রেখেছিলাম মন পিঞ্জরে।খাচার ভেতর নয় হৃদয়ের পিঞ্জিরায় পুশে রেখেছিলাম তাকে।এইরকম ভালোবাসা খুব কমই ছিলো তখন,কে জানে পরের বছর এইরকম কিছু একটা হবে………………
ওর সাথে কথা না বলে আমি একটা দিনও পার করতে পারতাম না ।আমাদের সম্পর্কে ছিলো অনেক গভীর একটা পিঞ্জিরা।যেখানে ছিলো আমার অটুঠ বিশ্বাস আর অবিরাম ভালোবাসা।আজও সেই ভালোবাসাটা আগের মতই আছে, শুধু পাখির পালকটাই পড়ে গেছে…।যার সাথে কথা না বলে আমি বিছানা থেকে মাথা তুলতাম না,যার ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে আমি কখনও বিছানায় উঠতাম না,যার সাথে কথা না বলে আমি দুপুরের ভাত খেতাম না আজ সেই মানুশটাই চলে গেছে স্বার্থের লোভে আমায় একা রেখে।
ছোট ছেলে ছিলাম আমি,পরিবারের সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত,শুধু একা রয়েছিলাম আমি দু-পায়ে দাড়ানোর চেষ্টায়।পাখিটা ছিলো গরিব পরিবারের বড় মেয়ে।মাঝে-মধ্যে গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকতাম আমি,যদি আমার চাকরি না হয়,যদি আমি পাখিটাকে বিয়ে করতে পারি না…এই চিন্তায় কেটে যায় আমার দিন।বলেছিলো পাখি আমায়ঃ তুমি যদি আমাকে তিন বেলা ভাত খাওয়াতে না পারো তাহলে আমি তোমাকে আকড়ে ধরে বাঁচতে পারব,তুমি যদি আমাকে চাকরি না পেয়ে ভিক্ষে করে খাওয়াও তাও আমি মনের খুশিতে আমোদ করে খাবো।
কিন্তু আজ আমার অট্টালিকা নেই,পাহাড় সমান টাকা নেই,এখনও হতে পারিনি সমাজে সবার চোখে উজ্জ্বল নক্ষত্র, , সবার কাছে হয়ে গেলাম আমি একটা অদ্ভুত অবহেলার জীব।ঠিক এখন, আমার পুশা পাখিটার কাছেও আমি একটা অবহেলার পাত্র। আমি জানিনা পাখিটা কার আকাশে নতুন করে সপ্ন দেখছে,অবহেলা করে আমাকে কাঁদিয়ে কি সুখ পায় পাখিটা।আগে যদি জানতাম আমি পাখিটা আমাকে এইরকম ফাকি দিবে তাহলে হৃদ্যয় পিঞ্জরায় কখনও পুশে রাখতাম না,সপ্নে দেখতাম না পাখির ওই মায়াবি চেহারা ।
ভালবাসতাম তোরে আমার মনের মতো করে।ফুলের বাসর সাজিয়ে রাখছিলাম মনের গহীনে।ভাবিনী কখনও এইরকম চলে যাবি।চলে গেছিস তো কি হয়েছে,এখনও আছিস তুই আমার মনের মধ্যে।এখনও সপ্ন দেখি আমি তোকে নিয়ে,আমি দাঁড়িয়ে তোর বিয়েটা দেখব্,এর থেকে সুখের সপ্ন আর কি আছে আমার।আমি তো এই পৃথিবীর প্রথম হতভাগা যে দাঁড়িয়ে নিজের পুশা পাখির বিয়ে দেখবে।আমার মতো হতভাগা এই পৃথিবীতে খুব কমই আছে।আমার বেশ কষ্ট হয় কেন জানিস,আমি বেকার,বস্তা বস্তা টাকা নাই আমার তাই তোকে পেয়েও হারালাম।
তোর জন্য আমি অনেক অপমান হয়েও মাথা নিচু করেছিলাম কেন জানিস, তোকে ভালোবাসি বলে্, কারণ আমি জানি ,একটা ছেলে ভালবাসায় জয়ি হতে হলে তাকে মাথা নিচু করতে হয়.আর সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি তোকে ভালোবেসেছিলাম।ফ
োনে বেশি কথা বলি বলে আম্মু আমায় প্রতিদিন বকা দিতো,তবুও আমি তোর সাথে কথা বলতাম কেন জানিস,তোকে ভালবাসি বলে্,আর বিশ্বাস করতাম ভালবাসাকে জয় করতে হলে সর্বদাই মাথা নিচু করে রাখতে হয়।
আছি আমি বেশ,একদম দুশ্চিন্তা মুক্ত ।আবার মাঝে-মধ্যে তোর বিয়েটা কিভাবে দেখবো এটাও চিন্তা করি। সপ্ন দেখি আমি,কোন দেশের এক রাজপুত্র এসে তোকে বিয়ে করবে,বেশ ভালোই মানাবে তোদের।জানিস তুই,আমি প্রতি রাতেই জেগে থাকি ঘুমহীন হয়ে, , আমার ঘুম আসে না্… কেন জানি দুচোখ গড়িয়ে অশ্রু পড়ে আমার।এখনও মনে হয় আমার সেই মধুমাখা সপ্নটির কথা,তোরে ঘুমটা দিয়া বউ সাজাইয়া পড়াইয়া লাল শাড়ি তরে নিয়া জাইমু আমার বাড়ি।
জানিতাম যদি পাখি দিয়া যাবি ফাকি আমায় দেখতাম না আমার ওই মধুমাখা সপ্ন গুলা। যার সপ্ন ভাজ্ঞে সেই বুজতে পারে সপ্ন ভাজ্ঞার যন্ত্রনাটা কতখানি।তুই অন্যের বউ হবি তো কি হইছে,আমার মনের মধ্যে তোর ছবি আকা থাকবে আর হ্যা আমার অপরিসীম ভালোবাসার দরজাটা তোর জন্য সারা জীবনই খোলা রইলো।
তোই হবি অন্যের ঘরের বউ,সুন্দর সুখি একটা পরিবার হবে তোদের,তোর নাম হবে রাজ বউ আর আমি নিলয় না হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার,গরিব ছেলে হিসেবেই রইলাম।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত