সন্ধ্যা নামের একটা মেয়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব ছিল প্রায় বছর দেড়েক আগে। সবসময় দেখতাম,ফোনটা কানে লেগেই আছে। ব্যাপারটা বেশ কৌতুহলেরই বটে।তো, এভাবেই একদিন জানতে পারি, সে একাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত।যখন যাকে ভাল না লাগে, তাকেই ছেড়ে দেয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার-এতে তার কোন অনুতাপ নেই।
পাশের বাসার একটা কাকু-কাকি আছেন, যাদের সংসার যাত্রা ছিল লাভ ম্যারেজ। সেদিন শুনলাম, সেই কাকু টা পাশের বাসার এক ভাবীর সাথে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ।কাকী হাজার চেষ্টাতেও কাকু কে ফেরাতে পারছেন না। তবুও অব্যার্থ ভাবে লেগে আছেন।।
এক ভাবীকে জানি, যিনি প্রায় সাত বছর একা জীবন-যাপন করছেন।উনার স্বামী বিদেশ গেছেন সাত বছর আগে।তখন থেকেই নিখোজ।তবুও ভাবী টা তার আশায় বুক বেধে আছে।ছোট্ট মেয়েটাকে আকড়ে ধরে বেচে আছে।
এক দাদাকে জানি, উনার স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় বিশ বছর হল।এরপরে আর দ্বিতীয় বিয়ে করেন নি।একা হাতে ছেলে-মেয়ে গুলাকে মানুষ করেছেন। দ্বিতীয় বিয়ের কথা তুললেই উনার স্ত্রীর কথা মনে করে খুব কান্না করেন আর বলেন,-“আমি তাকে আজও ভুলতে পারিনি।তার জায়গায় অন্য কাউকে বসানো আমার পক্ষে সম্ভব না।”
#উপরের প্রত্যেক ঘটনা এবং প্রেক্ষাপট গুলো আলাদা।আসলে আমাদের ভিতরে সবাই কিন্তু ওই বান্ধবীর মত ভালবাসা নিয়ে খেলে না।কেউ কেউ ওই ভাবীর মত নিজের ভালবাসার জন্য তার বর্তমান চাওয়াকে জলাঞ্জলি দেয়,আজীবন অপেক্ষা করে তার ভালবাসার মানুষের জন্য। আবার সবাই ওই কাকুটার মত কাউকে ভালবাসার নামে কাছে টেনে ঠকায় না।কেউ কেউ ওই দাদুর মত কাউকে ভালবেসে যায় তার অনুপস্থিতিতেও। বেচে থাকে তার প্রিয়জনের স্মৃতি টুকু নিয়ে।
আসলে আমদের প্রত্যেকের জীবনের রং-ঢং,আশা-আকাংখা,চাওয়া-পাওয়া সবকিছু সবার থেকে আলাদা। একেক জন এক এক রকম দৃষ্টিভঙ্গি আর চিন্তাধারা নিয়ে বেচে থাকে।কেউ ঠকায়, আর কেউ ঠকে।
তাই অন্যের সাথে নিজেকে বা অন্য কাউকে খুজতে গিয়ে বা মেলাতে গেলে সেটা নাও মিলতে পারে।হয়ত,খারাপ টা চোখে পড়ে, নেতিবাচক অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।আবার শুধু ভালটাও পেলেও পেতে পারেন।
তাই, ঠিক-ভুল বিবেচনার দ্বায়িত্ব আপনার।কেউ আপনাকে সুখী রাখবে না।আপনার ভাল-মন্দ এবং সুখের খোজ আপ্নাকেই করতে হবে।
নিজে থেকে ভাল-মন্দের বিবেচনা করে পথ চলুন,আল্লাহর রহমতে অবশ্যই পজিটিভ কিছু পাবেন।
অন্যের ভাল-মন্দ জীবনযাপনের মধ্যে আপনার ভবিষ্যত নিহিত নেই।