ক্যালকুলেটরময় ভালোবাসা

ক্যালকুলেটরময় ভালোবাসা

সকাল ৮টা, ড্রয়িং রুমে বসে পেপার পড়ছি বিনোদনের পাতা। আসলে আজকে আমার অফিস বন্ধ ঠিক করেছি সারাদিন ঘুমাবো ইচ্ছামতো। অনেক দিন হলো টানা ঘুম পারা হয়না দিনের বেলা।হঠাত বেল বেজে উঠলো আমি জানি এই সাত সকালে কেউ আসবে না পাশের বাসার পাজি মেয়ে নিলা ছাড়া।তাই শুনেও না শোনার ভান করে বসে আছি।আম্মা রান্না ঘর থেকে এলেন আমাকে বকতে বকতে দিন দিন এতো আলসে হয়ে গেছি যে সামান্য দরজা খোলার কাজটাও আমাকে দিয়ে হয়না।

আম্মার উদ্দেশ্যে বললাম দেখো নিলা ছাড়া যদি অন্য কেউ হয় নিজের নাম বদলে দিবো।আম্মা দরজা খুলতেই ওপাশ থেকে হন্তদন্ত কন্ঠে ভেসে আসলো স্বর্না কই আন্টি??দেখোতো ওর রুমে ওর ক্যালকুলেটর আছে কিনা???আসলে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আছে ভার্সিটিতে সকালে দেখি ক্যালকুলেটর চলতেছে না।আমি বললাম দেখছো আম্মা গরীবের কথা বাসি হলেও সত্য হয়।আম্মা অনেক খুজেও স্বর্নার রুমে পেলো না কারন স্বর্না একটু আগেই বের হয়ে গেছে কলেজের জন্য।

পরে আম্মা বলল নিলা তুমি ভিতরে এসে বসো আমি দেখি পরাগের ক্যালকুলেটর টা পাই কিনা।আমি ঠিক এই ভয়টাই পেয়েছিলাম এই মেয়ে ভয়ানক রকম ধরিবাজ।আমার জিনিসের প্রতি কেন যে এর এতো লোভ কে জানে।আমি প্রতিবাদ করে উঠলাম আম্মা দিও না।এই মেয়ের স্বভাব ভালো না আমার সাধের ক্যালকুলেটর কিন্তু আর ফেরত দিবেনা।আম্মা আমাকে একটা ধমক দিয়ে ক্যালকুলেটর টা দিয়ে দিলো ওরে।যাওয়ার সময় খোটা দিয়ে গেল আচ্ছা আন্টি তুমি ভালো স্বর্না ভালো কিন্তু তোমার এই পোলায় এতো হিংসুটে কেন?? চোখ গরম করে তাকাতেই দৌড়ে পালালো।আমি আম্মার দিকে করুন চোখে তাকাতেই আম্মা আমার দিকে হাসি দিয়ে বলল তোরা দুইটা কি কোনদিন বড় হবিনা???

এখানে আমার কি দোষ খুজে পেলাম না আর আম্মাকেও ঘাটালাম না কারন আমি খুব ভালো করেই জানি আম্মার সাথে যুক্তি খন্ডনে যাওয়া আর ক্যালকুলেটর দিয়ে ফেসবুক চালানো একই কথা।সে যাই হোক খুব ঘুম পাচ্ছে যাই একটু ঘুমিয়ে নেই। বিকেল বেলা ঘুম থেকে উঠে ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখি ক্যালকুলেটরটা রাখা সাথে একটা চিরকুট।খুলতেই দেখি গোটাগোটা করে লেখা এই ক্যালকুলেটরের মালিক একজন কুফা লোক।আপনার মুখ দেখে পরীক্ষা দিতে গিয়েই আমার আজকে পরীক্ষা খারাপ হইছে।চিরকুট পড়ে হলো মেজাজ খারাপ একে তো আমার জিনিস দিয়ে এক্সাম দিয়ে আসছে তার উপর আবার আমারেই কুফা বলে।

আমার অতীত অভিজ্ঞতা বলে এই মেয়ে কাল আবার আসবে কিছু না কিছু নিতেই আসুক না বুঝাবো মজা কত ধানে কত চাল।ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গেলাম একটু আড্ডা দেয়ার জন্য। অনেকদিন হলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া হয়না অফিস থাকার কারনে।রফিক মামার চায়ের দোকানে গিয়ে দেখি সব বন্ধুরাই বসে আছে।সবাই মিলে চা খাওয়ার পর জম্পেশ আড্ডা দেয়া হলো।এরই মধ্যে খেয়াল করলাম একটু আগে নিলা এইদিক দিয়ে কই যেন গেল।আচ্ছা যেখানে খুশি সেখানে যাক তাতে আমার কি আমি আবার আড্ডা দেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।অনেক রাত হয়েছে দেখে বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে বাসায় আসলাম।কলিং বেল বাজানোর পর আম্মা গম্ভীর মুখে দরজা খুললেন তারপর শুরু করলেন উনার থার্ড ডিগ্রী মার্কা বকা।এই শিখিয়েছি তোরে আমি???

খুব বড় হইছো তাইনা পাড়ার মোড়ে বসে বাজে ছেলেদের সাথে বসে বিড়ি সিগারেট খাওয়া।আমি রীতিমতো আবুল হয়ে মায়ের দিকে তাকালাম।আমি জীবনেও বিড়ি সিগারেট খাইনা আর আমার বন্ধুরা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত আর কারো কারো বউ বাচ্চাও আছে এরা কেমনে খারাপ ছেলে হলো সেটা আম্মাকে কেমনে বুঝাই।আম্মাকে জিজ্ঞাস করলাম কে বলছে তোমাক এই সব বাজে কথা???আম্মা কথাটা শুনে যেন আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন আজকাল খালি তুই সাধু হয়ে গেছিস মুখ দিয়ে অমৃত বলিস আর বাকি সবাই বাজে কথা বলে তাইনা।এখন আম্মার সাথে কথা বলা বেকার তাই কথা না বাড়িয়ে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।আমি খুব ভালো করেই জানি এটা নিলা ছাড়া অন্য কারো কাজ না।চুপচাপ শুয়ে পড়লাম মনে মনে বলছি বাছাধন সকালে আইসো খালি কিছু নিতে দিবোনি।

সকাল বেলা অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি ওমনি বেল বেজে উঠলো আমার খুব ইচ্ছা হলো ঝাড়া দরকার একটু তাই আমি নিজেই গেলাম দরজা খুলতে।দরজা খুলে আমাকে দেখেই বলল কি ব্যাপার সূর্য কি উত্তর দিকে উঠছে নাকি যে আপনি দরজা খুললেন। আচ্ছা খুলছেন ভালো করছেন এবার ক্যালকুলেটর টা আনুন তো আমার লেট হয়ে যাচ্ছে।আমি বললাম নেই কাকে খেয়ে ফেলছে। অমনি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো ম্যা ম্যা করে হেসে বলে উঠলো আন্টি দেখো তোমার ছেলে পাগল হইছে আজকাল তোমার ছেলের ক্যালকুলেটর নাকি কাকে খাচ্ছে।

এরই মধ্যে আম্মা ক্যালকুলেটর নিয়ে হাজির।ভালো করে পরীক্ষা দিস মা।আমি বাধা দিয়ে বললাম ওর বাপের এতো টাকা একটা ক্যালকুলেটর কিনে নিলে কি ক্ষতি???অমনি নিলা মুখ বেকিয়ে বলে উঠলো এহ আইছে আমার ক্যালকুলেটর ওয়ালা।তোমার মতো কতো পাবলিক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে আমাকে এক নজর দেখার জন্য।আমিও হেসে বললাম আইছে যে নয় তার চেহারা নাম দিয়েছে আবার পেয়ারা।তো পেয়ারা বেগম আপনি এখন আসতে পারেন।আপনার এই আকাবাকা দাত দেখে আমি বের হলে দিনটায় খারাপ যাবে আমার।দাত কিড়মিড় করতে করতে বেরিয়ে গেল।

আম্মা আমাদের দুজনের ঝগরা দেখে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ার যোগাড়।বিকেল বেলা অফিস থেকে এসে বসে আছি এরই মধ্যে এসে হাজির বান্দা।নেন আপনার ক্যালকুলেটর বুকের মধ্যে নিয়ে বসে থাকেন।আম্মা ডাকলো নিলা ক্যালকুলেটরটা একবারে নিয়ে গেলেই তো পারিস তাহলে তো আর রোজ রোজ ঝগড়া হয়না।নিলা উত্তর দিলো ও তুমি বুঝবানা আন্টি তোমার ছেলেই এখনো বুঝলোনা কেন সকাল সকাল আসি বলেই রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল মাকে সাহায্য করার জন্য।নিলা রান্না ঘরে যেতেই আম্মা নিচু স্বরে বললেন খালি ক্যালকুলেটর নিতেই আসা হয় বুঝি নাকি ক্যালকুলেটরের সাথে মনের মানুষটাকেও দেখা হয় হুমম??নিলা উত্তর দিলো আন্টি কি যে বলোনা তুমি যাও আজকে আর তরকারি কেটে দিবোনা।

এই ছিল এই মেয়ের মনে???উহু ভুলেও এই কাজ করা যাবেনা এই মেয়েরে বিয়ে করলে সারাজীবন ত্যাজপাতা বানিয়ে ছাড়বে।তাই এরপর থেকে নিলা আসলে ঝগড়ার বদলে যেটা নিতে আসতো দিয়ে বিদায় করে দিতাম।আমি স্পষ্ট খেয়াল করতাম মন খারাপ করে বের হয়ে যেত।আসলে মেয়েটা শুধু সুন্দরী বললে কম বলা হবে ভয়ানক রকম সুন্দরী।এই পাড়ায় এমন খুব কম যুবকই আছে যে ওর আকা বাকা দাত গুলোর হাসি দেখে ক্রাশ খায়নি। একদিন বলা দরকার সারা রাস্তায় বত্রিশ পাটি দাত বের করে হেসে হেসে যাওয়ার কি দরকার।পরে ভাবলাম না থাক ও হাসলেও আমার কিছু আসে যায়না না হাসলেও কিছু যায় আসে না।আম্মার চোখেও আমার পরিবর্তনটা চোখে এড়ালো না।

উনি জিজ্ঞাস ও করেছিলেন কিছু হয়েছে কিনা। আমি কিছুনা বলে এড়িয়ে গেছিলাম। এরপর দিনকাল ভালোই কাটছিল কিন্তু বিপত্তি বাধলো গতকাল বিকেলে অফিস থেকে রিক্সায় করে আসার সময় সাথে আমার কলিগ রিন্তি ছিলো।ওর বয়ফ্রেন্ডের জন্মদিন কি কিনবে ভেবে পাচ্ছিলোনা তাই জোড় করে আমাকে নিয়ে গেছিলো।বাসার সামনে রিক্সা থেকে নামতেই দেখি নিলা দাঁড়িয়ে আছে।আমি কোন কিছু না বলে ভাড়া দিতে যেতেই নিলা আমার হাত আটকালো।

আপনি কেন ভাড়া দিবেন??এই মেয়ের সাথে কি সম্পর্ক আপনার??? রাগ উঠে যাচ্ছে তবুও নিলাকে বললাম তোমাকে বলতে বাধ্য নই আমি।নিলা ওমনি আমার শার্টের কলার ধরে টানাটানি শুরু করলো বলেন কি হয় আপনার?? কত দিনের সম্পর্ক?? মেজাজ এমনিতেই খারাপ ছিলো জ্যাম এ পড়ে।দিলাম গাল বরাবর একটা।অমনি নিলা যেন আরো রেগে উঠলো মারেন বেশি করে মারেন, মেরে ফেলেন আমাকে।আপনি কেন বুঝেন না আপনাকে আমি পাগলের মত ভালোবাসি ছোট বেলা থেকেই। আপনি কি কিছুই বুঝেন না নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকেন। আমি উত্তর না দিয়ে চুপ করে রইলাম।নিলা উত্তর না পেয়ে কাদতে কাদতে বাসার ভিতর চলে গেল।

আমি রিক্সায় রিন্তির দিকে তাকিয়ে সরি বলতেই পরাগ ভাই মেয়েটা কিন্তু অনেক ভালোবাসে আপনাকে।মেয়েটাকে হারাতে দিয়েন না নাহলে দেখবেন সারাজীবন আফসোস করবেন।উপরে তাকিয়ে দেখি বিল্ডিং এর সব ফ্লাটের মহিলারা তাকিয়ে আছে।আম্মা আর স্বর্নাও তাকিয়ে আছে রাগি চোখে।চোরের মত কোন মতে চলে আসলাম বাসার ভিতরে।আম্মা ঠান্ডা গলায় বলল সারাজীবন তোরে এই শিখালাম মেয়েদের গায়ে হাত তোলার জন্য।আজকে কেন জানি নিজেকে ছোট ছোট মনে হচ্ছে মা হিসেবে।আমি কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ রুমে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে শুয়ে পড়লাম।

ভাবছি আচ্ছা আমি কি খুব বেশি করে ফেললাম।মেয়েটা তো ভালোবাসে আমাকে সেই মেয়েটার গায়েই হাত তুললাম।আম্মা ঠিকই বলে আমি আসলে একটা গাধা।কিন্তু এখন কি করা যায় সেটাই ভাবছি তবে নিলার মত এতো সুন্দরী মেয়ে আমাকে ভালোবাসে ভেবেই ভালো লাগতে শুরু করলো।রাগ কমুক আগে তারপর সরি বলা যাবে।রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরেরদিন সকালে অনেক্ষন যাবত অপেক্ষা করছি নিলা হয়তো আসবে কিছু নেয়ার জন্য কিন্তু আসলো না।মনটাই খারাপ হয়ে গেল মুখ কালো করে অফিসে গেলাম।অফিসে গিয়েও কাজে মন বসাতে পাড়লাম না ফলস্বরুপ বকা খেলাম স্যারের।মাথা ব্যথা বলে ছুটি নিয়ে আসলাম বাড়িতে।

এসে বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে আছি।সন্ধ্যা হয়ে এসেছে এরই মধ্যে বেল বেজে উঠলো আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেখি নিলার মা দাঁড়িয়ে আছে অপরাধীর মত।আমাকে দেখে বলল আসলে বাবা নিলা গতকাল দুপুর থেকে কিছুই খায়নি জিদ ধরে বসে আছে।অনেক বুঝালাম কিন্তু কিছুতেই খাচ্ছে না।তুমি যদি একবার যেতে।আমি বললাম আচ্ছা আন্টি আপনি গিয়ে খাবার রেডি করেন আমি আসছি।নিলার আম্মু চলে গেল ওনাদের ফ্লাটে।আমিও একটুপর গিয়ে দেখি খাবার রেডি।আমি আন্টির থেকে খাবার নিয়ে বললাম আপনি যাইয়েন না আমি দেখছি।রুমে গিয়ে দেখি সবকিছু এলোমেলো শুয়ে আছে বেলকোনির দিকে চেয়ে।অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম অগোছালো রুমটার দিকে। অবাক করার বিষয় হলো টেবিলের উপর আমার ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক জিনিসই রয়েছে।

আমার পছন্দের ঘড়িটা যেটা হারিয়ে গেছিলো মনে করেছিলাম বাসায় খুজে না পেয়ে, একটা ক্যাপ আছে, একটা টেনিস বল,একটা ডায়েরী একটা জ্যামিতি বক্স একটা টি শার্ট সবকিছুতেই যত্নের ছোয়া।একটা মানুষ কতটা ভালোবাসলে এভাবে যত্ন করে রাখতে পারে।চুলগুলো এলোমেলো মুখ চোখ শুকিয়ে গেছে।আমি নিলা বলে ডাক দিতেই আমার দিকে তাকালো।তারপর গলাটা কঠিন করে বলল আপনি কেন এসেছেন এক্ষুনি বের হয়ে যান আমার রুম থেকে।আমি সরাসরি এবার নিলার পাশে গিয়ে বসে বললাম এখন তো এসেছি পছন্দ হচ্ছেনা তাইনা তুমি যদি না খাও আবার কিন্তু রিন্তির সাথে রিক্সাতে ঘুরবো।

নিলা বলল তো কে আটকাইছে আপনারে যানতো আপনি।আমি প্লেট টা নিয়ে একপা বেরুতেই অমনি পিছনে শার্টের কলারে টান পড়লো পিছনে ফিরে দেখি নিলা কাদছে আর বলছে কই এসে রাগ ভাংগিয়ে খাইয়ে দিয়ে যাবে উল্টো রাগ দেখানো হচ্ছে।এবার খাবার টা টেবিলে রেখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম নিলাকে।ওমনি বাচ্চাদের মত গুটিশুটি করে বুকের মধ্যে ঢুকে গেল।নিলা একই সাথে কাদছে আর হাসছে সাথে একটু পরপর নাক টানছে।এযেন এক অপরুপ সৌন্দর্য যা ভাষায় লেখা সম্ভব নয়।তখনি দরজায় আন্টি টোকা দিলেন আপনাদের সব মান অভিমান শেষ এবার কি আমি ভিতরে আসতে পারি।

আমি লজ্জায় বললাম এই ছাড়ো আন্টি দেখে ফেলবে তো।নিলা চিল্লিয়ে বলল আম্মু যাওতো পরে আসো এখন বিরক্ত করোনা তুমি বরং স্বর্নাদের বাসায় গিয়ে আন্টির সাথে কথা বলে এসো।আন্টি চলে গেল আমি প্লেটটা হাতে নিয়ে খাইয়ে দিচ্ছি নিলা বাচ্চাদের মত করে খাচ্ছে একটু পরপর কামড়ে দিচ্ছে নখে। অবাক হলাম নিলার চোখের দিকে তাকিয়ে নিলা যেন বলছে পাজি ছেলে আমাকে রেখে অন্য মেয়েকে নিয়ে রিক্সায় ঘোরা দেখ কেমন লাগে কামড় খেতে।তাহলে কি আমি নিলার চোখের ভাষা পড়তে শিখে গেছি।হতেও পারে প্রেমে পড়লে নাকি মানুষ প্রিয় মানুষের চোখের ভাষা পড়তে পারে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত