প্রিয় সাহিত্যিক

প্রিয় সাহিত্যিক

— আমি তোমার কাছে আর পড়বো না কাল থেকে আর পড়াতে আসবে না প্লিজ।

কথাটা বলল নিলা, নিলা আমার ছাত্রী, শুধু ছাএী বললে ভুল হবে আমার বন্ধু নিলয় এর ছোট বোন. নিলয় এর সাথে আমার পরিচয় সেই ভার্সিটি লাইফের প্রথম দিন খুব ভালো একটা ছেলে। স্কুল কলেজ লাইফে তেমন বন্ধু বান্ধব হয়নি হলেও ছিল না বেশি দিন একাকিত্ব জীবন পার করে ভার্সিটিতে এসে খুব অল্প সময়ে অনেক গুলো বন্ধু পেয়ে গেলাম তার মধ্যে নিলয় একজন, জীবন টা কে বেশ উপভোগ করলাম এই প্রথম, অসাধারন সবাই. নিলয় ছেলেটা সব কিছুই আমার কাছে শেয়ার করবেই এমন কিছু নেই ওর যা আমি জানি না।

এখন আমরা সবে তৃতীয় বর্ষে উঠলাম। একদিন নিলয় বলল তার ছোট বোন নিলা একদম পড়াশুনা করে না এই যুগে কাকে হোম টিউটর রাখবে এখন পুরোটা আমাকেই দেখতে হবে যেন রেজাল্ট ভালো হয়। নিলা সবে মাত্র ক্লাস টেন উঠেছে সামনে এস এস সি দিবে বড্ড রাগী অভামানি ইমোশনাল ভালো একটা মেয়ে নিলয় এর সুবাদে আমাকে অনেক আগে থেকেই চেনে. এতখন পরিচয় দিলাম এবার ঘটনায় আসা যাক নিলার এমন হুটহাট কথা সুনে আমি অভ্যস্থ পিচ্চি নিলার বিষাদ মুখে তাকিয়ে বললাম আচ্ছা যা আর আসবো না পড়াতে,, এখন বল কি এমন করলাম

— যে ভালোবাসা কে হত্যা করে নিজের ভালোবাসা গলা টিপে মেরে ফেলে ওমন পিশাচ মানুষ আমার স্যার হতে পারে না কথা গুলো বলেই আমার হাতে একটা কাগজ দিল। আমি ত অবাক কি উদ্ভট কথাবার্তা কাগজ টা খুলে দেখি আগে আছে কি এটায় পড়তে লাগলাম

প্রিয়
সাহিত্যিক। সাহিত্যক নামেই সম্বোধন করলাম তোমাকে। এত কাব্য কবিতা ক্যাপসন কোথায় পাও। জানো সাহিত্যক তোমার লেখা গুলো আমার হৃদয় ছুয়ে যায় সবাই কাব্য বোঝেনা লেখতেও পারে না কিন্তু তুমি পারো তাই তোমার নাম দিলাম সাহিত্যিক।

আমার এলোমেলো ছন্নছাড়া সময়ে মেয়েদের ব্যাপারে একরকম বাজে ধারনা তৈরি হয়েছিল। ধারনার বিচ্ছেদ ঘটলো তোমাকে দেখে তোমার সরলতা চঞ্চলতা দেখে তুমি বড্ড খোলা মনের মানুষ এমন মানুষে রা আঘাত পায় বেশি। সব মেয়েই সার্থপর নয় কিছু মেয়ে নিজের চাইতে অন্যদের কে নিয়েও ভাবে তার মধ্যে তুমি একজন। তোমার সাথে আমার খুব বেশি মেশা হয় নি তবু যতটুকু মিশেছি দেখে ছি একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে চিনি তোমাকে। মানুষ কে বোঝার অদ্ভুদ এক খমতা আমার মাঝে স্রষ্টা দিয়েছে মানুষের সাথে এটকু মিশলেই বুঝতে পারি মানুষ টা কোন টাইপের তার মুভমেন্ট কেমন হবে। তুমি হয়ত বিশ্বাস করবে না আমার বই পড়া তোমার হাত ধরেই শুধু তোমার জন্যই। তোমার মনের খুব কাছে যাওয়ার জন্যই বই পড়ার শুরু আমার। আমি ত একাডেমিক পড়াই পড়ি না ঠিক মত আর একাডেমিক এর বাহিরের বইত দুরে থাক।

তোমাকে নিয়ে এক পবিত্র ভালোলাগা কাজ করে আমার. তোমার কাজল দেয়া চোখ টা ভুলবার নয় শাড়িতেই নারী কথায় আছে সত্য বটে তোমাকে যখন শাড়িতে কাজল দেয়া চোখো দেখলাম সে অনুভূতি লেখায় প্রকাশ করার খমতা আমার নেই তোমার সেই মায়াবী চোখটা আমায় ভীষণ টানে । তোমাকে আমার অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে পারি কোথায়..শ্যামলা মেয়েরা নাকি অনেক মায়াবী হয় তুমি তার ব্যাতীক্্রম নও। জানো আমি তোমাকে অনেক বুঝি আরো বোঝার চেষ্টা করি।

আমি জানি তুমি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চাও প্রকৃতি তোমার খুব পছন্দ তবু তুমি ইট পাথর কংক্রিটের শহরে দিব্বি চলছো। তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যেতে চাই নীল সবুজের দেশে যাবে! । তোমার কাজল দেয়া চোখে তাকিয়ে হাতে হাত েখে কথা বলতে ইচ্ছে করে। তুমি আমার কল্পনার জগতে বেশ জায়গা করে নিয়েছ। তোমার সাথে চন্দ্র বিলাস করতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতো ইচ্ছো করে ভালবাসি আমি এভাবে আর পারছি না বুকের উপর যেন পাথর চেপে আছে ।

ভালাবাসার কথা না জানাতে পারাটা খুব পেইন ফুল। তোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে কাদতে ইচ্ছে করে আমার। আমি জানি তুমি অনেক খারাপ সময় পাড়ি দিয়ে এসেছ তাই আজ তোমায় বলতে ভয় হয় আচ্ছা তুমি কি আমায় ভুল বুঝবে নাকি অনেক রাগবে নাকি আর যোগাযোগ রাখবে না আমি আমার প্রিয় মানুষদের কখনো হারাতে চাই না তোমাকেউ না সব কিছু মিলিয়ে আমি জটিল সিচুয়েসনে আছি আমি জানি না তুমি আমাকে পছন্দ করো কি না তবু মন বলছে তুমি আমাকে অনেক পছন্দ করো অনেক ভালোবাসতে ইচ্ছে করে এ ভালবাসায় পবিত্রতা আছে। আছে নিষ্পাপ কিছু চাওয়া ।

তোমাকে জানানোর আগেই বাসায় তোমার কথা বলে ছিলাম.. আমি একটা মেয়ে খুব পছন্দ করি শ্যামলা রংয়ের মায়াবী পরী। তার সব কিছুতে আমি মুগ্ধ বড় ভাবী ত মুখের উপর বলেই দিল ওসব কালো শ্যামলা কোন মিয়ের সাথে বিয়ে করাবেই না কোন দিন আরো কত কি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম এই সমাজের মানুষ গুলো কেমন জানি। আমি বলেছিলাম ফর্সা মানুষ ই কি শুধু সুন্দর যদি জীবনে সুন্দর গঠনের মানুষ ই সব হয় তবে আমার বউ হবে পতিতালয় এর কেউ। ফফর্সা হলেই রাজ কুমার হয়ে যায় না আফ্রিকার সব রাজকুমারীই কুচকুচে কালো উচা নাক মোটা ঠোঁট আর কিছু বলার প্রয়জন মনে করিনি । জীবন নাকি এসব ইমোশনাল কথা বার্তা দিয়ে চলে না আমাদের স্টেটাস এর সাথে মিলতে হবে কত কি। আমি যেন এসব ভুত মাথা থেকে নামাই।

সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম ভালবাসা না পেয়েও হারিয়ে ফেলার কষ্ট। তুমি হয়ত জানবেও না কোন দিন কেউ একজন তোমাকে অনেক ভালোবাসে এক পাহাড় সমান ভাল লাগা আছে তোমার জন্য। দেখ সাহিত্যিক তোমার অগচরেই তোমাকে নিয়ে কত রচনা রচিত হল তুমি একটু জানলেও না। আমার এই ছোট্ট জীবনে চাওয়ার চেয়ে পাওয়াটা অনেক কম ছিল আজ সেখানে আরো একটি না পাওয়ার গল্প যোগ হল। বুক ভারি লাগছে গলাটা ব্যাথা করছে কেন! । হয়ত এখন তৃমি লেখাটা পড়ছো যদি কষ্ট পাও তবে খ্খমা করে দিও নয়ত এই হত ভাগাকে তুমি সেভাবে পছন্দই করো নি। কিন্তু আমি জানি তুমি আমায় অনেক পছন্দ করো আমি যখন সবার অগচরে নিজে কে একদম একলা করে নিয়ে ছিলাম ফেসবুক ডিএক্টিভেট অনেক মাস পর লগইন করে চেট অফ করে ফেবু ঘুর ছিলাম তোমার স্টোরি সিন করেছিলাম সেখান থেকে আমায় মেসেজ করে ছিলে এমন বেশ কয়েক বার করেছো তুমি সেদিনের অনুভূতি আর না লিখি। দোয়া করি ভালো থেকো প্রিয় সাহিত্যিক।

আমি এই মায়া থেকে মুক্তি চাই ভালো ভাবে বাচতে চাই কিন্তু পারি না তোমার মায়াবী শ্যাম বর্নের চেহারা সেদিনের কাচর চুরি নীল শাড়ি কাজল দেয়া চোখ বার বার সামনে ভেসে উঠে আর বার কষ্ট পাই তোমাকে আমার করে না পাব ভেবে। তবে ভাল লাগে তুসি ভালো আছো আর ভালোয় থেকো। ফ্রম পোকা বই পোকা। চিঠিটা পড়লাম এটা আমারি লেখা লেখা গুলো একটু লেপটে গেছে। নিলা কে বললাম তুই কিভাবে পেলি এটা

— সেদিন একটা ইংরেজি গ্রামার টা দিলে যে ঐটার মধ্যে ছিল। এত পেইন কেন নিতে গেলে মোয়েটা কে বললে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত হা আমি জানি এই জন্য ই এই জন্যই তোমার গফ নেই

— কিসের সাথে কি মিসিয়ে ফেলছিস, মন মত মেয়ে পাই নি তাই গফ হয়ে উঠে নি
— মেয়েটা কে এখনো ভালোবাসো না ভাইয়া
— কি বলছিস এসব এই ঘটনা কত আগের জানিস তখন আমি ইন্টারমিডিয়েট এ পড়তাম
—- আচ্ছা নামটা কি ছিল
— নাম দিয়ে কি করবি
— না প্লিজ বলবা
— ধরে নে রূপা মেয়েটা হিমু পাগল ছিল হুমায়ুন আহমেদ তার প্রিয় লেখক।

আসি জানি নিলা ভাবছে আমি আজও সবার আড়ালে কষ্ট পাচ্ছি এটা ভেবে ওর খারাপ লাগবে আমাকে বকা বকি করবে মেয়েটা যেন নিলয়ের থেকে আমাকেই বেশি আপন ভাবে বেশি ভালবাশে ভালবাসে। নিলা কে পড়িয়ে আসতে রাত হয়ে গেল প্রায়। আজ সেই সাহিত্যিক এর কথা মনে পড়লো কেমন আছে মেয়ে টা। ফেসবুক ঘেটে বের করলাম আগের মত আর স্টোরি দেয় না মেসেজ দিলাম.. মেয়ে একটুও বদলায় নি রিপ্লে আসলো

–) কেমন আছো রে, ভুলেই গেছ কোথায় আছো

এখনো গড়গড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস টা যায় নি তার কথা বলে বুঝলাম বেশ ভালো আছে। কাল ভার্সিটিতে যেতে হবে সকাল ৮.৩০ এ ক্লাস। ক্লাস শেষ করে বসে আছি আবার ৪৫ মিনিট পর একটা ক্লাস আছে নিলয় পাশে পাবজিতে মেডিকিট খুজতেছে সামনের দুইটা ঢ়ং করতেছে সেলফির জন্য আরেক দল গেল ডেটিং এ কয়জন ক্রাম খেলার জন্য ডেকে গেল সামনো যে কে বই পড়তেছে উফ ভাল লাগতেছে না কানে হেডফোন লাগিয়ে গানন ছাড়লাম আর তেরে মেরি গানের বয়স্ক সিংগার টার মত আ আ আ করতে লাগলাম জানি একটু পরেই সবাই আমাকে তাড়া করবে কিন্তু এর মাঝেই ক্লাসের সিআর এসে উপস্থিত কুরবানী ইদের জন্য ভার্সিটি বন্ধের নোটিশ সবার চোখে মুখে খুশির আমেজ।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বন্ধ কথা শুনলে যেন প্রতিদিন ই ইদ বাড়ি ফিরে যাওয়া সবার অনেক অনেক আদর। যাই হোক ভাবছি নিলা কে আজ পড়িয়ে ছুটি দিয়ে দিবো। বাহিরে আড্ডা দিয়ে নিলয়ের সাথেই ফিরলাম দেখি ছাত্রী আমার গেম নিয়ে বুদ । নিলা ছাত্রী হিসাবে বেশ ভালো কিন্তু পড়তে চায় না এর মুল কারন টিভি আর গেম একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে কিংবা চাপে ফেলে নয়ত একটু মোটিভেট করে পড়তে বসালেই বাস সব কমপ্লিট করে ফেলবে। বসতেই বলল

–) আজ আমি পড়বো না স্যার স্কুল অফ আম্মু ও বলছে
— তোকে দেখেতো মনে হচ্ছে আজই ইদ
–)ধুর, এখন তোমাকে আমার সাথে সপিং এ যেতেই হবে আম্মুও বলেছে কোন ভাবেই না করার সুযোগ নেই
— কিন্তু আমি তো যে পারবো না তোকে পড়িয়ে নিলয় আমি বের হতাম তবে এখনই বের হবো ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে
–) তোমাদের ইম্পর্টেন্ট কাজ না ছাই দারাও নিলয় কে মেনেজ করে আসি একটু পর নিলয় রুমে এসে বলল

— যা একটু সাথে অনেক কষ্টে বেচারি টাকা আদায় করছে আজ সপিং এর জন্য। সন্ধার পর বের হব নি কোন সুস্থ সবল মানুষ মেয়েদর সাথো সপিং এ বের হতে চাইবে না কারন টা কারো বোধয় অজানা নয় যাই হোক বের হলাম।পরেরদিন দারওয়ান চাচা এসে ডাকতেছে কে যেন আমাকে চায় হোস্টেলে মেয়ে ঢ়োকা নিষেধ। নিয়ে গিয়ে দেখি নিলা

–) কিরে এই ভোর বেলা আসতে গেলি কেন বললেই হত
–) তুমি ত আজ কেই চলে যাবা বাসায় তাই না ভাইয়া
–) হ্যা, তোর হাতে কার গিফট
–) তোমার জন্যই তিনি হিমু পাগল ছিলেন হুমায়ুন তার প্রিয় লেখক তাহলে তোমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন হবে না তার গ্যারেন্টি কি, এখানে হুমায়ুন এর দুটো বই আছে

—) খুব পেকে গেছিস না নিলা হেসে গিফ্ট টা বাড়িয়ে দেয় বলে
— এবার সাহিত্য কিন্তু পাতায় নয় ভাইয়া কোলে দেখতে চাই
–) আমি হাসি খুব হাসি কিছু বলি না নিলা ছোট মানুষ আবেগ অনুভূতি এসব জটিল জিনিস বোঝার মত বয়স ওর হয় নি।

আজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিব বহুদুরের পথ বগুড়া। অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে আমার শৈশব কৈশোর যৌবনে র শুরুটাও এই বগুড়া তেই। কত পরিচিত মুখ কত সৃতি জড়িয়ে আছে এখানে সবাই কে খুব মনে পড়ছে আজ। মানুষের সৃতি কখনা হারিয়ে যায় না শুধু অনুভূতি গুলো ফিকে হয়ে যায়। আজ তার জন্য অনুভূতুর ঝুলি শূন্য। এক সময় সেই সাহিত্যিকের জন্য মনে বড্ড আকুলতা কাজ করতো মনে পড়লে বুকে মধ্যে কাপুনি অস্বতি লাগতো তাকে পাওয়ার আকুলতা কাজ করতো তাকে দেখলেই কথা বললেই কষ্ট পেতাম একটা সময় মানুষ টার জন্য পাহার সমান অনুভূতি ছিল আমার কিন্তু আজ কিছুই কাজ করছে না আজ আমার তাকে ভেবে কষ্ট হয় না তাকে পাওয়ার আকুলতায় ব্যাকুল হতে হয় না।

আচ্ছা আমি কি নিষ্ঠুর পাষাণ খারাপ মানুষ সে জন্য ভুলে গেছি সব হয়ে ছি এমন আমার কি খারাপ লাগা উচিত?? না হয়ত একদম ই না সে আজ অনেক ভালো আছে আমিও আমাকে গুছিয়ে নিয়ে ছি আমার মত করে খুব ভালো আছি সে যদি আমার জন্য খারাপ থাকতো বা কষ্ট পেত তাহলে আমার খারাপ লাগত তার সাথে পথ চলার সৃতি নেই তাই আমার খারাপ লাগে না হুট হাট মনে পড়ে না। এক সময় তাকে নিয়ে আমার ভাল লাগা সপ্ন ছিল আজ ভাল লাগাটা কাজ করে না আবার খারাপ লাগাও কাজ করে না তবে সে অনেক ভালো আছে এটা ভেবে আমার ভাল লাগে স্বস্তি পাই আমার মন চায় সে এভাবেই সারাজীবন সুখে থাকুক হয়ত এটাই ভালবাসা।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত