প্রত্যকটা রিলেশন আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন তেমনি আমার গার্লফ্রেন্ড গুলোও! অনিকা চরিত্রের মেয়েটি মাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।গ্রামের কোলাহল ছেড়ে শহরের সুবিশাল যান্ত্রিকের মাঝে।আজ অনিকা গেইট দিয়ে ঢুকতেই হাসির পাত্রী হয়ে গেল সবার কাছে,কেননা অনিকার জামার ব্রা’টার ফিতাটা সম্পূর্ণই দেখা যাচ্ছে। দূর থেকে সব লক্ষ্য করছিল আবির।আবির এই ভার্সিটির থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট।
কিছুক্ষণ আগের ঘটনা আবির ল্যাপটপে পর্ণ ভিডিও দেখতেছিল কখন যে আবিরের মা পছনে দাঁড়িয়ে ছিল আবির লক্ষ্যই করেনি! ধুম করে দু গালে দুটা থাপ্পর,অসভ্য একটা জানোয়ার জন্ম দিয়েছি। আবির মনে মনে বকতে থাকে,ক্যাম্পাসে এসে বড় বড় ফুঁ ছেড়ে আকাশপানে বকতে থাকে বাপ মা কেন বোঝে না ছেলে আমার বড় হয়েছে মা কি বুঝবে সে কথা। ঠিক এমন সময় প্রিয়ন্তির ফোন! হ্যালো আবির তোমার সাথে আমার রিলেশন কন্টিনিউ করা পসিবল না।হ্যালো হ্যালো শোনও। ফোনটা কেটে দিলো। আবির উদাস মনে বাইকের উপর বসে আছে আর ঠিক এমন সময়ে অপরিচিত মেয়ের আবির্ভাব। আবির দৌড়ে মেয়েটার পিছনে গেল। কি অসভ্যতামি হচ্ছে আপনি আমার পিছনে কেনও? অনেকটা বিব্রত সুরে! চলেন একটু ঝোপের আড়ালে যাই। মানে?
আচমকা প্রিয়ন্তির দেখা! ধুম করে এসে আবিরের গালে কষিয়ে থাপ্পর মারলো।তোর কি লজ্জা সরম নেই মাত্রই তো তোর সাথে ব্রেকআপ করলাম, আসলাম এখনি নতুন মেয়ের সাথে পুতুপুতু। প্রিয়ন্তি ভুল বুঝছো। কি ভুল বুঝছি হ্যাঁ? আসলে ওর জামার ওপর ওটা দেখা যাচ্ছে সেজন্য সবাই হাসাহাসি করছে। প্রিয়ন্তি নিজের হাতে ঢেকে দিলো। আর আবিরকে কষিয়ে আরেকটা থাপ্পর দিলো। লুচ্চা খাটাস তোর সাথে ডাবল ব্রেকআপ। সরি সরি ভাইয়া[অনিকা],সরি কেনও বলছেন[আবির]?আমি আপনাকে কত ভুল বুঝলাম। ততক্ষণে অনিকা চলে গেছে রাগে ক্ষোভে। হ্যালো আমি আবির আপনি? অনিকা! অনিকা,বাহ্ সুন্দর নাম,অনিকা নামের মেয়েরা অনেক সুখী হয়। তাই! হ্যাঁ! তো আপনি কি করে জানলেন?
ইয়ে মানে আমি তো রাশি দেখে বললাম। কই আমার হাত না দেখে রাশি কি করে বুঝলেন? দূর থেকে মনের টানে। মেয়েটা চলে গেল,হয়ত ক্যাম্পাসে নতুন। নতুবা,কেউ কি হাসাহাসির সাহস পায়। ক্লাশ রুমে ঢুকতেই আবির রীতিমত হতভম্ব,অনিকা আর প্রিয়ন্তি একই বেঞ্চে বসে আছে। আবির মাথা নিচু করে বেঞ্চ খুঁজে যাচ্ছে,একটাও খালি নেই।কি হল এখানে সিট খালি আছে। অনিকা আচমকা হাত ধরলো আর আবির বসে পড়লো। ক্লাশ শুরু হয়ে গেছে। অনিকা চুলে শ্যাম্পু করে এসেছে।সত্যি মেয়েরা চুলে শ্যাম্পু করে আসলে ছেলেরা দিশেহারা হয়ে যায়। আবিরও তার ব্যতিক্রম হল না।চোখ বন্ধ করে আবির অনিকার দিকে অগ্রসর হতেই আরেকটা থাপ্পর! পুরো ক্লাশ স্তব্ধ!
চোখ মেলে তাঁকাতেই প্রিয়ন্তি মাঝখানে। তোর কি চরিত্র কখনই ভাল হবে না। মন মরা হয়ে আবির ক্যাম্পাসের দক্ষিণ প্রান্তে প্রান্তে সিগারেটের ফুক ছাড়তে ছাড়তে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক এমন সময়ে অনিকার আগমন। কি ব্যপার আপনি? মন খারাপ? না। তাহলে সিগারেট খাচ্ছেন কেনও?জানেন ধুমপান স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। হুম জানি তো? তো,প্রিয়ন্তি আপুর সামনে বারবার ভুল করেন কেনও? প্রিয়ন্তি আপু হল কি করে? আমি প্রিয়ন্তির খালাত বোন,এই ভার্সিটিতে আজই ভর্তি হয়েছি।তো ভর্তি হয়েছেন আমাদের ক্লাশ রুমে কেনও? হ্যাঁ একটা কথা বলা হয়নি প্রিয়ন্তি আবির ক্লাশমেট ভর্তির শুরু থেকেই রিলেশন। আপু জোর করে ধরে নিয়ে গেল।আপনার কথা অনেক শুনেছি আপনি নাকি অনেক রিলেশন করেন? হুম ওটাই সমস্যা যা দেখি নতুন লাগে,এই যে আপনাকে লাগতেছে।
সেদিনের মতো কথা বার্তা শেষ। সাত দিন হল আবির ভার্সিটিতে যেতে পারছে না কেননা আবিরের প্রচুর জ্বর।এদিকে আবিরের মা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে কোনও এক কাজে। হঠাৎ কলিং বেল বেঁজে উঠলো,অনিচ্ছা থাকা সত্বেও আবির দরজা খুলতে গেল,খুলতেই প্রিয়ন্তি। তুমি আবার এসেছো কেনও? সরি,সরি! সরি কিসের?তুমি না ডাবল ব্রেকআপ করেছো? এই গরমে শাল হায়ে দিয়ে আছে কেনও? সুখে,সাতদিন হল জ্বর। ভার্সিটিতে যাও না কেন? জ্বর তাই। চলো ডক্টরের কাছে,ডক্টরের চেম্বারে ঢুকতেই মেয়ে ডক্টর। আবির বাসায় চলো।
আবিরকে জোর করে বাসায় আনলো প্রিয়ন্তি আর সারাটা দিন মাথায় পানি ঢাললো। কখন যে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে প্রিয়ন্তি খেয়াল ই করেনি। আপনারা ভাবছেন আবির আরো প্রেম করেছে,ট্রাই করে ট্রাই,আর এর আগেই প্রিয়ন্তির থাপ্পর। রাত আটটা বাজতেই আবিরের মা আসলো। প্রিয়ন্তি আর আবিরকে দেখতে পেল,আবির শুয়ে আছে।চোখ মেলতেই আবিরের মায়ে চক্ষু ছানা বড় অগ্নির ন্যায়।জ্বর শরীরেই আরেকটা থাপ্পর। আন্টি আবিরের কোনও দোষ নেই,আমি আবিরকে ভালবাসি। না,মা আমি না[আবির]। হুট করে প্রিয়ন্তির জোড়ালো থাপ্পর। মা আমি আরো প্রেম করবো। প্রিয়ন্তি গোমড়া মুখ নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। করিডরে দাঁড়িয়ে আছে আবির।
প্রিয়ন্তি উপরে তাঁকাতেই দেখে কাকে যেন জড়িয়ে দাঁড়িয়ে। রাগ সহ্য করতে না পেরে উপরে উঠে আসলো প্রিয়ন্তি!আবির তোর মতো ছেলের সাথে ত্রিপল ব্রেকআপ।হঠাৎ আবিরের মায়ের আগমন,প্রিয়ন্তি মা চলে গেলে আবার এলে যে? আবির কাকে নিয়ে জড়িয়ে আছে? কই আমি তো কাউকে দেখছি না মা? এই যে আমার সামনে,হা হা ওটা আমার মেয়ে নিঝুম। প্রিয়ন্তি এমন সময় চড় মারতে যাবে নিঝুমকে ঠিক তখনি আবির অনিকা বলে চিৎকার!