ভালোবাসি

ভালোবাসি

– ঠাসসসসসসসস_ঠাসসসসসসস­­­,এই শালা তোরা কি কখনও মানুষ হবি না? ঠাসসসসসসসস একটা ছেলেকে একা রাস্তায় পেয়ে এভাবে অত্যাচার করছিস।(একটা মেয়ে)

– আমাদের ভুল হয়ে গেছে বৃষ্টি আপু। আমাদের মাফ করে দিন। আর কখন ও কোন ছেলেকে এমন ভাবে অত্যাচার করব না (কয়েকটা ছেলে)

– ইটস ওকে। আর যদি কোন দিন দেখি যে তোরা এমন করছিস তাহলে। তোদের একটা দাঁত ও থাকবে না সব থাপ্পর মেরে ফালায়া দিব। মাইন্ড ইট!
– ঠি ঠি ঠিক আছে মনে থা থা থা থাকবে আপু আর কখন ও করব না…..
– যা ভাগ এখান থেকে?

হায় ভগবান এ মেয়ে না কি রে। যে ছেলে গুলো আমায় এত্ত অত্যাচার করল সেইই ছেলে গুলোকে এমন ভাবে মারল এই মেয়ে। আর অনেক ভয় ও পায় এই মেয়েকে।

– এই ভিতুর ডিম, তোমাকে যে ছেলেগুলো এভাবে অত্যাচার করলো আর তুমি চুপচাপ সহে যাচ্ছিলে কেন?? (বৃষ্টি)
– ইয়ে ইয়ে ইয়ে মা মা মানেএএএএ? (আমি)
– ওই এমন পুচকি বাচ্চাদের মত কান্না না করে ভালো করে কথা বল?? না হলে তোকেও?
– আ আ আমি একা একা আসতেছিলাম তো তাই ওরা আমাকে দেখে এমন ভাবে মেরেছে (কান্না করে করে বল্লাম)
– ওই চুপ একদম চুপ। শালা ভিতু রাম সর্দার এত্তবড় একটা ছেলে অন্য ছেলেদের হাতে মাইর খায়।
– আমি কি করব ওরা তো ৫ জন ছিলো আর আমি কি মারামারি করতে জানি নাকি।
– ওই হইছে হইছে আর কান্না না করে যা তোর বাসায় যা ।

আমি আর কিছু না বলে ওখান থেকে চলে আসলাম। আর ওই মেয়েটাও চলে গেলো। ও আমার তো পরিচয় ই এখন ও দেইই নাই আমি মৃনাল। কোন এক কারনে বাবা বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। তাই কোন উপায় খুজে না পেয়ে চট্রগ্রাম শহরে এসেছি। আর এসেই কয়েকটা ছেলের হাতে পরে অনেক মাইর খেলাম। আর তার পরে যা ঘটলো তা তো দেখলেনই ওই বৃষ্টি নামের মেয়েটা এসে আমাকে বাচিয়ে দিয়ে গেলো। যাই হোক ওই মেয়েটা রাগি হলেও অনেক ভালো। জানিনা ও না থাকলে আজ আমার কি হতো। তারপর অনেক কস্টে একটা থাকার জায়গা জোগার করলাম আর একটা এখান কার কলেজে ভর্তি হলাম তারপরের দিন কলেজের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম আর কলেজে ঢুকেই……

– ঠাসসসসসসস_ঠাসসসসসসসস_? কি ভাবছেন আমাকে থাপ্পর মারেনি একটা ছেলেকে একটা মেয়ে থাপ্পর মেরেছে। ছেলেটা মেয়েটাকে প্রোপোজ করেছে তাই। মেয়েটাকে ঠিক দেখা জাচ্ছে না কারন ওর পিছন টা দেখতে পাচ্ছি।

– ওই তোর সাহস তো কম না তুই আমাকে প্রোপোজ করিস। আর একবার আমার চোখের সামনে এলে তোর চোখ তুলে নিবো (মেয়েটা বলল)। মেয়েটা পিছন ফিরে সামনে তাকাতেই ওরেএএ বাব্বব্বা এ তো সেই কালকের মেয়েটা যে আমাকে কয়েকটা ছেলের হাত থেকে বাঁচালো। আর আজ এই ছেলেটাকে.. না না এখানে আর থাকা জাবে না ক্লাস যেতে হবে তারাতারি। যেই ক্লাসের উদ্দেশ্য রওনা দিবো সেইই……

– এই ভিতুর ডিম..? আমাকে দেখে পালাচ্ছিস কেনো দাড়া..? (বৃষ্টি)
– হ্যা জ্বি বলুন..? (আমি)
– ওই তুই এখানে কেনো??
– না মানে আমি এখানে ভর্তি হয়েছি।
– ও ভালো তা আমাকে দেখে এমন পালাচ্ছিলি ক্যান??
– না মানে ইয়ে এমনিইইই আরকি।
– হিহিহি?
– হাসতেছেন কেনো??
– তুই তো আমাকে দেখে ভয়েই পালাচ্ছিলি আমি জানি। হিহিহি।
– আচ্ছা একটা কথা বলব?? (আমি)
– কিইইইইইই? (বৃষ্টি)

– আচ্ছা আপনাকে ছেলেরা এতো ভয় পায় কেনো???
– তা তো জানিনা তবে এই টুকু জানি কোন ছেলে যদি বেয়াদবি করে তাহলে তাকে একটু আদর করে দেইই ব্যাস।
– এই ভিতুর ডিম তোর নাম কি?? (বৃষ্টি)
– আমার নাম মৃনাল।(আমি)
– আর আমার নাম হচ্ছে (কথাটা শেষ না করতে আমিই বলে দিলাম)
– বৃষ্টি,
– ওই তুই আমার নাম জানলি কেমন করে?
– ওই যে কালকে যখন ছেলেদের থাপ্পর মারলেন তখন একটা ছেলে তো আপনাকে বৃষ্টি আপু বলছে তখন।
– আচ্ছা যা তুই এখন ক্লাসে ??

আমিও আর কিছু না বলে ক্লাসে চলে আসলাম। ভাই মেয়েটা আগুন সুন্দরী। কিন্তু তারথেকেও তার রাগ টা বেশি। কথায় কথায় ছেলেদের চর মারে। তাই এই মেয়ের কাছ থেকে দুরে দুরে থাকাই বেটার। কিছুদিনের মধ্যে ওর সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। দুইদিন পর কলেজে গেলাম আর একটা মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছি তখনই দেখি বৃষ্টি ডাকতেছে

– ঠাসসসসসসসসসসস (বৃষ্টি)
– মারলেন কেনো???? (আমি)
– তুই ওই মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বললি কেনো???
– ও আমার বন্ধু আর ওর সাথে কথা বলতেই পারি তাই বলে এমন ভাবে সবার সামনে থাপ্পর মারবেন??
– তুই আর কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি না এই বলে দিলাম। আর যদি কথা বলিস তাহলে তোকে খুন করে ফেলব শুনে রাখ?

কি মেয়ে রে বাবা কোন কথা বার্তা নেই এসেই ঠাসসসস করে থাপ্পর মারলো আর কি বলে গেলো এসব। আমার ঘরে চলে আসলাম। গালটা ওনেক ব্যাথা করছে কি শক্তি রে ভাই মেয়ের। পুরো পাঁচ আঙ্গুলের দাগ তুলছে গালের মাঝে। এতো জোরে কেউ থাপ্পর মারে??? তারপরের দিন কলেজে গেলাম আর কলেজে এসে কারো সাথে কথা বলেনি। কারন যদি কথা বলি জানিনা ওই গুন্ডটা কি করবে আমারে গতকাল যে থাপ্পর দিছে বাপরে বাপ আজ ও ব্যাথা আছে।

– আমাকে ডেকেছেন বুঝি? (আমি)
– ওই শালা তুই চুপ থাকবি না তোরে… ? (বৃষ্টি)
– বা রে আমি আপনার কোন কালের শালা? আর আপনিই তো আমারে ডেকেছেন?
– ওই তোরে কি আমি প্যাচাল পারতে বলেছি নাকি। এখানে চুপ থাক? (ধমক দিয়ে)
– আচ্ছা চুপ (একটা আঙ্গুল মুখে দিয়ে বল্লাম)
– ওই তোরে কি মুখে আঙ্গুল দিতে বলেছি?
– তাহলে কি আকাশের দিকে হা করে থাকব নাকি??
– হ্যা তাই থাকবি তুই???
– আচ্ছা আপনি থাকেন আমি গেলাম আমার কাজ আছে??
– কি বল্লি তুই? তোরে আজ….?
– আউউউউউউউ উউউউউউউ ওই লাগছে তো। কি করছেন কি এত্তো কিল ঘুসি মারলে কি আমি বাঁচব নাকি।
– শালা তুই চলে যাবি তাই না??
– এ না না কোথথাও যাবো না। দয়া করে আর ঘুসি মারিয়েন না নাহলে আমি মরেই যাবো।
– তোকে আজ মেরেই ফেলব আমি???
– কিইইইইইইইইই….?
– হ্যা. ?

তাই আর এক মুহুরতো দেড়ি না করে ওরে ধাক্কা মেরে দিছি এক দৌড়। বলা জায় না মেরে ফেলতেও পারে। আর তার পরের দিন দেখি বৃস্টির কপালে ব্যান্ডেজ কিছুই তো বুঝতেছিনা কি হয়েছে। তারপর ও বল্ল….

– তুই আমার কপাল ফাটাইছিস তোর আজ কে আর রক্ষা নেই। (বৃষ্টি)
– এই বিশ্বাস করেন আমি ইচ্ছা করে এসব করিনি।
– আচ্ছা ঠিক আছে। প্রেম করবি?
– মানে কি? আপনি কি বলেন এসব আর কার সাথে??
– কেনো আমার সাথে। তুই আমি তোরে ভালোবাসি???
– আ আ আমি তো কিছুই বুঝতেছিনা আপনার কথা। আপনার মাথা ঠিক আছে তো???
– হ্যা আমার মাথা এখন পজন্ত ঠিকই আছে তবে জানিনা কিচুক্ষন পর কি হবে??
– কিচুক্ষন পর কি হবে মানে???

– কি আর হবে আমার সাথে যদি রিলেশন না করিস তাহলে তোকে আমি??
– এই না না কিচ্ছু করতে হবে না আই লাভ ইউ।
– আই লাভ ইউ টু!!!!!
– আচ্ছা চল ফুসকা খাবো..? (বৃষ্টি)
– এই আমার কাছে কিন্তু কোন টাকা নেই। (আমি)
– আমি কি তোরে টাকার কথা বলেছি?? অতপর আমি আর গুন্ডীটা থুক্কু এখন থেকে আর গুন্ডি না পরী। আমি আর আমার পরী ফুসকার দোকানে গেলাম
– এই যে মামা দুই প্লেট ফুসকা। একটা তে ঝাল কম আর একটাতে আর একটাতে দুই বাটি মরিচ দিন?? (বৃষ্টি)
– এই তুমি কি পাগল নাকি দুই বাটি মরিচ মানে। এগুলো খেলে কি হাল হবে জানো? (আমি)
– ওই তুই চুপ থাকবি ? মামা আপনি দেন তো??

ভাই কি আর বলব তারপর পরীটা ফুসকা খাচ্ছে আর চোখের জল আর নাকের জলে আমার সাদা শার্ট টায় মুছতেছে।

– এই কি করছো কি? তোমাকে তো বল্লাম এতো ঝাল খেয়ো না। আর আমার শার্ট টা তো ভিজে যাচ্ছে চোখের জলে?
কে শোনে কার কথা ফুসকা খাচ্ছে আর চোখের জল আমার শার্টে মুছতেছে। মি মেয়ে রে ভাই.. ।
– আচ্ছা অনেক খেয়েছো এবার চলো?
– না আর এক প্লেট খাবো।
– কিইইইইই। আর একটাও নয় চলো বলছি না হয় আমিই চলে যাচ্ছি।

তারপর পরীটা ওর বাসায় চলে গেলো আর আমি আমার। এভাবে চলতে ছিলো আমাদের প্রেম। আর আমিই পরীটাকে কখন আমার নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তা বুঝতেই পারিনি। সারাদিন সারাক্ষন শুধু ওর কথাই ভাবি।ওর কথা ভাবতে ভাবতে ভাবতেই ক্রিংক্রিং ক্রিংক্রিং..

– হ্যালো কই তুমি?? (বৃষ্টি)
– কেনো আমিতো আমার রুমে। আর তোমার কন্ঠটা এমন লাগতেছে কেনো?? (আমি)
– তুমি ওখানেই থাকবা আমি যাচ্ছি।
– কিন্তু কেনো হঠাত আমার রুমে আসার কিইইই দরকার??? টুট টুট টুট বুঝলাম কল কেটে দিয়েছে। আর ও আমার রুমে এসেই

– ঠাসসসসসসসসস?­­­
– কি হচ্ছে টা কি এসেই থাপ্পর মারলা কেনো???
– তোকে আমি খুনই করে ফেলব হারামি (কেঁদে কেঁদে বলছে) ওই তোর হাত দে???
– কেন হাত কেন দিবো?? আর হাতের সাথে তোমার কি??
– ঠাসসসসসসসসস? হাত দেখাতে বলছি হাত দেখা?
– এই দেখো।
– ডান হাত না বাম হাত দেখা?
– এই যে বাম হাতই দেখালাম।।
– শাটের কলার উপরে তুল??
– কিন্তু কেনো কলার কেন উপরে তুলবো??
– যা বলছি তাই? আচ্ছা আমিই তুলছি। আমার কলার টা উপ্রে তুলেই
– ঠাসসসসসসসসসসস? ওই হারামি তোকে কি আমি হাত কাটতে বলেছি। তুই কেনো হাটছিস কেনো কেনো কেনো?? ঠাসসসসসস তোকে আজ মেরেই ফেলব শয়তান। (কেদে কেদে অবস্তা শেষ)

– ভালোবাসি তাই কাটছি।
– ও তাহলে আমি তোকে ভালোবাসি না তাই না। দাড়াও আমি আজ এখানেই এই ছুড়ি দিয়ে মরব।
– বৃষ্টি প্লিজ এমন কাজ করো না?
– কেনো করব না কেনো? তুই পারিস আর আমি পারি না। তুই হাত কাটছিস আর আমি মরব।
– আমি আর কিছু না বলে সোজা ওকে আমার বুকের মাঝে টেনে নিলাম। আই লাভ ইউ। আই লাউ ইউ সো মাচ।
– প্লিজ কান্না টা থামাও প্লিজ। আমি তোমার কান্না সহ্য করতে পারব না।
– আগে বল আমায় এভাবে সারাজিবন বুকের মাঝে রাখবি। কখন ও তোর বুক থেকে আলাদা করবি না?
– না না মরে গেলেও এই বুক থেকে তোকে আলাদা করব না।
– ঠিক তো?
– ঠিক ঠিক ঠিক। সোনা প্লিজ এবার কান্না টা থামাও।
– আই লাভ ইউ মৃনাল।
– কি আজব কান্না টা তো থামাবে।

আরো আধা ঘন্টা কান্নার পর বন্ধ করলো কান্নাটা। চোখ দুটো ফুলে ফুলে লাল হয়ে গেছে। তারপর ও বাসায় চলে গেলো। আমি বৃষ্টিকে অনেক ভালোবাসি অনেক। আর ও আমাকেও ভালোবাসে। ওই বৃষ্টি আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে বাঁচতে হয়। আমাকে নতুন করে বাচার আলো দেখিয়েছে ও। আমাদের দুস্টু মিস্টি প্রেম চলছে ? কিছুদিন পর বৃষ্টি আমাকে কল করে বলল আজ বিকাল ৪ টায় একটা জায়গার নাম বলল সেখানে আসতে।আর আমিও অনেক খুশি। কারন আজ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস মনে হয় ঘুরবে।আর তাছাড়া দশ দিন থেকে ওর সাথে কোন দেখা হয় তাই চারটা বাজতেই দিলাম দৌড়। আর গিয়ে দেখি ও তার আগেই চলে এসেছে

– মৃনাল তোমার সাথে আর আমার রিলেশন রাখা সম্ভব না। (বৃষ্টি)
– ফাজলামি বন্ধ করো? চলো ওই যে ফুসকা ওখানে গিয়ে ফুসকা খাবো আজ আমিই টাকা দিব চলো। (আমি)
– মৃনাল আমি সিরিয়াস! আমি আর তোমার সাথে কোন রিলেশন রাখতে চাই না।
– ওই পাগলী তোমার মাথা ঠিক আছে তো ? কি আজে বাজে এসব বকছো??
– হুম আমিইই ঠিকই বলছি। আমাকে ভুলে যাও? এই কথা শুনে আমার তো পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার মতো অবস্তা।

– ভুলে যাবো মানে?? ভুলে যাওয়ার জন্য কি ভালোবেসেছি নাকি? আমি তোমায় ভুলতে পারব না।
– দেখো মৃনাল আমি তোমার কথা আমার পরিবারে বলেছি তোমাকে আমার পরিবারে কারোরই পছন্দ না?? আর তাছাড়া আমি আদিত্য নামের একজন কে অনেক ভালোবাসি ওকে ছাড়া বাঁচব না। তুমি আমায় ভুলে যাও??
– এসব কি বলছো? আর তুমিই তো আমাকে বলেছো যে পরিবারে কারো পছন্দ লাগবে না তোমার কথাই সব। আর আদিত্য কে ভালোবাসো মানে??

– হুম আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি। আর ওকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসাই সম্ভব না আমার পক্ষে।
– অন্যকেই যদি ভালোবাসো তাহলে কেন আমার জিবনে এসেছিলে। কেনো আমায় এতো স্বপ্ন দেখিয়েছো। তুমিই তো আমায় নতুন করে বাঁচতে শেখালে। না না বৃষ্টি আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। প্লিজ আমায় এভাবে এভাবে দূরে সরিয়ে দিও না?
– ভালোবাসা এক তরফা হয় না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না আই হ্যাট ইউ!!! আর কোন দিন কখন ও আমার সামনে আসবে না তুমি!!

– তুমিইই তো নিজে আমার জিবনে আসলে। বৃষ্টি প্লিজ একবার বলো তুমি যা বলছো সব মিথ্যা। এগুলো সব বানিয়ে বলছো??

– আমার হাত ছাড়? হ্যা যা বলেছি তা সব সত্ত্যি। তুই কিভাবে ভাবলি যে তোর মত একটা রাস্তার ছেলেকে আমি ভালোবাসব। আর এসব ফালতু কান্না করে কোন লাভ নেই। আজ তোর কান্না আমার মন ভোলাতে পারবে না।

– আই লাভ ইউ বৃষ্টি । তোমাকে ছাড়া বাচার কথা আমি ভাবতেও পারি না এমন ভাবে আমাকে দুরে সরিয়ে দিও না। আমি শেষ হয়ে যাবো!!

– ঠাসসসসসসস_ঠাসসসসসসসস­­। শেষ বার বপছি তোকে আমি ভালোবাসি না। তুই দুরে গিয়ে মর। আমি আদিত্য কে ভালোবাসি। আর ওকেই আমি বিয়ে করব!

তারপর আমার চোখের সামনে আদিত্য নামের ছেলেটাকে বুকে জরিয়ে ধরলো। আর তখন আমার বুকের ভিতর যে পরিমান কস্ট হচ্ছিলো তা শুধুই আমিই টের পাচ্ছি। আর ওর হাত ধরে চলে গেলো আমার সামনে দিয়ে। যে আমাকে এতটা স্বপ্ন দেখালো আজ সেইই আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলো এমন করে। আমি তো কোন ভুল করিনি আমার ভালোবাসা তো মিথ্যা না। তাহলে কেন এমন করলো। এখন বুঝতেছি মেয়েরা সব সমই নিজের সার্থ নিজে ভাবে ।

ওই তো আমাকে বলেছিলো মৃনাল আমি তোমাকে এত্তোটা ভালোবাসি কিন্তু এখন বুঝতেছি। পরীটা আমাকে কত টা ভালোবেসেছিলো। কিন্তু আমি চাই সে অনেক ভালো থাকুক আমি জানি ও আমাকে আর কখনও মনেই করবে না। কিন্তু আমি তাকে কখনই ভুলতে পারবো না। শুধু এটুকুই বলব। তুমি ভালো থেকো বৃষ্টি!???

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত