‘তুমি’!- শব্দটা মনের ভিতর যখন খেলা করে,তখন তোমার নামটাই
চলে আসে। হ্যা.. আজও অনেক বেশিই ভালোবাসি তোমায়।
.
আমাদের সম্পর্কটা ছিল সূর্য-পৃথিবীর সম্পর্কের মতন। আমি
ছিলাম পৃথিবী আর তুমি ছিলে সূর্য। সূর্য ছাড়া যেমন পৃথিবী
অচল,তেমনি তুমি ছাড়া আমি অচল। মেঘ হলে যেমন সূর্য
মেঘের আড়ালে চলে যেত,তেমনই তুমিও আমার থেকে নানা
কারনে আড়ালে চলে যেতে। সূর্যর আরও গ্রহ
আছে,তেমনি তোমারও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। কিন্তু
পৃথিবীর সূর্য একটাই.. তেমনই আমার একটাই তুমি।
.
কিন্তু শুধু তফাৎটা কোথায় যান!? তুমি আমার গ্রহের স্থায়ী সূর্য
নও বা আমি তোমার স্থায়ী সূর্য হতে পারি নি। তবে পৃথিবী
সূর্যকে সবসময় মিস করে.. কিন্তু আমি তোমাকে কখনই মিস করি
না। কারন তুমি মিশে আছ আমার আত্মার সাথে। নিজের আত্মাকে
তখনই মিস করা যায়,যখন এই দেহে আর প্রাণ থাকে না। তবে
কিভাবে আমি তোমাকে মিস করব!?
.
আমাদের ভালোবাসাটা ছিল মানুষ আর চাঁদের ভালোবাসার মত। যখন
মানুষ বাস্তবতার সম্মুখীন হয়, তখন সে চাঁদের সৌন্দর্য উপলব্ধি
করতে পারে। তেমন আমি এখন তোমার ভালোবাসা উপলব্ধি
করতে পারছি।
.
ভালোবাসা কী!? এর কোনো ব্যাখা আছে!? থাকলেও
একজনের কাছে ভালোবাসার ব্যাখা একেক রকম। তবে আমার
কাছে ভালোবাসার ব্যাখা মানে কি তুমি জান?
আমার কাছে ভালোবাসার ব্যাখা মানেই হল তুমি,তোমার ভালোবাসা.
আমার কাছে ভালোবাসার মানে হল তোমার সেই মিষ্টি
হাসি,তোমার সেই মায়াভরা দুটি চোখ,এলোমেলো চুল আর
রাগে ভরা কথা.. এগুলোই তো আমার কাছে ভালোবাসার উৎকৃষ্ট
ব্যাখা!!
.
কতোই অবহেলার শিকার হয়েছি আমি! ভাবতাম তুমি হয়ত রাগ করে
আমার সাথে কথা বলছ না,মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছ না.. কিন্তু আমি
আজও বুঝতে পারি না কেন আমি এতো অবহেলার শিকার হওয়ার
পর এখনও তোমাকেই ভালোবাসি!? ও.. হয়ত এটাই মনে হয়
ভালোবাসা!!..
.
একসময় আমি ভুলে গেছিলাম যে “আত্ম-সম্মান” বলে একটা
শব্দ আছে। তখন ভাবতাম তুমি তো আমার আপন মানুষ,তোমার
কাছে আমার আত্মসম্মানের মূল্য না থাকলেও চলবে! কিন্তু তুমি
আমাকে বুঝিয়েছ আত্মসম্মান কি জিনিস! এর জন্য তোমাকে
অশেষ ধন্যবাদ।
.
হ্যাঁ.. আমি আজও তোমায় ভালোবাসি.. সারাজীবন হয়ত
ভালোবেসেই কেটে যাবে! তবে তোমাকে দেখার
কোনো শখ আমার নেই। যদি কোনোদিন তোমাকে
নিজের পত্নী হিসেবে তোমাকে পাই!,,তবে সেদিনই
তোমাকে দেখব। যা কিনা ইহলোকে হয়তবা সম্ভব না.. তবে
এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি….
<.. তোমাকেই ভালোবাসছি, আর তোমাকেই ভালোবাসব.. >
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা